ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
জাপানের টোকিওতে চলমান অলিম্পিক গেমসে খেলোয়াড়দের জন্য ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’–এর ব্যবস্থা করা হয়েছে, এমন তথ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসেছে। গত ১৮ জুলাই ভারতের অন্তত দুটি নামী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর, সেসব সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের অনেকগুলো সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কার্ডবোর্ড দিয়ে নির্মিত খাটগুলো কোভিড-১৯ মহামারির সময় সামাজিক দূরত্ব মানতে ও যৌন সম্পর্কে নিরুৎসাহিত করতে বানানো হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে আরও দাবি করা হয়, করোনাকালে অলিম্পিক ভিলেজে অ্যাথলেটরা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। এই ঝুঁকি দূর করতে এবার গেমস ভিলেজে অ্যাথলেটদের ঘরে রাখা হয়েছে ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ বা সঙ্গম বিরোধী খাট। কারণ একজনের বেশি উঠলেই খাটটি ভেঙে পড়বে।
গত ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের দৌড়বিদ পল কেলিমো এক টুইটে গেমস ভিলেজের ছবি দিয়ে জানান, খাটগুলো অ্যাথলেটদের মধ্যে অন্তরঙ্গতা এড়াতেই বানানো হয়েছে।
এই টুইটের সূত্র ধরে গত ১৮ জুলাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এই পত্রিকাগুলোর বরাতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সংবাদমাধ্যমের সূত্র ধরে ফেসবুকেও ব্যাপকভাবে আলোচিত হয় ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ প্রসঙ্গটি।
করোনাভাইরাসের ভয়ংকর ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বিস্তার রোধে খেলোয়াড়দের দৈহিক মেলামেশাকে নিরুৎসাহিত করছে টোকিও অলিম্পিকের আয়োজকেরা। এ বিষয়ক বিস্তারিত নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
২০২০ সালে অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে সেটি পিছিয়ে যায় এক বছর। তবে এই গেমসের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত খাটটির প্রসঙ্গ সংবাদমাধ্যমে আসে ২০১৯ সালেই।
কোভিড-১৯–এর প্রথম রোগী ধরা পড়ার দু’মাস আগে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে খাটটির নকশা উন্মোচন করেন অলিম্পিক আয়োজকেরা। সে সময় আয়োজকেরা সংবাদ সম্মেলন করে জানান, অলিম্পিক গেমসের জন্য কার্ডবোর্ড দিয়ে ১৮ হাজার বিছানা তৈরি করা হবে। প্যারা অলিম্পিকের জন্যও একই উপাদানে আট হাজার বিছানা তৈরি করা হবে। বিছানাগুলো তৈরি করবে অলিম্পিকের স্থানীয় স্পনসর এয়ারওয়েভ ইনকরপোরেশন।
ওই সময় গেমস ভিলেজের সমন্বয়ক তাকাশি কিতাজিমা জানিয়েছিলেন, ‘এই বিশেষ ধরনের বিছানাগুলো গেমসের শেষে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে। বিছানাগুলো দিয়ে কাগজ তৈরি করা হবে আর বিছানার গদি দিয়ে প্লাস্টিকের বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হবে।’
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বার্তা সংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এয়ারওয়েভের বরাত দিয়ে জানানো হয়, বিছানাগুলো হবে হালকা এবং ম্যাট্রেসগুলো অ্যাথলেটদের ঘুমের জন্য সহায়ক হিসেবে বিশেষভাবে তৈরি করা হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক ‘বেড সারফেস’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি এই বিছানা পরিবেশবান্ধব।
ম্যাট্রেসে তিনটি আলাদা অংশ থাকবে। অ্যাথলেটরা চাইলে তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী দেহের উচ্চ, মধ্য ও নিম্নাংশের জন্য ম্যাট্রেসের কঠোরতা বা কোমলতার মাত্রা নির্ধারণ করতে পারবেন।
গত ১৯ জুলাই আয়োজক কমিটি আবারও নিশ্চিত করে, খাটগুলো যথেষ্ট মজবুত। নিউইয়র্ক টাইমস ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ প্রসঙ্গটিকে সামাজিক মাধ্যমের তৈরি ‘তত্ত্ব’ বলে অভিহিত করেছে। ইউএসএ টুডের ফ্যাক্টচেক বিভাগে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খাটগুলো ৪৪১ পাউন্ড বা প্রায় ২০০ কেজি ভর বহনে সক্ষম। এতে স্বাভাবিক ওজনের দুজন মার্কিন নাগরিক অনায়াসে থাকতে পারবেন। বিছানাগুলো চাপ নিতে পারে কি–না সেই পরীক্ষাও করা হয়েছে। ফলে একজনের বেশি বিছানায় উঠলে খাট ভেঙে পড়বে, এটি সত্য নয়।
বিছানাগুলোর প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এয়ারওয়েভ গত ১৯ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেছে, কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি হলেও খাটগুলো আসলে সাধারণ কাঠ বা লোহার তৈরি শয্যার চেয়ে বেশি ভার বহনে সক্ষম।
আইরিশ জিমন্যাস্ট রিস ম্যাকক্লেনাঘান অলিম্পিক ভিলেজে তাঁর খাটে ক্রমাগত লাফিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করে ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ তত্ত্বকে ব্যঙ্গ করেন।
আয়োজকদের মতে, টেকসই লক্ষ্যমাত্রার প্রতি টোকিও অলিম্পিকের অঙ্গীকার নিশ্চিত করতে এই খাট ডিজাইন করা হয়েছে।
অর্থাৎ ভয়ংকর ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বিস্তার রোধে খেলোয়াড়দের দৈহিক মেলামেশাকে নিরুৎসাহিত করছে অলিম্পিক আয়োজকেরা। কিন্তু এই উদ্দেশ্যেই খেলোয়াড়দের শোয়ার বিছানাটির নকশা করা হয়েছে এমন তথ্য সঠিক নয়।
জাপানের টোকিওতে চলমান অলিম্পিক গেমসে খেলোয়াড়দের জন্য ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’–এর ব্যবস্থা করা হয়েছে, এমন তথ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসেছে। গত ১৮ জুলাই ভারতের অন্তত দুটি নামী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর, সেসব সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের অনেকগুলো সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কার্ডবোর্ড দিয়ে নির্মিত খাটগুলো কোভিড-১৯ মহামারির সময় সামাজিক দূরত্ব মানতে ও যৌন সম্পর্কে নিরুৎসাহিত করতে বানানো হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে আরও দাবি করা হয়, করোনাকালে অলিম্পিক ভিলেজে অ্যাথলেটরা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। এই ঝুঁকি দূর করতে এবার গেমস ভিলেজে অ্যাথলেটদের ঘরে রাখা হয়েছে ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ বা সঙ্গম বিরোধী খাট। কারণ একজনের বেশি উঠলেই খাটটি ভেঙে পড়বে।
গত ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের দৌড়বিদ পল কেলিমো এক টুইটে গেমস ভিলেজের ছবি দিয়ে জানান, খাটগুলো অ্যাথলেটদের মধ্যে অন্তরঙ্গতা এড়াতেই বানানো হয়েছে।
এই টুইটের সূত্র ধরে গত ১৮ জুলাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এই পত্রিকাগুলোর বরাতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সংবাদমাধ্যমের সূত্র ধরে ফেসবুকেও ব্যাপকভাবে আলোচিত হয় ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ প্রসঙ্গটি।
করোনাভাইরাসের ভয়ংকর ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বিস্তার রোধে খেলোয়াড়দের দৈহিক মেলামেশাকে নিরুৎসাহিত করছে টোকিও অলিম্পিকের আয়োজকেরা। এ বিষয়ক বিস্তারিত নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
২০২০ সালে অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে সেটি পিছিয়ে যায় এক বছর। তবে এই গেমসের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত খাটটির প্রসঙ্গ সংবাদমাধ্যমে আসে ২০১৯ সালেই।
কোভিড-১৯–এর প্রথম রোগী ধরা পড়ার দু’মাস আগে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে খাটটির নকশা উন্মোচন করেন অলিম্পিক আয়োজকেরা। সে সময় আয়োজকেরা সংবাদ সম্মেলন করে জানান, অলিম্পিক গেমসের জন্য কার্ডবোর্ড দিয়ে ১৮ হাজার বিছানা তৈরি করা হবে। প্যারা অলিম্পিকের জন্যও একই উপাদানে আট হাজার বিছানা তৈরি করা হবে। বিছানাগুলো তৈরি করবে অলিম্পিকের স্থানীয় স্পনসর এয়ারওয়েভ ইনকরপোরেশন।
ওই সময় গেমস ভিলেজের সমন্বয়ক তাকাশি কিতাজিমা জানিয়েছিলেন, ‘এই বিশেষ ধরনের বিছানাগুলো গেমসের শেষে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে। বিছানাগুলো দিয়ে কাগজ তৈরি করা হবে আর বিছানার গদি দিয়ে প্লাস্টিকের বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হবে।’
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বার্তা সংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এয়ারওয়েভের বরাত দিয়ে জানানো হয়, বিছানাগুলো হবে হালকা এবং ম্যাট্রেসগুলো অ্যাথলেটদের ঘুমের জন্য সহায়ক হিসেবে বিশেষভাবে তৈরি করা হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক ‘বেড সারফেস’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি এই বিছানা পরিবেশবান্ধব।
ম্যাট্রেসে তিনটি আলাদা অংশ থাকবে। অ্যাথলেটরা চাইলে তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী দেহের উচ্চ, মধ্য ও নিম্নাংশের জন্য ম্যাট্রেসের কঠোরতা বা কোমলতার মাত্রা নির্ধারণ করতে পারবেন।
গত ১৯ জুলাই আয়োজক কমিটি আবারও নিশ্চিত করে, খাটগুলো যথেষ্ট মজবুত। নিউইয়র্ক টাইমস ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ প্রসঙ্গটিকে সামাজিক মাধ্যমের তৈরি ‘তত্ত্ব’ বলে অভিহিত করেছে। ইউএসএ টুডের ফ্যাক্টচেক বিভাগে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খাটগুলো ৪৪১ পাউন্ড বা প্রায় ২০০ কেজি ভর বহনে সক্ষম। এতে স্বাভাবিক ওজনের দুজন মার্কিন নাগরিক অনায়াসে থাকতে পারবেন। বিছানাগুলো চাপ নিতে পারে কি–না সেই পরীক্ষাও করা হয়েছে। ফলে একজনের বেশি বিছানায় উঠলে খাট ভেঙে পড়বে, এটি সত্য নয়।
বিছানাগুলোর প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এয়ারওয়েভ গত ১৯ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেছে, কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি হলেও খাটগুলো আসলে সাধারণ কাঠ বা লোহার তৈরি শয্যার চেয়ে বেশি ভার বহনে সক্ষম।
আইরিশ জিমন্যাস্ট রিস ম্যাকক্লেনাঘান অলিম্পিক ভিলেজে তাঁর খাটে ক্রমাগত লাফিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করে ‘অ্যান্টি সেক্স বেড’ তত্ত্বকে ব্যঙ্গ করেন।
আয়োজকদের মতে, টেকসই লক্ষ্যমাত্রার প্রতি টোকিও অলিম্পিকের অঙ্গীকার নিশ্চিত করতে এই খাট ডিজাইন করা হয়েছে।
অর্থাৎ ভয়ংকর ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বিস্তার রোধে খেলোয়াড়দের দৈহিক মেলামেশাকে নিরুৎসাহিত করছে অলিম্পিক আয়োজকেরা। কিন্তু এই উদ্দেশ্যেই খেলোয়াড়দের শোয়ার বিছানাটির নকশা করা হয়েছে এমন তথ্য সঠিক নয়।
গত ২৭ এপ্রিল (রোববার) রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও মায়ানমারের আরাকান রাজ্যবাসীরা স্থানীয় বাঙালিদের ওপর হামলা চালিয়েছে-এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ছ
১৮ ঘণ্টা আগেদীর্ঘক্ষণ পায়ের ওপর পা তুলে বসে থাকলে পায়ের রগ ফুলে যায়, অনেক সময় পা টনটন করে। অনেকে ধারণা করেন, এভাবে পা তুলে বসলে পায়ের শিরা স্থায়ীভাবে ফুলে যায়। আসলেই কি পায়ের ওপর পা তুলে বসলে এমন সমস্যা হয়? চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
১ দিন আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাম পর্যটন এলাকায় গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এই হামলায় জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তির স্কেচ ও নাম প্রকাশ করেছে ভারতীয় পুলিশ। তাদের দাবি, এই তিনজনের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক এবং সবাই পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী.
৩ দিন আগেচীনের একটি পোশাক কারখানা ইংরেজি ভাষায় ‘বয়কট চায়না’ লেখাসহ ১ লাখ টি-শার্ট এবং ক্যাপ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করেছে—এমন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগে