রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অধিকাংশ জমির ধান কাটা এখন প্রায় শেষের দিকে। এখন চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। মাড়াই শেষে খড় শুকানো; সেসব খড় আর ধান গাড়িতে করে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কৃষকদের এসব কর্মযজ্ঞ চলছে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের ওপর। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। সড়ক সংকোচন হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। ধান মাড়াইয়ের ধুলাবালি আর খড়ের টুকরো চোখে পড়ার অভিযোগও রয়েছে পথচারীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের শস্যভান্ডার খ্যাত গুমাই বিলে এই বছর বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। এতে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধান মাড়াইসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হচ্ছে ব্যস্ততম চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের ওপর।
সরেজমিন দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক মরিয়মনগর চৌমুহনী থেকে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান পর্যন্ত গুমাই বিলের বুক চিরে বয়ে গেছে। এই অংশেই বিশাল গুমাই বিল থেকে ধান কেটে এনে সড়কের ওপরই মাড়াইয়ের কাজ সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশে কাটা ধানের স্তূপ। পাশেই ওইসব ধান ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র দিয়ে মাড়াই করা হচ্ছে।
এতে বাতাসে উড়ছে খড়ের টুকরো আর ধুলাবালি, যা গিয়ে পড়ছে পথচারী আর ছোট যানের যাত্রীদের চোখে-মুখে। এদিকে মাড়াই পরবর্তী ওইসব ধান আর খড় সড়কের ওপরেই শুকানো হচ্ছে। ফলে সড়কের অর্ধেকেরও বেশি জায়গা দখল হয়ে গেছে। এতে যান চলাচল করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে।
এদিকে কাপ্তাই সড়ক ছাড়াও মরিয়মনগর-গাবতল সড়ক, ঘাটচেক-রানির হাট সড়কেও কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের কাজ করছেন। এ পরিস্থিতি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের প্রায় সড়কেই বিরাজ করছে।
মরিয়মনগরের ব্যবসায়ী ফজলুল হক জানান, গতকাল সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি খড়ের টুকরো চোখে এসে পড়ে। এতে চোখের ক্ষতি হয়। চিকিৎসকের শরণাপন্নও হতে হয়েছে। স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের শান্তি নিকেতন এলাকার স্কুলশিক্ষক আইয়ুব আলী জানান, রাস্তায় খড় বিছানো থাকার কারণে মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। চাকা পিছলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। ভারী যানবাহন চলার সময় এক পাশ বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওভারটেকের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
কাটাখালীর কৃষক আলী আকবর জানান, তাঁর বাড়ি জমি থেকে অনেক দূরে। ধান মাড়াইয়ের মেশিনের মালিকও রাস্তা ছেড়ে মেশিন নিয়ে ওদিকে যেতে চান না। তাই নিরুপায় হয়েই সড়কে ধান মাড়াইয়ের কাজ করতে হচ্ছে। রফিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ির উঠান ছোট। সেখানে মেশিন দিয়ে ধান মাড়াই করা যায় না। এ বছর ধান কাটা শ্রমিক না পাওয়ায় মেশিন দিয়ে মাড়াই করতে হচ্ছে। শ্রমিক-সংকটের কারণে কৃষকদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আল্লাহর অনেক মেহেরবানি এ বছর বৃষ্টি আমাদের ঝামেলা করেনি।
ধান কারবারি মতি মিয়া বলেন, বসতবাড়ি সংকটের কারণে এখন কোন বাড়িতেই বড় উঠান নেই। ফলে জমির পাশের এই সড়কটি ব্যবহার করা হয়। সড়কটি পাকা এবং পিচঢালা হওয়ায় নতুন করে ধানের খোলা তৈরির ঝামেলা করতে হয় না। এসব কারণে কৃষকেরা একেবারে সবকিছু এখানে সেরে তারপর বাড়ির পথ ধরেন।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্ম পরিদর্শক রাশেল দেওয়ান বলেন, সড়ক দখলে নিয়ে এসব কার্যক্রম বেআইনি হলেও এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। নিষেধ করলেও কেউ মানে না।
রাশেল দেওয়ান বলেন, ‘গত বুধবার বিকেলে পরিবার নিয়ে আসার সময় কাপ্তাই সড়কের কাটাখালী এলাকায় শুকানোর জন্য রাস্তায় বিছানো ধানে মোটরসাইকেল পিছলে পড়ে আমি নিজেই দুর্ঘটনায় পড়েছি।’
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অধিকাংশ জমির ধান কাটা এখন প্রায় শেষের দিকে। এখন চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। মাড়াই শেষে খড় শুকানো; সেসব খড় আর ধান গাড়িতে করে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কৃষকদের এসব কর্মযজ্ঞ চলছে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের ওপর। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। সড়ক সংকোচন হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। ধান মাড়াইয়ের ধুলাবালি আর খড়ের টুকরো চোখে পড়ার অভিযোগও রয়েছে পথচারীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের শস্যভান্ডার খ্যাত গুমাই বিলে এই বছর বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। এতে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধান মাড়াইসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হচ্ছে ব্যস্ততম চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের ওপর।
সরেজমিন দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক মরিয়মনগর চৌমুহনী থেকে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান পর্যন্ত গুমাই বিলের বুক চিরে বয়ে গেছে। এই অংশেই বিশাল গুমাই বিল থেকে ধান কেটে এনে সড়কের ওপরই মাড়াইয়ের কাজ সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশে কাটা ধানের স্তূপ। পাশেই ওইসব ধান ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র দিয়ে মাড়াই করা হচ্ছে।
এতে বাতাসে উড়ছে খড়ের টুকরো আর ধুলাবালি, যা গিয়ে পড়ছে পথচারী আর ছোট যানের যাত্রীদের চোখে-মুখে। এদিকে মাড়াই পরবর্তী ওইসব ধান আর খড় সড়কের ওপরেই শুকানো হচ্ছে। ফলে সড়কের অর্ধেকেরও বেশি জায়গা দখল হয়ে গেছে। এতে যান চলাচল করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে।
এদিকে কাপ্তাই সড়ক ছাড়াও মরিয়মনগর-গাবতল সড়ক, ঘাটচেক-রানির হাট সড়কেও কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের কাজ করছেন। এ পরিস্থিতি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের প্রায় সড়কেই বিরাজ করছে।
মরিয়মনগরের ব্যবসায়ী ফজলুল হক জানান, গতকাল সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি খড়ের টুকরো চোখে এসে পড়ে। এতে চোখের ক্ষতি হয়। চিকিৎসকের শরণাপন্নও হতে হয়েছে। স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের শান্তি নিকেতন এলাকার স্কুলশিক্ষক আইয়ুব আলী জানান, রাস্তায় খড় বিছানো থাকার কারণে মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। চাকা পিছলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। ভারী যানবাহন চলার সময় এক পাশ বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওভারটেকের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
কাটাখালীর কৃষক আলী আকবর জানান, তাঁর বাড়ি জমি থেকে অনেক দূরে। ধান মাড়াইয়ের মেশিনের মালিকও রাস্তা ছেড়ে মেশিন নিয়ে ওদিকে যেতে চান না। তাই নিরুপায় হয়েই সড়কে ধান মাড়াইয়ের কাজ করতে হচ্ছে। রফিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ির উঠান ছোট। সেখানে মেশিন দিয়ে ধান মাড়াই করা যায় না। এ বছর ধান কাটা শ্রমিক না পাওয়ায় মেশিন দিয়ে মাড়াই করতে হচ্ছে। শ্রমিক-সংকটের কারণে কৃষকদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আল্লাহর অনেক মেহেরবানি এ বছর বৃষ্টি আমাদের ঝামেলা করেনি।
ধান কারবারি মতি মিয়া বলেন, বসতবাড়ি সংকটের কারণে এখন কোন বাড়িতেই বড় উঠান নেই। ফলে জমির পাশের এই সড়কটি ব্যবহার করা হয়। সড়কটি পাকা এবং পিচঢালা হওয়ায় নতুন করে ধানের খোলা তৈরির ঝামেলা করতে হয় না। এসব কারণে কৃষকেরা একেবারে সবকিছু এখানে সেরে তারপর বাড়ির পথ ধরেন।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্ম পরিদর্শক রাশেল দেওয়ান বলেন, সড়ক দখলে নিয়ে এসব কার্যক্রম বেআইনি হলেও এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। নিষেধ করলেও কেউ মানে না।
রাশেল দেওয়ান বলেন, ‘গত বুধবার বিকেলে পরিবার নিয়ে আসার সময় কাপ্তাই সড়কের কাটাখালী এলাকায় শুকানোর জন্য রাস্তায় বিছানো ধানে মোটরসাইকেল পিছলে পড়ে আমি নিজেই দুর্ঘটনায় পড়েছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪