আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সোনার জন্য ২০২৫ সাল যেন এক স্বর্ণময় বছর। টালমাটাল বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতার প্রভাবে সোনার দাম রেকর্ড ভেঙেছে বারেবার। শুল্ক-পাল্টা শুল্কের লড়াই ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতের এই সময়ে এসে সোনা সবচেয়ে ভরসার সম্পদ হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবাই এখন টাকা জমানোর থেকে সোনা জমানোতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
সোনা দিয়ে লেনদেন বা সঞ্চয় করছে অনেকেই কিন্তু সোনা আসছে কোথা থেকে বা এর পেছনের দুনিয়ার খবর জানে খুব কম মানুষই। সোনার এই স্বর্ণালী সময় কারও জন্য ‘সোনায় সোহাগা’ আবার কারও জন্য ‘সংঘাতে সোহাগা’।
সোনার গুরুত্ব সাধারণ মানুষের কাছে একটা মূল্যবান সম্পদের হলেও পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য এই সোনার মূল্য জীবনের চেয়েও বেশি। জিহাদি বিদ্রোহ, আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতার শিকার হওয়া দেশ বুরকিনা ফাসো, মালি ও নাইজারের সামরিক সরকারগুলোর জন্য সোনা যেন ‘একমাত্র বাঁচার অবলম্বন’।
গ্লোবাল কনসালটেন্সি ফার্ম কন্ট্রোল রিস্কসের সিনিয়র গবেষক বেভারলি ওচিয়েং বিবিসিকে বলেন, সোনার দাম বাড়তে বাড়তে এখন রেকর্ড অবস্থানে আছে। তাই সামরিক সরকারগুলো আশা করছে, তারা এই দাম থেকে সরাসরি লাভবান হতে পারবে।’
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, সাহেল অঞ্চলের এই তিন দেশ প্রতি বছর প্রায় ২৩০ টন সোনা উৎপাদন করে, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এই উৎপাদনের নির্দিষ্ট কোনো হিসাব না থাকায় প্রকৃত উৎপাদন এর চেয়েও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই তিন দেশের সম্মিলিত সোনা উৎপাদন আফ্রিকার যেকোনো দেশের চেয়েও বেশি। যা এই অঞ্চলকে বৈশ্বিক সোনাবাজারে অন্যতম বড় অবদানকারী অঞ্চলে পরিণত করেছে।
সাহেল অঞ্চলের সরকারগুলোর দাবি, সোনা উৎপাদনের মতো এই লাভজনক খাত থেকে প্রাপ্ত আয় দেশের জনগণের ‘স্বায়ত্তশাসন’ বা ‘সার্বভৌমত্ব’ বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে এ এলাকাগুলোতে পশ্চিমা মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর জায়গা দখল করে প্রভাব বিস্তার করছে রুশ প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত মাসে মালির সামরিক নেতা জেনারেল আসিমি গুইতা একটি সোনা পরিশোধনাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ওই পরিশোধনাগারে অংশীদারত্ব রয়েছে রাশিয়ান কনগ্লোমারেট ইয়াদরান গ্রুপের।
বুরকিনা ফাসোও তাদের প্রথম সোনা পরিশোধনাগার নির্মাণ করছে এবং একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খনন কোম্পানি গঠন করেছে। দেশটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থানীয় কার্যক্রমে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ অংশীদারত্ব দিতে বাধ্য করছে। পাশাপাশি দেশটির জনগণকে এ কাজে দক্ষ করে তোলার শর্ত দিয়েছে।
জনগণের স্বার্থে ভিনদেশিদের ওপর শর্ত আরোপ ও কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য দেশটির সামরিক শাসক ৩৭ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরেকে অভিনন্দন জানিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ভুয়া প্রচারাভিযান পর্যন্ত চালানো হয়েছে।
কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। কন্ট্রোল রিস্কসের গবেষক বেভারলি ওচিয়েং বলেন, বুরকিনা ফাসো ও আশপাশের দেশগুলোকে বিদ্রোহ দমনের জন্য দ্রুত অর্থের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।
মালিতে এই খাতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রুশ ভাড়াটে বাহিনীকে, যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত ওয়াগনার গ্রুপ এবং এর উত্তরসূরি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আফ্রিকা কর্পস।
লন্ডনভিত্তিক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউসের অ্যালেক্স ভাইনস জানান, ওয়াগনার গ্রুপ এবং এখন আফ্রিকা কর্পসকে তাদের সেবার বিনিময়ে প্রায়ই সোনা কিংবা খনির অনুমোদন দিয়েই পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।
ভাইনস বিবিসিকে বলেন, ‘এই সোনার আয়ের খুব সামান্যই মালির বা বুরকিনা ফাসোর সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে। বরং এগুলো থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা উপকৃত হচ্ছে বলে আশঙ্কাও রয়েছে।’
বিশ্বজুড়ে সোনার চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আক্ষরিক অর্থেই লাভবান হচ্ছে।
২০২৩ সালের সাহেল অঞ্চলের সোনার খনি বিষয়ক এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তর (ইউএনওডিসি) জানায়, পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের সোনার বড় একটি অংশই আসে ছোট পরিসরের খনি কার্যক্রমগুলো থেকে। যেগুলোর বেশিরভাগই সরকারি অনুমোদনহীন, সোনার খনি হিসেবে ঘোষিত এলাকার বাইরে এবং সরকারের নজরদারির বাইরে চলে।
এসব ছোট খনির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জিহাদি গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং সাহেল অঞ্চলের সরকারগুলো একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। মালিতে ও বুরকিনা ফাসোতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিজেদের প্রভাব বাড়াচ্ছে। আর তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে এই সোনার খনিগুলো।
ইউএনওডিসির ধারণা, এসব খনি থেকে প্রাপ্ত বেশিরভাগ সোনা শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে, যেটি বৈশ্বিক সোনা পরিশোধন ও বাণিজ্যের একটি কেন্দ্র।
বিশ্ববাজারে সোনার দামের ঊর্ধ্বগতি এই অঞ্চলগুলোতে দীর্ঘ ও জটিল সংঘাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, সোনার এই দাম বৃদ্ধির সুফল এই অঞ্চলের খনি শ্রমিকরা কখনোই পাবে না।
মালির উত্তরের কিদাল অঞ্চলের এক সোনার খনির শ্রমিক বিবিসিকে জানান, যেদিন ভাগ্য ভালো থাকে, সেদিন প্রায় ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার সিএফএ ফ্রাঁ আয় করেন। যা প্রায় ১৮ থেকে ৩৬ মার্কিন ডলার।
হতাশা প্রকাশ করে এই খনি শ্রমিক বলেন, বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়লেও তার মজুরি বাড়েনি। তিনি আরও বলেন, ‘সোনার দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু অতিরিক্ত লাভটা চলে যায় খনির মালিকদের পকেটে। বিপজ্জনক আর অনিশ্চিত জেনেও এই কাজই আমাদের অনেকের জন্য একমাত্র উপার্জনের উপায়।’
বিশ শতকের দিকে, বিশেষ করে ১৯৯০-এর দশকে আফ্রিকার নানা দেশে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ ছিল হীরা। যে কারণে এর নাম হয়েছিল ‘ব্লাড ডায়মন্ড’। সে স্মৃতিচারণ করে শঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘের সাবেক ‘ব্লাড ডায়মন্ড’ (রক্ত হীরা) তদন্তকারী ড. অ্যালেক্স ভাইনস বলেন, ‘সোনা এখন আফ্রিকার নতুন প্রধান সংঘাতের উৎসে পরিণত হয়েছে।’
তবে সোনা এখনো সেই পর্যায়ের সেই আন্তর্জাতিক মনোযোগ পায়নি বলে মনে করেন ভাইনস।
মানবাধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে ২০০৩ সালে উন্মুক্ত বাজারে তথাকথিত ‘রক্ত হীরা’ বিক্রি অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু ‘রক্ত সোনা’ বা ‘ব্লাড গোল্ড’ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ততটা সফল হয়নি।
এর অন্যতম একটি কারণ হলো, একটি ঐক্যবদ্ধ নৈতিক মানদণ্ডের অভাব। সোনাবাজারে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা লন্ডন বুলিয়ন মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন (এলবিএমএ) পরিশোধনকারীদের জন্য বৈশ্বিক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) দ্বারা নির্ধারিত নির্দেশিকা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রাখে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এসব নিয়ম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বরাবরই অনেকটা ঢিলেঢালা। ২০২১ সালে আমিরাত নিজেরাই সোনা উত্তোলনের মানদণ্ড চালু করেছিল। যা বাস্তবায়ন নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।
আরেকটি বড় বাধা হলো সোনার উৎস নির্ধারণ করার প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা। ড. অ্যালেক্স ভাইনস বলেন, “সোনার জন্য কোনো ‘ডিএনএ টেস্টিং’ নেই। অনেক পরিশ্রম করে হীরা পলিশ ও কাটার আগ পর্যন্ত তার উৎস শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু একটা সোনার ঢেলার উৎস ট্র্যাক করার কোনো কার্যকর পদ্ধতি আমি এখনো দেখিনি। ”
সোনা ব্যবহারের যোগ্য করার শুরুতেই একে গলিয়ে ফেলা হয়, যার ফলে এর উৎস শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করেন গবেষক ভাইনস। তাঁর মতে, সাহেল অঞ্চলের কিছু অবৈধ বা ব্লাড গোল্ড আরব আমিরাত ছাড়িয়ে যুক্তরাজ্যের বাজারেও পৌঁছে গেছে।
তবে সোনা যে উৎস থেকেই আসুক না কেন, সাহেল অঞ্চলের সরকারগুলোর কাছে সোনার গুরুত্ব ও মানদণ্ড বাস্তবায়নের দুর্বল অবস্থান সোনার হাতবদল বাড়িয়েই চলেছে। আর দুর্ভাগ্যবশত এই ‘ব্লাড গোল্ড’ বাজারের মূল্য নিজেদের জীবন দিয়ে মেটাতে হচ্ছে সাহেল অঞ্চলের কিছু জনগোষ্ঠীকে।

সোনার জন্য ২০২৫ সাল যেন এক স্বর্ণময় বছর। টালমাটাল বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতার প্রভাবে সোনার দাম রেকর্ড ভেঙেছে বারেবার। শুল্ক-পাল্টা শুল্কের লড়াই ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতের এই সময়ে এসে সোনা সবচেয়ে ভরসার সম্পদ হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবাই এখন টাকা জমানোর থেকে সোনা জমানোতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
সোনা দিয়ে লেনদেন বা সঞ্চয় করছে অনেকেই কিন্তু সোনা আসছে কোথা থেকে বা এর পেছনের দুনিয়ার খবর জানে খুব কম মানুষই। সোনার এই স্বর্ণালী সময় কারও জন্য ‘সোনায় সোহাগা’ আবার কারও জন্য ‘সংঘাতে সোহাগা’।
সোনার গুরুত্ব সাধারণ মানুষের কাছে একটা মূল্যবান সম্পদের হলেও পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য এই সোনার মূল্য জীবনের চেয়েও বেশি। জিহাদি বিদ্রোহ, আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতার শিকার হওয়া দেশ বুরকিনা ফাসো, মালি ও নাইজারের সামরিক সরকারগুলোর জন্য সোনা যেন ‘একমাত্র বাঁচার অবলম্বন’।
গ্লোবাল কনসালটেন্সি ফার্ম কন্ট্রোল রিস্কসের সিনিয়র গবেষক বেভারলি ওচিয়েং বিবিসিকে বলেন, সোনার দাম বাড়তে বাড়তে এখন রেকর্ড অবস্থানে আছে। তাই সামরিক সরকারগুলো আশা করছে, তারা এই দাম থেকে সরাসরি লাভবান হতে পারবে।’
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, সাহেল অঞ্চলের এই তিন দেশ প্রতি বছর প্রায় ২৩০ টন সোনা উৎপাদন করে, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এই উৎপাদনের নির্দিষ্ট কোনো হিসাব না থাকায় প্রকৃত উৎপাদন এর চেয়েও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই তিন দেশের সম্মিলিত সোনা উৎপাদন আফ্রিকার যেকোনো দেশের চেয়েও বেশি। যা এই অঞ্চলকে বৈশ্বিক সোনাবাজারে অন্যতম বড় অবদানকারী অঞ্চলে পরিণত করেছে।
সাহেল অঞ্চলের সরকারগুলোর দাবি, সোনা উৎপাদনের মতো এই লাভজনক খাত থেকে প্রাপ্ত আয় দেশের জনগণের ‘স্বায়ত্তশাসন’ বা ‘সার্বভৌমত্ব’ বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে এ এলাকাগুলোতে পশ্চিমা মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর জায়গা দখল করে প্রভাব বিস্তার করছে রুশ প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত মাসে মালির সামরিক নেতা জেনারেল আসিমি গুইতা একটি সোনা পরিশোধনাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ওই পরিশোধনাগারে অংশীদারত্ব রয়েছে রাশিয়ান কনগ্লোমারেট ইয়াদরান গ্রুপের।
বুরকিনা ফাসোও তাদের প্রথম সোনা পরিশোধনাগার নির্মাণ করছে এবং একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খনন কোম্পানি গঠন করেছে। দেশটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থানীয় কার্যক্রমে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ অংশীদারত্ব দিতে বাধ্য করছে। পাশাপাশি দেশটির জনগণকে এ কাজে দক্ষ করে তোলার শর্ত দিয়েছে।
জনগণের স্বার্থে ভিনদেশিদের ওপর শর্ত আরোপ ও কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য দেশটির সামরিক শাসক ৩৭ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরেকে অভিনন্দন জানিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ভুয়া প্রচারাভিযান পর্যন্ত চালানো হয়েছে।
কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। কন্ট্রোল রিস্কসের গবেষক বেভারলি ওচিয়েং বলেন, বুরকিনা ফাসো ও আশপাশের দেশগুলোকে বিদ্রোহ দমনের জন্য দ্রুত অর্থের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।
মালিতে এই খাতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রুশ ভাড়াটে বাহিনীকে, যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত ওয়াগনার গ্রুপ এবং এর উত্তরসূরি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আফ্রিকা কর্পস।
লন্ডনভিত্তিক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউসের অ্যালেক্স ভাইনস জানান, ওয়াগনার গ্রুপ এবং এখন আফ্রিকা কর্পসকে তাদের সেবার বিনিময়ে প্রায়ই সোনা কিংবা খনির অনুমোদন দিয়েই পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।
ভাইনস বিবিসিকে বলেন, ‘এই সোনার আয়ের খুব সামান্যই মালির বা বুরকিনা ফাসোর সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে। বরং এগুলো থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা উপকৃত হচ্ছে বলে আশঙ্কাও রয়েছে।’
বিশ্বজুড়ে সোনার চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আক্ষরিক অর্থেই লাভবান হচ্ছে।
২০২৩ সালের সাহেল অঞ্চলের সোনার খনি বিষয়ক এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তর (ইউএনওডিসি) জানায়, পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের সোনার বড় একটি অংশই আসে ছোট পরিসরের খনি কার্যক্রমগুলো থেকে। যেগুলোর বেশিরভাগই সরকারি অনুমোদনহীন, সোনার খনি হিসেবে ঘোষিত এলাকার বাইরে এবং সরকারের নজরদারির বাইরে চলে।
এসব ছোট খনির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জিহাদি গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং সাহেল অঞ্চলের সরকারগুলো একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। মালিতে ও বুরকিনা ফাসোতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিজেদের প্রভাব বাড়াচ্ছে। আর তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে এই সোনার খনিগুলো।
ইউএনওডিসির ধারণা, এসব খনি থেকে প্রাপ্ত বেশিরভাগ সোনা শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে, যেটি বৈশ্বিক সোনা পরিশোধন ও বাণিজ্যের একটি কেন্দ্র।
বিশ্ববাজারে সোনার দামের ঊর্ধ্বগতি এই অঞ্চলগুলোতে দীর্ঘ ও জটিল সংঘাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, সোনার এই দাম বৃদ্ধির সুফল এই অঞ্চলের খনি শ্রমিকরা কখনোই পাবে না।
মালির উত্তরের কিদাল অঞ্চলের এক সোনার খনির শ্রমিক বিবিসিকে জানান, যেদিন ভাগ্য ভালো থাকে, সেদিন প্রায় ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার সিএফএ ফ্রাঁ আয় করেন। যা প্রায় ১৮ থেকে ৩৬ মার্কিন ডলার।
হতাশা প্রকাশ করে এই খনি শ্রমিক বলেন, বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়লেও তার মজুরি বাড়েনি। তিনি আরও বলেন, ‘সোনার দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু অতিরিক্ত লাভটা চলে যায় খনির মালিকদের পকেটে। বিপজ্জনক আর অনিশ্চিত জেনেও এই কাজই আমাদের অনেকের জন্য একমাত্র উপার্জনের উপায়।’
বিশ শতকের দিকে, বিশেষ করে ১৯৯০-এর দশকে আফ্রিকার নানা দেশে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ ছিল হীরা। যে কারণে এর নাম হয়েছিল ‘ব্লাড ডায়মন্ড’। সে স্মৃতিচারণ করে শঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘের সাবেক ‘ব্লাড ডায়মন্ড’ (রক্ত হীরা) তদন্তকারী ড. অ্যালেক্স ভাইনস বলেন, ‘সোনা এখন আফ্রিকার নতুন প্রধান সংঘাতের উৎসে পরিণত হয়েছে।’
তবে সোনা এখনো সেই পর্যায়ের সেই আন্তর্জাতিক মনোযোগ পায়নি বলে মনে করেন ভাইনস।
মানবাধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে ২০০৩ সালে উন্মুক্ত বাজারে তথাকথিত ‘রক্ত হীরা’ বিক্রি অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু ‘রক্ত সোনা’ বা ‘ব্লাড গোল্ড’ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ততটা সফল হয়নি।
এর অন্যতম একটি কারণ হলো, একটি ঐক্যবদ্ধ নৈতিক মানদণ্ডের অভাব। সোনাবাজারে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা লন্ডন বুলিয়ন মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন (এলবিএমএ) পরিশোধনকারীদের জন্য বৈশ্বিক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) দ্বারা নির্ধারিত নির্দেশিকা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রাখে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এসব নিয়ম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বরাবরই অনেকটা ঢিলেঢালা। ২০২১ সালে আমিরাত নিজেরাই সোনা উত্তোলনের মানদণ্ড চালু করেছিল। যা বাস্তবায়ন নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।
আরেকটি বড় বাধা হলো সোনার উৎস নির্ধারণ করার প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা। ড. অ্যালেক্স ভাইনস বলেন, “সোনার জন্য কোনো ‘ডিএনএ টেস্টিং’ নেই। অনেক পরিশ্রম করে হীরা পলিশ ও কাটার আগ পর্যন্ত তার উৎস শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু একটা সোনার ঢেলার উৎস ট্র্যাক করার কোনো কার্যকর পদ্ধতি আমি এখনো দেখিনি। ”
সোনা ব্যবহারের যোগ্য করার শুরুতেই একে গলিয়ে ফেলা হয়, যার ফলে এর উৎস শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করেন গবেষক ভাইনস। তাঁর মতে, সাহেল অঞ্চলের কিছু অবৈধ বা ব্লাড গোল্ড আরব আমিরাত ছাড়িয়ে যুক্তরাজ্যের বাজারেও পৌঁছে গেছে।
তবে সোনা যে উৎস থেকেই আসুক না কেন, সাহেল অঞ্চলের সরকারগুলোর কাছে সোনার গুরুত্ব ও মানদণ্ড বাস্তবায়নের দুর্বল অবস্থান সোনার হাতবদল বাড়িয়েই চলেছে। আর দুর্ভাগ্যবশত এই ‘ব্লাড গোল্ড’ বাজারের মূল্য নিজেদের জীবন দিয়ে মেটাতে হচ্ছে সাহেল অঞ্চলের কিছু জনগোষ্ঠীকে।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
৭ মিনিট আগে
বছরের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডবে ফিলিপাইন বিপর্যস্ত। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর
২ ঘণ্টা আগে
ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
ভাষণে ৩৪ বছর বয়সী মামদানি বলেন, ‘যদি এমন কেউ থাকে, যদি কোনো শহর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজনের দ্বারা প্রতারিত একটি জাতিকে শেখাতে পারে কীভাবে তাঁকে হারাতে হয়, তবে তা হলো সেই শহর—যে শহর ট্রাম্পকে জন্ম দিয়েছে। আর কোনো স্বৈরশাসককে হারানোর একমাত্র উপায় হলো সেই ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা, যে ব্যবস্থা তাঁকে ক্ষমতায় যেতে সাহায্য করেছে।’
মামদানি আরও বলেন, ‘এভাবে আমরা শুধু ট্রাম্পকেই থামাব না, থামাব পরের জনকেও। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প, আপনার জন্য দুটি কথা আছে। আমি জানি, আপনি এই ভাষণ দেখছেন। আপনাকে বলছি, ভলিউমটা বাড়ান।’ এ সময় ব্রুকলিন প্যারামাউন্টে উপস্থিত সমর্থকেরা তখন করতালিতে মুখর হয়ে ওঠেন।
মামদানির অনুমান সত্যি প্রমাণিত হয়। ভাষণ চলাকালেই ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘...এবং শুরু হলো!’ ট্রাম্প আগেও মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ ও ‘পাগল’ বলে উপহাস করেছেন। এমনকি হুমকি দিয়েছেন, মেয়র হিসেবে মামদানি দায়িত্ব নিলে নিউইয়র্ক সিটিকে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে। তবে এসব হুমকি মামদানিকে থামাতে পারেনি। মেয়র নির্বাচিত হয়েই প্রথম ভাষণেই তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন।
নবনির্বাচিত এই মেয়র বলেন, তাঁর প্রশাসন ভূমি–বাড়ি মালিকদের জবাবদিহির আওতায় আনবে। কারণ ‘আমাদের শহরের ডোনাল্ড ট্রাম্পরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে ভাড়াটিয়াদের শোষণ করে চলেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শ্রমিক ইউনিয়নের পাশে থাকব, শ্রম অধিকার বাড়াব। কারণ আমরা জানি—যেমনটা ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানে—যখন শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার দৃঢ় হয়, তখন মালিকেরা যারা তাদের শোষণ করতে চায়, তারা খুবই ক্ষুদ্র হয়ে পড়ে।’
সবচেয়ে জোরালো করতালিটি আসে যখন মামদানি ঘোষণা করেন, ‘নিউইয়র্ক থাকবে অভিবাসীদের শহর—অভিবাসীদের হাতে গড়া, অভিবাসীদের শক্তিতে চালিত, আর আজ রাত থেকে অভিবাসীর নেতৃত্বে।’ তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুনে রাখুন—আমাদের কারও কাছে পৌঁছাতে চাইলে, আপনাকে আগে আমাদের সবাইকে ডিঙিয়ে যেতে হবে।’
মামদানি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এক নতুন রাজনীতির ম্যান্ডেট দিয়েছেন। এমন এক শহরের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যেখানে মানুষ বাস করতে পারবে। আর এমন এক সরকারের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যা তা বাস্তবায়ন করবে।’

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
ভাষণে ৩৪ বছর বয়সী মামদানি বলেন, ‘যদি এমন কেউ থাকে, যদি কোনো শহর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজনের দ্বারা প্রতারিত একটি জাতিকে শেখাতে পারে কীভাবে তাঁকে হারাতে হয়, তবে তা হলো সেই শহর—যে শহর ট্রাম্পকে জন্ম দিয়েছে। আর কোনো স্বৈরশাসককে হারানোর একমাত্র উপায় হলো সেই ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা, যে ব্যবস্থা তাঁকে ক্ষমতায় যেতে সাহায্য করেছে।’
মামদানি আরও বলেন, ‘এভাবে আমরা শুধু ট্রাম্পকেই থামাব না, থামাব পরের জনকেও। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প, আপনার জন্য দুটি কথা আছে। আমি জানি, আপনি এই ভাষণ দেখছেন। আপনাকে বলছি, ভলিউমটা বাড়ান।’ এ সময় ব্রুকলিন প্যারামাউন্টে উপস্থিত সমর্থকেরা তখন করতালিতে মুখর হয়ে ওঠেন।
মামদানির অনুমান সত্যি প্রমাণিত হয়। ভাষণ চলাকালেই ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘...এবং শুরু হলো!’ ট্রাম্প আগেও মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ ও ‘পাগল’ বলে উপহাস করেছেন। এমনকি হুমকি দিয়েছেন, মেয়র হিসেবে মামদানি দায়িত্ব নিলে নিউইয়র্ক সিটিকে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে। তবে এসব হুমকি মামদানিকে থামাতে পারেনি। মেয়র নির্বাচিত হয়েই প্রথম ভাষণেই তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন।
নবনির্বাচিত এই মেয়র বলেন, তাঁর প্রশাসন ভূমি–বাড়ি মালিকদের জবাবদিহির আওতায় আনবে। কারণ ‘আমাদের শহরের ডোনাল্ড ট্রাম্পরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে ভাড়াটিয়াদের শোষণ করে চলেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শ্রমিক ইউনিয়নের পাশে থাকব, শ্রম অধিকার বাড়াব। কারণ আমরা জানি—যেমনটা ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানে—যখন শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার দৃঢ় হয়, তখন মালিকেরা যারা তাদের শোষণ করতে চায়, তারা খুবই ক্ষুদ্র হয়ে পড়ে।’
সবচেয়ে জোরালো করতালিটি আসে যখন মামদানি ঘোষণা করেন, ‘নিউইয়র্ক থাকবে অভিবাসীদের শহর—অভিবাসীদের হাতে গড়া, অভিবাসীদের শক্তিতে চালিত, আর আজ রাত থেকে অভিবাসীর নেতৃত্বে।’ তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুনে রাখুন—আমাদের কারও কাছে পৌঁছাতে চাইলে, আপনাকে আগে আমাদের সবাইকে ডিঙিয়ে যেতে হবে।’
মামদানি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এক নতুন রাজনীতির ম্যান্ডেট দিয়েছেন। এমন এক শহরের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যেখানে মানুষ বাস করতে পারবে। আর এমন এক সরকারের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যা তা বাস্তবায়ন করবে।’

সোনার জন্য ২০২৫ সাল যেন এক স্বর্ণময় বছর। টালমাটাল বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতার প্রভাবে সোনার দাম রেকর্ড ভেঙেছে বারেবার। শুল্ক-পাল্টা শুল্কের লড়াই ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতের এই সময়ে এসে সোনা সবচেয়ে ভরসার সম্পদ হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবাই এখন টাকা জমানোর
০২ জুলাই ২০২৫
বছরের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডবে ফিলিপাইন বিপর্যস্ত। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর
২ ঘণ্টা আগে
ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বছরের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডবে ফিলিপাইন বিপর্যস্ত। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
আজ বুধবার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কার্যালয়ের উপপ্রশাসক রাফায়েলিতো আলেহান্দ্রো স্থানীয় রেডিও স্টেশন ডিজেডএমএমকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি জানান, এই টাইফুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির ঘনবসতিপূর্ণ সেবু দ্বীপ। এই দ্বীপে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ২৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে বিবিসি জানায়, টাইফুনের সঙ্গে পাহাড়ি ঢল নেমে অনেক গ্রাম ও শহর তলিয়ে গেছে। বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে ডুবে যাওয়ার কারণে।
সেবু দ্বীপের আবাসিক এলাকাগুলোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বহু ছোট ভবন বন্যার জলে ভেসে গেছে এবং পানি নামার পর এলাকাজুড়ে ঘন কাদার স্তর পড়ে রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা নৌকা ব্যবহার করে আটকে পড়া মানুষদের ঘর থেকে বের করে আনছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে এলাকাগুলো। বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। পানিতে ভেসে গিয়েছে সড়কে থাকা গাড়িগুলো।
উদ্ধারকর্মীরা জানান, আকাশ পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সহায়তা পৌঁছে দিতে পারছেন না। এক কর্মকর্তা জানান, সড়কে ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ আর গাড়িগুলো সমস্যা তৈরি করছে। এগুলো সরাতেই অনেক সময় লাগবে।
এই দুর্যোগে চার লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্যোগ ত্রাণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সেবু প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘সেবুর পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ। আমরা ভেবেছিলাম প্রবল বাতাসই সবচেয়ে বিপজ্জনক হবে, কিন্তু বাস্তবে পানিই এখন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় হুমকি। বন্যার পানিতে বিপর্যস্ত সবকিছু।’
এদিকে ত্রাণ দিতে গিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ছয় সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সেবুর দক্ষিণে মিন্দানাও দ্বীপে ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার হেলিকপ্টারটি আগুসান দেল সুর এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। ত্রাণ সহায়তার জন্য পাঠানো চারটি সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে একটি ছিল এটি।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, এরপরই তৎক্ষণাৎ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। পরে একজন মুখপাত্র জানান, ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলো পাইলট ও ক্রুদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে স্থলভাগে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে টাইফুনটি। তবে এখনো ঘণ্টায় ৮০ মাইল (১৩০ কিমি) বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। টাইফুনটি আজ বুধবারের মধ্যে ভিসায়াস দ্বীপমালা পেরিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে চলে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। তাঁরা আরও জানান, এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে টাইফুন কালমায়েগি।
প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় ও টাইফুন ফিলিপাইনে আঘাত হানে। টাইফুন কালমায়েগির এক মাস আগে পরপর দুটি ঝড়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিল দেশটি। তখন ১২ জনের বেশি মারা গিয়েছিল। অবকাঠামো ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।

বছরের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডবে ফিলিপাইন বিপর্যস্ত। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
আজ বুধবার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কার্যালয়ের উপপ্রশাসক রাফায়েলিতো আলেহান্দ্রো স্থানীয় রেডিও স্টেশন ডিজেডএমএমকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি জানান, এই টাইফুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির ঘনবসতিপূর্ণ সেবু দ্বীপ। এই দ্বীপে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ২৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে বিবিসি জানায়, টাইফুনের সঙ্গে পাহাড়ি ঢল নেমে অনেক গ্রাম ও শহর তলিয়ে গেছে। বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে ডুবে যাওয়ার কারণে।
সেবু দ্বীপের আবাসিক এলাকাগুলোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বহু ছোট ভবন বন্যার জলে ভেসে গেছে এবং পানি নামার পর এলাকাজুড়ে ঘন কাদার স্তর পড়ে রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা নৌকা ব্যবহার করে আটকে পড়া মানুষদের ঘর থেকে বের করে আনছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে এলাকাগুলো। বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। পানিতে ভেসে গিয়েছে সড়কে থাকা গাড়িগুলো।
উদ্ধারকর্মীরা জানান, আকাশ পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সহায়তা পৌঁছে দিতে পারছেন না। এক কর্মকর্তা জানান, সড়কে ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ আর গাড়িগুলো সমস্যা তৈরি করছে। এগুলো সরাতেই অনেক সময় লাগবে।
এই দুর্যোগে চার লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্যোগ ত্রাণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সেবু প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘সেবুর পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ। আমরা ভেবেছিলাম প্রবল বাতাসই সবচেয়ে বিপজ্জনক হবে, কিন্তু বাস্তবে পানিই এখন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় হুমকি। বন্যার পানিতে বিপর্যস্ত সবকিছু।’
এদিকে ত্রাণ দিতে গিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ছয় সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সেবুর দক্ষিণে মিন্দানাও দ্বীপে ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার হেলিকপ্টারটি আগুসান দেল সুর এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। ত্রাণ সহায়তার জন্য পাঠানো চারটি সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে একটি ছিল এটি।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, এরপরই তৎক্ষণাৎ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। পরে একজন মুখপাত্র জানান, ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলো পাইলট ও ক্রুদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে স্থলভাগে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে টাইফুনটি। তবে এখনো ঘণ্টায় ৮০ মাইল (১৩০ কিমি) বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। টাইফুনটি আজ বুধবারের মধ্যে ভিসায়াস দ্বীপমালা পেরিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে চলে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। তাঁরা আরও জানান, এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে টাইফুন কালমায়েগি।
প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় ও টাইফুন ফিলিপাইনে আঘাত হানে। টাইফুন কালমায়েগির এক মাস আগে পরপর দুটি ঝড়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিল দেশটি। তখন ১২ জনের বেশি মারা গিয়েছিল। অবকাঠামো ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।

সোনার জন্য ২০২৫ সাল যেন এক স্বর্ণময় বছর। টালমাটাল বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতার প্রভাবে সোনার দাম রেকর্ড ভেঙেছে বারেবার। শুল্ক-পাল্টা শুল্কের লড়াই ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতের এই সময়ে এসে সোনা সবচেয়ে ভরসার সম্পদ হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবাই এখন টাকা জমানোর
০২ জুলাই ২০২৫
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
৭ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর
২ ঘণ্টা আগে
ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর খুঁড়ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইয়েলের স্কুল অব পাবলিক হেলথের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের নির্বাহী পরিচালক ন্যাথানিয়েল রেমন্ড মঙ্গলবার আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আরএসএফ শহরজুড়ে গণকবর খনন শুরু করেছে এবং মরদেহ সংগ্রহ করছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা গণহত্যার চিহ্ন মুছে ফেলছে।’
গত ২৬ অক্টোবর আরএসএফ উত্তর দারফুরের রাজধানী আল-ফাশেরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর আগে সুদানি সেনাবাহিনী (এসএএফ) শহরটি থেকে সরে যায়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সংঘাতের পর থেকে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই দুই বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আল-ফাশের ও আশপাশের এলাকা থেকে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সেখানে ‘তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ড’, যৌন সহিংসতা ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে।
ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের ২৮ অক্টোবর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরএসএফ শহরটি দখলের পর থেকে ‘গণহত্যার প্রমাণ’ মিলেছে। স্যাটেলাইট চিত্রে রক্তের দাগ ও দেহ টেনে নেওয়ার চিহ্নও দেখা গেছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে সতর্ক করেছেন, শহরটিতে হাজার হাজার মানুষ এখনো আটকা পড়ে আছে।
সুদানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জ্যাকুলিন উইলমা পারলেভলিয়েট বলেন, ‘বর্তমান অস্থিতিশীলতা শহরে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। ফলে আটকে পড়া মানুষদের কাছে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না।’
সুদানি সাংবাদিক আবদাল্লাহ হুসেইন আল-জাজিরাকে বলেন, আরএসএফ পুরোপুরি দখল নেওয়ার আগেই আল-ফাশের শহরটি ১৮ মাস ধরে তাদের অবরোধে ছিল। তিনি বলেন, ‘কোনো ত্রাণ শহরে প্রবেশ করতে পারেনি। কোনো হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্র চালু ছিল না। এখন অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে গেছে, যারা শহরে রয়ে গেছে তাদের জন্য।’
বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে আরএসএফ ও তাদের সমর্থকেরা আল-ফাশেরের হত্যাযজ্ঞের দায় অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। আরএসএফের নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো—যিনি হেমেদতি নামেও পরিচিত—ঘটনার তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিন্তু ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের রেমন্ড বলেন, ‘যদি তারা সত্যিই তদন্ত করতে চায়, তাহলে শহর থেকে সরে যেতে হবে। জাতিসংঘ, রেডক্রস ও মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর কর্মীদের প্রবেশ করতে দিতে হবে, ঘরে ঘরে গিয়ে দেখতে দিতে হবে কে বেঁচে আছে।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা আরএসএফকে তাদের কৃতকর্মের তদন্ত নিজেদেরই করতে দিতে পারি না।’ রেমন্ড আরও বলেন, জাতিসংঘের তথ্য ও আল-ফাশেরে যেটা দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে গত ১০ দিনে সেখানে যত মানুষ মারা গেছে, তা গত দুই বছরে গাজায় নিহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন ভয়াবহতার কথাই বলছি, এটা কোনো অতিরঞ্জন নয়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ এখনই জরুরি সহায়তা দরকার।’ জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর খুঁড়ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইয়েলের স্কুল অব পাবলিক হেলথের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের নির্বাহী পরিচালক ন্যাথানিয়েল রেমন্ড মঙ্গলবার আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আরএসএফ শহরজুড়ে গণকবর খনন শুরু করেছে এবং মরদেহ সংগ্রহ করছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা গণহত্যার চিহ্ন মুছে ফেলছে।’
গত ২৬ অক্টোবর আরএসএফ উত্তর দারফুরের রাজধানী আল-ফাশেরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর আগে সুদানি সেনাবাহিনী (এসএএফ) শহরটি থেকে সরে যায়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সংঘাতের পর থেকে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই দুই বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আল-ফাশের ও আশপাশের এলাকা থেকে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সেখানে ‘তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ড’, যৌন সহিংসতা ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে।
ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের ২৮ অক্টোবর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরএসএফ শহরটি দখলের পর থেকে ‘গণহত্যার প্রমাণ’ মিলেছে। স্যাটেলাইট চিত্রে রক্তের দাগ ও দেহ টেনে নেওয়ার চিহ্নও দেখা গেছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে সতর্ক করেছেন, শহরটিতে হাজার হাজার মানুষ এখনো আটকা পড়ে আছে।
সুদানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জ্যাকুলিন উইলমা পারলেভলিয়েট বলেন, ‘বর্তমান অস্থিতিশীলতা শহরে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। ফলে আটকে পড়া মানুষদের কাছে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না।’
সুদানি সাংবাদিক আবদাল্লাহ হুসেইন আল-জাজিরাকে বলেন, আরএসএফ পুরোপুরি দখল নেওয়ার আগেই আল-ফাশের শহরটি ১৮ মাস ধরে তাদের অবরোধে ছিল। তিনি বলেন, ‘কোনো ত্রাণ শহরে প্রবেশ করতে পারেনি। কোনো হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্র চালু ছিল না। এখন অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে গেছে, যারা শহরে রয়ে গেছে তাদের জন্য।’
বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে আরএসএফ ও তাদের সমর্থকেরা আল-ফাশেরের হত্যাযজ্ঞের দায় অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। আরএসএফের নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো—যিনি হেমেদতি নামেও পরিচিত—ঘটনার তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিন্তু ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের রেমন্ড বলেন, ‘যদি তারা সত্যিই তদন্ত করতে চায়, তাহলে শহর থেকে সরে যেতে হবে। জাতিসংঘ, রেডক্রস ও মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর কর্মীদের প্রবেশ করতে দিতে হবে, ঘরে ঘরে গিয়ে দেখতে দিতে হবে কে বেঁচে আছে।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা আরএসএফকে তাদের কৃতকর্মের তদন্ত নিজেদেরই করতে দিতে পারি না।’ রেমন্ড আরও বলেন, জাতিসংঘের তথ্য ও আল-ফাশেরে যেটা দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে গত ১০ দিনে সেখানে যত মানুষ মারা গেছে, তা গত দুই বছরে গাজায় নিহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন ভয়াবহতার কথাই বলছি, এটা কোনো অতিরঞ্জন নয়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ এখনই জরুরি সহায়তা দরকার।’ জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সোনার জন্য ২০২৫ সাল যেন এক স্বর্ণময় বছর। টালমাটাল বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতার প্রভাবে সোনার দাম রেকর্ড ভেঙেছে বারেবার। শুল্ক-পাল্টা শুল্কের লড়াই ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতের এই সময়ে এসে সোনা সবচেয়ে ভরসার সম্পদ হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবাই এখন টাকা জমানোর
০২ জুলাই ২০২৫
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
৭ মিনিট আগে
বছরের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডবে ফিলিপাইন বিপর্যস্ত। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে বিরোধী দলটির প্রার্থীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, নিউ জার্সিতে ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস সদস্য মিকি শেরিল জয় পেয়েছেন। সাবেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও ব্যবসায়ী জ্যাক সিয়াতারেল্লিকে হারিয়ে তিনি গভর্নর নির্বাচনে জয়ী হন। শেরিল ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রথমবার কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন, তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও মধ্যপন্থী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। এই নির্বাচনের মূল ইস্যু ছিল রাজ্যের জীবনযাত্রার ব্যয় ও মানুষের সামর্থ্য অনুযায়ী নীতিনির্ধারণ।
ভার্জিনিয়ায় ডেমোক্র্যাট দলের সাবেক কংগ্রেস সদস্য অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার রাজ্যের প্রথম নারী গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জয়ী হয়ে স্প্যানবার্গার বলেন, তিনি বাস্তববাদী নীতি অনুসরণ করবেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের টার্গেটে থাকা রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সুরক্ষা দেবেন। তিনি জানান, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় সহনীয় করা হবে তাঁর প্রথম দিনের অগ্রাধিকার।
বিপরীতে রিপাবলিকান প্রার্থী রাজ্যের বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর উইনসোম আর্ল-সিয়ার্স নির্বাচনে নিজের রক্ষণশীল ভোটার ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে প্রচারণা চালান এবং স্প্যানবার্গারের রাজনৈতিক রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা সফল হয়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোট শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি তাঁর বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে। বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া উত্তেজনাপূর্ণ এ নির্বাচনে তার জয় ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৮৪ লাখের বেশি মানুষের এই শহর অর্থনীতি ও সংস্কৃতির বৈশ্বিক শক্তিকেন্দ্র। সেই শহরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া নেতা হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালেন মামদানি।
বহুধর্মী ও বহুজাতির এই মহানগরের ভোটারেরা মামদানির জয়কে ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। তবে তাঁর নিবেদিত সমর্থকেরা বলছেন, এটি কেবল ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের জয় নয়—এটি জীবনের ব্যয় সামাল দেওয়ার বাস্তব সমস্যায় তার তীক্ষ্ণ ও স্পষ্ট অবস্থানের প্রতিফলন।
এই নির্বাচন ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিকনির্দেশক হিসেবেও দেখা হচ্ছে। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো অনেকের কাছে পুরোনো ধনবান দাতানির্ভর রাজনীতির প্রতীক। আর নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মামদানি দলটির জন্য নতুন এক পথের সম্ভাবনা তৈরি করেছেন।

ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে বিরোধী দলটির প্রার্থীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, নিউ জার্সিতে ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস সদস্য মিকি শেরিল জয় পেয়েছেন। সাবেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও ব্যবসায়ী জ্যাক সিয়াতারেল্লিকে হারিয়ে তিনি গভর্নর নির্বাচনে জয়ী হন। শেরিল ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রথমবার কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন, তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও মধ্যপন্থী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। এই নির্বাচনের মূল ইস্যু ছিল রাজ্যের জীবনযাত্রার ব্যয় ও মানুষের সামর্থ্য অনুযায়ী নীতিনির্ধারণ।
ভার্জিনিয়ায় ডেমোক্র্যাট দলের সাবেক কংগ্রেস সদস্য অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার রাজ্যের প্রথম নারী গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জয়ী হয়ে স্প্যানবার্গার বলেন, তিনি বাস্তববাদী নীতি অনুসরণ করবেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের টার্গেটে থাকা রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সুরক্ষা দেবেন। তিনি জানান, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় সহনীয় করা হবে তাঁর প্রথম দিনের অগ্রাধিকার।
বিপরীতে রিপাবলিকান প্রার্থী রাজ্যের বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর উইনসোম আর্ল-সিয়ার্স নির্বাচনে নিজের রক্ষণশীল ভোটার ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে প্রচারণা চালান এবং স্প্যানবার্গারের রাজনৈতিক রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা সফল হয়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোট শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি তাঁর বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে। বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া উত্তেজনাপূর্ণ এ নির্বাচনে তার জয় ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৮৪ লাখের বেশি মানুষের এই শহর অর্থনীতি ও সংস্কৃতির বৈশ্বিক শক্তিকেন্দ্র। সেই শহরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া নেতা হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালেন মামদানি।
বহুধর্মী ও বহুজাতির এই মহানগরের ভোটারেরা মামদানির জয়কে ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। তবে তাঁর নিবেদিত সমর্থকেরা বলছেন, এটি কেবল ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের জয় নয়—এটি জীবনের ব্যয় সামাল দেওয়ার বাস্তব সমস্যায় তার তীক্ষ্ণ ও স্পষ্ট অবস্থানের প্রতিফলন।
এই নির্বাচন ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিকনির্দেশক হিসেবেও দেখা হচ্ছে। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো অনেকের কাছে পুরোনো ধনবান দাতানির্ভর রাজনীতির প্রতীক। আর নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মামদানি দলটির জন্য নতুন এক পথের সম্ভাবনা তৈরি করেছেন।

সোনার জন্য ২০২৫ সাল যেন এক স্বর্ণময় বছর। টালমাটাল বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতার প্রভাবে সোনার দাম রেকর্ড ভেঙেছে বারেবার। শুল্ক-পাল্টা শুল্কের লড়াই ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতের এই সময়ে এসে সোনা সবচেয়ে ভরসার সম্পদ হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবাই এখন টাকা জমানোর
০২ জুলাই ২০২৫
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
৭ মিনিট আগে
বছরের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডবে ফিলিপাইন বিপর্যস্ত। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর
২ ঘণ্টা আগে