শায়লা শারমীন
সম্পর্ক
আমি ও আমার স্বামী দুজনই পেশায় চিকিৎসক। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমি জানতে পারি সে মাদকাসক্ত এবং বিয়ের আগে তার একাধিক মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। ‘নেশাগ্রস্ত অবস্থায়’ বহুবার সে আমার গায়ে হাত তোলে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রথম দিকে কাউকে কিছু জানাইনি। কিন্তু একবার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আমার পরিবার বিষয়টি জেনে যায় এবং আমাকে সম্পর্কটি থেকে বের করার চেষ্টা করে। তবে আমি ডিভোর্স নেওয়ার মতো মানসিক শক্তি পাই না। তাকে আমি তার অতীতের সবকিছু মেনে নিয়ে আমার সম্পূর্ণটা দিয়ে ভালোবেসেছি। কিন্তু সে এখনো তার সাবেককে ভুলতে পারেনি।
দৈহিক সম্পর্কের বাইরে আমাদের দুজনের মধ্যে কোনো মানসিক সম্পর্ক নেই। এক বছর ধরে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার সহ্য করে এখন দিশেহারা লাগে। নিজের ক্যারিয়ারের দিকেও মনোযোগ দিতে পারছি না। আমার কী করা উচিত?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
মাদকাসক্তি একটি ব্যাধি। আপনি নিজে চিকিৎসক হিসেবে জানেন, আসক্ত ব্যক্তির ইচ্ছা ছাড়া কোনোভাবেই সেখান থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। তারপরও ভদ্রলোক বহুগামিতা দোষে দুষ্ট। সেখান থেকে যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সম্পর্কেও আপনি অবগত। আপনার স্বামী বর্তমানে যদি ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক নিয়ে থাকেন, তাহলে সংযত হলেও যৌন রোগে সংক্রমিত হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে।
একটা জিনিস মনে রাখা দরকার, মাদক ধরার জন্য কারও সাবেক কখনোই দায়ী নয়। কাজেই আপনার স্বামীকে প্রয়োজনে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা করান।
আপনার নিজে ঘুরে দাঁড়ানো খুব জরুরি। যদি আপনার স্বামী আপনার জীবনে না থাকেন, তাহলে কীভাবে সামনের দিকে এগোবেন—সেটাও ভাবা দরকার। এ অবস্থায় আপনার সন্তান ধারণ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একমাত্র ক্যারিয়ারই আপনার বন্ধু, যা আপনাকে কখনোই পথভ্রষ্ট করবে না। তাই নিজের পেশাগত জীবন ক্ষতির মুখে ফেলবেন না। নিজেকে নিজের মতো করে গুছিয়ে নিন। মনে সাহস রাখুন।
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
চিকিৎসক, কাউন্সিলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার
ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার
স্বাস্থ্য
আমার মেয়ের বয়স ৭ বছর ৫ মাস। ওজন ৪০ কেজি, যা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। কী করলে স্বাস্থ্য কমানো সম্ভব? পরামর্শ চাই।
আয়শা খানম
নালিতাবাড়ী, শেরপুর
অতিরিক্ত ওজন কমানোর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন হলো শিশুদের ওজন কমানো। কারণ, শিশুর বাড়ন্ত বয়সে নিয়ম করে স্বল্প আহারের ছকে বেঁধে দেওয়া খুব কঠিন কাজ। তারপরও স্কুলে যাওয়া শিশু হিসেবে তার খেলাধুলা ও কায়িক শ্রম বাড়াতে হবে। বাইরের সব খাবার ও ফাস্টফুড বন্ধ করে ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ান। চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে শাকসবজি, সালাদ, মাছ, ডিম সেদ্ধ, কম মিষ্টি ফল রাখুন। প্রতিদিন নিয়ম করে মেয়েকে ৩০ মিনিট হাঁটাবেন। সম্ভব হলে সাঁতার কাটাবেন। টিফিনে কখনোই প্যাকেটজাত খাবার দেবেন না; বরং ফল বা ফল-সবজি দিন।
শায়লা শারমীন
সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ঢাকা
সম্পর্ক
আমি ও আমার স্বামী দুজনই পেশায় চিকিৎসক। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমি জানতে পারি সে মাদকাসক্ত এবং বিয়ের আগে তার একাধিক মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। ‘নেশাগ্রস্ত অবস্থায়’ বহুবার সে আমার গায়ে হাত তোলে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রথম দিকে কাউকে কিছু জানাইনি। কিন্তু একবার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আমার পরিবার বিষয়টি জেনে যায় এবং আমাকে সম্পর্কটি থেকে বের করার চেষ্টা করে। তবে আমি ডিভোর্স নেওয়ার মতো মানসিক শক্তি পাই না। তাকে আমি তার অতীতের সবকিছু মেনে নিয়ে আমার সম্পূর্ণটা দিয়ে ভালোবেসেছি। কিন্তু সে এখনো তার সাবেককে ভুলতে পারেনি।
দৈহিক সম্পর্কের বাইরে আমাদের দুজনের মধ্যে কোনো মানসিক সম্পর্ক নেই। এক বছর ধরে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার সহ্য করে এখন দিশেহারা লাগে। নিজের ক্যারিয়ারের দিকেও মনোযোগ দিতে পারছি না। আমার কী করা উচিত?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
মাদকাসক্তি একটি ব্যাধি। আপনি নিজে চিকিৎসক হিসেবে জানেন, আসক্ত ব্যক্তির ইচ্ছা ছাড়া কোনোভাবেই সেখান থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। তারপরও ভদ্রলোক বহুগামিতা দোষে দুষ্ট। সেখান থেকে যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সম্পর্কেও আপনি অবগত। আপনার স্বামী বর্তমানে যদি ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক নিয়ে থাকেন, তাহলে সংযত হলেও যৌন রোগে সংক্রমিত হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে।
একটা জিনিস মনে রাখা দরকার, মাদক ধরার জন্য কারও সাবেক কখনোই দায়ী নয়। কাজেই আপনার স্বামীকে প্রয়োজনে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা করান।
আপনার নিজে ঘুরে দাঁড়ানো খুব জরুরি। যদি আপনার স্বামী আপনার জীবনে না থাকেন, তাহলে কীভাবে সামনের দিকে এগোবেন—সেটাও ভাবা দরকার। এ অবস্থায় আপনার সন্তান ধারণ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একমাত্র ক্যারিয়ারই আপনার বন্ধু, যা আপনাকে কখনোই পথভ্রষ্ট করবে না। তাই নিজের পেশাগত জীবন ক্ষতির মুখে ফেলবেন না। নিজেকে নিজের মতো করে গুছিয়ে নিন। মনে সাহস রাখুন।
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
চিকিৎসক, কাউন্সিলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার
ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার
স্বাস্থ্য
আমার মেয়ের বয়স ৭ বছর ৫ মাস। ওজন ৪০ কেজি, যা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। কী করলে স্বাস্থ্য কমানো সম্ভব? পরামর্শ চাই।
আয়শা খানম
নালিতাবাড়ী, শেরপুর
অতিরিক্ত ওজন কমানোর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন হলো শিশুদের ওজন কমানো। কারণ, শিশুর বাড়ন্ত বয়সে নিয়ম করে স্বল্প আহারের ছকে বেঁধে দেওয়া খুব কঠিন কাজ। তারপরও স্কুলে যাওয়া শিশু হিসেবে তার খেলাধুলা ও কায়িক শ্রম বাড়াতে হবে। বাইরের সব খাবার ও ফাস্টফুড বন্ধ করে ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ান। চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে শাকসবজি, সালাদ, মাছ, ডিম সেদ্ধ, কম মিষ্টি ফল রাখুন। প্রতিদিন নিয়ম করে মেয়েকে ৩০ মিনিট হাঁটাবেন। সম্ভব হলে সাঁতার কাটাবেন। টিফিনে কখনোই প্যাকেটজাত খাবার দেবেন না; বরং ফল বা ফল-সবজি দিন।
শায়লা শারমীন
সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, ঢাকা
অনেক বছর ধরে স্থূলতাকে একক রোগ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি উঠেছে। কারণ এটি শুধু ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, স্ট্রোক কিংবা কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় না, স্থূলতা নিজেও এমন একটি স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য সমস্যা, যার আলাদাভাবে চিকিৎসা প্রয়োজন।
৭ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৩৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে চিকিৎসাধীন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেপিতৃত্বকালীন ছুটির প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না আলাদা পিতৃত্বকালীন ছুটি দরকার আছে। ছুটি যদি দিতে হয়, তাহলে বাবারও শিশুকে সময় দিতে হবে।’ আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে
১ দিন আগেবাংলাদেশ, ভারতসহ পুরো উপমহাদেশে ‘আম’-এর আবেদন আলাদা। কিন্তু এই উপমহাদেশে বেশ সাধারণ একটি রোগ—ডায়াবেটিস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ৭ কোটি ৭০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, এবং আরও প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ প্রি-ডায়াবেটিস অবস্থায় আছে, যাদের ডায়াবেটিস
১ দিন আগে