অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

ডায়াবেটিস রোগ ভয়াবহ আকারে বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। অনেকেই জানেন না তাঁদের মধ্যে লুকিয়ে আছে রোগটি। এ বিষয়ে সচেতনতা তাই খুব প্রয়োজন। বিশ্বে যে ১০টি দেশে ডায়াবেটিস বেশি, আমাদের দেশ তার মধ্যে একটি। বিশ্বে যেসব দেশে উচ্চ হারে ডায়াবেটিস বাড়ছে, সেসব দেশের মধ্যে প্রথম দিকে আছে চীন, ভারত আর বাংলাদেশ।
নানা গবেষণায় দেখা যায়, অসুস্থতা আর মৃত্যুর হারে বড় ভূমিকা রাখে ডায়াবেটিস। এর মোকাবিলায় যা বোঝার বিষয়, একে নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ বড় কথা নয়। ওষুধের সঙ্গে জীবনশৈলীর সামঞ্জস্য বিধান করা বড় বিষয়। ডায়াবেটিস হতে পারে এমন শঙ্কা হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। আমরা জেনেছি, বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ৯০-৯৫ শতাংশ হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস। এঁদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ মারা যান হৃদ্রোগে। কিছু স্ট্রোকেও মারা যান। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রক্তচাপ ও লিপিড নিয়ন্ত্রণও আবশ্যক। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ৫০ শতাংশের কোনো লক্ষণ থাকে না। তাই তাঁরা যখন চিকিৎসকের কাছে যান, তত দিনে আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ-ছয় বছর পার হয়ে যায়।
যারা আক্রান্ত হতে পারে
স্থুল মানুষ, পরিবারে কারও ডায়াবেটিস থাকলে, শরীরচর্চা না করলে, স্ট্রেস থাকলে ডায়াবেটিসের প্রবণতা বেশি থাকে। অনেক রোগী আক্রান্ত হলে বিষণ্ণতায় ভোগেন,
তাই মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
প্রতিরোধে
আমরা জানি, ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনায় মহান চিকিৎসক অধ্যাপক মোহাম্মাদ ইব্রাহিমের সেই অমর বাণী, ‘ডায়েট, ড্রাগ ও ডিসিপ্লিন।’ মানে সঠিক খাদ্যবিধি, প্রয়োজনে ওষুধ আর সুশৃঙ্খল কর্মঠ জীবন ডায়াবেটিসদূরে রাখে।
যা করতে হবে
বয়স ২০ হওয়ার পর থেকে রক্তের গ্লুকোজ মেপে দেখা উচিত সবারই। যদি দেখা যায়, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, কিন্তু ডায়াবেটিসের পর্যায়ে যায়নি, সেটা ডায়াবেটিসের প্রাথমিক পর্যায়। এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্ভব আর হলেও একে বিলম্বিত করা সম্ভব। এ ছাড়া ডায়াবেটিক কেন্দ্রে গিয়ে কোনো কিছু খাওয়ার আগে রক্তের গ্লুকোজ, খাবার বা গ্লুকোজ শরবত পানের দুই ঘণ্টা পর আরেকবার নমুনায় রক্তের গ্লুকোজ মাপতে হবে। ঘরে বসে মনিটরে গ্লুকোজ মাপা যায়।
সঠিক খাদ্যবিধি
আর সঠিক খাদ্যবিধি সময়মতো আহার, বারবার কম কম
করে খাওয়া, একবারে বেশি না খাওয়া। শর্করা কম আর পরিমিত
চর্বি ও প্রোটিন খেতে হবে। খেতে হবে প্রচুর শাকসবজি। লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত, ডাল, চর্বি ছাড়া মাংস, মাছ, ডিম। আর বাদ দিতে হবে চর্বিযুক্ত মাংস, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, বেশি লবণ, বেশি চিনিসহ মিষ্টিজাতীয় খাবার।
শরীরচর্চা
আর শরীরের চর্চা। অন্তত দিনে আধা ঘণ্টা জোরে হাঁটা বা এর সঙ্গে মাঝে মাঝে ভার উত্তোলন, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, জগিং আর দড়ি লাফ।
কোভিড ও ডায়াবেটিস
এবার কোভিড আর ডায়াবেটিস এসেছে আলোচনায়। এবারের প্রতিপাদ্যও তাই ‘কোভিড ও ডায়াবেটিস, প্রতিরোধে বাঁচবে জীবন।’ রক্তে গ্লুকোজ বেশি থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। তাই মানুষ খুব সহজে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। তেমনি কোভিড থাকলেও ডায়াবেটিস জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই করোনা প্রতিরোধের জন্য যেসব স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা আছে, যেমন—মাস্ক পরা, বারবার সাবানজলে হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, সেগুলোপালন করতে হবে। জনসমাগম এড়াতে হবে। আর যাঁরা ডায়াবেটিস রোগী, তাঁরা প্রয়োজনে চিকিৎসক আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগের জন্য দরকারি তথ্য কাছে রাখুন।যাঁরা ডায়াবেটিস রোগী আর বারডেমে তালিকায় আছেন, তাঁরা ডায়াবেটিস গাইড বই কাছে রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।
যা করবেন
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকের কলেজ

ডায়াবেটিস রোগ ভয়াবহ আকারে বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। অনেকেই জানেন না তাঁদের মধ্যে লুকিয়ে আছে রোগটি। এ বিষয়ে সচেতনতা তাই খুব প্রয়োজন। বিশ্বে যে ১০টি দেশে ডায়াবেটিস বেশি, আমাদের দেশ তার মধ্যে একটি। বিশ্বে যেসব দেশে উচ্চ হারে ডায়াবেটিস বাড়ছে, সেসব দেশের মধ্যে প্রথম দিকে আছে চীন, ভারত আর বাংলাদেশ।
নানা গবেষণায় দেখা যায়, অসুস্থতা আর মৃত্যুর হারে বড় ভূমিকা রাখে ডায়াবেটিস। এর মোকাবিলায় যা বোঝার বিষয়, একে নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ বড় কথা নয়। ওষুধের সঙ্গে জীবনশৈলীর সামঞ্জস্য বিধান করা বড় বিষয়। ডায়াবেটিস হতে পারে এমন শঙ্কা হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। আমরা জেনেছি, বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ৯০-৯৫ শতাংশ হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস। এঁদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ মারা যান হৃদ্রোগে। কিছু স্ট্রোকেও মারা যান। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রক্তচাপ ও লিপিড নিয়ন্ত্রণও আবশ্যক। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ৫০ শতাংশের কোনো লক্ষণ থাকে না। তাই তাঁরা যখন চিকিৎসকের কাছে যান, তত দিনে আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ-ছয় বছর পার হয়ে যায়।
যারা আক্রান্ত হতে পারে
স্থুল মানুষ, পরিবারে কারও ডায়াবেটিস থাকলে, শরীরচর্চা না করলে, স্ট্রেস থাকলে ডায়াবেটিসের প্রবণতা বেশি থাকে। অনেক রোগী আক্রান্ত হলে বিষণ্ণতায় ভোগেন,
তাই মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
প্রতিরোধে
আমরা জানি, ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনায় মহান চিকিৎসক অধ্যাপক মোহাম্মাদ ইব্রাহিমের সেই অমর বাণী, ‘ডায়েট, ড্রাগ ও ডিসিপ্লিন।’ মানে সঠিক খাদ্যবিধি, প্রয়োজনে ওষুধ আর সুশৃঙ্খল কর্মঠ জীবন ডায়াবেটিসদূরে রাখে।
যা করতে হবে
বয়স ২০ হওয়ার পর থেকে রক্তের গ্লুকোজ মেপে দেখা উচিত সবারই। যদি দেখা যায়, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, কিন্তু ডায়াবেটিসের পর্যায়ে যায়নি, সেটা ডায়াবেটিসের প্রাথমিক পর্যায়। এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্ভব আর হলেও একে বিলম্বিত করা সম্ভব। এ ছাড়া ডায়াবেটিক কেন্দ্রে গিয়ে কোনো কিছু খাওয়ার আগে রক্তের গ্লুকোজ, খাবার বা গ্লুকোজ শরবত পানের দুই ঘণ্টা পর আরেকবার নমুনায় রক্তের গ্লুকোজ মাপতে হবে। ঘরে বসে মনিটরে গ্লুকোজ মাপা যায়।
সঠিক খাদ্যবিধি
আর সঠিক খাদ্যবিধি সময়মতো আহার, বারবার কম কম
করে খাওয়া, একবারে বেশি না খাওয়া। শর্করা কম আর পরিমিত
চর্বি ও প্রোটিন খেতে হবে। খেতে হবে প্রচুর শাকসবজি। লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত, ডাল, চর্বি ছাড়া মাংস, মাছ, ডিম। আর বাদ দিতে হবে চর্বিযুক্ত মাংস, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, বেশি লবণ, বেশি চিনিসহ মিষ্টিজাতীয় খাবার।
শরীরচর্চা
আর শরীরের চর্চা। অন্তত দিনে আধা ঘণ্টা জোরে হাঁটা বা এর সঙ্গে মাঝে মাঝে ভার উত্তোলন, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, জগিং আর দড়ি লাফ।
কোভিড ও ডায়াবেটিস
এবার কোভিড আর ডায়াবেটিস এসেছে আলোচনায়। এবারের প্রতিপাদ্যও তাই ‘কোভিড ও ডায়াবেটিস, প্রতিরোধে বাঁচবে জীবন।’ রক্তে গ্লুকোজ বেশি থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। তাই মানুষ খুব সহজে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। তেমনি কোভিড থাকলেও ডায়াবেটিস জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই করোনা প্রতিরোধের জন্য যেসব স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা আছে, যেমন—মাস্ক পরা, বারবার সাবানজলে হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, সেগুলোপালন করতে হবে। জনসমাগম এড়াতে হবে। আর যাঁরা ডায়াবেটিস রোগী, তাঁরা প্রয়োজনে চিকিৎসক আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগের জন্য দরকারি তথ্য কাছে রাখুন।যাঁরা ডায়াবেটিস রোগী আর বারডেমে তালিকায় আছেন, তাঁরা ডায়াবেটিস গাইড বই কাছে রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।
যা করবেন
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকের কলেজ
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

ডায়াবেটিস রোগ ভয়াবহ আকারে বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। অনেকেই জানেন না তাঁদের মধ্যে লুকিয়ে আছে রোগটি। এ বিষয়ে সচেতনতা তাই খুব প্রয়োজন। বিশ্বে যে ১০টি দেশে ডায়াবেটিস বেশি, আমাদের দেশ তার মধ্যে একটি। বিশ্বে যেসব দেশে উচ্চ হারে ডায়াবেটিস বাড়ছে, সেসব দেশের মধ্যে প্রথম দিকে আছে চীন, ভারত আর বাংলাদেশ।
নানা গবেষণায় দেখা যায়, অসুস্থতা আর মৃত্যুর হারে বড় ভূমিকা রাখে ডায়াবেটিস। এর মোকাবিলায় যা বোঝার বিষয়, একে নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ বড় কথা নয়। ওষুধের সঙ্গে জীবনশৈলীর সামঞ্জস্য বিধান করা বড় বিষয়। ডায়াবেটিস হতে পারে এমন শঙ্কা হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। আমরা জেনেছি, বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ৯০-৯৫ শতাংশ হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস। এঁদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ মারা যান হৃদ্রোগে। কিছু স্ট্রোকেও মারা যান। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রক্তচাপ ও লিপিড নিয়ন্ত্রণও আবশ্যক। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ৫০ শতাংশের কোনো লক্ষণ থাকে না। তাই তাঁরা যখন চিকিৎসকের কাছে যান, তত দিনে আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ-ছয় বছর পার হয়ে যায়।
যারা আক্রান্ত হতে পারে
স্থুল মানুষ, পরিবারে কারও ডায়াবেটিস থাকলে, শরীরচর্চা না করলে, স্ট্রেস থাকলে ডায়াবেটিসের প্রবণতা বেশি থাকে। অনেক রোগী আক্রান্ত হলে বিষণ্ণতায় ভোগেন,
তাই মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
প্রতিরোধে
আমরা জানি, ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনায় মহান চিকিৎসক অধ্যাপক মোহাম্মাদ ইব্রাহিমের সেই অমর বাণী, ‘ডায়েট, ড্রাগ ও ডিসিপ্লিন।’ মানে সঠিক খাদ্যবিধি, প্রয়োজনে ওষুধ আর সুশৃঙ্খল কর্মঠ জীবন ডায়াবেটিসদূরে রাখে।
যা করতে হবে
বয়স ২০ হওয়ার পর থেকে রক্তের গ্লুকোজ মেপে দেখা উচিত সবারই। যদি দেখা যায়, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, কিন্তু ডায়াবেটিসের পর্যায়ে যায়নি, সেটা ডায়াবেটিসের প্রাথমিক পর্যায়। এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্ভব আর হলেও একে বিলম্বিত করা সম্ভব। এ ছাড়া ডায়াবেটিক কেন্দ্রে গিয়ে কোনো কিছু খাওয়ার আগে রক্তের গ্লুকোজ, খাবার বা গ্লুকোজ শরবত পানের দুই ঘণ্টা পর আরেকবার নমুনায় রক্তের গ্লুকোজ মাপতে হবে। ঘরে বসে মনিটরে গ্লুকোজ মাপা যায়।
সঠিক খাদ্যবিধি
আর সঠিক খাদ্যবিধি সময়মতো আহার, বারবার কম কম
করে খাওয়া, একবারে বেশি না খাওয়া। শর্করা কম আর পরিমিত
চর্বি ও প্রোটিন খেতে হবে। খেতে হবে প্রচুর শাকসবজি। লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত, ডাল, চর্বি ছাড়া মাংস, মাছ, ডিম। আর বাদ দিতে হবে চর্বিযুক্ত মাংস, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, বেশি লবণ, বেশি চিনিসহ মিষ্টিজাতীয় খাবার।
শরীরচর্চা
আর শরীরের চর্চা। অন্তত দিনে আধা ঘণ্টা জোরে হাঁটা বা এর সঙ্গে মাঝে মাঝে ভার উত্তোলন, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, জগিং আর দড়ি লাফ।
কোভিড ও ডায়াবেটিস
এবার কোভিড আর ডায়াবেটিস এসেছে আলোচনায়। এবারের প্রতিপাদ্যও তাই ‘কোভিড ও ডায়াবেটিস, প্রতিরোধে বাঁচবে জীবন।’ রক্তে গ্লুকোজ বেশি থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। তাই মানুষ খুব সহজে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। তেমনি কোভিড থাকলেও ডায়াবেটিস জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই করোনা প্রতিরোধের জন্য যেসব স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা আছে, যেমন—মাস্ক পরা, বারবার সাবানজলে হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, সেগুলোপালন করতে হবে। জনসমাগম এড়াতে হবে। আর যাঁরা ডায়াবেটিস রোগী, তাঁরা প্রয়োজনে চিকিৎসক আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগের জন্য দরকারি তথ্য কাছে রাখুন।যাঁরা ডায়াবেটিস রোগী আর বারডেমে তালিকায় আছেন, তাঁরা ডায়াবেটিস গাইড বই কাছে রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।
যা করবেন
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকের কলেজ

ডায়াবেটিস রোগ ভয়াবহ আকারে বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। অনেকেই জানেন না তাঁদের মধ্যে লুকিয়ে আছে রোগটি। এ বিষয়ে সচেতনতা তাই খুব প্রয়োজন। বিশ্বে যে ১০টি দেশে ডায়াবেটিস বেশি, আমাদের দেশ তার মধ্যে একটি। বিশ্বে যেসব দেশে উচ্চ হারে ডায়াবেটিস বাড়ছে, সেসব দেশের মধ্যে প্রথম দিকে আছে চীন, ভারত আর বাংলাদেশ।
নানা গবেষণায় দেখা যায়, অসুস্থতা আর মৃত্যুর হারে বড় ভূমিকা রাখে ডায়াবেটিস। এর মোকাবিলায় যা বোঝার বিষয়, একে নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ বড় কথা নয়। ওষুধের সঙ্গে জীবনশৈলীর সামঞ্জস্য বিধান করা বড় বিষয়। ডায়াবেটিস হতে পারে এমন শঙ্কা হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। আমরা জেনেছি, বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ৯০-৯৫ শতাংশ হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস। এঁদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ মারা যান হৃদ্রোগে। কিছু স্ট্রোকেও মারা যান। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রক্তচাপ ও লিপিড নিয়ন্ত্রণও আবশ্যক। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ৫০ শতাংশের কোনো লক্ষণ থাকে না। তাই তাঁরা যখন চিকিৎসকের কাছে যান, তত দিনে আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ-ছয় বছর পার হয়ে যায়।
যারা আক্রান্ত হতে পারে
স্থুল মানুষ, পরিবারে কারও ডায়াবেটিস থাকলে, শরীরচর্চা না করলে, স্ট্রেস থাকলে ডায়াবেটিসের প্রবণতা বেশি থাকে। অনেক রোগী আক্রান্ত হলে বিষণ্ণতায় ভোগেন,
তাই মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
প্রতিরোধে
আমরা জানি, ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনায় মহান চিকিৎসক অধ্যাপক মোহাম্মাদ ইব্রাহিমের সেই অমর বাণী, ‘ডায়েট, ড্রাগ ও ডিসিপ্লিন।’ মানে সঠিক খাদ্যবিধি, প্রয়োজনে ওষুধ আর সুশৃঙ্খল কর্মঠ জীবন ডায়াবেটিসদূরে রাখে।
যা করতে হবে
বয়স ২০ হওয়ার পর থেকে রক্তের গ্লুকোজ মেপে দেখা উচিত সবারই। যদি দেখা যায়, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, কিন্তু ডায়াবেটিসের পর্যায়ে যায়নি, সেটা ডায়াবেটিসের প্রাথমিক পর্যায়। এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্ভব আর হলেও একে বিলম্বিত করা সম্ভব। এ ছাড়া ডায়াবেটিক কেন্দ্রে গিয়ে কোনো কিছু খাওয়ার আগে রক্তের গ্লুকোজ, খাবার বা গ্লুকোজ শরবত পানের দুই ঘণ্টা পর আরেকবার নমুনায় রক্তের গ্লুকোজ মাপতে হবে। ঘরে বসে মনিটরে গ্লুকোজ মাপা যায়।
সঠিক খাদ্যবিধি
আর সঠিক খাদ্যবিধি সময়মতো আহার, বারবার কম কম
করে খাওয়া, একবারে বেশি না খাওয়া। শর্করা কম আর পরিমিত
চর্বি ও প্রোটিন খেতে হবে। খেতে হবে প্রচুর শাকসবজি। লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত, ডাল, চর্বি ছাড়া মাংস, মাছ, ডিম। আর বাদ দিতে হবে চর্বিযুক্ত মাংস, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, বেশি লবণ, বেশি চিনিসহ মিষ্টিজাতীয় খাবার।
শরীরচর্চা
আর শরীরের চর্চা। অন্তত দিনে আধা ঘণ্টা জোরে হাঁটা বা এর সঙ্গে মাঝে মাঝে ভার উত্তোলন, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, জগিং আর দড়ি লাফ।
কোভিড ও ডায়াবেটিস
এবার কোভিড আর ডায়াবেটিস এসেছে আলোচনায়। এবারের প্রতিপাদ্যও তাই ‘কোভিড ও ডায়াবেটিস, প্রতিরোধে বাঁচবে জীবন।’ রক্তে গ্লুকোজ বেশি থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। তাই মানুষ খুব সহজে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। তেমনি কোভিড থাকলেও ডায়াবেটিস জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই করোনা প্রতিরোধের জন্য যেসব স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা আছে, যেমন—মাস্ক পরা, বারবার সাবানজলে হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, সেগুলোপালন করতে হবে। জনসমাগম এড়াতে হবে। আর যাঁরা ডায়াবেটিস রোগী, তাঁরা প্রয়োজনে চিকিৎসক আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগের জন্য দরকারি তথ্য কাছে রাখুন।যাঁরা ডায়াবেটিস রোগী আর বারডেমে তালিকায় আছেন, তাঁরা ডায়াবেটিস গাইড বই কাছে রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।
যা করবেন
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকের কলেজ

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমানো হয়েছে। অন্যদিকে দুটি বেসরকারি কলেজে আসন বাড়ানো হয়েছে এবং একটি কলেজের নতুন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ১৪০টি থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে ৯৫টি থেকে ৪৫টি, ফরিদপুরে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ৪০টি, গাজীপুরে সিটি মেডিকেল কলেজে ৮০ থেকে ৩০টি, রাজধানীতে মার্কস মেডিকেল কলেজে ৭০ থেকে ২০টি, ডেলটা মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ১০০ থেকে ৫০টি এবং এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজে ১১৫ থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। এই ১০টি মেডিকেল কলেজ থেকে আসন কমানো হয়েছে ২৬০টি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৬০টির সঙ্গে নতুন করে ২০টি আসন এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে পাঁচটি বাড়িয়ে ৫৫টি করা হয়েছে। এতে মোট আসন বাড়ানো হয়েছে ২৫টি।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই দুই মেডিকেল হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজে ৫৭ ও মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বেসরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে। নতুন ওই কলেজের আসনসংখ্যা ৫০। আজ রাতে অনুমোদনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
চলতি অর্থবছরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তির আসন ৬ হাজার ২৯৩টি। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি মেডিকেল কলেজে (১০৭টি আসন) ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ও ১০টি মেডিকেলে কলেজে ২৬০টি আসন কমানোয় আসন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৬টি। একই সঙ্গে ২৫টি আসন বাড়ায় ও নতুন করে ৫০টি আসন নিয়ে একটি কলেজের অনুমোদন হওয়ায় আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার একটি।

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমানো হয়েছে। অন্যদিকে দুটি বেসরকারি কলেজে আসন বাড়ানো হয়েছে এবং একটি কলেজের নতুন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ১৪০টি থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে ৯৫টি থেকে ৪৫টি, ফরিদপুরে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ৪০টি, গাজীপুরে সিটি মেডিকেল কলেজে ৮০ থেকে ৩০টি, রাজধানীতে মার্কস মেডিকেল কলেজে ৭০ থেকে ২০টি, ডেলটা মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ১০০ থেকে ৫০টি এবং এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজে ১১৫ থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। এই ১০টি মেডিকেল কলেজ থেকে আসন কমানো হয়েছে ২৬০টি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৬০টির সঙ্গে নতুন করে ২০টি আসন এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে পাঁচটি বাড়িয়ে ৫৫টি করা হয়েছে। এতে মোট আসন বাড়ানো হয়েছে ২৫টি।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই দুই মেডিকেল হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজে ৫৭ ও মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বেসরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে। নতুন ওই কলেজের আসনসংখ্যা ৫০। আজ রাতে অনুমোদনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
চলতি অর্থবছরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তির আসন ৬ হাজার ২৯৩টি। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি মেডিকেল কলেজে (১০৭টি আসন) ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ও ১০টি মেডিকেলে কলেজে ২৬০টি আসন কমানোয় আসন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৬টি। একই সঙ্গে ২৫টি আসন বাড়ায় ও নতুন করে ৫০টি আসন নিয়ে একটি কলেজের অনুমোদন হওয়ায় আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার একটি।

ডায়াবেটিস রোগ ভয়াবহ আকারে বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। অনেকেই জানেন না তাঁদের মধ্যে লুকিয়ে আছে রোগটি। এ বিষয়ে সচেতনতা তাই খুব প্রয়োজন। বিশ্বে যে ১০টি দেশে ডায়াবেটিস বেশি, আমাদের দেশ তার মধ্যে একটি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সঞ্জীব দাশ।
বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৩৮০টি থেকে কমিয়ে ৫ হাজার ১০০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৮০টি আসন কমানো হয়েছে। আর তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন বেড়েছে ৭৫টি।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করা হলো।
চিঠি অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির পুরোনো আটটি মেডিকেল থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। ২৫০ থেকে কমে এই আট প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫-এ। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এম এ জি ওসমানী, বরিশাল শেরেবাংলা, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজেও ২৩০ থেকে পাঁচটি কমিয়ে ২২৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ৫০টি এবং নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ২৫টি করে কমিয়ে ৫০টি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসনসংখ্যা বাড়ানো তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন ও টাঙ্গাইল মেডিকেলে ২৫ করে বাড়িয়ে আসন দাঁড়িয়েছে ১২৫টি আর পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫ বাড়িয়ে আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০টি। অর্থাৎ তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন ৭৫টি বেড়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা ২০০ করে। আর ১০০ করে এই ডিগ্রির জন্য আসন রয়েছে পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর ও মুগদা মেডিকেল কলেজে।
অপর দিকে ১২৫টি করে আসন রয়েছে গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। আর রাঙামাটি ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৭৫টি করে।

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সঞ্জীব দাশ।
বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৩৮০টি থেকে কমিয়ে ৫ হাজার ১০০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৮০টি আসন কমানো হয়েছে। আর তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন বেড়েছে ৭৫টি।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করা হলো।
চিঠি অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির পুরোনো আটটি মেডিকেল থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। ২৫০ থেকে কমে এই আট প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫-এ। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এম এ জি ওসমানী, বরিশাল শেরেবাংলা, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজেও ২৩০ থেকে পাঁচটি কমিয়ে ২২৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ৫০টি এবং নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ২৫টি করে কমিয়ে ৫০টি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসনসংখ্যা বাড়ানো তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন ও টাঙ্গাইল মেডিকেলে ২৫ করে বাড়িয়ে আসন দাঁড়িয়েছে ১২৫টি আর পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫ বাড়িয়ে আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০টি। অর্থাৎ তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন ৭৫টি বেড়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা ২০০ করে। আর ১০০ করে এই ডিগ্রির জন্য আসন রয়েছে পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর ও মুগদা মেডিকেল কলেজে।
অপর দিকে ১২৫টি করে আসন রয়েছে গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। আর রাঙামাটি ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৭৫টি করে।

ডায়াবেটিস রোগ ভয়াবহ আকারে বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। অনেকেই জানেন না তাঁদের মধ্যে লুকিয়ে আছে রোগটি। এ বিষয়ে সচেতনতা তাই খুব প্রয়োজন। বিশ্বে যে ১০টি দেশে ডায়াবেটিস বেশি, আমাদের দেশ তার মধ্যে একটি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটির নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসাশিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটির নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসাশিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

ডায়াবেটিস রোগ ভয়াবহ আকারে বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। অনেকেই জানেন না তাঁদের মধ্যে লুকিয়ে আছে রোগটি। এ বিষয়ে সচেতনতা তাই খুব প্রয়োজন। বিশ্বে যে ১০টি দেশে ডায়াবেটিস বেশি, আমাদের দেশ তার মধ্যে একটি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।
চিকিৎসাশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগির প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।
চিকিৎসাশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগির প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

ডায়াবেটিস রোগ ভয়াবহ আকারে বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। অনেকেই জানেন না তাঁদের মধ্যে লুকিয়ে আছে রোগটি। এ বিষয়ে সচেতনতা তাই খুব প্রয়োজন। বিশ্বে যে ১০টি দেশে ডায়াবেটিস বেশি, আমাদের দেশ তার মধ্যে একটি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
৮ ঘণ্টা আগে