আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসির কারণে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হলেও এই ভয় পুরোপুরি অমূলক নয়।
কারণ, এসি সিস্টেম সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে তা জীবাণুর আখড়ায় পরিণত হতে পারে। ফলে এসি থেকে ছড়াতে পারে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ—সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে নিউমোনিয়া পর্যন্ত।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসি ব্যবহারে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লিখেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লেস্টারের সিনিয়র লেকচারার ও অণুজীববিজ্ঞানী প্রিমরোজ ফ্রিস্টোন।
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’ এমন একটি অবস্থা, যা সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে এসি চালু থাকা ঘরে অবস্থান করলে দেখা দেয়। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, নাক বন্ধ বা সর্দি, কাশি, চামড়ায় চুলকানি বা র্যাশ, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এই সমস্যা অফিসে কাজ করা মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে হাসপাতালের মতো এসি-চালিত যে কোনো ভবনে দীর্ঘ সময় থাকলেও হতে পারে। এই উপসর্গগুলো নির্দিষ্ট ভবনে থাকলে বাড়ে, ভবন থেকে বের হলে কমে যায়।
২০২৩ সালে ভারতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-যুক্ত অফিসে নিয়মিত দিনে ৬-৮ ঘণ্টা কাজ করা ২০০ জন কর্মীর মধ্যে এই উপসর্গের হার এসি ছাড়াই কাজ করা সমসংখ্যক ব্যক্তিদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শুধু উপসর্গ নয়, গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এসি অফিসে কাজ করা কর্মীদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতিও বেশি।
অন্য আরও গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-চালিত পরিবেশে কাজ করা কর্মীদের মধ্যে সিক বিল্ডিং সিনড্রোমের প্রবণতা বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম কারণ হলো বিকল এসি। যখন এসি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন তা যে ধুলোবালু, জীবাণু বা রাসায়নিক বাতাস থেকে আটকানোর কথা, সেগুলোই উল্টো বাতাসে ছড়িয়ে দেয়।
এ ছাড়া, এসির রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত কিছু রাসায়নিক যেমন—বেনজিন, ফরমালডিহাইড বা টলুইন বাতাসে মিশে গিয়ে শ্বাসতন্ত্রে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে এসির মধ্যে জমে থাকা পানি ও ধুলোর কারণে সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্ম নিতে পারে।
যেমন: লেজিওনেলা নিউমোফিলা (Legionella pneumophila) নামক ব্যাকটেরিয়া লেজিওনেলোসিস রোগের কারণ। এই ব্যাকটেরিয়া এসির পানিতে জন্মায় এবং সেখান থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এটি মূলত হোটেল, হাসপাতাল বা অফিসের মতো জায়গায় এসি বা পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ছড়ায়। এর উপসর্গ নিউমোনিয়ার মতো—কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও শরীরব্যথা। রোগটি মারাত্মক এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
হাসপাতালের এসি সিস্টেমে অনেক সময় অ্যাসপারগিলাস (Aspergillus), পেনিসিলিয়াম (Penicillium), ক্লাডোসোপোরিয়াম (Cladosporium) ও রাইজোপাস (Rhizopus) জাতের ছত্রাক পাওয়া যায়। এই সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকা রোগী, অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তি, ডায়ালাইসিস রোগী এবং অপরিণত শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
অ্যাসপারগিলিয়াসে ফুসফুস, মস্তিষ্ক, যকৃৎ, কিডনি, ত্বক ও ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দেয়। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এ ছাড়া এসি থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাসও। এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনের একটি কিন্ডারগার্টেনে এসির মাধ্যমে নোরোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং ২০ শিশু পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়।
সাধারণত নোরোভাইরাস সংক্রমণ স্পর্শ বা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়ায়, তবে ওই ঘটনায় দেখা যায় এসির বাতাস থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
আবার উল্টো দিকও আছে। ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা এসি সিস্টেম করোনাভাইরাসসহ অনেক ভাইরাসের উপস্থিতি বাতাসে কমিয়ে দিতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
শুষ্কতা থেকে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি
এসি ব্যবহারে ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। শুষ্ক বাতাস নাক ও গলার মিউকাস ঝিল্লি শুকিয়ে দেয়, যা শরীরের প্রাকৃতিক জীবাণু প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সহজে শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এসি মূলত বাতাসের ধুলোবালু, ছত্রাকের স্পোর, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ছেঁকে দিয়ে পরিষ্কার বাতাস দেয়। তবে যদি এর ফিল্টার পুরোনো বা ময়লাযুক্ত হয় কিংবা নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেই সুরক্ষা আর কাজ করে না।
সুতরাং, এসি ব্যবহারে অসুবিধা নেই, বরং এটি স্বাস্থ্যকরও হতে পারে—যদি তা নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আর না হলে এই শীতল বাতাসই ডেকে আনতে পারে গুরুতর অসুস্থতা।

গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসির কারণে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হলেও এই ভয় পুরোপুরি অমূলক নয়।
কারণ, এসি সিস্টেম সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে তা জীবাণুর আখড়ায় পরিণত হতে পারে। ফলে এসি থেকে ছড়াতে পারে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ—সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে নিউমোনিয়া পর্যন্ত।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসি ব্যবহারে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লিখেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লেস্টারের সিনিয়র লেকচারার ও অণুজীববিজ্ঞানী প্রিমরোজ ফ্রিস্টোন।
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’ এমন একটি অবস্থা, যা সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে এসি চালু থাকা ঘরে অবস্থান করলে দেখা দেয়। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, নাক বন্ধ বা সর্দি, কাশি, চামড়ায় চুলকানি বা র্যাশ, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এই সমস্যা অফিসে কাজ করা মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে হাসপাতালের মতো এসি-চালিত যে কোনো ভবনে দীর্ঘ সময় থাকলেও হতে পারে। এই উপসর্গগুলো নির্দিষ্ট ভবনে থাকলে বাড়ে, ভবন থেকে বের হলে কমে যায়।
২০২৩ সালে ভারতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-যুক্ত অফিসে নিয়মিত দিনে ৬-৮ ঘণ্টা কাজ করা ২০০ জন কর্মীর মধ্যে এই উপসর্গের হার এসি ছাড়াই কাজ করা সমসংখ্যক ব্যক্তিদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শুধু উপসর্গ নয়, গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এসি অফিসে কাজ করা কর্মীদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতিও বেশি।
অন্য আরও গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-চালিত পরিবেশে কাজ করা কর্মীদের মধ্যে সিক বিল্ডিং সিনড্রোমের প্রবণতা বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম কারণ হলো বিকল এসি। যখন এসি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন তা যে ধুলোবালু, জীবাণু বা রাসায়নিক বাতাস থেকে আটকানোর কথা, সেগুলোই উল্টো বাতাসে ছড়িয়ে দেয়।
এ ছাড়া, এসির রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত কিছু রাসায়নিক যেমন—বেনজিন, ফরমালডিহাইড বা টলুইন বাতাসে মিশে গিয়ে শ্বাসতন্ত্রে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে এসির মধ্যে জমে থাকা পানি ও ধুলোর কারণে সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্ম নিতে পারে।
যেমন: লেজিওনেলা নিউমোফিলা (Legionella pneumophila) নামক ব্যাকটেরিয়া লেজিওনেলোসিস রোগের কারণ। এই ব্যাকটেরিয়া এসির পানিতে জন্মায় এবং সেখান থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এটি মূলত হোটেল, হাসপাতাল বা অফিসের মতো জায়গায় এসি বা পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ছড়ায়। এর উপসর্গ নিউমোনিয়ার মতো—কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও শরীরব্যথা। রোগটি মারাত্মক এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
হাসপাতালের এসি সিস্টেমে অনেক সময় অ্যাসপারগিলাস (Aspergillus), পেনিসিলিয়াম (Penicillium), ক্লাডোসোপোরিয়াম (Cladosporium) ও রাইজোপাস (Rhizopus) জাতের ছত্রাক পাওয়া যায়। এই সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকা রোগী, অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তি, ডায়ালাইসিস রোগী এবং অপরিণত শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
অ্যাসপারগিলিয়াসে ফুসফুস, মস্তিষ্ক, যকৃৎ, কিডনি, ত্বক ও ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দেয়। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এ ছাড়া এসি থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাসও। এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনের একটি কিন্ডারগার্টেনে এসির মাধ্যমে নোরোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং ২০ শিশু পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়।
সাধারণত নোরোভাইরাস সংক্রমণ স্পর্শ বা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়ায়, তবে ওই ঘটনায় দেখা যায় এসির বাতাস থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
আবার উল্টো দিকও আছে। ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা এসি সিস্টেম করোনাভাইরাসসহ অনেক ভাইরাসের উপস্থিতি বাতাসে কমিয়ে দিতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
শুষ্কতা থেকে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি
এসি ব্যবহারে ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। শুষ্ক বাতাস নাক ও গলার মিউকাস ঝিল্লি শুকিয়ে দেয়, যা শরীরের প্রাকৃতিক জীবাণু প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সহজে শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এসি মূলত বাতাসের ধুলোবালু, ছত্রাকের স্পোর, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ছেঁকে দিয়ে পরিষ্কার বাতাস দেয়। তবে যদি এর ফিল্টার পুরোনো বা ময়লাযুক্ত হয় কিংবা নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেই সুরক্ষা আর কাজ করে না।
সুতরাং, এসি ব্যবহারে অসুবিধা নেই, বরং এটি স্বাস্থ্যকরও হতে পারে—যদি তা নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আর না হলে এই শীতল বাতাসই ডেকে আনতে পারে গুরুতর অসুস্থতা।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসির কারণে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হলেও এই ভয় পুরোপুরি অমূলক নয়।
কারণ, এসি সিস্টেম সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে তা জীবাণুর আখড়ায় পরিণত হতে পারে। ফলে এসি থেকে ছড়াতে পারে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ—সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে নিউমোনিয়া পর্যন্ত।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসি ব্যবহারে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লিখেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লেস্টারের সিনিয়র লেকচারার ও অণুজীববিজ্ঞানী প্রিমরোজ ফ্রিস্টোন।
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’ এমন একটি অবস্থা, যা সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে এসি চালু থাকা ঘরে অবস্থান করলে দেখা দেয়। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, নাক বন্ধ বা সর্দি, কাশি, চামড়ায় চুলকানি বা র্যাশ, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এই সমস্যা অফিসে কাজ করা মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে হাসপাতালের মতো এসি-চালিত যে কোনো ভবনে দীর্ঘ সময় থাকলেও হতে পারে। এই উপসর্গগুলো নির্দিষ্ট ভবনে থাকলে বাড়ে, ভবন থেকে বের হলে কমে যায়।
২০২৩ সালে ভারতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-যুক্ত অফিসে নিয়মিত দিনে ৬-৮ ঘণ্টা কাজ করা ২০০ জন কর্মীর মধ্যে এই উপসর্গের হার এসি ছাড়াই কাজ করা সমসংখ্যক ব্যক্তিদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শুধু উপসর্গ নয়, গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এসি অফিসে কাজ করা কর্মীদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতিও বেশি।
অন্য আরও গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-চালিত পরিবেশে কাজ করা কর্মীদের মধ্যে সিক বিল্ডিং সিনড্রোমের প্রবণতা বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম কারণ হলো বিকল এসি। যখন এসি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন তা যে ধুলোবালু, জীবাণু বা রাসায়নিক বাতাস থেকে আটকানোর কথা, সেগুলোই উল্টো বাতাসে ছড়িয়ে দেয়।
এ ছাড়া, এসির রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত কিছু রাসায়নিক যেমন—বেনজিন, ফরমালডিহাইড বা টলুইন বাতাসে মিশে গিয়ে শ্বাসতন্ত্রে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে এসির মধ্যে জমে থাকা পানি ও ধুলোর কারণে সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্ম নিতে পারে।
যেমন: লেজিওনেলা নিউমোফিলা (Legionella pneumophila) নামক ব্যাকটেরিয়া লেজিওনেলোসিস রোগের কারণ। এই ব্যাকটেরিয়া এসির পানিতে জন্মায় এবং সেখান থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এটি মূলত হোটেল, হাসপাতাল বা অফিসের মতো জায়গায় এসি বা পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ছড়ায়। এর উপসর্গ নিউমোনিয়ার মতো—কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও শরীরব্যথা। রোগটি মারাত্মক এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
হাসপাতালের এসি সিস্টেমে অনেক সময় অ্যাসপারগিলাস (Aspergillus), পেনিসিলিয়াম (Penicillium), ক্লাডোসোপোরিয়াম (Cladosporium) ও রাইজোপাস (Rhizopus) জাতের ছত্রাক পাওয়া যায়। এই সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকা রোগী, অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তি, ডায়ালাইসিস রোগী এবং অপরিণত শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
অ্যাসপারগিলিয়াসে ফুসফুস, মস্তিষ্ক, যকৃৎ, কিডনি, ত্বক ও ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দেয়। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এ ছাড়া এসি থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাসও। এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনের একটি কিন্ডারগার্টেনে এসির মাধ্যমে নোরোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং ২০ শিশু পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়।
সাধারণত নোরোভাইরাস সংক্রমণ স্পর্শ বা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়ায়, তবে ওই ঘটনায় দেখা যায় এসির বাতাস থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
আবার উল্টো দিকও আছে। ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা এসি সিস্টেম করোনাভাইরাসসহ অনেক ভাইরাসের উপস্থিতি বাতাসে কমিয়ে দিতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
শুষ্কতা থেকে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি
এসি ব্যবহারে ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। শুষ্ক বাতাস নাক ও গলার মিউকাস ঝিল্লি শুকিয়ে দেয়, যা শরীরের প্রাকৃতিক জীবাণু প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সহজে শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এসি মূলত বাতাসের ধুলোবালু, ছত্রাকের স্পোর, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ছেঁকে দিয়ে পরিষ্কার বাতাস দেয়। তবে যদি এর ফিল্টার পুরোনো বা ময়লাযুক্ত হয় কিংবা নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেই সুরক্ষা আর কাজ করে না।
সুতরাং, এসি ব্যবহারে অসুবিধা নেই, বরং এটি স্বাস্থ্যকরও হতে পারে—যদি তা নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আর না হলে এই শীতল বাতাসই ডেকে আনতে পারে গুরুতর অসুস্থতা।

গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
তবে অনেকেই আছেন, যাঁরা গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসির কারণে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে হলেও এই ভয় পুরোপুরি অমূলক নয়।
কারণ, এসি সিস্টেম সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা হলে তা জীবাণুর আখড়ায় পরিণত হতে পারে। ফলে এসি থেকে ছড়াতে পারে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ—সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে নিউমোনিয়া পর্যন্ত।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসি ব্যবহারে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লিখেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লেস্টারের সিনিয়র লেকচারার ও অণুজীববিজ্ঞানী প্রিমরোজ ফ্রিস্টোন।
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’
‘সিক বিল্ডিং সিনড্রোম’ এমন একটি অবস্থা, যা সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে এসি চালু থাকা ঘরে অবস্থান করলে দেখা দেয়। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, নাক বন্ধ বা সর্দি, কাশি, চামড়ায় চুলকানি বা র্যাশ, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এই সমস্যা অফিসে কাজ করা মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে হাসপাতালের মতো এসি-চালিত যে কোনো ভবনে দীর্ঘ সময় থাকলেও হতে পারে। এই উপসর্গগুলো নির্দিষ্ট ভবনে থাকলে বাড়ে, ভবন থেকে বের হলে কমে যায়।
২০২৩ সালে ভারতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-যুক্ত অফিসে নিয়মিত দিনে ৬-৮ ঘণ্টা কাজ করা ২০০ জন কর্মীর মধ্যে এই উপসর্গের হার এসি ছাড়াই কাজ করা সমসংখ্যক ব্যক্তিদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শুধু উপসর্গ নয়, গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এসি অফিসে কাজ করা কর্মীদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম এবং তাঁদের কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতিও বেশি।
অন্য আরও গবেষণায় দেখা গেছে, এসি-চালিত পরিবেশে কাজ করা কর্মীদের মধ্যে সিক বিল্ডিং সিনড্রোমের প্রবণতা বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম কারণ হলো বিকল এসি। যখন এসি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন তা যে ধুলোবালু, জীবাণু বা রাসায়নিক বাতাস থেকে আটকানোর কথা, সেগুলোই উল্টো বাতাসে ছড়িয়ে দেয়।
এ ছাড়া, এসির রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত কিছু রাসায়নিক যেমন—বেনজিন, ফরমালডিহাইড বা টলুইন বাতাসে মিশে গিয়ে শ্বাসতন্ত্রে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে এসির মধ্যে জমে থাকা পানি ও ধুলোর কারণে সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্ম নিতে পারে।
যেমন: লেজিওনেলা নিউমোফিলা (Legionella pneumophila) নামক ব্যাকটেরিয়া লেজিওনেলোসিস রোগের কারণ। এই ব্যাকটেরিয়া এসির পানিতে জন্মায় এবং সেখান থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এটি মূলত হোটেল, হাসপাতাল বা অফিসের মতো জায়গায় এসি বা পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ছড়ায়। এর উপসর্গ নিউমোনিয়ার মতো—কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও শরীরব্যথা। রোগটি মারাত্মক এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
হাসপাতালের এসি সিস্টেমে অনেক সময় অ্যাসপারগিলাস (Aspergillus), পেনিসিলিয়াম (Penicillium), ক্লাডোসোপোরিয়াম (Cladosporium) ও রাইজোপাস (Rhizopus) জাতের ছত্রাক পাওয়া যায়। এই সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকা রোগী, অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তি, ডায়ালাইসিস রোগী এবং অপরিণত শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
অ্যাসপারগিলিয়াসে ফুসফুস, মস্তিষ্ক, যকৃৎ, কিডনি, ত্বক ও ক্ষতস্থানে সংক্রমণ দেখা দেয়। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ওজন কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি।
এ ছাড়া এসি থেকে ছড়াতে পারে ভাইরাসও। এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনের একটি কিন্ডারগার্টেনে এসির মাধ্যমে নোরোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং ২০ শিশু পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়।
সাধারণত নোরোভাইরাস সংক্রমণ স্পর্শ বা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়ায়, তবে ওই ঘটনায় দেখা যায় এসির বাতাস থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
আবার উল্টো দিকও আছে। ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা এসি সিস্টেম করোনাভাইরাসসহ অনেক ভাইরাসের উপস্থিতি বাতাসে কমিয়ে দিতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
শুষ্কতা থেকে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি
এসি ব্যবহারে ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। শুষ্ক বাতাস নাক ও গলার মিউকাস ঝিল্লি শুকিয়ে দেয়, যা শরীরের প্রাকৃতিক জীবাণু প্রতিরোধব্যবস্থাকে দুর্বল করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সহজে শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এসি মূলত বাতাসের ধুলোবালু, ছত্রাকের স্পোর, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ছেঁকে দিয়ে পরিষ্কার বাতাস দেয়। তবে যদি এর ফিল্টার পুরোনো বা ময়লাযুক্ত হয় কিংবা নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেই সুরক্ষা আর কাজ করে না।
সুতরাং, এসি ব্যবহারে অসুবিধা নেই, বরং এটি স্বাস্থ্যকরও হতে পারে—যদি তা নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আর না হলে এই শীতল বাতাসই ডেকে আনতে পারে গুরুতর অসুস্থতা।

ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
৩ ঘণ্টা আগে
শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। একবার সমস্যা হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখা। এটি বাইল নামের একধরনের তরল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই লিভার সুস্থ রাখতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
৫ ঘণ্টা আগে
মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
৫ ঘণ্টা আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
ডায়াবেটিস ভালো হয় না—বিষয়টি রোগীদের বেশি চিন্তিত করে তোলে। এই দুশ্চিন্তা থেকে রোগীরা অনেক সময় সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেন না। সেই সঙ্গে রোগীরা খাওয়া নিয়েও অনেক ভুল ধারণা পোষণ করেন।
কিটো ডায়েটে ডায়াবেটিস ভালো হয়
কথাটি বহুল প্রচলিত। বেশির ভাগ ডায়াবেটিস রোগী কিটো ডায়েটে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা করেন; কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর আর পেরে ওঠেন না। কিটো ডায়েটে রক্তের সুগার বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু একটা লম্বা সময় কিটো ডায়েট করলে আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি সৃষ্টি হয়। ফলে শরীরের অন্য অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কিটো ডায়েটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার ও কিডনি। তাই এসব বিষয়ে প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর সচেতন থাকতে হবে।
কিটো ডায়েটে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তার মানে এই নয় যে আপনার ডায়াবেটিস সেরে যাবে। আপনি যখন কিটো ডায়েট ছেড়ে আবার স্বাভাবিক ডায়েটে আসবেন, তখন আপনার রক্তের সুগার আবারও বেড়ে যাবে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস হয়
এই তথ্যও একেবারে সঠিক নয়। আপনার ডায়াবেটিস যদি হয়, তাহলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। ডায়াবেটিস না থাকলে খাওয়া যেতে পারে মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিমিতভাবে। তবে অতিরিক্ত যদি খান, তাহলে অন্যান্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তি মিষ্টিজাতীয় তৈরি খাবার প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম খেতে পারেন।
ডাল ও বীজজাতীয় খাবার নয়
অনেকে বলে থাকেন, ডায়াবেটিস রোগীদের ডাল ও বিভিন্ন বীজজাতীয় খাবার নিষেধ। এটিও ভুল তথ্য। ডাল এবং বীজজাতীয় খাবার অবশ্যই পরিমিত খাওয়া যাবে। শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত যেকোনো খাবার ক্ষতিকর। তবে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকলে ডাল ও বীজজাতীয় খাবার বন্ধ থাকবে।
মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেতে হয়
বহুল প্রচলিত বাণী এটি। মাঝেমধ্যে মিষ্টি না খেলে ডায়াবেটিস নীল হয়ে যায়—এটা ভুল তথ্য। এতে ডায়াবেটিস বেড়ে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। তবে রক্তের সুগার (হাইপোগ্লাইসিমিয়া) স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে কিছুটা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে হয়। তবে রুটিনমাফিক খাবার খেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে রক্তের সুগার কমে যাওয়ার শঙ্কা খুব কম।
হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে, তখন ৩ চা-চামচ চিনি অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে।
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশু বুকের দুধ খেতে পারবে না
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলেও তিনি শিশুকে নিশ্চিন্তে বুকের দুধ পান করাতে পারেন। বরং বুকের দুধ পান না করালেই শিশু অপুষ্টিতে ভুগবে। তার সঠিক বৃদ্ধি হবে না। জন্মের প্রথম ৬ মাস শিশুর সব পুষ্টির চাহিদা শুধু মায়ের বুকের দুধ থেকে পূরণ হয়। অন্য কোনো উপায়ে তা পূরণ করা সম্ভব নয়।
ভুল ধারণা
ডায়াবেটিস সেরে যায়
ডায়াবেটিস রোগ কখনো সেরে যায় না। এই রোগীদের এ ধরনের দুর্বলতার সুযোগ অনেক অসাধু ব্যক্তি নিয়ে থাকে। ‘ডায়াবেটিস ভালো হয়’ এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। এতে রোগীরা আকৃষ্ট হন। সেসব জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার পর ডায়াবেটিস তো ভালো হয়ই না; উল্টো রোগীদের ডায়াবেটিসের অন্যান্য জটিলতা আও বেড়ে যায়।
অনেকে বলেন, হোমিওপ্যাথি বা কবিরাজি চিকিৎসায় ডায়াবেটিস ভালো হয়। এগুলোও ভুল তথ্য। ডায়াবেটিস ভালো করার কোনো ফর্মুলা যদি আবিষ্কৃত হয়, তাহলে সে খবর সবার আগে দেশের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ও ডায়াবেটিস হাসপাতালগুলো জানবে। তাই এমন চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে নিজের স্বাস্থ্য আর কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট করবেন না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনার চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
ডায়াবেটিস ভালো হয় না—বিষয়টি রোগীদের বেশি চিন্তিত করে তোলে। এই দুশ্চিন্তা থেকে রোগীরা অনেক সময় সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেন না। সেই সঙ্গে রোগীরা খাওয়া নিয়েও অনেক ভুল ধারণা পোষণ করেন।
কিটো ডায়েটে ডায়াবেটিস ভালো হয়
কথাটি বহুল প্রচলিত। বেশির ভাগ ডায়াবেটিস রোগী কিটো ডায়েটে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা করেন; কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর আর পেরে ওঠেন না। কিটো ডায়েটে রক্তের সুগার বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু একটা লম্বা সময় কিটো ডায়েট করলে আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি সৃষ্টি হয়। ফলে শরীরের অন্য অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কিটো ডায়েটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার ও কিডনি। তাই এসব বিষয়ে প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর সচেতন থাকতে হবে।
কিটো ডায়েটে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তার মানে এই নয় যে আপনার ডায়াবেটিস সেরে যাবে। আপনি যখন কিটো ডায়েট ছেড়ে আবার স্বাভাবিক ডায়েটে আসবেন, তখন আপনার রক্তের সুগার আবারও বেড়ে যাবে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস হয়
এই তথ্যও একেবারে সঠিক নয়। আপনার ডায়াবেটিস যদি হয়, তাহলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। ডায়াবেটিস না থাকলে খাওয়া যেতে পারে মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিমিতভাবে। তবে অতিরিক্ত যদি খান, তাহলে অন্যান্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তি মিষ্টিজাতীয় তৈরি খাবার প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম খেতে পারেন।
ডাল ও বীজজাতীয় খাবার নয়
অনেকে বলে থাকেন, ডায়াবেটিস রোগীদের ডাল ও বিভিন্ন বীজজাতীয় খাবার নিষেধ। এটিও ভুল তথ্য। ডাল এবং বীজজাতীয় খাবার অবশ্যই পরিমিত খাওয়া যাবে। শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত যেকোনো খাবার ক্ষতিকর। তবে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকলে ডাল ও বীজজাতীয় খাবার বন্ধ থাকবে।
মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেতে হয়
বহুল প্রচলিত বাণী এটি। মাঝেমধ্যে মিষ্টি না খেলে ডায়াবেটিস নীল হয়ে যায়—এটা ভুল তথ্য। এতে ডায়াবেটিস বেড়ে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। তবে রক্তের সুগার (হাইপোগ্লাইসিমিয়া) স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে কিছুটা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে হয়। তবে রুটিনমাফিক খাবার খেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে রক্তের সুগার কমে যাওয়ার শঙ্কা খুব কম।
হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে, তখন ৩ চা-চামচ চিনি অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে।
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশু বুকের দুধ খেতে পারবে না
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলেও তিনি শিশুকে নিশ্চিন্তে বুকের দুধ পান করাতে পারেন। বরং বুকের দুধ পান না করালেই শিশু অপুষ্টিতে ভুগবে। তার সঠিক বৃদ্ধি হবে না। জন্মের প্রথম ৬ মাস শিশুর সব পুষ্টির চাহিদা শুধু মায়ের বুকের দুধ থেকে পূরণ হয়। অন্য কোনো উপায়ে তা পূরণ করা সম্ভব নয়।
ভুল ধারণা
ডায়াবেটিস সেরে যায়
ডায়াবেটিস রোগ কখনো সেরে যায় না। এই রোগীদের এ ধরনের দুর্বলতার সুযোগ অনেক অসাধু ব্যক্তি নিয়ে থাকে। ‘ডায়াবেটিস ভালো হয়’ এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। এতে রোগীরা আকৃষ্ট হন। সেসব জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার পর ডায়াবেটিস তো ভালো হয়ই না; উল্টো রোগীদের ডায়াবেটিসের অন্যান্য জটিলতা আও বেড়ে যায়।
অনেকে বলেন, হোমিওপ্যাথি বা কবিরাজি চিকিৎসায় ডায়াবেটিস ভালো হয়। এগুলোও ভুল তথ্য। ডায়াবেটিস ভালো করার কোনো ফর্মুলা যদি আবিষ্কৃত হয়, তাহলে সে খবর সবার আগে দেশের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ও ডায়াবেটিস হাসপাতালগুলো জানবে। তাই এমন চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে নিজের স্বাস্থ্য আর কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট করবেন না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনার চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
১৩ আগস্ট ২০২৫
শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। একবার সমস্যা হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখা। এটি বাইল নামের একধরনের তরল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই লিভার সুস্থ রাখতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
৫ ঘণ্টা আগে
মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
৫ ঘণ্টা আগেঅধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হক

শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। একবার সমস্যা হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখা। এটি বাইল নামের একধরনের তরল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই লিভার সুস্থ রাখতে পারে।
আগেই লিভারের যত্ন
লিভার নষ্ট হওয়ার খুব সাধারণ একটি কারণ হলো অতিরিক্ত মদ্যপান। এটি লিভার ড্যামেজ, ফ্যাটি লিভার এমনকি লিভার ক্যানসার তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার কারণেও লিভার কর্মক্ষমতা হারায়।
লিভারের ক্ষতির আর একটি কারণ হচ্ছে ধূমপান। সিগারেটের উপাদানগুলো সরাসরি লিভারের ওপর প্রভাব ফেলে এর কোষ নষ্ট করে। তা ছাড়া লিভারের স্বাভাবিক কাজেও বাধা সৃষ্টি করে।
নিয়মিত কম ঘুমানো লিভারের ক্ষতি করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়। যাঁরা রাতে ঘুমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগের পাশাপাশি লিভারসংক্রান্ত সমস্যায়ও ভোগেন। পুষ্টিকর খাবারের অভাব কিংবা খাবারে অনিয়ম লিভারের ক্ষতি করে থাকে। সকালে না খাওয়া, খারাপ তেল বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, পোড়া তেলের খাবার বেশি খাওয়া, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড খাওয়ার কারণে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
কেমিক্যালসমৃদ্ধ যেকোনো খাবারই লিভারের জন্য ক্ষতিকর। আমরা অনেকে প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল ফুড কালার, আর্টিফিশিয়াল চিনি যুক্ত খাবার পছন্দ করি। এগুলো লিভারের জন্য সুফল বয়ে আনে না। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, প্যারাসাইট, ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিকতা, বংশগত কারণ কিংবা ক্যানসারের কারণেও লিভার নষ্ট হতে পারে।
লিভারের যত রোগ
লিভার নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এর কিছু রোগ আছে বংশগত, কিছু আমাদের অর্জিত, কিছু স্বল্পস্থায়ী এবং কিছু দীর্ঘস্থায়ী। লিভারের কয়েকটি সাধারণ সমস্যা হলো, জন্ডিস, পিত্তে পাথর, হেপাটাইটিস সি, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যানসার, উইলসন্স।
করণীয়
আপনি যদি স্থূল হন, অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে আপনার ওজন বেশি হয়, তাহলে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন। লিভার ফ্যাট কমিয়ে সুস্থ থাকতে ওজন কমাতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস লিভারকে সুস্থ রাখে। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, যেমন সাদা পাউরুটি, পাস্তা এবং চিনি এড়িয়ে চলতে হবে। কাঁচা ও আধা সেদ্ধ মাছ-মাংস খাওয়া বাদ দিতে হবে। প্রতিদিনকার খাবারে তাজা ফল, শাকসবজি, লাল চাল এবং সিরিয়াল রাখতে পারেন। তা ছাড়া রসুন, জাম্বুরা, গাজর, গ্রিন টি, অ্যাভোকাডো, আপেল, অলিভ অয়েল, লেবু, বাঁধাকপি ও হলুদ লিভারের জন্য বেশ উপকারী। লিভার ও কিডনি—দুটোই সুস্থ রাখার জন্য পানির ভারসাম্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম লিভার সুস্থ রাখার বড় ওষুধ।

শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। একবার সমস্যা হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখা। এটি বাইল নামের একধরনের তরল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই লিভার সুস্থ রাখতে পারে।
আগেই লিভারের যত্ন
লিভার নষ্ট হওয়ার খুব সাধারণ একটি কারণ হলো অতিরিক্ত মদ্যপান। এটি লিভার ড্যামেজ, ফ্যাটি লিভার এমনকি লিভার ক্যানসার তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার কারণেও লিভার কর্মক্ষমতা হারায়।
লিভারের ক্ষতির আর একটি কারণ হচ্ছে ধূমপান। সিগারেটের উপাদানগুলো সরাসরি লিভারের ওপর প্রভাব ফেলে এর কোষ নষ্ট করে। তা ছাড়া লিভারের স্বাভাবিক কাজেও বাধা সৃষ্টি করে।
নিয়মিত কম ঘুমানো লিভারের ক্ষতি করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়। যাঁরা রাতে ঘুমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগের পাশাপাশি লিভারসংক্রান্ত সমস্যায়ও ভোগেন। পুষ্টিকর খাবারের অভাব কিংবা খাবারে অনিয়ম লিভারের ক্ষতি করে থাকে। সকালে না খাওয়া, খারাপ তেল বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, পোড়া তেলের খাবার বেশি খাওয়া, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড খাওয়ার কারণে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
কেমিক্যালসমৃদ্ধ যেকোনো খাবারই লিভারের জন্য ক্ষতিকর। আমরা অনেকে প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল ফুড কালার, আর্টিফিশিয়াল চিনি যুক্ত খাবার পছন্দ করি। এগুলো লিভারের জন্য সুফল বয়ে আনে না। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, প্যারাসাইট, ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিকতা, বংশগত কারণ কিংবা ক্যানসারের কারণেও লিভার নষ্ট হতে পারে।
লিভারের যত রোগ
লিভার নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এর কিছু রোগ আছে বংশগত, কিছু আমাদের অর্জিত, কিছু স্বল্পস্থায়ী এবং কিছু দীর্ঘস্থায়ী। লিভারের কয়েকটি সাধারণ সমস্যা হলো, জন্ডিস, পিত্তে পাথর, হেপাটাইটিস সি, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যানসার, উইলসন্স।
করণীয়
আপনি যদি স্থূল হন, অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে আপনার ওজন বেশি হয়, তাহলে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন। লিভার ফ্যাট কমিয়ে সুস্থ থাকতে ওজন কমাতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস লিভারকে সুস্থ রাখে। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, যেমন সাদা পাউরুটি, পাস্তা এবং চিনি এড়িয়ে চলতে হবে। কাঁচা ও আধা সেদ্ধ মাছ-মাংস খাওয়া বাদ দিতে হবে। প্রতিদিনকার খাবারে তাজা ফল, শাকসবজি, লাল চাল এবং সিরিয়াল রাখতে পারেন। তা ছাড়া রসুন, জাম্বুরা, গাজর, গ্রিন টি, অ্যাভোকাডো, আপেল, অলিভ অয়েল, লেবু, বাঁধাকপি ও হলুদ লিভারের জন্য বেশ উপকারী। লিভার ও কিডনি—দুটোই সুস্থ রাখার জন্য পানির ভারসাম্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম লিভার সুস্থ রাখার বড় ওষুধ।

গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
১৩ আগস্ট ২০২৫
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
৩ ঘণ্টা আগে
শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
৫ ঘণ্টা আগে
মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
ভাবুন তো, নিস্তব্ধ গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে আছেন। সামনে ভ্যান গঘ বা গগ্যাঁর কোনো বিখ্যাত ছবি। হালকা আলো ও শান্ত পরিবেশে ক্যানভাসের রংগুলো ধীরে ধীরে আপনাকে যেন টেনে নিচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা যে শুধু মনকে শান্ত করে, তা নয়; একই সঙ্গে আপনার শরীরও প্রতিক্রিয়া জানায়।
গবেষণায় কী দেখা গেল
কিংস কলেজ লন্ডনের নেতৃত্বে হওয়া এই গবেষণায় অংশ নেন যুক্তরাজ্যের ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী। দুই দলে ভাগ করে তাঁদের অর্ধেককে লন্ডনের কোর্টল্ড গ্যালারিতে আসল চিত্রকর্ম দেখানো হয়। বাকি অর্ধেক গ্যালারির বাইরের সাধারণ পরিবেশে একই ছবি দেখেন কাগজে, ছাপা আকারে। সবাইকে সেন্সর পরিয়ে হার্ট রেট, ত্বকের তাপমাত্রা, এমনকি লালার নমুনা পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়। অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের শরীর ঠিক কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, তা জানার জন্য এত আয়োজন করা হয়।
ফলাফলে দেখা গেছে, গ্যালারিতে শিল্পীদের আসল শিল্পকর্ম দেখা গ্রুপের স্ট্রেস হরমোন গড়ে কমেছে ২২ শতাংশ। অন্যদিকে যারা বাইরের পরিবেশে কপি চিত্রকর্ম দেখেছে, তাদের সেই হরমোন কমেছে মাত্র ৮ শতাংশ।
এই গবেষণা প্রমাণ করে, শিল্পকর্ম শুধু মন প্রফুল্ল করে না, এটি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও কাজে দেয়।
শিল্প কীভাবে কাজ করে
শিল্পকর্ম একই সঙ্গে তিনটি সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। সেগুলো হলো ইমিউন সিস্টেম, এন্ডোক্রাইন সিস্টেম এবং অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম। গ্যালারিতে যারা আসল ছবি দেখেছে, তাদের শরীরে কয়েকটা হালকা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ত্বকের তাপমাত্রা সামান্য কমেছে, হৃৎস্পন্দন একটু বেড়েছে বা কমেছে। সহজভাবে বলতে গেলে, আসল শিল্পকর্ম স্বেচ্ছাসেবীদের শরীর সতেজ করে তুলেছিল।
গবেষক ড. টনি উডস বলেন, ‘আমরা জানতাম, শিল্প মানুষের আবেগকে নাড়া দেয়। কিন্তু একই সঙ্গে স্ট্রেস কমিয়ে তিনটি সিস্টেমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটা সত্যিই বিস্ময়কর।’
শিল্প সবার জন্য
গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের সবার সংবেদনশীলতার ধরন ছিল আলাদা। কিন্তু তাতে ফলাফলে তেমন কোনো পার্থক্য হয়নি। অর্থাৎ আপনি খুব আবেগপ্রবণ হোন কিংবা না হোন, শিল্পকর্ম দেখার উপকার সবাই একইভাবে পেতে পারেন। আর্ট ফান্ডের পরিচালক জেনি ওয়াল্ডম্যান বলেন, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করতাম যে শিল্প মানুষের জন্য। এবার তা বিজ্ঞানের ভাষাতেও আবার প্রমাণিত হলো।’
জেনি ওয়াল্ডম্যানের মতে, যেহেতু এই উপকারগুলো কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষে সীমাবদ্ধ নয়, তাই সবাইকে নিয়মিত নিকটস্থ জাদুঘর বা গ্যালারিতে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত।
দিনে দিনে ব্যস্ততা, চাপ, ক্লান্তি—এসব নীরবে আমাদের প্রায় সবার শরীরের ক্ষতি করে চলেছে। অথচ কখনো কখনো একটু সময় বের করে কোনো আর্ট গ্যালারিতে ঢুঁ মেরে এলে তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
ভাবুন তো, নিস্তব্ধ গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে আছেন। সামনে ভ্যান গঘ বা গগ্যাঁর কোনো বিখ্যাত ছবি। হালকা আলো ও শান্ত পরিবেশে ক্যানভাসের রংগুলো ধীরে ধীরে আপনাকে যেন টেনে নিচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা যে শুধু মনকে শান্ত করে, তা নয়; একই সঙ্গে আপনার শরীরও প্রতিক্রিয়া জানায়।
গবেষণায় কী দেখা গেল
কিংস কলেজ লন্ডনের নেতৃত্বে হওয়া এই গবেষণায় অংশ নেন যুক্তরাজ্যের ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী। দুই দলে ভাগ করে তাঁদের অর্ধেককে লন্ডনের কোর্টল্ড গ্যালারিতে আসল চিত্রকর্ম দেখানো হয়। বাকি অর্ধেক গ্যালারির বাইরের সাধারণ পরিবেশে একই ছবি দেখেন কাগজে, ছাপা আকারে। সবাইকে সেন্সর পরিয়ে হার্ট রেট, ত্বকের তাপমাত্রা, এমনকি লালার নমুনা পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়। অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের শরীর ঠিক কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, তা জানার জন্য এত আয়োজন করা হয়।
ফলাফলে দেখা গেছে, গ্যালারিতে শিল্পীদের আসল শিল্পকর্ম দেখা গ্রুপের স্ট্রেস হরমোন গড়ে কমেছে ২২ শতাংশ। অন্যদিকে যারা বাইরের পরিবেশে কপি চিত্রকর্ম দেখেছে, তাদের সেই হরমোন কমেছে মাত্র ৮ শতাংশ।
এই গবেষণা প্রমাণ করে, শিল্পকর্ম শুধু মন প্রফুল্ল করে না, এটি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও কাজে দেয়।
শিল্প কীভাবে কাজ করে
শিল্পকর্ম একই সঙ্গে তিনটি সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। সেগুলো হলো ইমিউন সিস্টেম, এন্ডোক্রাইন সিস্টেম এবং অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম। গ্যালারিতে যারা আসল ছবি দেখেছে, তাদের শরীরে কয়েকটা হালকা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ত্বকের তাপমাত্রা সামান্য কমেছে, হৃৎস্পন্দন একটু বেড়েছে বা কমেছে। সহজভাবে বলতে গেলে, আসল শিল্পকর্ম স্বেচ্ছাসেবীদের শরীর সতেজ করে তুলেছিল।
গবেষক ড. টনি উডস বলেন, ‘আমরা জানতাম, শিল্প মানুষের আবেগকে নাড়া দেয়। কিন্তু একই সঙ্গে স্ট্রেস কমিয়ে তিনটি সিস্টেমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটা সত্যিই বিস্ময়কর।’
শিল্প সবার জন্য
গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের সবার সংবেদনশীলতার ধরন ছিল আলাদা। কিন্তু তাতে ফলাফলে তেমন কোনো পার্থক্য হয়নি। অর্থাৎ আপনি খুব আবেগপ্রবণ হোন কিংবা না হোন, শিল্পকর্ম দেখার উপকার সবাই একইভাবে পেতে পারেন। আর্ট ফান্ডের পরিচালক জেনি ওয়াল্ডম্যান বলেন, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করতাম যে শিল্প মানুষের জন্য। এবার তা বিজ্ঞানের ভাষাতেও আবার প্রমাণিত হলো।’
জেনি ওয়াল্ডম্যানের মতে, যেহেতু এই উপকারগুলো কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষে সীমাবদ্ধ নয়, তাই সবাইকে নিয়মিত নিকটস্থ জাদুঘর বা গ্যালারিতে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত।
দিনে দিনে ব্যস্ততা, চাপ, ক্লান্তি—এসব নীরবে আমাদের প্রায় সবার শরীরের ক্ষতি করে চলেছে। অথচ কখনো কখনো একটু সময় বের করে কোনো আর্ট গ্যালারিতে ঢুঁ মেরে এলে তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
১৩ আগস্ট ২০২৫
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
৩ ঘণ্টা আগে
শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। একবার সমস্যা হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখা। এটি বাইল নামের একধরনের তরল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই লিভার সুস্থ রাখতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
৫ ঘণ্টা আগেহাসিবুল হাসান

মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
আমাদের মস্তিষ্ক কাজ করে বিভিন্ন নিউরোট্রান্সমিটার কিংবা রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে। সেরোটোনিন, ডোপামিন, গ্যাবা ইত্যাদি মানুষের মনমেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এসব তৈরির মূল কাঁচামাল পাওয়া যায় খাদ্য থেকে। যেমন ট্রিপটোফান থেকে তৈরি হয় সেরোটোনিন; যা কলা, ডিম, বাদাম ও দুধে পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ মানসিক প্রশান্তিতে সাহায্য করে। এটি পাওয়া যায় ইলিশ, সার্ডিন মাছ ও আখরোটে। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ু স্থিতিশীল রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।
সাম্প্রতিক জরিপগুলো বলছে, দেশে প্রতি চারজনে একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। অনেকের খাদ্যতালিকায় থাকে উচ্চমাত্রার প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি, ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিংক। এসব মেজাজ খারাপ করে, ঘুম ব্যাহত করে, এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে বিষণ্নতা সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে যাঁরা ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ও দইজাতীয় প্রোবায়োটিকস গ্রহণ করেন, তাঁদের মন ভালো থাকে। তাঁদের মধ্যে আবেগের ওঠানামা তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়। অন্ত্র ও মস্তিষ্কের মধ্যকার সম্পর্ক আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
যাঁরা দিনের শুরুতে সুষম নাশতা খান, তাঁদের মনোযোগ ও মানসিক স্থিতি ভালো থাকে। আবার যাঁরা সকালে খাবার বাদ দিয়ে শুধু কফি বা চিনিজাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে রাগ, হতাশা ও অবসাদ বেশি দেখা যায়।
দেশে কিশোর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা বাড়ছে। তাদের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের ঘাটতি, ভিটামিন বি১২-এর অভাব, নিয়মহীন খাবারের সময়সূচি ইত্যাদি বেশ সাধারণ। স্কুল ও পরিবারের উচিত সচেতনভাবে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা।
খাবার শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, এটি আমাদের অনুভূতি, আবেগ এবং মনের রসায়নেরও ভিত্তি। সঠিক খাবার নির্বাচন করলে মন হালকা থাকে, ঘুম ভালো হয় এবং কাজে আগ্রহ বাড়ে। অন্যদিকে ভুল খাবার গ্রহণ মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পুষ্টির বিষয়টিও সামনে আনতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে এই সংযুক্তি এখন সময়ের দাবি।
আপনি প্রতিদিন কী খাচ্ছেন, সেটি শুধু শরীর নয়, মনকেও গড়ে তুলছে। তাই মনমেজাজ ঠিক রাখতে হলে তালিকায় রাখতে হবে সঠিক ও পরিমিত খাবার।
ডায়েটিশিয়ান, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অ্যান্ড, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকা

মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
আমাদের মস্তিষ্ক কাজ করে বিভিন্ন নিউরোট্রান্সমিটার কিংবা রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে। সেরোটোনিন, ডোপামিন, গ্যাবা ইত্যাদি মানুষের মনমেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এসব তৈরির মূল কাঁচামাল পাওয়া যায় খাদ্য থেকে। যেমন ট্রিপটোফান থেকে তৈরি হয় সেরোটোনিন; যা কলা, ডিম, বাদাম ও দুধে পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ মানসিক প্রশান্তিতে সাহায্য করে। এটি পাওয়া যায় ইলিশ, সার্ডিন মাছ ও আখরোটে। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ু স্থিতিশীল রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।
সাম্প্রতিক জরিপগুলো বলছে, দেশে প্রতি চারজনে একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। অনেকের খাদ্যতালিকায় থাকে উচ্চমাত্রার প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি, ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিংক। এসব মেজাজ খারাপ করে, ঘুম ব্যাহত করে, এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে বিষণ্নতা সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে যাঁরা ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ও দইজাতীয় প্রোবায়োটিকস গ্রহণ করেন, তাঁদের মন ভালো থাকে। তাঁদের মধ্যে আবেগের ওঠানামা তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়। অন্ত্র ও মস্তিষ্কের মধ্যকার সম্পর্ক আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
যাঁরা দিনের শুরুতে সুষম নাশতা খান, তাঁদের মনোযোগ ও মানসিক স্থিতি ভালো থাকে। আবার যাঁরা সকালে খাবার বাদ দিয়ে শুধু কফি বা চিনিজাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে রাগ, হতাশা ও অবসাদ বেশি দেখা যায়।
দেশে কিশোর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা বাড়ছে। তাদের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের ঘাটতি, ভিটামিন বি১২-এর অভাব, নিয়মহীন খাবারের সময়সূচি ইত্যাদি বেশ সাধারণ। স্কুল ও পরিবারের উচিত সচেতনভাবে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা।
খাবার শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, এটি আমাদের অনুভূতি, আবেগ এবং মনের রসায়নেরও ভিত্তি। সঠিক খাবার নির্বাচন করলে মন হালকা থাকে, ঘুম ভালো হয় এবং কাজে আগ্রহ বাড়ে। অন্যদিকে ভুল খাবার গ্রহণ মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পুষ্টির বিষয়টিও সামনে আনতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে এই সংযুক্তি এখন সময়ের দাবি।
আপনি প্রতিদিন কী খাচ্ছেন, সেটি শুধু শরীর নয়, মনকেও গড়ে তুলছে। তাই মনমেজাজ ঠিক রাখতে হলে তালিকায় রাখতে হবে সঠিক ও পরিমিত খাবার।
ডায়েটিশিয়ান, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অ্যান্ড, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকা

গরমে স্বস্তির অপর নাম এসি। বাইরে যখন তাপমাত্রা অসহনীয়, তখন ঘরের মধ্যে শীতল বাতাস যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। শুধু আরামই নয়, এসি ব্যবহারে ঘরের আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা গরমে গরমে কষ্ট করেও এসি ব্যবহার করেন না। তাঁদের বিশ্বাস, এসি থেকে অসুস্থ হওয়া যায়। এটি অনেকের কাছে অবাস্তব মনে...
১৩ আগস্ট ২০২৫
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
৩ ঘণ্টা আগে
শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। একবার সমস্যা হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখা। এটি বাইল নামের একধরনের তরল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই লিভার সুস্থ রাখতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।
৫ ঘণ্টা আগে