Ajker Patrika

কুষ্টিয়ায় মা ও ৯ মাসের সন্তানের লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১: ১২
কুষ্টিয়ায় মা ও ৯ মাসের সন্তানের লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় এক গৃহবধূ ও তাঁর ৯ মাসের সন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে শহরের থানাপাড়া বাঁধ এলাকা থেকে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে। মৃতরা হলেন, আকলিমা খাতুন (৩২) ও তাঁর ছেলেসন্তান জিম।

পুলিশ জানায়, আকলিমা খাতুনের মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। আর পাশের বিছানায় পড়ে ছিল জিমের মরদেহ। আকলিমা খাতুন থানাপাড়া বাঁধ এলাকার অটোচালক রতনের স্ত্রী।

এলাকাবাসী জানান, গড়াই নদীসংলগ্ন থানাপাড়ার পুরোনো বাঁধে স্বামীর বাড়িতে বাস করতেন আকলিমা খাতুন। বাড়ির পাশেই আকলিমা খাতুনের বাবা মাজেদের বাড়ি। স্বামীর বাড়িতে সংস্কার কাজ চলায় মঙ্গলবার রাতে বাবার বাড়িতে জিমকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন আকলিমা। বুধবার ভোরে প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে আকলিমার মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পাশেই বিছানায় পড়ে ছিল শিশু জিম।

পুলিশে খবর দেওয়া হলে মডেল থানা-পুলিশ গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আকলিমা দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর চিকিৎসা চলছিল। স্বামীর প্রথম পক্ষের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘটনার সময় আকলিমার স্বামী একই এলাকায় তাঁর নিজ বাড়িতে ছিলেন।

আকলিমার স্বামী রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্ত্রীর আকলিমার মানুষিক সমস্যা ছিল। সব সময় অতিরিক্ত চিন্তা করত। কিছু এনজিও থেকে তাঁর নামে ঋণ ওঠানো ছিল। সে কারণে আমি অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির জোগাল দিতাম। যাতে ঋণ সঠিক সময়ে পরিশোধ করা যায়। কিন্তু কীসের মধ্যে কী হয়ে গেল।’

রতনের মা হামিদা খাতুন বলেন, ‘সকাল ছয়টার দিকে আমি কাজে চলে যাই। পরে আমি লোকমুখে শুনে এখানে এসে দেখি আকলিমা আর আমার নাতি মরে গেছে। গত রাতেও ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভালো মনে কথা বলল। আর সকালে এই অবস্থা।’

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বিরুল আলম জানান, থানাপাড়া বাঁধের একটি বাড়ি থেকে মা ও শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সবকিছু নিশ্চিত হওয়া যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত