অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় সাড়ে ৪ বছর। এই সময়ের মধ্যে বিদ্রোহীদের হাতে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তাবাহিনীর ১৩টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৭ কোটি মার্কিন ডলার। থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা সরকারের ১৩টি সামরিক বিমান ভূপাতিত হয়েছে। এসব বিমানের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৭ কোটি মার্কিন ডলার। দেশটির বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও প্রতিরোধ বাহিনীগুলো এসব বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে।
কাচিন ইন্ডিপেনডেন্ট আর্মি (কেআইএ) ও তাদের মিত্ররা কাচিন রাজ্য ও উত্তর শান রাজ্যে মোট পাঁচটি বিমান ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে দুটি রুশ-নির্মিত হেলিকপ্টারও রয়েছে। ২০২১ সালের ৩ মে মামৌক টাউনশিপের কনে লাও গ্রামে সংঘর্ষের সময় কেআইএ এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার গুলি করে নামায়। ওই হেলিকপ্টারের মূল্য প্রায় ৩৬ মিলিয়ন ডলার।
২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি মিচিনার সামরিক ঘাঁটি থেকে ওয়াইনমাও টাউনশিপের ফ্রন্টলাইনে যাওয়ার পথে আরেকটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার ভূপাতিত করে কেআইএ। এতে পাইলট, কো-পাইলটসহ মোট ছয়জন নিহত হয়।
পরে, ২০২৫ সালের ২০ মে কাচিনের ভামো শহরে জান্তা বাহিনীর ২১ তম সামরিক সদর দপ্তরে রসদ ও সেনা পাঠাতে তিনটি হেলিকপ্টার পাঠায় জান্তা। কেআইএ ও মিত্ররা ড্রোন হামলা চালিয়ে একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করে, অপরটি জরুরি অবতরণ করে এবং তৃতীয়টি ফিরে যায়। পরদিন ড্রোন হামলায় শ্বেগু শহরে জরুরি অবতরণ করা আরেকটি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়।
এ ছাড়া, ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি উত্তর শান রাজ্যের কুৎকাই টাউনশিপে চীনা তৈরি একটি এফটিসি-২০০০জি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর দাবি করে কেআইএ। এতে পাইলট নিহত হয়।
কারেনি রেজিস্ট্যান্স আর্মিও কয়েকটি বিমান ভূপাতিত করেছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন ও ১১ নভেম্বর তারা দুটি কে-৮ ডব্লিউ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। এ ছাড়া, ২০২৪ সালের ৬ মে তারা একটি হেলিকপ্টার গুলি করে নামায়। সর্বশেষ, ২০২৫ সালের ১ জুলাই কারেন রাজ্যের হপসাউং শহরে আরেকটি এফটিসি-২০০০জি যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি করে তারা।
সাগাইন অঞ্চলেও দুইটি বিমান ভূপাতিতের দাবি করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হোমালিনে একটি পরিবহন হেলিকপ্টার এবং ২০২৫ সালের ১০ জুন পালের কান দাউক পুলিশ স্টেশনের কাছে একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর কথা জানায় প্রতিরোধ বাহিনী।
অন্যদিকে, কারেন রাজ্যের থিংগ্যান নাইনাং শহরে ২০২৫ সালের ২৯ জানুয়ারি ইউরোকপ্টার ভূপাতিত করে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও তাদের মিত্ররা। এতে ৪৪ তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের নতুন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আয়ে মিন নাউংসহ সবাই নিহত হয়।
চিন রাজ্যের পালেতওয়া টাউনশিপে আরাকান আর্মি ২০২৩ সালের শেষের দিকে জান্তার একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি করে। ২০২৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তারা জান্তার কৌশলগত ঘাঁটি দখলের পর বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পায়।
এ দিকে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিমানবাহিনীর বিদ্রোহী সদস্যদের বরাতে জানা গেছে, ইয়াঙ্গুন, বাগো, সাগাইন, রাখাইন ও কাচিন রাজ্যে আরও সাতটি বিমান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এসব ঘটনার অনেকগুলো নিরপেক্ষভাবে সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি বলে। অন্যদিকে, যান্ত্রিক ত্রুটি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে গত কয়েক বছরে আরও অন্তত ১০টি বিমান হারিয়েছে জান্তা সরকার।
আরও খবর পড়ুন:
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় সাড়ে ৪ বছর। এই সময়ের মধ্যে বিদ্রোহীদের হাতে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তাবাহিনীর ১৩টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৭ কোটি মার্কিন ডলার। থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা সরকারের ১৩টি সামরিক বিমান ভূপাতিত হয়েছে। এসব বিমানের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৭ কোটি মার্কিন ডলার। দেশটির বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও প্রতিরোধ বাহিনীগুলো এসব বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে।
কাচিন ইন্ডিপেনডেন্ট আর্মি (কেআইএ) ও তাদের মিত্ররা কাচিন রাজ্য ও উত্তর শান রাজ্যে মোট পাঁচটি বিমান ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে দুটি রুশ-নির্মিত হেলিকপ্টারও রয়েছে। ২০২১ সালের ৩ মে মামৌক টাউনশিপের কনে লাও গ্রামে সংঘর্ষের সময় কেআইএ এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার গুলি করে নামায়। ওই হেলিকপ্টারের মূল্য প্রায় ৩৬ মিলিয়ন ডলার।
২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি মিচিনার সামরিক ঘাঁটি থেকে ওয়াইনমাও টাউনশিপের ফ্রন্টলাইনে যাওয়ার পথে আরেকটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার ভূপাতিত করে কেআইএ। এতে পাইলট, কো-পাইলটসহ মোট ছয়জন নিহত হয়।
পরে, ২০২৫ সালের ২০ মে কাচিনের ভামো শহরে জান্তা বাহিনীর ২১ তম সামরিক সদর দপ্তরে রসদ ও সেনা পাঠাতে তিনটি হেলিকপ্টার পাঠায় জান্তা। কেআইএ ও মিত্ররা ড্রোন হামলা চালিয়ে একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করে, অপরটি জরুরি অবতরণ করে এবং তৃতীয়টি ফিরে যায়। পরদিন ড্রোন হামলায় শ্বেগু শহরে জরুরি অবতরণ করা আরেকটি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়।
এ ছাড়া, ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি উত্তর শান রাজ্যের কুৎকাই টাউনশিপে চীনা তৈরি একটি এফটিসি-২০০০জি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর দাবি করে কেআইএ। এতে পাইলট নিহত হয়।
কারেনি রেজিস্ট্যান্স আর্মিও কয়েকটি বিমান ভূপাতিত করেছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন ও ১১ নভেম্বর তারা দুটি কে-৮ ডব্লিউ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। এ ছাড়া, ২০২৪ সালের ৬ মে তারা একটি হেলিকপ্টার গুলি করে নামায়। সর্বশেষ, ২০২৫ সালের ১ জুলাই কারেন রাজ্যের হপসাউং শহরে আরেকটি এফটিসি-২০০০জি যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি করে তারা।
সাগাইন অঞ্চলেও দুইটি বিমান ভূপাতিতের দাবি করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হোমালিনে একটি পরিবহন হেলিকপ্টার এবং ২০২৫ সালের ১০ জুন পালের কান দাউক পুলিশ স্টেশনের কাছে একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর কথা জানায় প্রতিরোধ বাহিনী।
অন্যদিকে, কারেন রাজ্যের থিংগ্যান নাইনাং শহরে ২০২৫ সালের ২৯ জানুয়ারি ইউরোকপ্টার ভূপাতিত করে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও তাদের মিত্ররা। এতে ৪৪ তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের নতুন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আয়ে মিন নাউংসহ সবাই নিহত হয়।
চিন রাজ্যের পালেতওয়া টাউনশিপে আরাকান আর্মি ২০২৩ সালের শেষের দিকে জান্তার একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি করে। ২০২৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তারা জান্তার কৌশলগত ঘাঁটি দখলের পর বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পায়।
এ দিকে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিমানবাহিনীর বিদ্রোহী সদস্যদের বরাতে জানা গেছে, ইয়াঙ্গুন, বাগো, সাগাইন, রাখাইন ও কাচিন রাজ্যে আরও সাতটি বিমান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এসব ঘটনার অনেকগুলো নিরপেক্ষভাবে সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি বলে। অন্যদিকে, যান্ত্রিক ত্রুটি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে গত কয়েক বছরে আরও অন্তত ১০টি বিমান হারিয়েছে জান্তা সরকার।
আরও খবর পড়ুন:
ইরানের শাহেদ ড্রোনের নকশা ব্যবহার করে এই ড্রোন উৎপাদনের জন্য বিশাল এক কারখানা নির্মাণ করেছে রাশিয়া। তাতারস্তান অঞ্চলের আলাবুগা শিল্প এলাকায় অবস্থিত এই কারখানা বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত দেশি-বিদেশি মহলে নতুন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং খাদ্যসহ জরুরি পণ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ, স্থানীয় বাজারে ডিজিটাল লেনদেনও প্রায় অগ্রহণযোগ্য।
৬ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা হয় এই দুই নেতার।
৬ ঘণ্টা আগে