অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

হাতের রেখা দেখে ভাগ্য বোঝা যাক আর না-ই যাক, মুখ দেখে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ঠিকই চিনে নেবেন অসুখ। আপনিও পারবেন নিজের অসুখ চিনতে। আয়নায় বারবার নিজের মুখ দেখেন। এবার নিজের মুখ সূক্ষ্মভাবে দেখুন, পাবেন স্বাস্থ্যের শুলুক-সন্ধান।
হলুদ হলো চোখ ও ত্বক
হয়েছে জন্ডিস। রক্তের হিমোগ্লোবিন গেছে ভেঙে আর বেরোল এই রঞ্জক বিলিরুবিন। এভাবে হলদে হলো সব। অনেক সময় শিশু ৩৮ সপ্তাহের আগে জন্মালে তার গা হতে পারে হলুদ। তবে এটি স্বাভাবিক। এদের লিভার সে সময় পরিপক্ব হয় না। তবে পূর্ণ বয়স্কদের ক্ষেত্রে চোখ আর ত্বক হলুদ হতে পারে রোগের চিহ্ন। হতে পারে হেপাটাইটিস ভাইরাস সংক্রমণ আর লিভার ও পিত্তথলি এবং অগ্ন্যাশয়ের কোনো সমস্যা।
আঁচিল
থাকতে পারে ত্বকে দাগ, ফোসকা ও আঁচিল। আঁচিল হলে কিছু আলাদা নজর দিতে হবে। সে জন্য দেখতে হবে সেটি অসম কি না। আঁচিলের কিনার কি অসমতল? খাঁজকাটা? রং কি অসম? পরিধি কি মটরদানার চেয়ে বড়? কয়েক সপ্তাহে কি তাতে কোনো পরিবর্তন হয়েছে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন।
ক্ষত
মুখ আর ঠোঁটের চারদিকে হয় ফোসকা বা কোল্ড শোর। এটি ঘটে হারপিস-১ ভাইরাসের জন্য। বেশির ভাগ এমন ফোসকা হয় মুখের লালা থেকে, যৌন সংস্পর্শে নয়।
এই ভাইরাস একবার সংক্রমিত হলে থেকে যায়। বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা হলে বা কড়া রোদে বেরোলে এমন ক্ষত হয়। তবে এটি এমনি এমনি চলে যায়। তেমন চিকিৎসা লাগে না।
ঠোঁট ফাটা
অনেকেরই সময়-অসময়ে ঠোঁট ফাটে। তবে শীতে বাম লাগালে সমস্যা কমে, ঠোঁট আর্দ্র হয়। অনেক সময় পানিশূন্যতার কারণে ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে। হতে পারে অ্যালার্জি বা স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলাফল।
প্রজাপতি র্যাশ
বেশির ভাগ র্যাশ অত ভাবনার বিষয় নয়, এমনি চলে যায়। তবে প্রজাপতি র্যাশ এমন সাধারণ নয়। এটি চিবুকের দুই দিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রজাপতির মতো। এ হলো লুপাসের লক্ষণ। এটি এমন এক রোগ, যেখানে শরীর নিজ কোষের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় ও আক্রমণ করে। সঙ্গে জ্বর, হাড়ের গিঁটে ব্যথা হয় এবং ঠান্ডায় আঙুল হয় নীল। এ রকম হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
অস্বাভাবিক জায়গায় লোম
অবাঞ্ছিত জায়গায়, যেমন পুরুষের বয়স হলে কান ও ভ্রুর চারপাশে কিংবা নারীদের থুতনি আর চিবুকে লোম হতে পারে। তরুণীদের মুখাবয়বে লোম পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের জন্য হতে পারে। এটি হলে সন্তান ধারণ হয়ে পড়ে কঠিন।
চোখের পাতা নেমে আসা
একে বলে টোসিস। এতে এক বা দুই চোখের পাতা হতে পারে আনত। গুরুতর হলে দৃষ্টিতে হয় সমস্যা। কেউ জন্মের সময় এই সমস্যা নিয়ে আসে আর কারও এমন
হয় ধীরে ধীরে। এ সমস্যা অনেক সময় নিরীহ থাকে। তবে সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
মুখের এক দিক নাড়াতে সমস্যা
শরীরের এক দিক নড়াতে সমস্যা হলে চিকিৎসক দেখান অবিলম্বে। শুধু মুখের এক দিক নড়াতে কষ্ট হলে আর উপসর্গ না থাকলে সেটা হলো বেলস পলসি। এই রোগে মুখের পেশি নিয়ন্ত্রণ করে এমন স্নায়ুকে ভাইরাস আক্রমণ করে। এমন হলে কয়েক ঘণ্টা বা দিনে ফুলে যায় মুখের এক দিক। ব্যথা হয় চোয়াল বা কানের পেছনে। এটি তেমন গুরুতর নয়। এমনিতে চলে যায় ৩ থেকে ৬ মাসে।
মুখমণ্ডলের প্যারালাইসিস
মুখের নিচের দিক ঝুলে পড়া, দুর্বলতা বা হঠাৎ প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া, বাহু বা পা অবশ হয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বাক্য উচ্চারণে জড়তা, একটি জিনিসকে দুটি দেখা, খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা—এসব লক্ষণে হতে পারে স্ট্রোক। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
অক্ষি পল্লবের ওপরে হলুদ দাগ
ওপর আর নিচের অক্ষি পল্লবের ওপর হলুদ স্ফীতি হলে সেটি জেন্থেলসমা। এ হলো কোলেস্টেরলপুঞ্জ। তবে এটি তেমন ভয়ের নয়। কিন্তু এটি হলে আপনি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তাই দ্রুতই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
চোখ গেছে ফুলে
ঘুম কম, হরমোনের পরিবর্তন, উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য পানি জমে চোখ ফুলে যেতে পারে। যে পেশিগুলো চোখ ধরে রাখে, সেগুলো দুর্বল হয়ে যায়। ফলে চোখ লাল হয়ে চুলকানি হয়। অ্যালার্জির কারণেও হতে পারে ফোলা চোখ।
মেলাজমা
এটি হলে মুখে হয় ধূসর বাদামি প্যাঁচ। গর্ভকালে বা জন্মনিরোধক পিল খেলে এমন হতে পারে। তবে এটি এমনি মিলিয়ে যায় কালক্রমে।
কেশহানি
অক্ষি পল্লব বা ভ্রুর চুল পড়ে গেলে ও ছোপ ছোপ দাগ হলে বুঝবেন আপনি এলোপেশিয়া এরিয়েটা নামে একটি রোগে আক্রান্ত। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

হাতের রেখা দেখে ভাগ্য বোঝা যাক আর না-ই যাক, মুখ দেখে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ঠিকই চিনে নেবেন অসুখ। আপনিও পারবেন নিজের অসুখ চিনতে। আয়নায় বারবার নিজের মুখ দেখেন। এবার নিজের মুখ সূক্ষ্মভাবে দেখুন, পাবেন স্বাস্থ্যের শুলুক-সন্ধান।
হলুদ হলো চোখ ও ত্বক
হয়েছে জন্ডিস। রক্তের হিমোগ্লোবিন গেছে ভেঙে আর বেরোল এই রঞ্জক বিলিরুবিন। এভাবে হলদে হলো সব। অনেক সময় শিশু ৩৮ সপ্তাহের আগে জন্মালে তার গা হতে পারে হলুদ। তবে এটি স্বাভাবিক। এদের লিভার সে সময় পরিপক্ব হয় না। তবে পূর্ণ বয়স্কদের ক্ষেত্রে চোখ আর ত্বক হলুদ হতে পারে রোগের চিহ্ন। হতে পারে হেপাটাইটিস ভাইরাস সংক্রমণ আর লিভার ও পিত্তথলি এবং অগ্ন্যাশয়ের কোনো সমস্যা।
আঁচিল
থাকতে পারে ত্বকে দাগ, ফোসকা ও আঁচিল। আঁচিল হলে কিছু আলাদা নজর দিতে হবে। সে জন্য দেখতে হবে সেটি অসম কি না। আঁচিলের কিনার কি অসমতল? খাঁজকাটা? রং কি অসম? পরিধি কি মটরদানার চেয়ে বড়? কয়েক সপ্তাহে কি তাতে কোনো পরিবর্তন হয়েছে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন।
ক্ষত
মুখ আর ঠোঁটের চারদিকে হয় ফোসকা বা কোল্ড শোর। এটি ঘটে হারপিস-১ ভাইরাসের জন্য। বেশির ভাগ এমন ফোসকা হয় মুখের লালা থেকে, যৌন সংস্পর্শে নয়।
এই ভাইরাস একবার সংক্রমিত হলে থেকে যায়। বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা হলে বা কড়া রোদে বেরোলে এমন ক্ষত হয়। তবে এটি এমনি এমনি চলে যায়। তেমন চিকিৎসা লাগে না।
ঠোঁট ফাটা
অনেকেরই সময়-অসময়ে ঠোঁট ফাটে। তবে শীতে বাম লাগালে সমস্যা কমে, ঠোঁট আর্দ্র হয়। অনেক সময় পানিশূন্যতার কারণে ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে। হতে পারে অ্যালার্জি বা স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলাফল।
প্রজাপতি র্যাশ
বেশির ভাগ র্যাশ অত ভাবনার বিষয় নয়, এমনি চলে যায়। তবে প্রজাপতি র্যাশ এমন সাধারণ নয়। এটি চিবুকের দুই দিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রজাপতির মতো। এ হলো লুপাসের লক্ষণ। এটি এমন এক রোগ, যেখানে শরীর নিজ কোষের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় ও আক্রমণ করে। সঙ্গে জ্বর, হাড়ের গিঁটে ব্যথা হয় এবং ঠান্ডায় আঙুল হয় নীল। এ রকম হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
অস্বাভাবিক জায়গায় লোম
অবাঞ্ছিত জায়গায়, যেমন পুরুষের বয়স হলে কান ও ভ্রুর চারপাশে কিংবা নারীদের থুতনি আর চিবুকে লোম হতে পারে। তরুণীদের মুখাবয়বে লোম পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের জন্য হতে পারে। এটি হলে সন্তান ধারণ হয়ে পড়ে কঠিন।
চোখের পাতা নেমে আসা
একে বলে টোসিস। এতে এক বা দুই চোখের পাতা হতে পারে আনত। গুরুতর হলে দৃষ্টিতে হয় সমস্যা। কেউ জন্মের সময় এই সমস্যা নিয়ে আসে আর কারও এমন
হয় ধীরে ধীরে। এ সমস্যা অনেক সময় নিরীহ থাকে। তবে সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
মুখের এক দিক নাড়াতে সমস্যা
শরীরের এক দিক নড়াতে সমস্যা হলে চিকিৎসক দেখান অবিলম্বে। শুধু মুখের এক দিক নড়াতে কষ্ট হলে আর উপসর্গ না থাকলে সেটা হলো বেলস পলসি। এই রোগে মুখের পেশি নিয়ন্ত্রণ করে এমন স্নায়ুকে ভাইরাস আক্রমণ করে। এমন হলে কয়েক ঘণ্টা বা দিনে ফুলে যায় মুখের এক দিক। ব্যথা হয় চোয়াল বা কানের পেছনে। এটি তেমন গুরুতর নয়। এমনিতে চলে যায় ৩ থেকে ৬ মাসে।
মুখমণ্ডলের প্যারালাইসিস
মুখের নিচের দিক ঝুলে পড়া, দুর্বলতা বা হঠাৎ প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া, বাহু বা পা অবশ হয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বাক্য উচ্চারণে জড়তা, একটি জিনিসকে দুটি দেখা, খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা—এসব লক্ষণে হতে পারে স্ট্রোক। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
অক্ষি পল্লবের ওপরে হলুদ দাগ
ওপর আর নিচের অক্ষি পল্লবের ওপর হলুদ স্ফীতি হলে সেটি জেন্থেলসমা। এ হলো কোলেস্টেরলপুঞ্জ। তবে এটি তেমন ভয়ের নয়। কিন্তু এটি হলে আপনি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তাই দ্রুতই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
চোখ গেছে ফুলে
ঘুম কম, হরমোনের পরিবর্তন, উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য পানি জমে চোখ ফুলে যেতে পারে। যে পেশিগুলো চোখ ধরে রাখে, সেগুলো দুর্বল হয়ে যায়। ফলে চোখ লাল হয়ে চুলকানি হয়। অ্যালার্জির কারণেও হতে পারে ফোলা চোখ।
মেলাজমা
এটি হলে মুখে হয় ধূসর বাদামি প্যাঁচ। গর্ভকালে বা জন্মনিরোধক পিল খেলে এমন হতে পারে। তবে এটি এমনি মিলিয়ে যায় কালক্রমে।
কেশহানি
অক্ষি পল্লব বা ভ্রুর চুল পড়ে গেলে ও ছোপ ছোপ দাগ হলে বুঝবেন আপনি এলোপেশিয়া এরিয়েটা নামে একটি রোগে আক্রান্ত। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

হাতের রেখা দেখে ভাগ্য বোঝা যাক আর না-ই যাক, মুখ দেখে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ঠিকই চিনে নেবেন অসুখ। আপনিও পারবেন নিজের অসুখ চিনতে। আয়নায় বারবার নিজের মুখ দেখেন। এবার নিজের মুখ সূক্ষ্মভাবে দেখুন, পাবেন স্বাস্থ্যের শুলুক-সন্ধান।
হলুদ হলো চোখ ও ত্বক
হয়েছে জন্ডিস। রক্তের হিমোগ্লোবিন গেছে ভেঙে আর বেরোল এই রঞ্জক বিলিরুবিন। এভাবে হলদে হলো সব। অনেক সময় শিশু ৩৮ সপ্তাহের আগে জন্মালে তার গা হতে পারে হলুদ। তবে এটি স্বাভাবিক। এদের লিভার সে সময় পরিপক্ব হয় না। তবে পূর্ণ বয়স্কদের ক্ষেত্রে চোখ আর ত্বক হলুদ হতে পারে রোগের চিহ্ন। হতে পারে হেপাটাইটিস ভাইরাস সংক্রমণ আর লিভার ও পিত্তথলি এবং অগ্ন্যাশয়ের কোনো সমস্যা।
আঁচিল
থাকতে পারে ত্বকে দাগ, ফোসকা ও আঁচিল। আঁচিল হলে কিছু আলাদা নজর দিতে হবে। সে জন্য দেখতে হবে সেটি অসম কি না। আঁচিলের কিনার কি অসমতল? খাঁজকাটা? রং কি অসম? পরিধি কি মটরদানার চেয়ে বড়? কয়েক সপ্তাহে কি তাতে কোনো পরিবর্তন হয়েছে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন।
ক্ষত
মুখ আর ঠোঁটের চারদিকে হয় ফোসকা বা কোল্ড শোর। এটি ঘটে হারপিস-১ ভাইরাসের জন্য। বেশির ভাগ এমন ফোসকা হয় মুখের লালা থেকে, যৌন সংস্পর্শে নয়।
এই ভাইরাস একবার সংক্রমিত হলে থেকে যায়। বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা হলে বা কড়া রোদে বেরোলে এমন ক্ষত হয়। তবে এটি এমনি এমনি চলে যায়। তেমন চিকিৎসা লাগে না।
ঠোঁট ফাটা
অনেকেরই সময়-অসময়ে ঠোঁট ফাটে। তবে শীতে বাম লাগালে সমস্যা কমে, ঠোঁট আর্দ্র হয়। অনেক সময় পানিশূন্যতার কারণে ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে। হতে পারে অ্যালার্জি বা স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলাফল।
প্রজাপতি র্যাশ
বেশির ভাগ র্যাশ অত ভাবনার বিষয় নয়, এমনি চলে যায়। তবে প্রজাপতি র্যাশ এমন সাধারণ নয়। এটি চিবুকের দুই দিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রজাপতির মতো। এ হলো লুপাসের লক্ষণ। এটি এমন এক রোগ, যেখানে শরীর নিজ কোষের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় ও আক্রমণ করে। সঙ্গে জ্বর, হাড়ের গিঁটে ব্যথা হয় এবং ঠান্ডায় আঙুল হয় নীল। এ রকম হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
অস্বাভাবিক জায়গায় লোম
অবাঞ্ছিত জায়গায়, যেমন পুরুষের বয়স হলে কান ও ভ্রুর চারপাশে কিংবা নারীদের থুতনি আর চিবুকে লোম হতে পারে। তরুণীদের মুখাবয়বে লোম পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের জন্য হতে পারে। এটি হলে সন্তান ধারণ হয়ে পড়ে কঠিন।
চোখের পাতা নেমে আসা
একে বলে টোসিস। এতে এক বা দুই চোখের পাতা হতে পারে আনত। গুরুতর হলে দৃষ্টিতে হয় সমস্যা। কেউ জন্মের সময় এই সমস্যা নিয়ে আসে আর কারও এমন
হয় ধীরে ধীরে। এ সমস্যা অনেক সময় নিরীহ থাকে। তবে সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
মুখের এক দিক নাড়াতে সমস্যা
শরীরের এক দিক নড়াতে সমস্যা হলে চিকিৎসক দেখান অবিলম্বে। শুধু মুখের এক দিক নড়াতে কষ্ট হলে আর উপসর্গ না থাকলে সেটা হলো বেলস পলসি। এই রোগে মুখের পেশি নিয়ন্ত্রণ করে এমন স্নায়ুকে ভাইরাস আক্রমণ করে। এমন হলে কয়েক ঘণ্টা বা দিনে ফুলে যায় মুখের এক দিক। ব্যথা হয় চোয়াল বা কানের পেছনে। এটি তেমন গুরুতর নয়। এমনিতে চলে যায় ৩ থেকে ৬ মাসে।
মুখমণ্ডলের প্যারালাইসিস
মুখের নিচের দিক ঝুলে পড়া, দুর্বলতা বা হঠাৎ প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া, বাহু বা পা অবশ হয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বাক্য উচ্চারণে জড়তা, একটি জিনিসকে দুটি দেখা, খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা—এসব লক্ষণে হতে পারে স্ট্রোক। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
অক্ষি পল্লবের ওপরে হলুদ দাগ
ওপর আর নিচের অক্ষি পল্লবের ওপর হলুদ স্ফীতি হলে সেটি জেন্থেলসমা। এ হলো কোলেস্টেরলপুঞ্জ। তবে এটি তেমন ভয়ের নয়। কিন্তু এটি হলে আপনি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তাই দ্রুতই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
চোখ গেছে ফুলে
ঘুম কম, হরমোনের পরিবর্তন, উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য পানি জমে চোখ ফুলে যেতে পারে। যে পেশিগুলো চোখ ধরে রাখে, সেগুলো দুর্বল হয়ে যায়। ফলে চোখ লাল হয়ে চুলকানি হয়। অ্যালার্জির কারণেও হতে পারে ফোলা চোখ।
মেলাজমা
এটি হলে মুখে হয় ধূসর বাদামি প্যাঁচ। গর্ভকালে বা জন্মনিরোধক পিল খেলে এমন হতে পারে। তবে এটি এমনি মিলিয়ে যায় কালক্রমে।
কেশহানি
অক্ষি পল্লব বা ভ্রুর চুল পড়ে গেলে ও ছোপ ছোপ দাগ হলে বুঝবেন আপনি এলোপেশিয়া এরিয়েটা নামে একটি রোগে আক্রান্ত। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

হাতের রেখা দেখে ভাগ্য বোঝা যাক আর না-ই যাক, মুখ দেখে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ঠিকই চিনে নেবেন অসুখ। আপনিও পারবেন নিজের অসুখ চিনতে। আয়নায় বারবার নিজের মুখ দেখেন। এবার নিজের মুখ সূক্ষ্মভাবে দেখুন, পাবেন স্বাস্থ্যের শুলুক-সন্ধান।
হলুদ হলো চোখ ও ত্বক
হয়েছে জন্ডিস। রক্তের হিমোগ্লোবিন গেছে ভেঙে আর বেরোল এই রঞ্জক বিলিরুবিন। এভাবে হলদে হলো সব। অনেক সময় শিশু ৩৮ সপ্তাহের আগে জন্মালে তার গা হতে পারে হলুদ। তবে এটি স্বাভাবিক। এদের লিভার সে সময় পরিপক্ব হয় না। তবে পূর্ণ বয়স্কদের ক্ষেত্রে চোখ আর ত্বক হলুদ হতে পারে রোগের চিহ্ন। হতে পারে হেপাটাইটিস ভাইরাস সংক্রমণ আর লিভার ও পিত্তথলি এবং অগ্ন্যাশয়ের কোনো সমস্যা।
আঁচিল
থাকতে পারে ত্বকে দাগ, ফোসকা ও আঁচিল। আঁচিল হলে কিছু আলাদা নজর দিতে হবে। সে জন্য দেখতে হবে সেটি অসম কি না। আঁচিলের কিনার কি অসমতল? খাঁজকাটা? রং কি অসম? পরিধি কি মটরদানার চেয়ে বড়? কয়েক সপ্তাহে কি তাতে কোনো পরিবর্তন হয়েছে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন।
ক্ষত
মুখ আর ঠোঁটের চারদিকে হয় ফোসকা বা কোল্ড শোর। এটি ঘটে হারপিস-১ ভাইরাসের জন্য। বেশির ভাগ এমন ফোসকা হয় মুখের লালা থেকে, যৌন সংস্পর্শে নয়।
এই ভাইরাস একবার সংক্রমিত হলে থেকে যায়। বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা হলে বা কড়া রোদে বেরোলে এমন ক্ষত হয়। তবে এটি এমনি এমনি চলে যায়। তেমন চিকিৎসা লাগে না।
ঠোঁট ফাটা
অনেকেরই সময়-অসময়ে ঠোঁট ফাটে। তবে শীতে বাম লাগালে সমস্যা কমে, ঠোঁট আর্দ্র হয়। অনেক সময় পানিশূন্যতার কারণে ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে। হতে পারে অ্যালার্জি বা স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলাফল।
প্রজাপতি র্যাশ
বেশির ভাগ র্যাশ অত ভাবনার বিষয় নয়, এমনি চলে যায়। তবে প্রজাপতি র্যাশ এমন সাধারণ নয়। এটি চিবুকের দুই দিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রজাপতির মতো। এ হলো লুপাসের লক্ষণ। এটি এমন এক রোগ, যেখানে শরীর নিজ কোষের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় ও আক্রমণ করে। সঙ্গে জ্বর, হাড়ের গিঁটে ব্যথা হয় এবং ঠান্ডায় আঙুল হয় নীল। এ রকম হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
অস্বাভাবিক জায়গায় লোম
অবাঞ্ছিত জায়গায়, যেমন পুরুষের বয়স হলে কান ও ভ্রুর চারপাশে কিংবা নারীদের থুতনি আর চিবুকে লোম হতে পারে। তরুণীদের মুখাবয়বে লোম পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের জন্য হতে পারে। এটি হলে সন্তান ধারণ হয়ে পড়ে কঠিন।
চোখের পাতা নেমে আসা
একে বলে টোসিস। এতে এক বা দুই চোখের পাতা হতে পারে আনত। গুরুতর হলে দৃষ্টিতে হয় সমস্যা। কেউ জন্মের সময় এই সমস্যা নিয়ে আসে আর কারও এমন
হয় ধীরে ধীরে। এ সমস্যা অনেক সময় নিরীহ থাকে। তবে সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
মুখের এক দিক নাড়াতে সমস্যা
শরীরের এক দিক নড়াতে সমস্যা হলে চিকিৎসক দেখান অবিলম্বে। শুধু মুখের এক দিক নড়াতে কষ্ট হলে আর উপসর্গ না থাকলে সেটা হলো বেলস পলসি। এই রোগে মুখের পেশি নিয়ন্ত্রণ করে এমন স্নায়ুকে ভাইরাস আক্রমণ করে। এমন হলে কয়েক ঘণ্টা বা দিনে ফুলে যায় মুখের এক দিক। ব্যথা হয় চোয়াল বা কানের পেছনে। এটি তেমন গুরুতর নয়। এমনিতে চলে যায় ৩ থেকে ৬ মাসে।
মুখমণ্ডলের প্যারালাইসিস
মুখের নিচের দিক ঝুলে পড়া, দুর্বলতা বা হঠাৎ প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া, বাহু বা পা অবশ হয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বাক্য উচ্চারণে জড়তা, একটি জিনিসকে দুটি দেখা, খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা—এসব লক্ষণে হতে পারে স্ট্রোক। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
অক্ষি পল্লবের ওপরে হলুদ দাগ
ওপর আর নিচের অক্ষি পল্লবের ওপর হলুদ স্ফীতি হলে সেটি জেন্থেলসমা। এ হলো কোলেস্টেরলপুঞ্জ। তবে এটি তেমন ভয়ের নয়। কিন্তু এটি হলে আপনি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তাই দ্রুতই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
চোখ গেছে ফুলে
ঘুম কম, হরমোনের পরিবর্তন, উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য পানি জমে চোখ ফুলে যেতে পারে। যে পেশিগুলো চোখ ধরে রাখে, সেগুলো দুর্বল হয়ে যায়। ফলে চোখ লাল হয়ে চুলকানি হয়। অ্যালার্জির কারণেও হতে পারে ফোলা চোখ।
মেলাজমা
এটি হলে মুখে হয় ধূসর বাদামি প্যাঁচ। গর্ভকালে বা জন্মনিরোধক পিল খেলে এমন হতে পারে। তবে এটি এমনি মিলিয়ে যায় কালক্রমে।
কেশহানি
অক্ষি পল্লব বা ভ্রুর চুল পড়ে গেলে ও ছোপ ছোপ দাগ হলে বুঝবেন আপনি এলোপেশিয়া এরিয়েটা নামে একটি রোগে আক্রান্ত। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমানো হয়েছে। অন্যদিকে দুটি বেসরকারি কলেজে আসন বাড়ানো হয়েছে এবং একটি কলেজের নতুন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ১৪০টি থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে ৯৫টি থেকে ৪৫টি, ফরিদপুরে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ৪০টি, গাজীপুরে সিটি মেডিকেল কলেজে ৮০ থেকে ৩০টি, রাজধানীতে মার্কস মেডিকেল কলেজে ৭০ থেকে ২০টি, ডেলটা মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ১০০ থেকে ৫০টি এবং এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজে ১১৫ থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। এই ১০টি মেডিকেল কলেজ থেকে আসন কমানো হয়েছে ২৬০টি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৬০টির সঙ্গে নতুন করে ২০টি আসন এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে পাঁচটি বাড়িয়ে ৫৫টি করা হয়েছে। এতে মোট আসন বাড়ানো হয়েছে ২৫টি।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই দুই মেডিকেল হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজে ৫৭ ও মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বেসরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে। নতুন ওই কলেজের আসনসংখ্যা ৫০। আজ রাতে অনুমোদনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
চলতি অর্থবছরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তির আসন ৬ হাজার ২৯৩টি। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি মেডিকেল কলেজে (১০৭টি আসন) ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ও ১০টি মেডিকেলে কলেজে ২৬০টি আসন কমানোয় আসন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৬টি। একই সঙ্গে ২৫টি আসন বাড়ায় ও নতুন করে ৫০টি আসন নিয়ে একটি কলেজের অনুমোদন হওয়ায় আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার একটি।

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমানো হয়েছে। অন্যদিকে দুটি বেসরকারি কলেজে আসন বাড়ানো হয়েছে এবং একটি কলেজের নতুন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ১৪০টি থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে ৯৫টি থেকে ৪৫টি, ফরিদপুরে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ৪০টি, গাজীপুরে সিটি মেডিকেল কলেজে ৮০ থেকে ৩০টি, রাজধানীতে মার্কস মেডিকেল কলেজে ৭০ থেকে ২০টি, ডেলটা মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ১০০ থেকে ৫০টি এবং এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজে ১১৫ থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। এই ১০টি মেডিকেল কলেজ থেকে আসন কমানো হয়েছে ২৬০টি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৬০টির সঙ্গে নতুন করে ২০টি আসন এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে পাঁচটি বাড়িয়ে ৫৫টি করা হয়েছে। এতে মোট আসন বাড়ানো হয়েছে ২৫টি।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই দুই মেডিকেল হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজে ৫৭ ও মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বেসরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে। নতুন ওই কলেজের আসনসংখ্যা ৫০। আজ রাতে অনুমোদনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
চলতি অর্থবছরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তির আসন ৬ হাজার ২৯৩টি। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি মেডিকেল কলেজে (১০৭টি আসন) ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ও ১০টি মেডিকেলে কলেজে ২৬০টি আসন কমানোয় আসন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৬টি। একই সঙ্গে ২৫টি আসন বাড়ায় ও নতুন করে ৫০টি আসন নিয়ে একটি কলেজের অনুমোদন হওয়ায় আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার একটি।

হাতের রেখা দেখে ভাগ্য বোঝা যাক আর না-ই যাক, মুখ দেখে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ঠিকই চিনে নেবেন অসুখ। আপনিও পারবেন নিজের অসুখ চিনতে। আয়নায় বারবার নিজের মুখ দেখেন। এবার নিজের মুখ সূক্ষ্মভাবে দেখুন, পাবেন স্বাস্থ্যের শুলুক-সন্ধান।
২৭ মার্চ ২০২২
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সঞ্জীব দাশ।
বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৩৮০টি থেকে কমিয়ে ৫ হাজার ১০০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৮০টি আসন কমানো হয়েছে। আর তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন বেড়েছে ৭৫টি।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করা হলো।
চিঠি অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির পুরোনো আটটি মেডিকেল থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। ২৫০ থেকে কমে এই আট প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫-এ। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এম এ জি ওসমানী, বরিশাল শেরেবাংলা, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজেও ২৩০ থেকে পাঁচটি কমিয়ে ২২৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ৫০টি এবং নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ২৫টি করে কমিয়ে ৫০টি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসনসংখ্যা বাড়ানো তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন ও টাঙ্গাইল মেডিকেলে ২৫ করে বাড়িয়ে আসন দাঁড়িয়েছে ১২৫টি আর পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫ বাড়িয়ে আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০টি। অর্থাৎ তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন ৭৫টি বেড়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা ২০০ করে। আর ১০০ করে এই ডিগ্রির জন্য আসন রয়েছে পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর ও মুগদা মেডিকেল কলেজে।
অপর দিকে ১২৫টি করে আসন রয়েছে গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। আর রাঙামাটি ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৭৫টি করে।

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সঞ্জীব দাশ।
বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৩৮০টি থেকে কমিয়ে ৫ হাজার ১০০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৮০টি আসন কমানো হয়েছে। আর তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন বেড়েছে ৭৫টি।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করা হলো।
চিঠি অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির পুরোনো আটটি মেডিকেল থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। ২৫০ থেকে কমে এই আট প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫-এ। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এম এ জি ওসমানী, বরিশাল শেরেবাংলা, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজেও ২৩০ থেকে পাঁচটি কমিয়ে ২২৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ৫০টি এবং নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ২৫টি করে কমিয়ে ৫০টি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসনসংখ্যা বাড়ানো তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন ও টাঙ্গাইল মেডিকেলে ২৫ করে বাড়িয়ে আসন দাঁড়িয়েছে ১২৫টি আর পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫ বাড়িয়ে আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০টি। অর্থাৎ তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন ৭৫টি বেড়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা ২০০ করে। আর ১০০ করে এই ডিগ্রির জন্য আসন রয়েছে পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর ও মুগদা মেডিকেল কলেজে।
অপর দিকে ১২৫টি করে আসন রয়েছে গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। আর রাঙামাটি ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৭৫টি করে।

হাতের রেখা দেখে ভাগ্য বোঝা যাক আর না-ই যাক, মুখ দেখে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ঠিকই চিনে নেবেন অসুখ। আপনিও পারবেন নিজের অসুখ চিনতে। আয়নায় বারবার নিজের মুখ দেখেন। এবার নিজের মুখ সূক্ষ্মভাবে দেখুন, পাবেন স্বাস্থ্যের শুলুক-সন্ধান।
২৭ মার্চ ২০২২
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটির নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসাশিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটির নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসাশিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

হাতের রেখা দেখে ভাগ্য বোঝা যাক আর না-ই যাক, মুখ দেখে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ঠিকই চিনে নেবেন অসুখ। আপনিও পারবেন নিজের অসুখ চিনতে। আয়নায় বারবার নিজের মুখ দেখেন। এবার নিজের মুখ সূক্ষ্মভাবে দেখুন, পাবেন স্বাস্থ্যের শুলুক-সন্ধান।
২৭ মার্চ ২০২২
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।
চিকিৎসাশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগির প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।
চিকিৎসাশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগির প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

হাতের রেখা দেখে ভাগ্য বোঝা যাক আর না-ই যাক, মুখ দেখে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ঠিকই চিনে নেবেন অসুখ। আপনিও পারবেন নিজের অসুখ চিনতে। আয়নায় বারবার নিজের মুখ দেখেন। এবার নিজের মুখ সূক্ষ্মভাবে দেখুন, পাবেন স্বাস্থ্যের শুলুক-সন্ধান।
২৭ মার্চ ২০২২
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
৫ ঘণ্টা আগে