অনলাইন ডেস্ক
গত বৃহস্পতিবার রাতেও মিয়ানমারের সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইং জিপের ওপর দাঁড়িয়ে স্যালুট নিচ্ছিলেন। রাজধানী নেপিডোর আকাশে উড়ছিল যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার। তবে তাঁর এই শক্তি প্রদর্শনীর পরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে সামরিক জান্তার ‘অভেদ্য দুর্গ’।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে গোপনে তৈরি করা হয়েছিল এই শহরটি। পূর্ববর্তী সামরিক শাসকেরা তৈরি করেছিলেন বিশাল সড়ক, অতিকায় সরকারি ভবন আর প্রাসাদসম স্থাপত্য। কিন্তু ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়েছে হাসপাতাল, মন্ত্রণালয়ের ভবন, এমনকি রাষ্ট্রপতি ভবনের সোনালি সিঁড়িও। বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন। মন্ত্রীরা কাজ করছেন ধ্বংসস্তূপের পাশের লনে। নেপিডোর বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার ধসে পড়েছে। শুধু অক্ষত আছে বিমান রাখার হ্যাঙ্গার।
গত শতাব্দীর সবচেয়ে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানীর ৭০ শতাংশ ভবন। স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পানিই নেই, খাবার তো দূরের কথা। বিদ্যুৎ নেই। জ্বালানি, ওষুধ, আশ্রয়—এসব এখন বিলাসিতা।’
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্প সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতায় বড় ধাক্কা দিতে পারেনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক মর্গান মাইকেলস বলেন, ‘সামরিক সরঞ্জাম ও স্থাপনায় সীমিত ক্ষতি হয়েছে, তবে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্বল্প মেয়াদে সামরিক লজিস্টিকস ব্যাহত হতে পারে।’
অন্যদিকে, ভূমিকম্পের পরও জান্তা বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। এটি প্রমাণ করে, সেনাবাহিনী তাদের দমন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনেনি।
মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বৌদ্ধধর্মে বিশ্বাসী এবং তারা জ্যোতিষ ও ধর্মীয় ব্যাখ্যায় গুরুত্ব দেয়। বিশেষজ্ঞ রিচার্ড হর্সি বলেছেন, ‘মিন অং হ্লাইং নিজেও প্রচণ্ড কুসংস্কারাচ্ছন্ন। তিনি হয়তো ভাববেন না, এটি তাঁর শাসনের জন্য কোনো সতর্কবার্তা। তবে তাঁর সামরিক সহযোগী ও জনগণ একে ‘‘কর্মফল’’ হিসেবে দেখছে।’
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভূমিকম্পের পরপরই বহু সরকারি আবাসিক ভবন ধসে পড়ায় বেশির ভাগ শিশু ও বয়স্ক মানুষ মারা গেছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষদের উদ্ধারে দেরি হয়েছে, ফলে অনেকেই জীবিত বের হতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘মর্গে বিদ্যুৎ নেই, ফলে মরদেহ পচতে শুরু করেছে এবং অনেক লাশ রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে। আমরা এখনো কোনো খাদ্য, পানি বা চিকিৎসা সহায়তা পাইনি।’
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অনেক সরকারি ভবন সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, ‘এই মুহূর্তে মিয়ানমারে যা প্রয়োজন তা হলো আন্তর্জাতিক সাহায্য ও মানবিক সহায়তা। রাজনৈতিক বিবাদ ভুলে এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়।’
গত বৃহস্পতিবার রাতেও মিয়ানমারের সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইং জিপের ওপর দাঁড়িয়ে স্যালুট নিচ্ছিলেন। রাজধানী নেপিডোর আকাশে উড়ছিল যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার। তবে তাঁর এই শক্তি প্রদর্শনীর পরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে সামরিক জান্তার ‘অভেদ্য দুর্গ’।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে গোপনে তৈরি করা হয়েছিল এই শহরটি। পূর্ববর্তী সামরিক শাসকেরা তৈরি করেছিলেন বিশাল সড়ক, অতিকায় সরকারি ভবন আর প্রাসাদসম স্থাপত্য। কিন্তু ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়েছে হাসপাতাল, মন্ত্রণালয়ের ভবন, এমনকি রাষ্ট্রপতি ভবনের সোনালি সিঁড়িও। বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন। মন্ত্রীরা কাজ করছেন ধ্বংসস্তূপের পাশের লনে। নেপিডোর বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার ধসে পড়েছে। শুধু অক্ষত আছে বিমান রাখার হ্যাঙ্গার।
গত শতাব্দীর সবচেয়ে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানীর ৭০ শতাংশ ভবন। স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পানিই নেই, খাবার তো দূরের কথা। বিদ্যুৎ নেই। জ্বালানি, ওষুধ, আশ্রয়—এসব এখন বিলাসিতা।’
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্প সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতায় বড় ধাক্কা দিতে পারেনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক মর্গান মাইকেলস বলেন, ‘সামরিক সরঞ্জাম ও স্থাপনায় সীমিত ক্ষতি হয়েছে, তবে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্বল্প মেয়াদে সামরিক লজিস্টিকস ব্যাহত হতে পারে।’
অন্যদিকে, ভূমিকম্পের পরও জান্তা বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। এটি প্রমাণ করে, সেনাবাহিনী তাদের দমন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনেনি।
মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বৌদ্ধধর্মে বিশ্বাসী এবং তারা জ্যোতিষ ও ধর্মীয় ব্যাখ্যায় গুরুত্ব দেয়। বিশেষজ্ঞ রিচার্ড হর্সি বলেছেন, ‘মিন অং হ্লাইং নিজেও প্রচণ্ড কুসংস্কারাচ্ছন্ন। তিনি হয়তো ভাববেন না, এটি তাঁর শাসনের জন্য কোনো সতর্কবার্তা। তবে তাঁর সামরিক সহযোগী ও জনগণ একে ‘‘কর্মফল’’ হিসেবে দেখছে।’
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভূমিকম্পের পরপরই বহু সরকারি আবাসিক ভবন ধসে পড়ায় বেশির ভাগ শিশু ও বয়স্ক মানুষ মারা গেছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষদের উদ্ধারে দেরি হয়েছে, ফলে অনেকেই জীবিত বের হতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘মর্গে বিদ্যুৎ নেই, ফলে মরদেহ পচতে শুরু করেছে এবং অনেক লাশ রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে। আমরা এখনো কোনো খাদ্য, পানি বা চিকিৎসা সহায়তা পাইনি।’
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অনেক সরকারি ভবন সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, ‘এই মুহূর্তে মিয়ানমারে যা প্রয়োজন তা হলো আন্তর্জাতিক সাহায্য ও মানবিক সহায়তা। রাজনৈতিক বিবাদ ভুলে এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়।’
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
৯ ঘণ্টা আগেকানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট
১০ ঘণ্টা আগেভারতের গুজরাটে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাত থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বিকাশ সহায় সোমবার জানিয়েছেন, নথিপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে ৪৫০ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন
১১ ঘণ্টা আগেউত্তর-পূর্ব চীনের একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
১২ ঘণ্টা আগে