Ajker Patrika

গ্রেপ্তার নেই, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

হোমনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ৩৭
গ্রেপ্তার নেই, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

হোমনা উপজেলার আছাদপুর ইউনিয়নের ক্যাব্‌ল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। গতকাল শনিবার আছাদপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ঘনিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সভা হয়। পরে ঘনিয়ারচর উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন এবং ঘনিয়ারচর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন সালাহ উদ্দিনের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক মো. ছিদ্দিকুর রহমান। বক্তব্য দেন সালাহ উদ্দিনের বাবা রেণু মিয়া, বড় বোন পারুল আক্তার, বড় ভাই মো. আরশাদ মিয়া, আছাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. শহিদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক কাইয়ূম সরকার, আছাদপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. নূরুজ্জামান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মানিক মিয়া, ঘানিয়ারচর বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের, আছাদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আবুল হোসেন প্রমুখ। সালাহ উদ্দিন যুবলীগের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

সভায় বক্তারা বলেন, শিগগির সালাহ উদ্দিনের হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

বোন পারুল আক্তার বলেন, ‘পুলিশ-প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার ভিক্ষা চাই। তাঁরা যেন আমার ভাই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে দেন। আর যেন কোনো ঘাতক কোনো মায়ের বুক খালি করার সুযোগ না পায়।’

সালাহ উদ্দিনের বাবা রেণু মিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ করার কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’

১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী মো. সালাহ উদ্দিন ওয়াইফাই লাইনের সংস্কারকাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কলাগাছিয়া স্টিলব্রিজ এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাঁকে কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে স্বজনরা সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন পারুল আক্তার বাদী হয়ে পরদিন রাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন পাঠান ও তাঁর ভাতিজা গত ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকবল পাঠানসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি করে হোমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর এক সপ্তাহ পার হলেও এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, ‘মামলার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত