অনিক হোসেন, ঢাকা
বর্তমানে শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষও নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে প্যাকেটজাত বিভিন্ন খাবারের ওপর। এ ছাড়া হরহামেশাই সব বয়সী মানুষ খাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কোমলপানীয়। তবে বিদেশি গবেষণায় দেখা গেছে, এসব প্যাকেটজাত খাবার ও কোমলপানীয়তে ব্যবহৃত বাড়তি চিনি বাড়াচ্ছে মৃত্যুঝুঁকি।
বিশ্ববাজারে এখন প্যাকেটজাত নানা ধরনের খাবার রয়েছে। এর মধ্যে চিপস, নুডুলস, বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট, কেক, রেডিমেড প্যাকেট ফুড উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কোমল পানীয় রয়েছে। এসব প্যাকেটজাত খাবার ও কোমলপানীয়তে ব্যবহৃত অতিরিক্ত চিনি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকেরা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্যাকেটজাত খাবারের বাড়তি চিনির কারণে হৃদ্রোগ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গবেষকেরা বলছেন, প্যাকেটজাত খাবারে ব্যবহৃত চিনির ২০ শতাংশ এবং কোমল পানীয়ের ব্যবহৃত চিনির ৪০ শতাংশ কমাতে পারলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ২৪ লাখ ৮০ হাজারটি ঘটনা কমানো সম্ভব। একই সঙ্গে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সাড়ে ৭ লাখ ঘটনা রোধ করা সম্ভব। এ ছাড়া হৃদরোগ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর মারা যাওয়া ৪ লাখ ৯০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাবিষয়ক অনলাইন পত্রিকা সাইন্স ডেইলির এক প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, চিনিযুক্ত খাদ্য ও কোমল পানীয় গ্রহণ করার কারণে সৃষ্ট স্থূলতা, টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। এ ছাড়া মার্কিন মুলুকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচজন ব্যক্তির মধ্যে দুজনের বেশি স্থূলতা, প্রতি দুজনের মধ্যে একজনের ডায়াবেটিস অথবা ডায়াবেটিস পূর্ব অবস্থায় এবং দুজনের মধ্যে প্রায় একজন হৃদ্রোগ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়। এর ফলে মার্কিন সমাজের নিম্ন আয়ের পরিবারের মানুষদের নানা ধরণের আর্থিক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল, টাফস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রিডম্যান স্কুল অব নিউট্রিশন এন্ড সায়েন্স পলিসি, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও নিউইয়র্ক সিটির হেলথ অ্যান্ড মেন্টাল হাইজিন ডিপার্টমেন্ট চিনি ও লবণের ব্যবহার কমানোর জন্য একটি মডেল তৈরি করেছেন। তাদের লক্ষ্য, ধীরে ধীরে শিল্প কারখানায় উৎপাদিত প্যাকেটজাত খাদ্যে চিনির ব্যবহার কমানো। এই মডেল যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তাবিত ন্যাশনাল সুগার অ্যান্ড সল্ট রিডাকশন ইনিশিয়েটিভ (এনএসএসআরআই) নীতির প্রভাব নিয়েও কাজ করছে।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট গবেষক দলের প্রধান সিয়ি শাংগুয়ান বলেন, ন্যাশনাল সুগার অ্যান্ড সল্ট রিডাকশন ইনিশিয়েটিভ (এনএসএসআরআই) নীতি বিশ্বের সবচেয়ে বাস্তবায়নযোগ্য, বিস্তৃত ও পরিকল্পিত নীতি। চিনির ওপর কর আরোপ, চিনিযুক্ত সামগ্রী চিহ্নিত করা অথবা স্কুলে চিনিযুক্ত পানীয় নিষিদ্ধ করার চেয়ে বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করা খাবার ও পানীয়তে চিনির পরিমাণ কমানো হলে আমেরিকানদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমবে। এই নতুন মডেল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় চিনি ও লবণ ব্যবহার নীতি পুনর্গঠনের সময় বিবেচনা করা হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল সল্ট অ্যান্ড সুগার রিডাকশন পলিসি কার্যকর হলে আগামী দশ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের মোট স্বাস্থ্য ব্যয় কমে যাবে ৪২৮ কোটি ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ থেকে ৭৯ বছর বয়সীদের জীবনব্যাপী স্বাস্থ্যের ব্যয়ের ক্ষেত্রে ১১ হাজার ৮০৪ কোটি ডলার সাশ্রয় হবে।
গবেষকেরা বলছেন, চিনির ব্যবহার কমানোর নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য, নরওয়ে এবং সিঙ্গাপুরের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রস্তাবিত এনএসএসআরআই নীতির লক্ষ্য অর্জিত হলে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত চিনি ব্যবহারের ফলে তৈরি হওয়া জটিল রোগ থেকে তার নাগরিকদের বাঁচাতে পারবে।
এই গবেষণার জ্যেষ্ঠ সহকারী লেখক ও টাফস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রিডম্যান স্কুল অব নিউট্রিশন অ্যান্ড সায়েন্সের ডিন দারিয়ুস মোজাফফারিয়ান বলছেন, খাবারে চিনির পরিমাণ কমানোর লক্ষ্য অর্জন করতে হলে এখনই এনএসএসআরআই নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। এই নীতি বাস্তবায়ন হলে আগামী এক দশকেরও কম সময়ে স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য বৈষম্য এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের ক্ষেত্রে বড় উন্নতি ঘটবে।
এ দেশে কী হাল
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিষ্ট শায়লা শারমীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে কোনো প্যাকেটজাত খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ এই খাবারগুলো কোনো না কোন প্রিজারভেটিভ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। যদিও একটা মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ দেওয়া থাকে।
এই বিশেষজ্ঞ জানান, প্যাকেটজাত খাবারে প্রিজারভেটিভ হিসেবে তেল, চিনি বা লবণ ব্যবহার করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে অন্য কোনো প্রিজারভেটিভ দিয়ে এগুলো সংরক্ষণ করা হয়।
শায়লা শারমীন বলেন, ‘এর মধ্যে চিনি হলো উচ্চমাত্রার রিফাইনড সুগার। এটি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় এবং রক্তের সঙ্গে খুব দ্রুত মিশে যায়। মানুষের শরীরে চিনির প্রয়োজন আছে ঠিকই। তবে প্যাকেটজাত খাবার বা অন্য কোনো মাধ্যমে আমাদের দেহে বাড়তি চিনি ঢুকলে, তা মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া অতিরিক্ত চিনি মেদ বাড়ায় এবং শরীরে অস্থিরতা তৈরি করে।’
অন্যদিকে মানবদেহে অতিরিক্ত লবণ ইডিমা, কিডনিতে পাথর, উচ্চ রক্তচাপ ও অস্টিওথেরাইটিস তৈরি করে বলে জানান শায়লা শারমীন। তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া এটি হৃদযন্ত্রের জটিলতাও বাড়ায়। প্যাকেটজাত খাবারে প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহৃত চিনি, লবণ ও তেল আমাদের শরীরে এই প্রভাবগুলো ফেলছে।’
এই পুষ্টিবিদ মনে করেন, নিজেদের সময় বাঁচাতে গিয়ে শহর–গ্রামের মানুষ ক্রমশ বাইরের প্যাকেটজাত খাবারের দিকে ঝুঁকছে। এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ ছাড়া দেশের বাজারে থাকা প্যাকেটজাত খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তাই এ জন্য নিজেদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই।
বর্তমানে শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষও নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে প্যাকেটজাত বিভিন্ন খাবারের ওপর। এ ছাড়া হরহামেশাই সব বয়সী মানুষ খাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কোমলপানীয়। তবে বিদেশি গবেষণায় দেখা গেছে, এসব প্যাকেটজাত খাবার ও কোমলপানীয়তে ব্যবহৃত বাড়তি চিনি বাড়াচ্ছে মৃত্যুঝুঁকি।
বিশ্ববাজারে এখন প্যাকেটজাত নানা ধরনের খাবার রয়েছে। এর মধ্যে চিপস, নুডুলস, বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট, কেক, রেডিমেড প্যাকেট ফুড উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কোমল পানীয় রয়েছে। এসব প্যাকেটজাত খাবার ও কোমলপানীয়তে ব্যবহৃত অতিরিক্ত চিনি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকেরা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্যাকেটজাত খাবারের বাড়তি চিনির কারণে হৃদ্রোগ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গবেষকেরা বলছেন, প্যাকেটজাত খাবারে ব্যবহৃত চিনির ২০ শতাংশ এবং কোমল পানীয়ের ব্যবহৃত চিনির ৪০ শতাংশ কমাতে পারলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ২৪ লাখ ৮০ হাজারটি ঘটনা কমানো সম্ভব। একই সঙ্গে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সাড়ে ৭ লাখ ঘটনা রোধ করা সম্ভব। এ ছাড়া হৃদরোগ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর মারা যাওয়া ৪ লাখ ৯০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাবিষয়ক অনলাইন পত্রিকা সাইন্স ডেইলির এক প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, চিনিযুক্ত খাদ্য ও কোমল পানীয় গ্রহণ করার কারণে সৃষ্ট স্থূলতা, টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। এ ছাড়া মার্কিন মুলুকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচজন ব্যক্তির মধ্যে দুজনের বেশি স্থূলতা, প্রতি দুজনের মধ্যে একজনের ডায়াবেটিস অথবা ডায়াবেটিস পূর্ব অবস্থায় এবং দুজনের মধ্যে প্রায় একজন হৃদ্রোগ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়। এর ফলে মার্কিন সমাজের নিম্ন আয়ের পরিবারের মানুষদের নানা ধরণের আর্থিক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল, টাফস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রিডম্যান স্কুল অব নিউট্রিশন এন্ড সায়েন্স পলিসি, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও নিউইয়র্ক সিটির হেলথ অ্যান্ড মেন্টাল হাইজিন ডিপার্টমেন্ট চিনি ও লবণের ব্যবহার কমানোর জন্য একটি মডেল তৈরি করেছেন। তাদের লক্ষ্য, ধীরে ধীরে শিল্প কারখানায় উৎপাদিত প্যাকেটজাত খাদ্যে চিনির ব্যবহার কমানো। এই মডেল যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তাবিত ন্যাশনাল সুগার অ্যান্ড সল্ট রিডাকশন ইনিশিয়েটিভ (এনএসএসআরআই) নীতির প্রভাব নিয়েও কাজ করছে।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট গবেষক দলের প্রধান সিয়ি শাংগুয়ান বলেন, ন্যাশনাল সুগার অ্যান্ড সল্ট রিডাকশন ইনিশিয়েটিভ (এনএসএসআরআই) নীতি বিশ্বের সবচেয়ে বাস্তবায়নযোগ্য, বিস্তৃত ও পরিকল্পিত নীতি। চিনির ওপর কর আরোপ, চিনিযুক্ত সামগ্রী চিহ্নিত করা অথবা স্কুলে চিনিযুক্ত পানীয় নিষিদ্ধ করার চেয়ে বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করা খাবার ও পানীয়তে চিনির পরিমাণ কমানো হলে আমেরিকানদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমবে। এই নতুন মডেল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় চিনি ও লবণ ব্যবহার নীতি পুনর্গঠনের সময় বিবেচনা করা হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল সল্ট অ্যান্ড সুগার রিডাকশন পলিসি কার্যকর হলে আগামী দশ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের মোট স্বাস্থ্য ব্যয় কমে যাবে ৪২৮ কোটি ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ থেকে ৭৯ বছর বয়সীদের জীবনব্যাপী স্বাস্থ্যের ব্যয়ের ক্ষেত্রে ১১ হাজার ৮০৪ কোটি ডলার সাশ্রয় হবে।
গবেষকেরা বলছেন, চিনির ব্যবহার কমানোর নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য, নরওয়ে এবং সিঙ্গাপুরের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রস্তাবিত এনএসএসআরআই নীতির লক্ষ্য অর্জিত হলে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত চিনি ব্যবহারের ফলে তৈরি হওয়া জটিল রোগ থেকে তার নাগরিকদের বাঁচাতে পারবে।
এই গবেষণার জ্যেষ্ঠ সহকারী লেখক ও টাফস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রিডম্যান স্কুল অব নিউট্রিশন অ্যান্ড সায়েন্সের ডিন দারিয়ুস মোজাফফারিয়ান বলছেন, খাবারে চিনির পরিমাণ কমানোর লক্ষ্য অর্জন করতে হলে এখনই এনএসএসআরআই নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। এই নীতি বাস্তবায়ন হলে আগামী এক দশকেরও কম সময়ে স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য বৈষম্য এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের ক্ষেত্রে বড় উন্নতি ঘটবে।
এ দেশে কী হাল
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিষ্ট শায়লা শারমীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে কোনো প্যাকেটজাত খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ এই খাবারগুলো কোনো না কোন প্রিজারভেটিভ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। যদিও একটা মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ দেওয়া থাকে।
এই বিশেষজ্ঞ জানান, প্যাকেটজাত খাবারে প্রিজারভেটিভ হিসেবে তেল, চিনি বা লবণ ব্যবহার করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে অন্য কোনো প্রিজারভেটিভ দিয়ে এগুলো সংরক্ষণ করা হয়।
শায়লা শারমীন বলেন, ‘এর মধ্যে চিনি হলো উচ্চমাত্রার রিফাইনড সুগার। এটি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় এবং রক্তের সঙ্গে খুব দ্রুত মিশে যায়। মানুষের শরীরে চিনির প্রয়োজন আছে ঠিকই। তবে প্যাকেটজাত খাবার বা অন্য কোনো মাধ্যমে আমাদের দেহে বাড়তি চিনি ঢুকলে, তা মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া অতিরিক্ত চিনি মেদ বাড়ায় এবং শরীরে অস্থিরতা তৈরি করে।’
অন্যদিকে মানবদেহে অতিরিক্ত লবণ ইডিমা, কিডনিতে পাথর, উচ্চ রক্তচাপ ও অস্টিওথেরাইটিস তৈরি করে বলে জানান শায়লা শারমীন। তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া এটি হৃদযন্ত্রের জটিলতাও বাড়ায়। প্যাকেটজাত খাবারে প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহৃত চিনি, লবণ ও তেল আমাদের শরীরে এই প্রভাবগুলো ফেলছে।’
এই পুষ্টিবিদ মনে করেন, নিজেদের সময় বাঁচাতে গিয়ে শহর–গ্রামের মানুষ ক্রমশ বাইরের প্যাকেটজাত খাবারের দিকে ঝুঁকছে। এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ ছাড়া দেশের বাজারে থাকা প্যাকেটজাত খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তাই এ জন্য নিজেদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই।
গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যে রয়েছে ‘থ্যালেটস’ (Phthalates) নামক রাসায়নিক পদার্থ। আর এই থ্যালেটস কোনো নির্বিরোধী রাসায়নিক উপাদান নয়। এর কারণে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। থ্যালেটসের সংস্পর্শে আসার কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবর
১০ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
১ দিন আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
১ দিন আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১ দিন আগে