Ajker Patrika

ওমিক্রন আক্রান্তদের উপসর্গ কেমন, জানালেন দ. আফ্রিকার চিকিৎসকেরা

ওমিক্রন আক্রান্তদের উপসর্গ কেমন, জানালেন দ. আফ্রিকার চিকিৎসকেরা

বিশ্বে এখনো কমেনি করোনাভাইরাসের প্রকোপ। নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে শঙ্কা। ওমিক্রনের উপকেন্দ্র দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা  বিস্তারিত জানিয়েছেন। 

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান হাসপাতালের প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, রোগীর সংখ্যা বাড়লেও রোগীদের তেমন চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ছে না। প্রিটোরিয়ায় স্টিভ বাইকো এবং তিশওয়ানে জেলা হাসপাতাল কমপ্লেক্সে গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে ১৬৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে কোভিড ওয়ার্ডে রোগী রয়েছেন ৪২ জন। বেশির ভাগই মূলত করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নয় এমন অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় তাঁদের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়। 

সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন করে যারা করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছেন তাঁদের বেশিরভাগই নতুন ধরনেই (ওমিক্রন) আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস। তবে দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক ফরিদ আবদুল্লাহ এবং তাঁর দল নতুন শনাক্তদের অধিকাংশই যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন- এটি প্রমাণ করতে করতে পারেননি। তবে তাঁরা অনুমান করছেন, নতুন ধরনেই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। 

দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক ফরিদ আবদুল্লাহ বলেন, ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে এমন ভর্তি রোগীদের ক্লিনিক্যাল প্রোফাইল পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। এখনো পর্যন্ত কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগেরই অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। 

গত ২ ডিসেম্বর কোভিড ওয়ার্ডে থাকা ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে টিকা নেওয়া ছিলেন ছয়জন। টিকা নেননি এমন সংখ্যা ছিল ২৪ এবং আটজনের টিকা নেওয়া বা না নেওয়ার তথ্য জানা যায়নি। পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন একজনকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে দুজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। ভর্তিদের মধ্যে বেশির ভাগেরই বয়স ৫৯ বছরের নিচে, অর্থাৎ প্রায় ৮০ শতাংশ। ১৯ শতাংশের বয়স নয় বছর এবং ২৮ শতাংশ রোগীর বয়স ৩৩ থেকে ৩৯।

কোভিড ওয়ার্ডে গত দুই সপ্তাহে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। আগের ১৮ মাসে কোভিড ওয়ার্ডে মারা যাওয়াদের ১৭ শতাংশ ছিল শিশু। এর মধ্যে কোভিড ওয়ার্ডে ১০ জনের মৃত্যু হয়, ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। 

তবে এসব মৃত্যু যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হয়েছে এটি নিশ্চিত নয়। মৃতের সংখ্যা সামনে আরও বাড়তে পারে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় কিনা তা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বোঝা যাবে। এটা যথেষ্ট সময়। গত ১৮ মাসে কোভিড ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি থাকার গড় দৈর্ঘ্য ছিল ২ দশমিক ৮ দিন থেকে ৮ দশমিক ৫ দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত