মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই অনেকটাই নেমে আসবে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে তা আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলো মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ুর চেয়েও কমে যাবে। বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের প্রত্যাশিত আয়ু ভবিষ্যতে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ৬৬ তম স্থানে নেমে আসবে।
বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হওয়ার পরও প্রায় ৫০টি দেশের মানুষের তুলনায় অনেক কম বয়সেই মারা যায়। তবে ‘স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জের উদ্বেগজনক ধারা’—যার মধ্যে রয়েছে ব্যাপক স্থূলতা, মাদক ব্যবহার এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে আত্মহত্যা—আরও বড় ব্যবধান সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষ ও নারীদের গড় আয়ুষ্কাল ছিল ৭৮.৩ বছর। ২০৩৫ সালে এটি হবে ৭৯.৯ বছর এবং ২০৫০ সালে ৮০.৪ বছরে পৌঁছাবে। এটি হবে মূলত চিকিৎসায় অগ্রগতির কারণে। যেখানে চিকিৎসকেরা ক্যানসার এবং হৃদ্রোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলো শনাক্ত ও চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে আরও দক্ষ হচ্ছেন। তবে এটি অন্যান্য দেশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে ছোট একটি বৃদ্ধি।
এই গবেষণার জন্য ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের ওপর শতাধিক রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রভাব মূল্যায়ন করেছেন এবং ২০০ টিরও বেশি দেশের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাদের মডেলগুলো দেখাচ্ছে যে,২০৫০ সালের মধ্যে সাব-সাহারান অঞ্চলের কিছু দেশ যেমন: নাইজেরিয়া, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ যেমন: সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং ইয়েমেনের মানুষদের গড় আয়ু যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় আরও বেশি হারে বাড়বে। এমনকি আলজেরিয়া, মরক্কো এবং তিউনিসিয়ার মতো দেশগুলোর মানুষের প্রত্যাশিত যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের কাছাকাছি বা তার চেয়ে বেশি হবে।
গবেষণার প্রধান গবেষক ড. স্টেইন এমিল ভোলসেট বলেছেন, ‘২০২২ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে দ্রুত পতন গম্ভীর সংকেত দেয়।’ তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে পথ পরিবর্তন করতে হবে এবং নতুন এবং আরও কার্যকর স্বাস্থ্য কৌশল এবং নীতিমালা তৈরি করতে হবে যাতে ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জগুলো দ্রুত মোকাবিলা করা যায়।
যদিও এমন পরিস্থিতিতে যেখানে সেরা স্বাস্থ্য অনুশীলনগুলি গ্রহণ করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সব স্বাস্থ্যঝুঁকি পুরোপুরি নির্মূল হবে, তবুও এটি কানাডা, ভারত এবং চীনের মতো অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে থাকবে, যদিও তারা কিছুই পরিবর্তন না করলেও।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে সবচেয়ে বেশি স্থূলতার দেশ। যা অনেক দীর্ঘস্থায়ী এবং মারাত্মক রোগ যেমন—হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার এবং কিডনি রোগের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি। স্থূলতার হার বাড়ার ফলে আগামী তিন দশক এবং তার পরেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশিত আয়ুর ধারা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের পরিচালক ড. ক্রিস্টোফার মারে বলেছেন, ‘মোট জীবনকাল বৃদ্ধি হলেও আমাদের মডেলগুলো ভবিষ্যদ্বাণী করছে যে, স্বাস্থ্যগত উন্নতি ধীর হবে, কারণ স্থূলতার হার দ্রুত বাড়ছে। যা অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের জন্য গুরুতর ঝুঁকি, এবং তা এমন স্তরে পৌঁছাবে যা আগে কখনো দেখা যায়নি।’ তিনি জানান, ২০৫০ সালের মধ্যে ২৬০ মিলিয়ন আমেরিকান স্থূল বা অতিরিক্ত ওজনের হবে, যা ‘ব্যাপক জনস্বাস্থ্য সংকটের’ সংকেত দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই অনেকটাই নেমে আসবে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে তা আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলো মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ুর চেয়েও কমে যাবে। বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের প্রত্যাশিত আয়ু ভবিষ্যতে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ৬৬ তম স্থানে নেমে আসবে।
বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হওয়ার পরও প্রায় ৫০টি দেশের মানুষের তুলনায় অনেক কম বয়সেই মারা যায়। তবে ‘স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জের উদ্বেগজনক ধারা’—যার মধ্যে রয়েছে ব্যাপক স্থূলতা, মাদক ব্যবহার এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে আত্মহত্যা—আরও বড় ব্যবধান সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষ ও নারীদের গড় আয়ুষ্কাল ছিল ৭৮.৩ বছর। ২০৩৫ সালে এটি হবে ৭৯.৯ বছর এবং ২০৫০ সালে ৮০.৪ বছরে পৌঁছাবে। এটি হবে মূলত চিকিৎসায় অগ্রগতির কারণে। যেখানে চিকিৎসকেরা ক্যানসার এবং হৃদ্রোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলো শনাক্ত ও চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে আরও দক্ষ হচ্ছেন। তবে এটি অন্যান্য দেশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে ছোট একটি বৃদ্ধি।
এই গবেষণার জন্য ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের ওপর শতাধিক রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রভাব মূল্যায়ন করেছেন এবং ২০০ টিরও বেশি দেশের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাদের মডেলগুলো দেখাচ্ছে যে,২০৫০ সালের মধ্যে সাব-সাহারান অঞ্চলের কিছু দেশ যেমন: নাইজেরিয়া, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ যেমন: সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং ইয়েমেনের মানুষদের গড় আয়ু যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় আরও বেশি হারে বাড়বে। এমনকি আলজেরিয়া, মরক্কো এবং তিউনিসিয়ার মতো দেশগুলোর মানুষের প্রত্যাশিত যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের কাছাকাছি বা তার চেয়ে বেশি হবে।
গবেষণার প্রধান গবেষক ড. স্টেইন এমিল ভোলসেট বলেছেন, ‘২০২২ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে দ্রুত পতন গম্ভীর সংকেত দেয়।’ তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে পথ পরিবর্তন করতে হবে এবং নতুন এবং আরও কার্যকর স্বাস্থ্য কৌশল এবং নীতিমালা তৈরি করতে হবে যাতে ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জগুলো দ্রুত মোকাবিলা করা যায়।
যদিও এমন পরিস্থিতিতে যেখানে সেরা স্বাস্থ্য অনুশীলনগুলি গ্রহণ করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সব স্বাস্থ্যঝুঁকি পুরোপুরি নির্মূল হবে, তবুও এটি কানাডা, ভারত এবং চীনের মতো অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে থাকবে, যদিও তারা কিছুই পরিবর্তন না করলেও।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে সবচেয়ে বেশি স্থূলতার দেশ। যা অনেক দীর্ঘস্থায়ী এবং মারাত্মক রোগ যেমন—হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার এবং কিডনি রোগের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি। স্থূলতার হার বাড়ার ফলে আগামী তিন দশক এবং তার পরেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশিত আয়ুর ধারা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের পরিচালক ড. ক্রিস্টোফার মারে বলেছেন, ‘মোট জীবনকাল বৃদ্ধি হলেও আমাদের মডেলগুলো ভবিষ্যদ্বাণী করছে যে, স্বাস্থ্যগত উন্নতি ধীর হবে, কারণ স্থূলতার হার দ্রুত বাড়ছে। যা অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের জন্য গুরুতর ঝুঁকি, এবং তা এমন স্তরে পৌঁছাবে যা আগে কখনো দেখা যায়নি।’ তিনি জানান, ২০৫০ সালের মধ্যে ২৬০ মিলিয়ন আমেরিকান স্থূল বা অতিরিক্ত ওজনের হবে, যা ‘ব্যাপক জনস্বাস্থ্য সংকটের’ সংকেত দেয়।
আশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১০ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১ দিন আগেভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে; বিশেষ করে হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, বিষণ্নতাজনিত রোগ, রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া, হাড় ক্ষয়, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, কম ওজনে জন্ম নেওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব
১ দিন আগে