ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন
ব্রণ হলে প্রতিদিনের ত্বকের যত্নে পরিবর্তন আনতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হবে। যেকোনো ঋতুতে, যেকোনো বয়সে অ্যাকনি, পিম্পল তথা ব্রণ হতে পারে।যেসব কারণে ব্রণ হয়বংশগত, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, গর্ভধারণ, বয়ঃসন্ধি, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম—এসব কারণে সাধারণত ব্রণ হয়ে থাকে। স্টেরয়েড, অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ড্রাগ ওষুধ সেবনের কারণেও ব্রণ হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির সংস্পর্শ, গ্রিজি মেকআপ ব্যবহার, যানবাহনের দূষণ, গরম আবহাওয়া, আর্দ্রতা—এই সবকিছু ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। আর ছেলেদের ব্রণের অন্যতম কারণ ধূমপান।
তৈলাক্ত ত্বককে ব্রণপ্রবণ ত্বক বলা হয়। অর্থাৎ যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের ব্রণ সহজেই হয়। শুধু মুখে নয়, শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকেও ব্রণ হতে পারে। শুষ্ক ত্বক যদি ঠিকমতো পরিষ্কার করা না হয়, তাহলেও ব্রণ দেখা দিতে পারে।
আমাদের সবার ত্বকে অয়েল গ্লান্ড থাকে। অয়েল গ্লান্ডগুলো স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি অয়েল বা সেবাম নিষ্কাশন করলে ত্বকে ব্রণ হয়। এই সেবামের সঙ্গে মৃত কোষ যুক্ত হয়ে হোয়াইট হেডস হয়। হোয়াইট হেডস মূলত কিশোর-কিশোরীদের বেশি হয়। হোয়াইট হেডস ত্বকে যে কালো ডটের আকার ধারণ করে, তাকে বলা হয় ব্ল্যাকহেডস। ব্ল্যাকহেডস জীবাণুর সংক্রমণে এলে ব্রণ বা পিম্পল হয়। এ জীবাণুটির নাম প্রোপিয়নিব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনি। ব্রণ থেকে মুক্ত থাকতে এ বিষয়গুলোর প্রতি সচেতন থাকতে হবে।
মুক্ত থাকতে যা করবেন
ব্রণ হলে দৈনন্দিন ত্বকের যত্নে যে পণ্যগুলো ব্যবহার করেন, সেগুলো বাদ দিয়ে ব্রণ প্রতিরোধের জন্য উপযোগী ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এগুলো হতে হবে ওয়াটার বেজড নন-কামভোজেনিক।
ত্বকে অল্প কিছু ব্রণ দেখা দিলে সালফার, জিংক, বেনজয়েল পার অক্সাইড, রেটিন এ অথবা অ্যান্টিবায়োটিকযুক্ত পণ্য, যেমন ইরাইথ্রোমাইসিন বা ক্লিন্ডামাইসিন লোশন জেল ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ব্রণ বেশি হলে সিস্টেমিক অ্যান্টিবায়োটিক বা সিস্টেমিক রেটিনয়েড থেরাপি লাগে। এসব থেরাপি যখন কাজ করে না, তখন অ্যাকনি লেজার থেরাপি, ডায়মন্ড পিল, লো লেভেল এলইডি লাইট— এসব অ্যাসথেটিক থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। এ বিষয়গুলো শুরুতে শুধু ব্রণ নিয়ন্ত্রণেই আনে না, ব্রণের ফলে যে দাগ বা ক্ষত হয়, সেগুলোও কমিয়ে আনে। ত্বককে করে উজ্জ্বল
ও দাগমুক্ত।
ব্রণ হলে ভয়ের কিছু নেই। তবে ব্রণ খোঁটাখুঁটি করা যাবে না। তাতে ত্বকে অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ বা ক্ষত হতে পারে এবং তার প্রভাব পড়তে পারে মনে। লোকজন কী ভাববে মুখের দাগ নিয়ে, সবার সামনে কীভাবে যাব—এমন অনেক দুশ্চিন্তা দেখা দেবে। তাতে ব্রণের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তাই ব্রণ হলে দুশ্চিন্তা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক: চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল, ঢাকা
ব্রণ হলে প্রতিদিনের ত্বকের যত্নে পরিবর্তন আনতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হবে। যেকোনো ঋতুতে, যেকোনো বয়সে অ্যাকনি, পিম্পল তথা ব্রণ হতে পারে।যেসব কারণে ব্রণ হয়বংশগত, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, গর্ভধারণ, বয়ঃসন্ধি, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম—এসব কারণে সাধারণত ব্রণ হয়ে থাকে। স্টেরয়েড, অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ড্রাগ ওষুধ সেবনের কারণেও ব্রণ হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির সংস্পর্শ, গ্রিজি মেকআপ ব্যবহার, যানবাহনের দূষণ, গরম আবহাওয়া, আর্দ্রতা—এই সবকিছু ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। আর ছেলেদের ব্রণের অন্যতম কারণ ধূমপান।
তৈলাক্ত ত্বককে ব্রণপ্রবণ ত্বক বলা হয়। অর্থাৎ যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের ব্রণ সহজেই হয়। শুধু মুখে নয়, শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকেও ব্রণ হতে পারে। শুষ্ক ত্বক যদি ঠিকমতো পরিষ্কার করা না হয়, তাহলেও ব্রণ দেখা দিতে পারে।
আমাদের সবার ত্বকে অয়েল গ্লান্ড থাকে। অয়েল গ্লান্ডগুলো স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি অয়েল বা সেবাম নিষ্কাশন করলে ত্বকে ব্রণ হয়। এই সেবামের সঙ্গে মৃত কোষ যুক্ত হয়ে হোয়াইট হেডস হয়। হোয়াইট হেডস মূলত কিশোর-কিশোরীদের বেশি হয়। হোয়াইট হেডস ত্বকে যে কালো ডটের আকার ধারণ করে, তাকে বলা হয় ব্ল্যাকহেডস। ব্ল্যাকহেডস জীবাণুর সংক্রমণে এলে ব্রণ বা পিম্পল হয়। এ জীবাণুটির নাম প্রোপিয়নিব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনি। ব্রণ থেকে মুক্ত থাকতে এ বিষয়গুলোর প্রতি সচেতন থাকতে হবে।
মুক্ত থাকতে যা করবেন
ব্রণ হলে দৈনন্দিন ত্বকের যত্নে যে পণ্যগুলো ব্যবহার করেন, সেগুলো বাদ দিয়ে ব্রণ প্রতিরোধের জন্য উপযোগী ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এগুলো হতে হবে ওয়াটার বেজড নন-কামভোজেনিক।
ত্বকে অল্প কিছু ব্রণ দেখা দিলে সালফার, জিংক, বেনজয়েল পার অক্সাইড, রেটিন এ অথবা অ্যান্টিবায়োটিকযুক্ত পণ্য, যেমন ইরাইথ্রোমাইসিন বা ক্লিন্ডামাইসিন লোশন জেল ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ব্রণ বেশি হলে সিস্টেমিক অ্যান্টিবায়োটিক বা সিস্টেমিক রেটিনয়েড থেরাপি লাগে। এসব থেরাপি যখন কাজ করে না, তখন অ্যাকনি লেজার থেরাপি, ডায়মন্ড পিল, লো লেভেল এলইডি লাইট— এসব অ্যাসথেটিক থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। এ বিষয়গুলো শুরুতে শুধু ব্রণ নিয়ন্ত্রণেই আনে না, ব্রণের ফলে যে দাগ বা ক্ষত হয়, সেগুলোও কমিয়ে আনে। ত্বককে করে উজ্জ্বল
ও দাগমুক্ত।
ব্রণ হলে ভয়ের কিছু নেই। তবে ব্রণ খোঁটাখুঁটি করা যাবে না। তাতে ত্বকে অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ বা ক্ষত হতে পারে এবং তার প্রভাব পড়তে পারে মনে। লোকজন কী ভাববে মুখের দাগ নিয়ে, সবার সামনে কীভাবে যাব—এমন অনেক দুশ্চিন্তা দেখা দেবে। তাতে ব্রণের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তাই ব্রণ হলে দুশ্চিন্তা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক: চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল, ঢাকা
অনেক বছর ধরে স্থূলতাকে একক রোগ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি উঠেছে। কারণ এটি শুধু ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, স্ট্রোক কিংবা কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় না, স্থূলতা নিজেও এমন একটি স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য সমস্যা, যার আলাদাভাবে চিকিৎসা প্রয়োজন।
৭ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৩৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে চিকিৎসাধীন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেপিতৃত্বকালীন ছুটির প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না আলাদা পিতৃত্বকালীন ছুটি দরকার আছে। ছুটি যদি দিতে হয়, তাহলে বাবারও শিশুকে সময় দিতে হবে।’ আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে
১ দিন আগেবাংলাদেশ, ভারতসহ পুরো উপমহাদেশে ‘আম’-এর আবেদন আলাদা। কিন্তু এই উপমহাদেশে বেশ সাধারণ একটি রোগ—ডায়াবেটিস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ৭ কোটি ৭০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, এবং আরও প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ প্রি-ডায়াবেটিস অবস্থায় আছে, যাদের ডায়াবেটিস
১ দিন আগে