নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিবছর বাংলাদেশে জন্মগত রক্তরোগ থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার শিশু। বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ এই রোগে ভুগছে। আজ মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর মালিবাগে থ্যালাসেমিয়া-বিষয়ক এক কর্মশালায় বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন এসব তথ্য উপস্থাপন করেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত বছরের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, দেশের প্রায় ১ কোটি ৮২ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক, যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। নারী ও পুরুষ বাহকের বিয়ের কারণে তাদের সন্তানদের ২৫ শতাংশ এই রোগ নিয়ে জন্ম নেয়। এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৮ হাজার শিশু রক্তের এই রোগ নিয়ে ভূমিষ্ঠ হচ্ছে।
কর্মশালায় মুগদা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের কনসালট্যান্ট ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, বিশ্ব জনসংখ্যার ১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া বহন করছেন, অর্থাৎ ৮ থেকে ৯ কোটি মানুষ এই রোগের বাহক। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় থ্যালাসেমিয়ার প্রাদুর্ভাব ৩ থেকে ১০ শতাংশ।
ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। মানব কোষে রক্ত তৈরি করার জন্য দুটি জিন থাকে। কোনো ব্যক্তির রক্ত তৈরির একটি জিনে ত্রুটি থাকলে তাকে থ্যালাসেমিয়া বাহক এবং দুটি জিনেই ত্রুটি থাকলে তাকে থ্যালাসেমিয়া রোগী বলা হয়। শিশু জন্মের এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই রোগ ধরা পড়ে। ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ঘন ঘন রোগ সংক্রমণ, শিশুর ওজন না বাড়া, জন্ডিস ও খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ।
থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো দুই বাহকের মধ্যে বিয়ে থেকে বিরত থাকা। বক্তারা বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনই বাহক হলে সন্তানেরও এ রোগ হতে পারে। কিন্তু দুজনের একজন বাহক এবং অন্যজন সুস্থ হলে সন্তানের এ রোগ হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। তাই বিয়ের আগে সম্ভাব্য স্বামী-স্ত্রী থ্যালাসেমিয়ার বাহক কি না, তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস ব্যাখ্যা করেন, দুই বাহকের মধ্যে বিয়ে হলে তাদের সন্তানদের ২৫ শতাংশ সুস্থ হয় (বাহকও হয় না), ৫০ শতাংশ বাহক হয় এবং বাকি ২৫ শতাংশ থ্যালাসেমিয়া রোগী হয়ে জন্ম নেয়। অন্যদিকে, একজন বাহক ও একজন বাহক নন এমন স্বামী ও স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে ৫০ শতাংশ বাহক না হয়ে এবং বাকি ৫০ শতাংশ বাহক হয়ে জন্ম নেয়। রোগটি প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো দুজন থ্যালাসেমিয়ার বাহকের মধ্যে বিয়ে না হওয়া।
থ্যালাসেমিয়া একধরনের রক্তশূন্যতা উল্লেখ করে তিনি জানান, এটি জন্মগতভাবে বংশ পরম্পরায় চলতে থাকে। থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসার দুটি উপায় রয়েছে— জীবনভর রোগীকে প্রতি মাসে এক বা দুইবার রক্ত দেওয়া এবং বোনমেরু প্রতিস্থাপন।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দা মাসুমা রহমান বলেন, ‘এই রোগের চিকিৎসার জন্য পরিবার অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে। রোগী আজীবন পারিবারিক ও সামাজিক অবহেলার মধ্যে থাকে। রোগীর সংখ্যা কমাতে হলে বাহকের মধ্যে বিয়ে নিরুৎসাহিত করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়া এমন একটি রোগ, যার জন্য একজন মানুষকে আজীবন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়।’
প্রতিবছর বাংলাদেশে জন্মগত রক্তরোগ থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার শিশু। বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ এই রোগে ভুগছে। আজ মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর মালিবাগে থ্যালাসেমিয়া-বিষয়ক এক কর্মশালায় বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন এসব তথ্য উপস্থাপন করেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত বছরের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, দেশের প্রায় ১ কোটি ৮২ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক, যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। নারী ও পুরুষ বাহকের বিয়ের কারণে তাদের সন্তানদের ২৫ শতাংশ এই রোগ নিয়ে জন্ম নেয়। এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৮ হাজার শিশু রক্তের এই রোগ নিয়ে ভূমিষ্ঠ হচ্ছে।
কর্মশালায় মুগদা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের কনসালট্যান্ট ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, বিশ্ব জনসংখ্যার ১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া বহন করছেন, অর্থাৎ ৮ থেকে ৯ কোটি মানুষ এই রোগের বাহক। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় থ্যালাসেমিয়ার প্রাদুর্ভাব ৩ থেকে ১০ শতাংশ।
ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। মানব কোষে রক্ত তৈরি করার জন্য দুটি জিন থাকে। কোনো ব্যক্তির রক্ত তৈরির একটি জিনে ত্রুটি থাকলে তাকে থ্যালাসেমিয়া বাহক এবং দুটি জিনেই ত্রুটি থাকলে তাকে থ্যালাসেমিয়া রোগী বলা হয়। শিশু জন্মের এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই রোগ ধরা পড়ে। ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ঘন ঘন রোগ সংক্রমণ, শিশুর ওজন না বাড়া, জন্ডিস ও খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ।
থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো দুই বাহকের মধ্যে বিয়ে থেকে বিরত থাকা। বক্তারা বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনই বাহক হলে সন্তানেরও এ রোগ হতে পারে। কিন্তু দুজনের একজন বাহক এবং অন্যজন সুস্থ হলে সন্তানের এ রোগ হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। তাই বিয়ের আগে সম্ভাব্য স্বামী-স্ত্রী থ্যালাসেমিয়ার বাহক কি না, তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস ব্যাখ্যা করেন, দুই বাহকের মধ্যে বিয়ে হলে তাদের সন্তানদের ২৫ শতাংশ সুস্থ হয় (বাহকও হয় না), ৫০ শতাংশ বাহক হয় এবং বাকি ২৫ শতাংশ থ্যালাসেমিয়া রোগী হয়ে জন্ম নেয়। অন্যদিকে, একজন বাহক ও একজন বাহক নন এমন স্বামী ও স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে ৫০ শতাংশ বাহক না হয়ে এবং বাকি ৫০ শতাংশ বাহক হয়ে জন্ম নেয়। রোগটি প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো দুজন থ্যালাসেমিয়ার বাহকের মধ্যে বিয়ে না হওয়া।
থ্যালাসেমিয়া একধরনের রক্তশূন্যতা উল্লেখ করে তিনি জানান, এটি জন্মগতভাবে বংশ পরম্পরায় চলতে থাকে। থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসার দুটি উপায় রয়েছে— জীবনভর রোগীকে প্রতি মাসে এক বা দুইবার রক্ত দেওয়া এবং বোনমেরু প্রতিস্থাপন।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দা মাসুমা রহমান বলেন, ‘এই রোগের চিকিৎসার জন্য পরিবার অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে। রোগী আজীবন পারিবারিক ও সামাজিক অবহেলার মধ্যে থাকে। রোগীর সংখ্যা কমাতে হলে বাহকের মধ্যে বিয়ে নিরুৎসাহিত করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়া এমন একটি রোগ, যার জন্য একজন মানুষকে আজীবন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়।’
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেদেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫২ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই হিসাব পাওয়া গেছে।
১০ ঘণ্টা আগেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি তাদের ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং বা ভিইউএম তালিকায় এনবি ১.৮.১ যুক্ত করেছে। এটি মূলত ওমিক্রন উপধরন, যা ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া এবং বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। এনবি ১.৮.১ বেশ দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধির...
১ দিন আগেদেখা দিয়েছে নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট। এই সময়ে ওষুধের পাশাপাশি সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারই পারে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে।
১ দিন আগে