Ajker Patrika

করোনার উপধরন

পরীক্ষা বাড়লে শনাক্তও বাড়ছে, প্রস্তুতি জোরদারের পরামর্শ

  • গত দুই বছর সংক্রমণ কম থাকায় গুরুত্ব পায়নি।
  • ‘এখনো পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগের নয়।’
  • তবে পরীক্ষা, টিকা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ।
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, ০৬: ৫৫
দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোয় পরীক্ষা চালু হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ছবি: আজকের পত্রিকা
দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোয় পরীক্ষা চালু হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ছবি: আজকের পত্রিকা

পরীক্ষা বাড়লে রোগী শনাক্তের সংখ্যাও বাড়তে দেখা যাচ্ছে করোনাবিষয়ক সরকারি হালনাগাদ তথ্যে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সরকারের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না। কারণ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় নেয় না।

দীর্ঘ দেড় বছর পর ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হওয়ার কথা জানা যায়। রাজধানীতে মারা যাওয়া সেই ব্যক্তির বয়স ৮০ বছর। এতে জনমনে কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন ছড়িয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশে করোনার বিস্তার ঠেকাতে গত বুধবার সতর্কতামূলক ১১ দফা নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি ছোঁয়াচে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত দুই বছর কম ছিল। ফলে পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও স্বাস্থ্যবিধি পালনে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি সরকারি তথা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও সতর্কতা নেমে এসেছে কার্যত শূন্যের কোটায়।

বিশেষজ্ঞদের মত হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগের তা বলা না গেলেও সরকারের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না। করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণদের টিকা প্রদান কার্যক্রমকে গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে রাজধানীর বাইরে করোনা পরীক্ষার কোনো উদ্যোগ বা কার্যক্রম এখনো চোখে পড়েনি।

করোনাবিষয়ক হালনাগাদ সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয় ২৩ জন। মে মাসে ৫০ জন আক্রান্ত হয়। জুনের প্রথম ১১ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ জন। গত দুই সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দেশে করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৫ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত দেশে ৫৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১১৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সে হিসাবে আক্রান্তের হার ২০ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

১ জুন ২৮টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৫০ শতাংশ। এরপর নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২ জুন ৫০ শতাংশ, ৩ জুন ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ, ৪ জুন ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ৫ জুন ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, (৬ ও ৭ জুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি) ৮ জুন ৭৫ শতাংশ, ৯ জুন ১২ দশমিক ২০ শতাংশ, ১০ জুন ১৩ শতাংশ এবং ১১ জুন ৯ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়। প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম সংক্রমণ শুরু হওয়া থেকে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ শনাক্তের গড় হার ১৩ শতাংশ।

রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধিতে করোনা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ববিদেরা। তবে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে বড় কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি হবে না বলে উল্লেখ করেছেন রোগতত্ত্ববিদ এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘যে নতুন উপধরন পাশের দেশগুলোতে দেখা গেছে, তা খুবই ভয়ংকর তা বলা যাচ্ছে না। তবে হঠাৎ করে রোগী শনাক্তের হার বাড়ার ফলে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। পরীক্ষা আরও বাড়ানো জরুরি। জেলা ও উপজেলায়ও পরীক্ষার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’

জ্যেষ্ঠ এই রোগতত্ত্ববিদ আরও বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যেমন হৃদ্‌রোগ, কিডনি, ক্যানসার, ডায়াবেটিসসহ জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী, গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের সতর্ক থাকতে হবে। তারা যেন আক্রান্ত না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া যেতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বর্তমানে করোনাভাইরাসের নতুন উপধরন যেমন ওমিক্রন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ এবং এনবি.১. ৮.১-এর সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতসহ পাশের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের এ ধরনগুলোর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সেসব দেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারির কথা বলেছে অধিদপ্তর।

করোনা বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য এখনো হুমকি বলে সম্প্রতি জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ২৮ মে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি বলেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ শতাংশ পৌঁছেছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর এমন দেখা যায়নি। করোনা শনাক্তের বৃদ্ধির এ হার মূলত পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে দেখা যাচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়া ও হাসপাতালে ভর্তি কমে যাওয়ায় ২০২৩ সালের ৪ মে কোভিড আর জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা নয় বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক হালিমুর রশিদ বলেন, করোনার সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেলে যেন সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারে, এর জন্য আগাম প্রস্তুতি রয়েছে। পরীক্ষা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নমুনা শনাক্তের জন্য পরীক্ষার সরঞ্জামের (কিট) মজুত বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহ করছে। এর মধ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সহযোগিতা রয়েছে।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কয়েকটি নতুন উপধরন এরই মধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জোরদার করার বিষয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সরকারের হিসাব বলছে, দেশে ২০২০ সালের মার্চে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজারের কিছু বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে ২৯ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যায় ২০২১ সালে, ২০ হাজার ৫১৩ জন। ২০২০ সালে প্রাণ গেছে ৭ হাজার ৫৫৯ জনের। ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৬৮ এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন মারা যায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।

২০১৯ সালের শেষদিকে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এজন্য এ রোগটির নাম হয় করোনাভাইরাস ডিজিজ বা সংক্ষেপে কোভিড-১৯।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সারা দেশে ১ হাজার ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৩, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৭১, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৬, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৯, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন রয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় ৯০১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭২ হাজার ৩৮৮ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

চলতি বছরের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ২৬ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ নারী রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় বছরের এক ছেলেশিশু রয়েছে। অন্যরা সবাই নারী। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫০, ৪৫, ৩৮ ও ৩০ বছর। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে এক দিনে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৬৯

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জন।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪০৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৯, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৮, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৯, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৮, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৪, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০২ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৪ হাজার ৯৯২ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৫০, ৭০, ৪০, ৪৮, ৫০, ৭৫, ৪৫, ৫০, ৮০ ও ৬০ বছর।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ৯৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭১ হাজার ৪৮৭ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৪৭

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেঙ্গুতে এক দিনে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৬২

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বাড়ছে মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাড়ছে মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত