Ajker Patrika

দুর্ভোগ লাঘবে স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সাঁকো নির্মাণ

শাহীন আক্তার পলাশ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) 
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৩৯
দুর্ভোগ লাঘবে স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সাঁকো নির্মাণ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দিগনগর ও ত্রিবেনী ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে কালী নদী। যুগের পর যুগ নদীটি এ দুই ইউনিয়নের মানুষকে বিভক্ত করে রেখেছিল। পাশাপাশি অবস্থান করলেও একটি সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন গড়ে ওঠেনি। শিক্ষা-দীক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া এ দুই জনপদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর করতে নদীর ওপর নির্মাণ করা হয় কাঠের একটি সাঁকোটি।

জানা যায়, প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশ, কাঠ ও হরেক রকমের রং দিয়ে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের যুব সমাজ স্ব-উদ্যোগে এই সাঁকোটি তৈরি করে। কয়েক মাস ধরে রাতদিন পরিশ্রম করে এই সাঁকোটি নদীর বুকে চলাচলের জন্য দাঁড় করানো হয়। প্রতিদিন শ শ মানুষ পাড় হচ্ছে। যুব সমাজের উদ্যোগে ২০১৮ সালে সাঁকোটি নির্মাণ করা হলেও কিছুদিন যাওয়ার পর সাঁকোটি ভেঙে যায়। চলতি বছরের শুরুতে টাকা উঠিয়ে এলাকার যুবকেরা নির্মাণ করেন এ সাঁকোটি।

এদিকে, সাঁকোটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি দর্শনীয় স্থান। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গ্রাম থেকে এবং পাশেই অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জায়গাটি দেখতে ভিড় করে। শ্রীরামপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান খান জানান, একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। স্কুল-কলেজে যাতায়াত ও কাঁচামাল বিক্রয় এবং কৃষি পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য ঘুরতে হতো দীর্ঘ ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার। তাই এলাকার যুবকেরা নিজেরাই টাকা তুলে এ সাঁকো নির্মাণ করেছেন।

দিগনগর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম জানান, নদীর ওপারে শেখপাড়া বাজার অবস্থিত। এ ছাড়াও বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজসহ রয়েছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যার ফলে নানা প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয়। সাময়িক কাঠের সাঁকোতে যাতায়াত করতে পারলেও একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি সরকারের কাছে।

এ বিষয়ে ত্রিবেনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মোল্লা জানান, এই দুই ইউনিয়নের মানুষের মেলবন্ধনের জন্য এই সাঁকোটি অনেক উপকারে আসবে। নদীর দুই পাড়ে দুই এলাকার মানুষের রয়েছে চাষাবাদ। এ ছাড়াও যোগাযোগের জন্য ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। আবার নৌকা ছাড়াও পারাপারের কোনো উপায় থাকে না। সাঁকোটি নির্মাণের ফলে কিছুটা হলেও এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত