Ajker Patrika

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ফের স্নায়ুযুদ্ধের শঙ্কা, পারমাণবিক সাবমেরিনের দ্বন্দ্বে সাগরতলে রাজত্ব কার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৫, ১২: ১৭
ট্রাম্প রাশিয়ার কাছাকাছি সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ায় নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের আশঙ্কা চাগিয়ে উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প রাশিয়ার কাছাকাছি সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ায় নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের আশঙ্কা চাগিয়ে উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যেন ফের কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ুযুদ্ধের যুগে ফিরে যাচ্ছে। বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলটিমেটামে পাত্তা না দেওয়ায় এই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। তবে এর আক্ষরিক প্রমাণ মিলেছে ট্রাম্প রাশিয়ার কাছাকাছি ‘প্রয়োজনীয় অঞ্চলে’ পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়া থেকে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগে রাশিয়ার অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে আখ্যা দেন। ট্রাম্পের সেই মন্তব্যের কড়া জবাব দেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তাঁর মন্তব্যের পাল্টায় ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে কৌশলগত এলাকায় পাঠাতে। এর মাধ্যমে ট্রাম্প মস্কোর প্রতি তাঁর পূর্বঘোষিত শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার হুমকি কার্যত ব্যর্থ হওয়ার পর শক্তি প্রদর্শনের পথ বেছে নিলেন।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতেই এ নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এর আগে মেদভেদেভ তাঁকে সতর্ক করে ‘ডেড হ্যান্ড’ পদ্ধতির কথা মনে করিয়ে দেন। সাধারণত, প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিই দিয়ে রেখেছেন মেদভেদেভ। মূলত, সোভিয়েত আমলের এই স্বয়ংক্রিয় কিংবা আধাস্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শত্রুর পারমাণবিক হামলায় দেশের নেতৃত্ব ধ্বংস হয়ে গেলেও পাল্টা হামলার সক্ষমতা রাখে।

ক্রেমলিন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের এই হুমকির আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি। তবে রুশ পার্লামেন্টের সদস্য ভিক্টর ভোদোলাতস্কি বলেছেন, ‘বিশ্বের মহাসাগরগুলোতে রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিনের সংখ্যাই বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব সাবমেরিনকে রাশিয়ার নিকটবর্তী এলাকায় পাঠাতে বলেছেন, সেগুলো বহু আগেই আমাদের নজরদারিতে চলে এসেছে।’

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিন বহর

যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর ওহাইও শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) পরিচিত ‘বুমার’ নামে। এই সাবমেরিনগুলোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য—অত্যন্ত নিঃশব্দে চলাচল এবং নির্ভুলভাবে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগে সক্ষমতা। বর্তমানে অন্তত ১৪টি ওহাইও ক্লাস সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের বহরে রয়েছে। এগুলো টানা ১৫ বছর পর্যন্ত বড় ধরনের সংস্কার ছাড়াই সমুদ্রে টহল দিতে সক্ষম। প্রতিটি সাবমেরিন সর্বোচ্চ ২০টি নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) বহন করতে পারে। এর প্রধান অস্ত্র ট্রাইডেন্ট-২ ডি ৫ ক্ষেপণাস্ত্র।

যুক্তরাষ্ট্রের তিন ধরনের আক্রমণাত্মক নিউক্লিয়ার সাবমেরিন (এসএসএন) রয়েছে—ভার্জিনিয়া-ক্লাস, সিউলফ-ক্লাস এবং লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাস, যা ৬৮৮ ক্লাস নামেও পরিচিত। এই সাবমেরিনগুলো টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র, হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমকে-৪৮ টর্পেডো বহন করতে পারে। এগুলো শত্রুপক্ষের জাহাজ ধ্বংস, গুপ্তচরবৃত্তি, নজরদারি, মাইন যুদ্ধসহ বহু কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।

রাশিয়ার আকুলা ক্লাস সাবমেরিনের একটি। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার আকুলা ক্লাস সাবমেরিনের একটি। ছবি: সংগৃহীত

ভার্জিনিয়া-ক্লাস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক আক্রমণ সাবমেরিন সিরিজ। এর মধ্যে ইউএসএস হাওয়াই, ইউএসএস নর্থ ক্যারোলিনা, ইউএসএস মিজৌরি উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে ২৪টি ভার্জিনিয়া-ক্লাস সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের বহরে রয়েছে। এটি বিশেষ অভিযান পরিচালনায় সক্ষম এবং ডুবুরিদের জন্য লক-ইন/লক-আউট চেম্বার রয়েছে।

সিউলফ-ক্লাস সাবমেরিন মাত্র তিনটি আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। এর প্রথমটি—ইউএসএস সিউলফ কমিশন পায় ১৯৯৭ সালে। এই সাবমেরিনে উল্লম্বভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ব্যবস্থা নেই। তবে এতে আটটি টর্পেডো টিউব রয়েছে এবং টর্পেডো রুমে ৫০টি অস্ত্র রাখা যায়।

লস অ্যাঞ্জেলেস বা ৬৮৮ ক্লাস সাবমেরিন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন বহরের মূলভিত্তি। অন্তত ২৪টি এ সিরিজের সাবমেরিন এই মুহূর্তে সক্রিয়। ১৯৭৬ সালে সোভিয়েত হুমকির পাল্টা হিসেবে তৈরি হওয়া এই সাবমেরিনগুলো উচ্চ গতি, নিঃশব্দ চলাচল এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য প্রশংসিত। এ ক্লাসের সাবমেরিনগুলো পর্যায়ক্রমে অবসরে যাওয়ার পর ভার্জিনিয়া-ক্লাস তা প্রতিস্থাপন করবে। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বহরে অন্তত ৫১টি সাবমেরিন আছে।

বিপরীতে, রাশিয়ার সাবমেরিন বহর বিশ্বের সবচেয়ে বড় বলা চলে। প্রায় ৬৪টি সাবমেরিন রয়েছে রাশিয়ার কাছে। এর মধ্যে ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) রাশিয়ার কৌশলগত পরমাণু প্রতিরক্ষার মূল ভিত্তি। তবে রাশিয়ার সব সাবমেরিনের ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য ওপেন সোর্সে পাওয়া যায় না।

রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক এসএসবিএন হচ্ছে বোরেই-ক্লাস। বর্তমানে আটটি বোরেই ক্লাস সাবমেরিন আছে। এতে ১৬টি বুলাভা এসএলবিএম এবং ৬টি ৫৩৩ মিলিমিটার টর্পেডো লঞ্চার রয়েছে। এ ছাড়া এটি অ্যান্টি-সাবমেরিন রকেট ও তলদেশে পুঁতে রাখা মাইন নিক্ষেপেও সক্ষম। প্রতিটি সাবমেরিনে এক শতাধিক নাবিক থাকে।

বোরেই ক্লাস মূলত ধীরে ধীরে রাশিয়ার ডেলটা ৪-ক্লাস সাবমেরিনকে প্রতিস্থাপন করছে। ডেলটা-৪ তৈরি হয়েছিল টাইফুন ক্লাসের সঙ্গে মিলিয়ে। বর্তমানে অন্তত ছয়টি ডেলটা-৪ সক্রিয়। প্রতিটি সাবমেরিন ১৬টি সিনেভা এসএলবিএম বহনে সক্ষম এবং এটি রাশিয়ার সামুদ্রিক পারমাণবিক প্রতিরক্ষার অন্যতম ভরসা।

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও ক্লাস সাবমেরিনের একটি। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও ক্লাস সাবমেরিনের একটি। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার ইয়াসেন-ক্লাস অ্যাটাক সাবমেরিনের সংখ্যা চারটি। এটি আকারে ছোট এবং কম জনবলেই পরিচালিত হয়। প্রতিটি সাবমেরিনে পাঁচটি ৩এম ৫৪-১ ক্যালিবার ক্ষেপণাস্ত্র অথবা চারটি পি-৮০০ অনিক্স ক্ষেপণাস্ত্র বহনের সক্ষমতা আছে, যা দিয়ে জল ও জাহাজ লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো সম্ভব।

রাশিয়ার আকুলা-ক্লাস—যা শার্ক নামেও পরিচিত—সাবমেরিন বিশ্ববিখ্যাত। আকুলা-ক্লাসের পাঁচটি সাবমেরিন বর্তমানে সক্রিয়। নিঃশব্দ চলাচলে সক্ষম এই সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাসের জবাব হিসেবে তৈরি। এতে ক্যালিবার, অনিক্স বা গ্রানিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং টর্পেডো বহন করা যায়।

এ দুই পরাশক্তির সাবমেরিন বহরের শক্তি এবং কৌশলগত অবস্থান এখন ক্রমেই এক উত্তপ্ত প্রতিযোগিতার দিকে যাচ্ছে, যেখানে কোল্ড ওয়্যারের ছায়া আরও ঘন হয়ে উঠছে।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিমের সাক্ষাৎ চান জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৭
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান তিনি।

গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে কোনো জাপানি নেতাকে এমনটা চাইতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে সিএনএন।

আজ সোমবার এক সমাবেশে তাকাইচি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়াকে এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছি, আমরা শীর্ষ বৈঠক আয়োজন করতে চাই।’

উত্তর কোরিয়া কয়েক দশক আগে জাপানের যে নাগরিকদের অপহরণ করেছিল, তাদের ফেরানোর দাবিতে সমাবেশটি আয়োজন করা হয়।

অপহরণের এ ঘটনা বহুদিন ধরে এক অনিষ্পন্ন ক্ষত হিসেবে রয়ে গেছে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে, যাদের সম্পর্কের ইতিহাস উপনিবেশবাদ ও সংঘাতে পরিপূর্ণ।

তাকাইচি বলেন, ‘আমি চাই, দুই দেশের নেতা সরাসরি মুখোমুখি হোক এবং বাস্তবসম্মত ফলাফল অর্জন করুক। আমার দায়িত্বকালেই আমি অপহরণসংক্রান্ত এ সমস্যার সমাধান করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

জাপানের দাবি, ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে অন্তত ১৭ জন জাপানি নাগরিককে উত্তর কোরিয়ার এজেন্টরা অপহরণ করেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে ২০০২ সালে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। জাতিসংঘের ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব অপহরণ ছিল উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচরবৃত্তি কর্মসূচির অংশ।

তবে পিয়ংইয়ং এ সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত জানিয়ে দাবি করে, কয়েকজন দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে বা আত্মহত্যায় মারা গেছেন। তাদের মতে, বিষয়টি এরই মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার এই দাবি অবশ্য নিখোঁজ ব্যক্তিদের (যাঁদের কেউ কেউ কিশোর বয়সে অপহৃত হন) পরিবারগুলোকে স্বস্তি দিতে পারেনি। তারা বহু বছর ধরে জাপানের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে এই ইস্যুতে চাপ অব্যাহত রেখেছে। তবে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল ২০০২ সালে। সে বছর তৎকালীন জাপানি প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি পিয়ংইয়ং সফর করেন এবং কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের সঙ্গে দেখা করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেটিই ছিল প্রথম কোনো জাপানি প্রধানমন্ত্রীর উত্তর কোরিয়া সফর।

সে বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে অস্বীকারের পর প্রথম উত্তর কোরিয়া স্বীকার করেছিল, তারা অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিল। কিম জং ইল তখন ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং জানান, যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঠেকানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশি জাহাঙ্গীরের পরামর্শে আবুধাবিতে রাতারাতি কোটিপতি ভারতীয় সন্দীপ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতীয় প্রবাসী শ্রমিক সন্দীপ কুমার প্রসাদ। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় প্রবাসী শ্রমিক সন্দীপ কুমার প্রসাদ। ছবি: সংগৃহীত

দুবাইয়ে কর্মরত এক ভারতীয় শ্রমিকের জীবন রাতারাতি বদলে গেল তাঁর এক বাংলাদেশি বন্ধুর দেওয়া একটি টিপসের সৌজন্যে। জাহাজ শিল্পে টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করা উত্তর প্রদেশের সন্দীপ কুমার প্রসাদ আবুধাবির ‘বিগ টিকিট’ র‍্যাফেল ড্র-তে জিতেছেন দেড় কোটি দিরহাম-এর গ্র্যান্ড প্রাইজ।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দীপের এই অবিশ্বাস্য জয়ের নেপথ্যে রয়েছেন তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর নিজেও গত মার্চ মাসের ড্র-তে ২ কোটি দিরহাম জিতেছিলেন।

বিগ টিকিট স্টুডিওতে এক আলাপচারিতায় সন্দীপ বলেন, ‘জাহাঙ্গীরই আমাকে প্রথম বিগ টিকিট সম্পর্কে বলে। ওর কারণেই আমি সাহস করে টিকিট কেনা শুরু করি।’ আর্থিক অবস্থার কারণে প্রতি মাসে টিকিট কেনা তাঁর পক্ষে সম্ভব না হলেও, গত তিন মাস ধরে তিনি নিয়মিত টিকিট কাটছিলেন। শেষমেশ, তাঁর সেই অধ্যবসায় ফল দিল। গত ১৯ আগস্ট কেনা তাঁর টিকিট নম্বর ২০৬৬৯-ই সেপ্টেম্বর মাসের ড্র-তে জ্যাকপট জয় করে।

৩০ বছর বয়সী এই শ্রমিক জানান, তিনি এই টিকিটটি আরও ২০ জনের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর যখন লটারি জেতার ফোনকল আসে, তখন সন্দীপ পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। প্রথমে তিনি বিশ্বাসই করতে পারেননি। ‘আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আমি এমন একটি ফোন পেতে পারি। যখন বুঝলাম এটা সত্যি, তখন আমি খুব খুশি হয়েছিলাম, ’ বলেন সন্দীপ।

স্টুডিওতে কথা বলার সময় অসুস্থ বাবার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন সন্দীপ। তিন বছর ধরে দুবাইয়ে থাকা সন্দীপ এখন ভারতে ফিরে গিয়ে বাবার জন্য সেরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চান।

টেকনিশিয়ান থেকে কোটিপতি হয়ে ওঠার এই যাত্রা সন্দীপের কাছে এখনো যেন অবিশ্বাস্য! অন্যদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা সহজ: ‘আপনি যদি টিকিট কেনেন, তাহলে নিজেকেই কোটিপতি হওয়ার একটা সুযোগ দিচ্ছেন। ফলাফল তো দেখতেই পাচ্ছেন—আমি দেড় কোটি দিরহাম জিতেছি! শুধু একবার চেষ্টা করে দেখুন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভেনেজুয়েলায় যুদ্ধে জড়াচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র, তবে মাদুরোর দিন শেষ: ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে মিশ্র বার্তা দিয়েছেন। তিনি একদিকে ‘যুদ্ধের’ আলোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন, আবার অন্যদিকে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির নেতাকে হুমকিও দিয়েছেন। বলেছেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে।

স্থানীয় সময় গতকাল রোববার প্রকাশিত মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সময় ফুরিয়ে এসেছে। এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বেড়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার কথিত মাদকবাহী জাহাজে হামলা চালিয়েছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব হামলা স্পষ্টভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কি ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াচ্ছে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার তা মনে হয় না। আমি তেমনটা ভাবি না।’ তবে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মাদুরোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে সময় কি শেষ হয়ে আসছে—তখন ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তাই মনে করি।’

মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘নার্কো-টেররিজম’ বা মাদক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলার সামরিক স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছে। তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভেনেজুয়েলার ভেতরে আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা তাঁর নেই। যদিও তিনি সম্পূর্ণভাবে সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি এখনই বলব না যে আমি সেটা করব। আমি বলব না, ভেনেজুয়েলাকে নিয়ে আমি কী করতে যাচ্ছি।’

এদিকে, ভেনেজুয়েলা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি দেশটিতে সরকার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই রাজনীতিক জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে সরাতে সহায়তা করলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপকেও স্বাগত জানাবেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাচাদো এই কথা বলেছেন। তিনি এমন এক সময়ে এই অবস্থান ব্যক্ত করলেন, যখন কোনো প্রমাণ ছাড়াই ওয়াশিংটন মাদুরোর বিরুদ্ধে মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে। তাঁকে বলা হচ্ছে ‘নার্কোটেররিস্ট’ বা মাদক-সন্ত্রাসী। চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পশ্চিম ক্যারিবীয় সাগরে এক নৌবহর মোতায়েন করেন। সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ভেনেজুয়েলার উপকূলে কথিত মাদকবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ওই এলাকায় নৌবাহিনীর উপস্থিতি আরও বাড়াচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অভিযানের লক্ষ্য মাদকবিরোধী অভিযানের বাইরেও বিস্তৃত হতে পারে। যদিও ট্রাম্প বলেছেন, ভেনেজুয়েলার ভেতরে সরাসরি হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই, তবু তিনি সম্ভাব্য টার্গেটের তালিকা পর্যালোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

ব্লুমবার্গের দ্য মিশাল হোসেন শোতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাচাদোকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপকে সমর্থন করেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, এখন যে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে, সেটাই একমাত্র উপায় মাদুরোকে বুঝিয়ে দেওয়ার যে, তার এখন চলে যাওয়ার সময় এসেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভেনেজুয়েলা উপকূলে ট্রাম্পের রণসাজ: বি-২ যুদ্ধবিমানসহ মোতায়েন ১৬ যুদ্ধজাহাজ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১১
ট্রাম্প যখন এশিয়ায় শান্তির বার্তা ছড়াচ্ছেন, তখন তাঁর প্রশাসন লাতিনে যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প যখন এশিয়ায় শান্তির বার্তা ছড়াচ্ছেন, তখন তাঁর প্রশাসন লাতিনে যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল সামরিক উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সেখানে অভিযান আরও বিস্তারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে এবং ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য প্রথম হামলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর আটটি যুদ্ধজাহাজ, একটি বিশেষ অভিযান জাহাজ এবং একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত আক্রমণকারী সাবমেরিন। আগামী সপ্তাহে বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড সেখানে পৌঁছাবে। এর সঙ্গে আরও তিনটি যুদ্ধজাহাজ এবং চার হাজারের বেশি অতিরিক্ত সেনা যুক্ত হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, এর ফলে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মোতায়েন করা জনবল হবে ১৬ হাজারের মতো। যার মধ্যে ১০ হাজার সেনা এবং ৬ হাজার নাবিক। জেরাল্ড আর ফোর্ডের সঙ্গে পাঁচটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার—ইউএসএস মাহান, উইনস্টন এস চার্চিল, বেইন্ডরিজ, মিশার এবং ইউএসএস ফরেস্ট শেরম্যানও সেখানে যোগ দিচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে অভিযান বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। তবে শুক্রবার সাংবাদিকেরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি ভেনেজুয়েলার ভেতরে সামরিক হামলার কথা ভাবছেন, তখন ট্রাম্প বলেন, ‘না।’

নৌবাহিনীর এই শক্তি প্রদর্শনের পাশাপাশি, পেন্টাগন ভেনেজুয়েলার উপকূলের ওপর দিয়ে বোমারু বিমান উড়িয়ে শক্তি প্রদর্শন করেছে। এ ছাড়া, তারা ওই অঞ্চলের যুক্তরাষ্ট্র ঘাঁটিগুলোতে সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ অনুযায়ী, পুয়ের্তো রিকোর একটি ঘাঁটিতে এখন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানও রাখা হয়েছে। কেবল তা-ই নয়, ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন প্রশাসন বি-১ ল্যান্সার, বি-৫২ বোমারু বিমান, এমকিউ-৯ রিপার আনম্যানড ভেহিকলসহ বিমানবাহিনীর কৌশলগত বিভিন্ন যানও মোতায়েন করেছে।

জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরির সঙ্গে আসা পাঁচটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ছাড়াও আগে থেকেই ক্যারিবীয় অঞ্চলে মোতায়েন করার জন্য পাঠানো হয়েছে আরও পাঁচটি একই ধরনের যুদ্ধজাহাজ। সেগুলো হলো—ইউএসএস জ্যাসন ডানহাম, স্টকডেল, গ্রেভলি, লেক এইরি এবং ইউএসএস গেটিসবার্গ। এর বাইরে, উভচর আক্রমণে ব্যবহৃত ইউএসএস আইও জিমা এবং ইউএসএস সান আন্তোনি—এই অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পারমাণবিক শক্তিচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন ইউএসএস নিউপোর্ট নিউজও মোতায়েন করা হয়েছে ক্যারিবীয় অঞ্চলে।

ভেনেজুয়েলা উপকূলে মার্কিন সামরিক অবস্থানের বিষয়ে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আমেরিকা প্রোগ্রামের পরিচালক রায়ান বার্গ বলেন, ‘শুরু থেকেই ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রস্তুতি স্বাভাবিক মাদকবিরোধী অভিযানের চেয়েও অনেক বেশি ছিল। এতে বোঝা যায়, এই মিশন শুরু থেকেই আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।’

বার্গ আরও বলেন, বিমানবাহী রণতরির সংযোজন সম্ভবত ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এই সম্প্রসারিত অভিযান এখন প্রায় প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের জাহাজের কাছ থেকে চাওয়াটা অনেক। কারণ, মাত্র তিনটি এমন জাহাজই মোতায়েন থাকে।’ ফোর্ড আগামী সপ্তাহে ক্যারিবিয়ান সাগরে পৌঁছালে ‘একধরনের সময়সীমা শুরু হবে—ট্রাম্পের হাতে তখন থাকবে প্রায় এক মাস, ওই সময়ের মধ্যেই তাঁকে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নইলে জাহাজটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে’।

এদিকে, ওয়াশিংটনে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা বলছেন, এসব অভিযানের স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে তাঁরা ক্রমেই বিরক্ত হয়ে উঠছেন। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন সম্ভাব্য হামলার আইনি ভিত্তি সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করছে না।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধান ভেনেজুয়েলা উপকূলে তথাকথিত মাদকবাহী নৌযানে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ‘বিচারবহির্ভূত হত্যার’ শামিল। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন এখনো কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি যে ‘লক্ষ্যবস্তু করা নৌকাগুলোর লোকজন অন্যের জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি ছিল’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত