শরীরের গঠন ঠিক রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শরীরচর্চার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এবার শরীরচর্চার আরও একটি সুফল খুঁজে পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা। তাঁরা ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখতে পান, শরীরচর্চার মাধ্যমে মস্তিষ্কের বয়সও কমানো সম্ভব!
শারীরিক কার্যকলাপ কীভাবে মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধক কোষগুলো পুনরুজ্জীবিত করে ও নিউরোজেনেসিস প্রক্রিয়াকে (নতুন নিউরন তৈরির প্রক্রিয়া) উন্নত করে বুদ্ধিবৃত্তিক অবক্ষয়কে রোধ বা ধীর করে দিতে পারে তা এই গবেষণায় আলোকপাত করা হয়েছে।
মস্তিষ্কের জটিল কাজগুলোর পর্যবেক্ষণ ও প্রতিটি কোষে জিনের অভিব্যক্তি মূল্যায়ন করে এসব ফলাফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে ইঁদুরের মাইক্রোগ্লিয়ার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে গবেষক দলটি। মাইক্রোগ্লিয়া কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ রোগ প্রতিরোধী কোষ যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে কাজ করে।
গবেষণায় দেখা যায়, শরীরচর্চা মাইক্রোগ্লিয়াতে জিনের অভিব্যক্তিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে, কার্যকরভাবে বয়স–সম্পর্কিত পরিবর্তনগুলোকে উল্টে দেয় ও পুরোনো মাইক্রোগ্লিয়ায় নতুন মাইক্রোগ্লিয়ার মতো বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
শরীরচর্চার ইতিবাচক প্রভাবে মাইক্রোগ্লিয়া মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাসে নতুন নিউরন তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্মৃতি সংরক্ষণ, শেখা ও আবেগের জন্য অপরিহার্য একটি অঞ্চল হলো হিপ্পোক্যাম্পাস।
তবে শরীরচর্চার প্রভাব এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। গবেষকেরা দেখেন, ইঁদুরকে ট্রেড হুইলে (চলমান চাকা) নিয়মিত দৌড়াতে দেওয়া হলে বার্ধক্যের সময় হিপ্পোক্যাম্পাসে টি সেলের (মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি কোষ) উপস্থিতি বাধাগ্রস্ত হয় বা কমে যায়।
সাধারণত কম বয়সী মস্তিষ্কে টি সেল অনুপস্থিত থাকে। মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোষগুলোর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। ফলে বয়স–সম্পর্কিত বুদ্ধিবৃত্তিক অবক্ষয়ে ভূমিকা রাখে।
মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বার্ধক্যজনিত নেতিবাচক প্রভাবগুলো বিপরীতমুখী করতে শারীরিক কার্যকলাপের ওপর জোর দিয়েছেন গবেষণার সহ-লেখক অধ্যাপক জনা ভুকোভিচ।
জীবনযাপনের অভ্যাসগুলো কীভাবে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক জনসংখ্যার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়স্ক ব্যক্তিদের সমর্থনে ও বয়স–সম্পর্কিত বুদ্ধিবৃত্তিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার কৌশল বিকাশের ক্ষেত্রে এসব তথ্য ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
গবেষকেরা আশা করেন, এই গবেষণার ফলাফল বয়স্ক ব্যক্তিদের বুদ্ধিবৃত্তিক বৈশিষ্ট্য ও সামগ্রিক সুস্থতা বাড়ানোর লক্ষ্যে উপযোগী শরীরচর্চাগুলো ভবিষ্যতের গবেষণার পথ প্রশস্ত করবে।
ভুকোভিচ বলেন, ‘যেসব বয়স্ক ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিক উভয় সক্ষমতা বজায় রাখতে বা উন্নত করতে চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য কার্যসূচি তৈরিতে বিভিন্ন শিল্পকে সাহায্য করবে এই গবেষণার ফলাফল।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস
শরীরের গঠন ঠিক রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শরীরচর্চার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এবার শরীরচর্চার আরও একটি সুফল খুঁজে পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা। তাঁরা ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখতে পান, শরীরচর্চার মাধ্যমে মস্তিষ্কের বয়সও কমানো সম্ভব!
শারীরিক কার্যকলাপ কীভাবে মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধক কোষগুলো পুনরুজ্জীবিত করে ও নিউরোজেনেসিস প্রক্রিয়াকে (নতুন নিউরন তৈরির প্রক্রিয়া) উন্নত করে বুদ্ধিবৃত্তিক অবক্ষয়কে রোধ বা ধীর করে দিতে পারে তা এই গবেষণায় আলোকপাত করা হয়েছে।
মস্তিষ্কের জটিল কাজগুলোর পর্যবেক্ষণ ও প্রতিটি কোষে জিনের অভিব্যক্তি মূল্যায়ন করে এসব ফলাফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে ইঁদুরের মাইক্রোগ্লিয়ার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে গবেষক দলটি। মাইক্রোগ্লিয়া কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ রোগ প্রতিরোধী কোষ যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে কাজ করে।
গবেষণায় দেখা যায়, শরীরচর্চা মাইক্রোগ্লিয়াতে জিনের অভিব্যক্তিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে, কার্যকরভাবে বয়স–সম্পর্কিত পরিবর্তনগুলোকে উল্টে দেয় ও পুরোনো মাইক্রোগ্লিয়ায় নতুন মাইক্রোগ্লিয়ার মতো বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
শরীরচর্চার ইতিবাচক প্রভাবে মাইক্রোগ্লিয়া মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাসে নতুন নিউরন তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্মৃতি সংরক্ষণ, শেখা ও আবেগের জন্য অপরিহার্য একটি অঞ্চল হলো হিপ্পোক্যাম্পাস।
তবে শরীরচর্চার প্রভাব এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। গবেষকেরা দেখেন, ইঁদুরকে ট্রেড হুইলে (চলমান চাকা) নিয়মিত দৌড়াতে দেওয়া হলে বার্ধক্যের সময় হিপ্পোক্যাম্পাসে টি সেলের (মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি কোষ) উপস্থিতি বাধাগ্রস্ত হয় বা কমে যায়।
সাধারণত কম বয়সী মস্তিষ্কে টি সেল অনুপস্থিত থাকে। মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোষগুলোর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। ফলে বয়স–সম্পর্কিত বুদ্ধিবৃত্তিক অবক্ষয়ে ভূমিকা রাখে।
মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বার্ধক্যজনিত নেতিবাচক প্রভাবগুলো বিপরীতমুখী করতে শারীরিক কার্যকলাপের ওপর জোর দিয়েছেন গবেষণার সহ-লেখক অধ্যাপক জনা ভুকোভিচ।
জীবনযাপনের অভ্যাসগুলো কীভাবে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক জনসংখ্যার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়স্ক ব্যক্তিদের সমর্থনে ও বয়স–সম্পর্কিত বুদ্ধিবৃত্তিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার কৌশল বিকাশের ক্ষেত্রে এসব তথ্য ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
গবেষকেরা আশা করেন, এই গবেষণার ফলাফল বয়স্ক ব্যক্তিদের বুদ্ধিবৃত্তিক বৈশিষ্ট্য ও সামগ্রিক সুস্থতা বাড়ানোর লক্ষ্যে উপযোগী শরীরচর্চাগুলো ভবিষ্যতের গবেষণার পথ প্রশস্ত করবে।
ভুকোভিচ বলেন, ‘যেসব বয়স্ক ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিক উভয় সক্ষমতা বজায় রাখতে বা উন্নত করতে চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য কার্যসূচি তৈরিতে বিভিন্ন শিল্পকে সাহায্য করবে এই গবেষণার ফলাফল।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস
দাওয়াতে গেলেন, খাবারের আয়োজন বেশ। মাছ-মাংস সবই খেলেন। খাওয়া শেষে একটু দই না খেলে কি হয়? খাওয়ার পরে দই খাওয়া আমাদের খাদ্য-সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আপনি জেনে আঁতকে উঠতে পারেন যে এই মাছ-মাংস খাওয়ার সঙ্গে দই খাওয়া শরীর-বিরুদ্ধ। এটি আপনার শরীরে কফ তৈরি করবে, হজমে গন্ডগোল পাকাবে।
১ ঘণ্টা আগেআধুনিক জীবনে আমরা সবাই বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে কম-বেশি সচেতন। ত্বক, চুল কিংবা পোশাকপরিচ্ছদের নিয়মিত যত্ন করি। কিন্তু দাঁত ও মুখগহ্বরের যত্নে সচেতনতার অভাব দেখা যায়। এই অবহেলা আমাদের জন্য ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলতে পারে। শুধু দাঁতের ক্ষয় বা মাড়ির ব্যথাই নয়, দাঁতের ইনফেকশন থেকে সরাসরি হৃদ্রোগ পর্যন্ত
১ ঘণ্টা আগেকর্মক্ষেত্রে উন্নতির জন্য মানসিকভাবে ভালো থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ কাজ করে। আমরা যেখানে কাজ করি তা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত করতে পারে। যেহেতু আমাদের জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আমরা কর্মক্ষেত্রে ব্যয় করি।
২ ঘণ্টা আগেঅ্যাট্রোফিক রাইনাইটিসের ফলে নাকের ভেতরের চামড়া (মিউকোসা) ও ভেতরের হাড়ের কাঠামো (টারবিনেট) নষ্ট হয়ে যায়। এটি সাধারণত ক্লেবশিয়েলা ওজানিয়া নামের জীবাণুর কারণে হয়। এই রোগে নাকের ভেতরের রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শুকিয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে মরে যেতে থাকে। একই সঙ্গে নাকের দুই পাশে ঢাকনার মতো থাকা হাড়গুলো ক্ষয়ে
২ ঘণ্টা আগে