আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যেন ফের কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধের যুগে ফিরে যাচ্ছে। বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলটিমেটামে পাত্তা না দেওয়ায় এই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। তবে এর আক্ষরিক প্রমাণ মিলেছে ট্রাম্প রাশিয়ার কাছাকাছি ‘প্রয়োজনীয় অঞ্চলে’ পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়া থেকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগে রাশিয়ার অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে আখ্যা দেন। ট্রাম্পের সেই মন্তব্যের কড়া জবাব দেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তাঁর মন্তব্যের পাল্টায় ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে কৌশলগত এলাকায় পাঠাতে। এর মাধ্যমে ট্রাম্প মস্কোর প্রতি তাঁর পূর্বঘোষিত শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার হুমকি কার্যত ব্যর্থ হওয়ার পর শক্তি প্রদর্শনের পথ বেছে নিলেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতেই এ নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এর আগে মেদভেদেভ তাঁকে সতর্ক করে ‘ডেড হ্যান্ড’ পদ্ধতির কথা মনে করিয়ে দেন। সাধারণত, প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিই দিয়ে রেখেছেন মেদভেদেভ। মূলত, সোভিয়েত আমলের এই স্বয়ংক্রিয় কিংবা আধাস্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শত্রুর পারমাণবিক হামলায় দেশের নেতৃত্ব ধ্বংস হয়ে গেলেও পাল্টা হামলার সক্ষমতা রাখে।
ক্রেমলিন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের এই হুমকির আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি। তবে রুশ পার্লামেন্টের সদস্য ভিক্টর ভোদোলাতস্কি বলেছেন, ‘বিশ্বের মহাসাগরগুলোতে রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিনের সংখ্যাই বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব সাবমেরিনকে রাশিয়ার নিকটবর্তী এলাকায় পাঠাতে বলেছেন, সেগুলো বহু আগেই আমাদের নজরদারিতে চলে এসেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিন বহর
যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর ওহাইও শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) পরিচিত ‘বুমার’ নামে। এই সাবমেরিনগুলোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য—অত্যন্ত নিঃশব্দে চলাচল এবং নির্ভুলভাবে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগে সক্ষমতা। বর্তমানে অন্তত ১৪টি ওহাইও ক্লাস সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের বহরে রয়েছে। এগুলো টানা ১৫ বছর পর্যন্ত বড় ধরনের সংস্কার ছাড়াই সমুদ্রে টহল দিতে সক্ষম। প্রতিটি সাবমেরিন সর্বোচ্চ ২০টি নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) বহন করতে পারে। এর প্রধান অস্ত্র ট্রাইডেন্ট-২ ডি ৫ ক্ষেপণাস্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের তিন ধরনের আক্রমণাত্মক নিউক্লিয়ার সাবমেরিন (এসএসএন) রয়েছে—ভার্জিনিয়া-ক্লাস, সিউলফ-ক্লাস এবং লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাস, যা ৬৮৮ ক্লাস নামেও পরিচিত। এই সাবমেরিনগুলো টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র, হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমকে-৪৮ টর্পেডো বহন করতে পারে। এগুলো শত্রুপক্ষের জাহাজ ধ্বংস, গুপ্তচরবৃত্তি, নজরদারি, মাইন যুদ্ধসহ বহু কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।

ভার্জিনিয়া-ক্লাস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক আক্রমণ সাবমেরিন সিরিজ। এর মধ্যে ইউএসএস হাওয়াই, ইউএসএস নর্থ ক্যারোলিনা, ইউএসএস মিজৌরি উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে ২৪টি ভার্জিনিয়া-ক্লাস সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের বহরে রয়েছে। এটি বিশেষ অভিযান পরিচালনায় সক্ষম এবং ডুবুরিদের জন্য লক-ইন/লক-আউট চেম্বার রয়েছে।
সিউলফ-ক্লাস সাবমেরিন মাত্র তিনটি আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। এর প্রথমটি—ইউএসএস সিউলফ কমিশন পায় ১৯৯৭ সালে। এই সাবমেরিনে উল্লম্বভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ব্যবস্থা নেই। তবে এতে আটটি টর্পেডো টিউব রয়েছে এবং টর্পেডো রুমে ৫০টি অস্ত্র রাখা যায়।
লস অ্যাঞ্জেলেস বা ৬৮৮ ক্লাস সাবমেরিন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন বহরের মূলভিত্তি। অন্তত ২৪টি এ সিরিজের সাবমেরিন এই মুহূর্তে সক্রিয়। ১৯৭৬ সালে সোভিয়েত হুমকির পাল্টা হিসেবে তৈরি হওয়া এই সাবমেরিনগুলো উচ্চ গতি, নিঃশব্দ চলাচল এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য প্রশংসিত। এ ক্লাসের সাবমেরিনগুলো পর্যায়ক্রমে অবসরে যাওয়ার পর ভার্জিনিয়া-ক্লাস তা প্রতিস্থাপন করবে। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বহরে অন্তত ৫১টি সাবমেরিন আছে।
বিপরীতে, রাশিয়ার সাবমেরিন বহর বিশ্বের সবচেয়ে বড় বলা চলে। প্রায় ৬৪টি সাবমেরিন রয়েছে রাশিয়ার কাছে। এর মধ্যে ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) রাশিয়ার কৌশলগত পরমাণু প্রতিরক্ষার মূল ভিত্তি। তবে রাশিয়ার সব সাবমেরিনের ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য ওপেন সোর্সে পাওয়া যায় না।
রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক এসএসবিএন হচ্ছে বোরেই-ক্লাস। বর্তমানে আটটি বোরেই ক্লাস সাবমেরিন আছে। এতে ১৬টি বুলাভা এসএলবিএম এবং ৬টি ৫৩৩ মিলিমিটার টর্পেডো লঞ্চার রয়েছে। এ ছাড়া এটি অ্যান্টি-সাবমেরিন রকেট ও তলদেশে পুঁতে রাখা মাইন নিক্ষেপেও সক্ষম। প্রতিটি সাবমেরিনে এক শতাধিক নাবিক থাকে।
বোরেই ক্লাস মূলত ধীরে ধীরে রাশিয়ার ডেলটা ৪-ক্লাস সাবমেরিনকে প্রতিস্থাপন করছে। ডেলটা-৪ তৈরি হয়েছিল টাইফুন ক্লাসের সঙ্গে মিলিয়ে। বর্তমানে অন্তত ছয়টি ডেলটা-৪ সক্রিয়। প্রতিটি সাবমেরিন ১৬টি সিনেভা এসএলবিএম বহনে সক্ষম এবং এটি রাশিয়ার সামুদ্রিক পারমাণবিক প্রতিরক্ষার অন্যতম ভরসা।

রাশিয়ার ইয়াসেন-ক্লাস অ্যাটাক সাবমেরিনের সংখ্যা চারটি। এটি আকারে ছোট এবং কম জনবলেই পরিচালিত হয়। প্রতিটি সাবমেরিনে পাঁচটি ৩এম ৫৪-১ ক্যালিবার ক্ষেপণাস্ত্র অথবা চারটি পি-৮০০ অনিক্স ক্ষেপণাস্ত্র বহনের সক্ষমতা আছে, যা দিয়ে জল ও জাহাজ লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো সম্ভব।
রাশিয়ার আকুলা-ক্লাস—যা শার্ক নামেও পরিচিত—সাবমেরিন বিশ্ববিখ্যাত। আকুলা-ক্লাসের পাঁচটি সাবমেরিন বর্তমানে সক্রিয়। নিঃশব্দ চলাচলে সক্ষম এই সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাসের জবাব হিসেবে তৈরি। এতে ক্যালিবার, অনিক্স বা গ্রানিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং টর্পেডো বহন করা যায়।
এ দুই পরাশক্তির সাবমেরিন বহরের শক্তি এবং কৌশলগত অবস্থান এখন ক্রমেই এক উত্তপ্ত প্রতিযোগিতার দিকে যাচ্ছে, যেখানে কোল্ড ওয়্যারের ছায়া আরও ঘন হয়ে উঠছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যেন ফের কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধের যুগে ফিরে যাচ্ছে। বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলটিমেটামে পাত্তা না দেওয়ায় এই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। তবে এর আক্ষরিক প্রমাণ মিলেছে ট্রাম্প রাশিয়ার কাছাকাছি ‘প্রয়োজনীয় অঞ্চলে’ পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়া থেকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগে রাশিয়ার অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে আখ্যা দেন। ট্রাম্পের সেই মন্তব্যের কড়া জবাব দেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তাঁর মন্তব্যের পাল্টায় ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে কৌশলগত এলাকায় পাঠাতে। এর মাধ্যমে ট্রাম্প মস্কোর প্রতি তাঁর পূর্বঘোষিত শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার হুমকি কার্যত ব্যর্থ হওয়ার পর শক্তি প্রদর্শনের পথ বেছে নিলেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতেই এ নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এর আগে মেদভেদেভ তাঁকে সতর্ক করে ‘ডেড হ্যান্ড’ পদ্ধতির কথা মনে করিয়ে দেন। সাধারণত, প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিই দিয়ে রেখেছেন মেদভেদেভ। মূলত, সোভিয়েত আমলের এই স্বয়ংক্রিয় কিংবা আধাস্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শত্রুর পারমাণবিক হামলায় দেশের নেতৃত্ব ধ্বংস হয়ে গেলেও পাল্টা হামলার সক্ষমতা রাখে।
ক্রেমলিন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের এই হুমকির আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি। তবে রুশ পার্লামেন্টের সদস্য ভিক্টর ভোদোলাতস্কি বলেছেন, ‘বিশ্বের মহাসাগরগুলোতে রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিনের সংখ্যাই বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব সাবমেরিনকে রাশিয়ার নিকটবর্তী এলাকায় পাঠাতে বলেছেন, সেগুলো বহু আগেই আমাদের নজরদারিতে চলে এসেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিন বহর
যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর ওহাইও শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) পরিচিত ‘বুমার’ নামে। এই সাবমেরিনগুলোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য—অত্যন্ত নিঃশব্দে চলাচল এবং নির্ভুলভাবে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগে সক্ষমতা। বর্তমানে অন্তত ১৪টি ওহাইও ক্লাস সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের বহরে রয়েছে। এগুলো টানা ১৫ বছর পর্যন্ত বড় ধরনের সংস্কার ছাড়াই সমুদ্রে টহল দিতে সক্ষম। প্রতিটি সাবমেরিন সর্বোচ্চ ২০টি নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) বহন করতে পারে। এর প্রধান অস্ত্র ট্রাইডেন্ট-২ ডি ৫ ক্ষেপণাস্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের তিন ধরনের আক্রমণাত্মক নিউক্লিয়ার সাবমেরিন (এসএসএন) রয়েছে—ভার্জিনিয়া-ক্লাস, সিউলফ-ক্লাস এবং লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাস, যা ৬৮৮ ক্লাস নামেও পরিচিত। এই সাবমেরিনগুলো টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র, হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমকে-৪৮ টর্পেডো বহন করতে পারে। এগুলো শত্রুপক্ষের জাহাজ ধ্বংস, গুপ্তচরবৃত্তি, নজরদারি, মাইন যুদ্ধসহ বহু কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।

ভার্জিনিয়া-ক্লাস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক আক্রমণ সাবমেরিন সিরিজ। এর মধ্যে ইউএসএস হাওয়াই, ইউএসএস নর্থ ক্যারোলিনা, ইউএসএস মিজৌরি উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে ২৪টি ভার্জিনিয়া-ক্লাস সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের বহরে রয়েছে। এটি বিশেষ অভিযান পরিচালনায় সক্ষম এবং ডুবুরিদের জন্য লক-ইন/লক-আউট চেম্বার রয়েছে।
সিউলফ-ক্লাস সাবমেরিন মাত্র তিনটি আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। এর প্রথমটি—ইউএসএস সিউলফ কমিশন পায় ১৯৯৭ সালে। এই সাবমেরিনে উল্লম্বভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ব্যবস্থা নেই। তবে এতে আটটি টর্পেডো টিউব রয়েছে এবং টর্পেডো রুমে ৫০টি অস্ত্র রাখা যায়।
লস অ্যাঞ্জেলেস বা ৬৮৮ ক্লাস সাবমেরিন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন বহরের মূলভিত্তি। অন্তত ২৪টি এ সিরিজের সাবমেরিন এই মুহূর্তে সক্রিয়। ১৯৭৬ সালে সোভিয়েত হুমকির পাল্টা হিসেবে তৈরি হওয়া এই সাবমেরিনগুলো উচ্চ গতি, নিঃশব্দ চলাচল এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য প্রশংসিত। এ ক্লাসের সাবমেরিনগুলো পর্যায়ক্রমে অবসরে যাওয়ার পর ভার্জিনিয়া-ক্লাস তা প্রতিস্থাপন করবে। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বহরে অন্তত ৫১টি সাবমেরিন আছে।
বিপরীতে, রাশিয়ার সাবমেরিন বহর বিশ্বের সবচেয়ে বড় বলা চলে। প্রায় ৬৪টি সাবমেরিন রয়েছে রাশিয়ার কাছে। এর মধ্যে ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) রাশিয়ার কৌশলগত পরমাণু প্রতিরক্ষার মূল ভিত্তি। তবে রাশিয়ার সব সাবমেরিনের ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য ওপেন সোর্সে পাওয়া যায় না।
রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক এসএসবিএন হচ্ছে বোরেই-ক্লাস। বর্তমানে আটটি বোরেই ক্লাস সাবমেরিন আছে। এতে ১৬টি বুলাভা এসএলবিএম এবং ৬টি ৫৩৩ মিলিমিটার টর্পেডো লঞ্চার রয়েছে। এ ছাড়া এটি অ্যান্টি-সাবমেরিন রকেট ও তলদেশে পুঁতে রাখা মাইন নিক্ষেপেও সক্ষম। প্রতিটি সাবমেরিনে এক শতাধিক নাবিক থাকে।
বোরেই ক্লাস মূলত ধীরে ধীরে রাশিয়ার ডেলটা ৪-ক্লাস সাবমেরিনকে প্রতিস্থাপন করছে। ডেলটা-৪ তৈরি হয়েছিল টাইফুন ক্লাসের সঙ্গে মিলিয়ে। বর্তমানে অন্তত ছয়টি ডেলটা-৪ সক্রিয়। প্রতিটি সাবমেরিন ১৬টি সিনেভা এসএলবিএম বহনে সক্ষম এবং এটি রাশিয়ার সামুদ্রিক পারমাণবিক প্রতিরক্ষার অন্যতম ভরসা।

রাশিয়ার ইয়াসেন-ক্লাস অ্যাটাক সাবমেরিনের সংখ্যা চারটি। এটি আকারে ছোট এবং কম জনবলেই পরিচালিত হয়। প্রতিটি সাবমেরিনে পাঁচটি ৩এম ৫৪-১ ক্যালিবার ক্ষেপণাস্ত্র অথবা চারটি পি-৮০০ অনিক্স ক্ষেপণাস্ত্র বহনের সক্ষমতা আছে, যা দিয়ে জল ও জাহাজ লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো সম্ভব।
রাশিয়ার আকুলা-ক্লাস—যা শার্ক নামেও পরিচিত—সাবমেরিন বিশ্ববিখ্যাত। আকুলা-ক্লাসের পাঁচটি সাবমেরিন বর্তমানে সক্রিয়। নিঃশব্দ চলাচলে সক্ষম এই সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাসের জবাব হিসেবে তৈরি। এতে ক্যালিবার, অনিক্স বা গ্রানিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং টর্পেডো বহন করা যায়।
এ দুই পরাশক্তির সাবমেরিন বহরের শক্তি এবং কৌশলগত অবস্থান এখন ক্রমেই এক উত্তপ্ত প্রতিযোগিতার দিকে যাচ্ছে, যেখানে কোল্ড ওয়্যারের ছায়া আরও ঘন হয়ে উঠছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যেন ফের কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধের যুগে ফিরে যাচ্ছে। বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলটিমেটামে পাত্তা না দেওয়ায় এই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। তবে এর আক্ষরিক প্রমাণ মিলেছে ট্রাম্প রাশিয়ার কাছাকাছি ‘প্রয়োজনীয় অঞ্চলে’ পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়া থেকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগে রাশিয়ার অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে আখ্যা দেন। ট্রাম্পের সেই মন্তব্যের কড়া জবাব দেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তাঁর মন্তব্যের পাল্টায় ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে কৌশলগত এলাকায় পাঠাতে। এর মাধ্যমে ট্রাম্প মস্কোর প্রতি তাঁর পূর্বঘোষিত শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার হুমকি কার্যত ব্যর্থ হওয়ার পর শক্তি প্রদর্শনের পথ বেছে নিলেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতেই এ নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এর আগে মেদভেদেভ তাঁকে সতর্ক করে ‘ডেড হ্যান্ড’ পদ্ধতির কথা মনে করিয়ে দেন। সাধারণত, প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিই দিয়ে রেখেছেন মেদভেদেভ। মূলত, সোভিয়েত আমলের এই স্বয়ংক্রিয় কিংবা আধাস্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শত্রুর পারমাণবিক হামলায় দেশের নেতৃত্ব ধ্বংস হয়ে গেলেও পাল্টা হামলার সক্ষমতা রাখে।
ক্রেমলিন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের এই হুমকির আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি। তবে রুশ পার্লামেন্টের সদস্য ভিক্টর ভোদোলাতস্কি বলেছেন, ‘বিশ্বের মহাসাগরগুলোতে রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিনের সংখ্যাই বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব সাবমেরিনকে রাশিয়ার নিকটবর্তী এলাকায় পাঠাতে বলেছেন, সেগুলো বহু আগেই আমাদের নজরদারিতে চলে এসেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিন বহর
যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর ওহাইও শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) পরিচিত ‘বুমার’ নামে। এই সাবমেরিনগুলোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য—অত্যন্ত নিঃশব্দে চলাচল এবং নির্ভুলভাবে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগে সক্ষমতা। বর্তমানে অন্তত ১৪টি ওহাইও ক্লাস সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের বহরে রয়েছে। এগুলো টানা ১৫ বছর পর্যন্ত বড় ধরনের সংস্কার ছাড়াই সমুদ্রে টহল দিতে সক্ষম। প্রতিটি সাবমেরিন সর্বোচ্চ ২০টি নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) বহন করতে পারে। এর প্রধান অস্ত্র ট্রাইডেন্ট-২ ডি ৫ ক্ষেপণাস্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের তিন ধরনের আক্রমণাত্মক নিউক্লিয়ার সাবমেরিন (এসএসএন) রয়েছে—ভার্জিনিয়া-ক্লাস, সিউলফ-ক্লাস এবং লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাস, যা ৬৮৮ ক্লাস নামেও পরিচিত। এই সাবমেরিনগুলো টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র, হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমকে-৪৮ টর্পেডো বহন করতে পারে। এগুলো শত্রুপক্ষের জাহাজ ধ্বংস, গুপ্তচরবৃত্তি, নজরদারি, মাইন যুদ্ধসহ বহু কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।

ভার্জিনিয়া-ক্লাস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক আক্রমণ সাবমেরিন সিরিজ। এর মধ্যে ইউএসএস হাওয়াই, ইউএসএস নর্থ ক্যারোলিনা, ইউএসএস মিজৌরি উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে ২৪টি ভার্জিনিয়া-ক্লাস সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের বহরে রয়েছে। এটি বিশেষ অভিযান পরিচালনায় সক্ষম এবং ডুবুরিদের জন্য লক-ইন/লক-আউট চেম্বার রয়েছে।
সিউলফ-ক্লাস সাবমেরিন মাত্র তিনটি আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। এর প্রথমটি—ইউএসএস সিউলফ কমিশন পায় ১৯৯৭ সালে। এই সাবমেরিনে উল্লম্বভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ব্যবস্থা নেই। তবে এতে আটটি টর্পেডো টিউব রয়েছে এবং টর্পেডো রুমে ৫০টি অস্ত্র রাখা যায়।
লস অ্যাঞ্জেলেস বা ৬৮৮ ক্লাস সাবমেরিন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন বহরের মূলভিত্তি। অন্তত ২৪টি এ সিরিজের সাবমেরিন এই মুহূর্তে সক্রিয়। ১৯৭৬ সালে সোভিয়েত হুমকির পাল্টা হিসেবে তৈরি হওয়া এই সাবমেরিনগুলো উচ্চ গতি, নিঃশব্দ চলাচল এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য প্রশংসিত। এ ক্লাসের সাবমেরিনগুলো পর্যায়ক্রমে অবসরে যাওয়ার পর ভার্জিনিয়া-ক্লাস তা প্রতিস্থাপন করবে। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বহরে অন্তত ৫১টি সাবমেরিন আছে।
বিপরীতে, রাশিয়ার সাবমেরিন বহর বিশ্বের সবচেয়ে বড় বলা চলে। প্রায় ৬৪টি সাবমেরিন রয়েছে রাশিয়ার কাছে। এর মধ্যে ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) রাশিয়ার কৌশলগত পরমাণু প্রতিরক্ষার মূল ভিত্তি। তবে রাশিয়ার সব সাবমেরিনের ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য ওপেন সোর্সে পাওয়া যায় না।
রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক এসএসবিএন হচ্ছে বোরেই-ক্লাস। বর্তমানে আটটি বোরেই ক্লাস সাবমেরিন আছে। এতে ১৬টি বুলাভা এসএলবিএম এবং ৬টি ৫৩৩ মিলিমিটার টর্পেডো লঞ্চার রয়েছে। এ ছাড়া এটি অ্যান্টি-সাবমেরিন রকেট ও তলদেশে পুঁতে রাখা মাইন নিক্ষেপেও সক্ষম। প্রতিটি সাবমেরিনে এক শতাধিক নাবিক থাকে।
বোরেই ক্লাস মূলত ধীরে ধীরে রাশিয়ার ডেলটা ৪-ক্লাস সাবমেরিনকে প্রতিস্থাপন করছে। ডেলটা-৪ তৈরি হয়েছিল টাইফুন ক্লাসের সঙ্গে মিলিয়ে। বর্তমানে অন্তত ছয়টি ডেলটা-৪ সক্রিয়। প্রতিটি সাবমেরিন ১৬টি সিনেভা এসএলবিএম বহনে সক্ষম এবং এটি রাশিয়ার সামুদ্রিক পারমাণবিক প্রতিরক্ষার অন্যতম ভরসা।

রাশিয়ার ইয়াসেন-ক্লাস অ্যাটাক সাবমেরিনের সংখ্যা চারটি। এটি আকারে ছোট এবং কম জনবলেই পরিচালিত হয়। প্রতিটি সাবমেরিনে পাঁচটি ৩এম ৫৪-১ ক্যালিবার ক্ষেপণাস্ত্র অথবা চারটি পি-৮০০ অনিক্স ক্ষেপণাস্ত্র বহনের সক্ষমতা আছে, যা দিয়ে জল ও জাহাজ লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো সম্ভব।
রাশিয়ার আকুলা-ক্লাস—যা শার্ক নামেও পরিচিত—সাবমেরিন বিশ্ববিখ্যাত। আকুলা-ক্লাসের পাঁচটি সাবমেরিন বর্তমানে সক্রিয়। নিঃশব্দ চলাচলে সক্ষম এই সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাসের জবাব হিসেবে তৈরি। এতে ক্যালিবার, অনিক্স বা গ্রানিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং টর্পেডো বহন করা যায়।
এ দুই পরাশক্তির সাবমেরিন বহরের শক্তি এবং কৌশলগত অবস্থান এখন ক্রমেই এক উত্তপ্ত প্রতিযোগিতার দিকে যাচ্ছে, যেখানে কোল্ড ওয়্যারের ছায়া আরও ঘন হয়ে উঠছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যেন ফের কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধের যুগে ফিরে যাচ্ছে। বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলটিমেটামে পাত্তা না দেওয়ায় এই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। তবে এর আক্ষরিক প্রমাণ মিলেছে ট্রাম্প রাশিয়ার কাছাকাছি ‘প্রয়োজনীয় অঞ্চলে’ পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়া থেকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগে রাশিয়ার অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে আখ্যা দেন। ট্রাম্পের সেই মন্তব্যের কড়া জবাব দেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তাঁর মন্তব্যের পাল্টায় ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে কৌশলগত এলাকায় পাঠাতে। এর মাধ্যমে ট্রাম্প মস্কোর প্রতি তাঁর পূর্বঘোষিত শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার হুমকি কার্যত ব্যর্থ হওয়ার পর শক্তি প্রদর্শনের পথ বেছে নিলেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতেই এ নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এর আগে মেদভেদেভ তাঁকে সতর্ক করে ‘ডেড হ্যান্ড’ পদ্ধতির কথা মনে করিয়ে দেন। সাধারণত, প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিই দিয়ে রেখেছেন মেদভেদেভ। মূলত, সোভিয়েত আমলের এই স্বয়ংক্রিয় কিংবা আধাস্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শত্রুর পারমাণবিক হামলায় দেশের নেতৃত্ব ধ্বংস হয়ে গেলেও পাল্টা হামলার সক্ষমতা রাখে।
ক্রেমলিন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের এই হুমকির আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি। তবে রুশ পার্লামেন্টের সদস্য ভিক্টর ভোদোলাতস্কি বলেছেন, ‘বিশ্বের মহাসাগরগুলোতে রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিনের সংখ্যাই বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব সাবমেরিনকে রাশিয়ার নিকটবর্তী এলাকায় পাঠাতে বলেছেন, সেগুলো বহু আগেই আমাদের নজরদারিতে চলে এসেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিন বহর
যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর ওহাইও শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) পরিচিত ‘বুমার’ নামে। এই সাবমেরিনগুলোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য—অত্যন্ত নিঃশব্দে চলাচল এবং নির্ভুলভাবে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগে সক্ষমতা। বর্তমানে অন্তত ১৪টি ওহাইও ক্লাস সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের বহরে রয়েছে। এগুলো টানা ১৫ বছর পর্যন্ত বড় ধরনের সংস্কার ছাড়াই সমুদ্রে টহল দিতে সক্ষম। প্রতিটি সাবমেরিন সর্বোচ্চ ২০টি নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) বহন করতে পারে। এর প্রধান অস্ত্র ট্রাইডেন্ট-২ ডি ৫ ক্ষেপণাস্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের তিন ধরনের আক্রমণাত্মক নিউক্লিয়ার সাবমেরিন (এসএসএন) রয়েছে—ভার্জিনিয়া-ক্লাস, সিউলফ-ক্লাস এবং লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাস, যা ৬৮৮ ক্লাস নামেও পরিচিত। এই সাবমেরিনগুলো টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র, হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমকে-৪৮ টর্পেডো বহন করতে পারে। এগুলো শত্রুপক্ষের জাহাজ ধ্বংস, গুপ্তচরবৃত্তি, নজরদারি, মাইন যুদ্ধসহ বহু কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।

ভার্জিনিয়া-ক্লাস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক আক্রমণ সাবমেরিন সিরিজ। এর মধ্যে ইউএসএস হাওয়াই, ইউএসএস নর্থ ক্যারোলিনা, ইউএসএস মিজৌরি উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে ২৪টি ভার্জিনিয়া-ক্লাস সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের বহরে রয়েছে। এটি বিশেষ অভিযান পরিচালনায় সক্ষম এবং ডুবুরিদের জন্য লক-ইন/লক-আউট চেম্বার রয়েছে।
সিউলফ-ক্লাস সাবমেরিন মাত্র তিনটি আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। এর প্রথমটি—ইউএসএস সিউলফ কমিশন পায় ১৯৯৭ সালে। এই সাবমেরিনে উল্লম্বভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ব্যবস্থা নেই। তবে এতে আটটি টর্পেডো টিউব রয়েছে এবং টর্পেডো রুমে ৫০টি অস্ত্র রাখা যায়।
লস অ্যাঞ্জেলেস বা ৬৮৮ ক্লাস সাবমেরিন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন বহরের মূলভিত্তি। অন্তত ২৪টি এ সিরিজের সাবমেরিন এই মুহূর্তে সক্রিয়। ১৯৭৬ সালে সোভিয়েত হুমকির পাল্টা হিসেবে তৈরি হওয়া এই সাবমেরিনগুলো উচ্চ গতি, নিঃশব্দ চলাচল এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য প্রশংসিত। এ ক্লাসের সাবমেরিনগুলো পর্যায়ক্রমে অবসরে যাওয়ার পর ভার্জিনিয়া-ক্লাস তা প্রতিস্থাপন করবে। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বহরে অন্তত ৫১টি সাবমেরিন আছে।
বিপরীতে, রাশিয়ার সাবমেরিন বহর বিশ্বের সবচেয়ে বড় বলা চলে। প্রায় ৬৪টি সাবমেরিন রয়েছে রাশিয়ার কাছে। এর মধ্যে ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) রাশিয়ার কৌশলগত পরমাণু প্রতিরক্ষার মূল ভিত্তি। তবে রাশিয়ার সব সাবমেরিনের ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য ওপেন সোর্সে পাওয়া যায় না।
রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক এসএসবিএন হচ্ছে বোরেই-ক্লাস। বর্তমানে আটটি বোরেই ক্লাস সাবমেরিন আছে। এতে ১৬টি বুলাভা এসএলবিএম এবং ৬টি ৫৩৩ মিলিমিটার টর্পেডো লঞ্চার রয়েছে। এ ছাড়া এটি অ্যান্টি-সাবমেরিন রকেট ও তলদেশে পুঁতে রাখা মাইন নিক্ষেপেও সক্ষম। প্রতিটি সাবমেরিনে এক শতাধিক নাবিক থাকে।
বোরেই ক্লাস মূলত ধীরে ধীরে রাশিয়ার ডেলটা ৪-ক্লাস সাবমেরিনকে প্রতিস্থাপন করছে। ডেলটা-৪ তৈরি হয়েছিল টাইফুন ক্লাসের সঙ্গে মিলিয়ে। বর্তমানে অন্তত ছয়টি ডেলটা-৪ সক্রিয়। প্রতিটি সাবমেরিন ১৬টি সিনেভা এসএলবিএম বহনে সক্ষম এবং এটি রাশিয়ার সামুদ্রিক পারমাণবিক প্রতিরক্ষার অন্যতম ভরসা।

রাশিয়ার ইয়াসেন-ক্লাস অ্যাটাক সাবমেরিনের সংখ্যা চারটি। এটি আকারে ছোট এবং কম জনবলেই পরিচালিত হয়। প্রতিটি সাবমেরিনে পাঁচটি ৩এম ৫৪-১ ক্যালিবার ক্ষেপণাস্ত্র অথবা চারটি পি-৮০০ অনিক্স ক্ষেপণাস্ত্র বহনের সক্ষমতা আছে, যা দিয়ে জল ও জাহাজ লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো সম্ভব।
রাশিয়ার আকুলা-ক্লাস—যা শার্ক নামেও পরিচিত—সাবমেরিন বিশ্ববিখ্যাত। আকুলা-ক্লাসের পাঁচটি সাবমেরিন বর্তমানে সক্রিয়। নিঃশব্দ চলাচলে সক্ষম এই সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাসের জবাব হিসেবে তৈরি। এতে ক্যালিবার, অনিক্স বা গ্রানিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং টর্পেডো বহন করা যায়।
এ দুই পরাশক্তির সাবমেরিন বহরের শক্তি এবং কৌশলগত অবস্থান এখন ক্রমেই এক উত্তপ্ত প্রতিযোগিতার দিকে যাচ্ছে, যেখানে কোল্ড ওয়্যারের ছায়া আরও ঘন হয়ে উঠছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১২ মিনিট আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদী বিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’ এবং ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী এবং দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টার স্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল এবং একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদী মুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এ অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদী বিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’ এবং ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী এবং দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টার স্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল এবং একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদী মুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এ অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যেন ফের কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধের যুগে ফিরে যাচ্ছে। বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলটিমেটাম পাত্তা না দেওয়ায় এই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। তবে এর আক্ষরিক প্রমাণ মিলেছে, ট্রাম্প রাশিয়ার কাছাকাছি ‘প্রয়োজনীয় অঞ্চলে’ পারমাণবিক সাবমেরিন...
০২ আগস্ট ২০২৫
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যেন ফের কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধের যুগে ফিরে যাচ্ছে। বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলটিমেটাম পাত্তা না দেওয়ায় এই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। তবে এর আক্ষরিক প্রমাণ মিলেছে, ট্রাম্প রাশিয়ার কাছাকাছি ‘প্রয়োজনীয় অঞ্চলে’ পারমাণবিক সাবমেরিন...
০২ আগস্ট ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১২ মিনিট আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যেন ফের কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধের যুগে ফিরে যাচ্ছে। বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলটিমেটাম পাত্তা না দেওয়ায় এই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। তবে এর আক্ষরিক প্রমাণ মিলেছে, ট্রাম্প রাশিয়ার কাছাকাছি ‘প্রয়োজনীয় অঞ্চলে’ পারমাণবিক সাবমেরিন...
০২ আগস্ট ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১২ মিনিট আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যেন ফের কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধের যুগে ফিরে যাচ্ছে। বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলটিমেটাম পাত্তা না দেওয়ায় এই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। তবে এর আক্ষরিক প্রমাণ মিলেছে, ট্রাম্প রাশিয়ার কাছাকাছি ‘প্রয়োজনীয় অঞ্চলে’ পারমাণবিক সাবমেরিন...
০২ আগস্ট ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১২ মিনিট আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৫ ঘণ্টা আগে