আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
গঙ্গাচড়ার কৃষকদের মধ্যে রিলে ক্রপিং অর্থাৎ মিশ্র ফসল চাষের আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। অতিরিক্ত আয়ের মুখ দেখায় এমন চাষাবাদে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের উত্তর কোলকোন্দ বানিয়াপাড়া গ্রামের চাষিরা মিশ্র ফসলের চাষে সব থেকে বেশি ঝুঁকেছেন।
কথা হয় ভূটকা গ্রামের চাষি মোকলেছার মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, আগে তাঁদের এলাকার জমিতে মাত্র দুটি ফসল হতো। রোপা আমন ধান এবং ভুট্টা অথবা আলুর মধ্যে যেকোনো একটি জাতের ফসল চাষ করা যেত। এর কারণ হচ্ছে এখানকার চাষাবাদের জমিগুলো একেবারেই নিচু।
মিশ্র চাষ বিষয়ে মোকলেছার বলেন, ‘আমি ১০ বছর আগে নিজের বুদ্ধিতেই রোপা আমন ধান তোলার পর জমি প্রস্তুত করে আলুর বীজ লাগাই। পরে আলুগাছের বয়স ৬০ দিন হলে খেতে শেষ সেচ দেওয়ার কয়েক দিন আগে গাছগুলো লাঙল দিয়ে টেনে ভুট্টার বীজ ফেলানো হয়। ৩০ দিনের মাথায় ভুট্টার গাছগুলো বড় হয়ে উঠে। এদিকে আলুর বয়স ৯০ দিন হলে তা জমি থেকে তুলে নেওয়া হয়। পরে আগাম জাতের ভুট্টার সঙ্গে আমি এ ভুট্টা তুলে নেই। এই কাজে বাড়তি সার দিতে হয়নি। ফলনও ভালো হওয়ায় তখন থেকে আমি জমিতে এ ধরনের মিশ্র ফসল চাষ করে আসছি। আমাকে দেখে অনেকে এভাবে ফসল ফলানো শুরু করেন।’
কৃষক দিলীপ রায় জানান, তিনি ১০০ শতক জমিতে আলুর আবাদ করে পান ২০০ বস্তা আলু, যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই ফসল চাষে তাঁর ব্যয় হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। এই আলুর সঙ্গে মিশ্র ফসল চাষের মাধ্যমে যে ভুট্টা তিনি পাবেন তা হবে কমপক্ষে ১২০ মণ। এই ভুট্টায় কোনো প্রকার ব্যয় ছাড়াই পাওয়া যাবে সর্বনিম্ন ৭২ হাজার টাকা হবে।
দিলীপ রায় বলেন, ‘এ ফসলটি আমরা কোনো প্রকার খরচ ছাড়া পেলাম। তাহলে আমরা এভাবে চাষ না করে কী করব? মিশ্র চাষে কম সময়ে ভালো ফসল মিলে।’
কোলকোন্দ ইউনিয়নের তেঁতুলতলা গ্রামের মিশ্র ফসল চাষি ফনি রায় বলেন, ‘যেখানে আমাদের দুটা ফসল জমি থেকে উঠতে না উঠতেই জল এসে জমি ডুবে যেত, সেখানে এখন জল আসার আগেই আমরা তিন জাতের ফসল ঘরে তুলতে পারছি। ভুট্টাটা আমরা ফাউ ফসল হিসেবে পাচ্ছি। তবে আমাদের যদি সরকারিভাবে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হতো, তাহলে আমরা আরও ভালো কিছু চাষাবাদ করতে পারতাম।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কীভাবে জমিতে কম খরচে ভালো ফলন পাওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।’
গঙ্গাচড়ার কৃষকদের মধ্যে রিলে ক্রপিং অর্থাৎ মিশ্র ফসল চাষের আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। অতিরিক্ত আয়ের মুখ দেখায় এমন চাষাবাদে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের উত্তর কোলকোন্দ বানিয়াপাড়া গ্রামের চাষিরা মিশ্র ফসলের চাষে সব থেকে বেশি ঝুঁকেছেন।
কথা হয় ভূটকা গ্রামের চাষি মোকলেছার মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, আগে তাঁদের এলাকার জমিতে মাত্র দুটি ফসল হতো। রোপা আমন ধান এবং ভুট্টা অথবা আলুর মধ্যে যেকোনো একটি জাতের ফসল চাষ করা যেত। এর কারণ হচ্ছে এখানকার চাষাবাদের জমিগুলো একেবারেই নিচু।
মিশ্র চাষ বিষয়ে মোকলেছার বলেন, ‘আমি ১০ বছর আগে নিজের বুদ্ধিতেই রোপা আমন ধান তোলার পর জমি প্রস্তুত করে আলুর বীজ লাগাই। পরে আলুগাছের বয়স ৬০ দিন হলে খেতে শেষ সেচ দেওয়ার কয়েক দিন আগে গাছগুলো লাঙল দিয়ে টেনে ভুট্টার বীজ ফেলানো হয়। ৩০ দিনের মাথায় ভুট্টার গাছগুলো বড় হয়ে উঠে। এদিকে আলুর বয়স ৯০ দিন হলে তা জমি থেকে তুলে নেওয়া হয়। পরে আগাম জাতের ভুট্টার সঙ্গে আমি এ ভুট্টা তুলে নেই। এই কাজে বাড়তি সার দিতে হয়নি। ফলনও ভালো হওয়ায় তখন থেকে আমি জমিতে এ ধরনের মিশ্র ফসল চাষ করে আসছি। আমাকে দেখে অনেকে এভাবে ফসল ফলানো শুরু করেন।’
কৃষক দিলীপ রায় জানান, তিনি ১০০ শতক জমিতে আলুর আবাদ করে পান ২০০ বস্তা আলু, যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই ফসল চাষে তাঁর ব্যয় হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। এই আলুর সঙ্গে মিশ্র ফসল চাষের মাধ্যমে যে ভুট্টা তিনি পাবেন তা হবে কমপক্ষে ১২০ মণ। এই ভুট্টায় কোনো প্রকার ব্যয় ছাড়াই পাওয়া যাবে সর্বনিম্ন ৭২ হাজার টাকা হবে।
দিলীপ রায় বলেন, ‘এ ফসলটি আমরা কোনো প্রকার খরচ ছাড়া পেলাম। তাহলে আমরা এভাবে চাষ না করে কী করব? মিশ্র চাষে কম সময়ে ভালো ফসল মিলে।’
কোলকোন্দ ইউনিয়নের তেঁতুলতলা গ্রামের মিশ্র ফসল চাষি ফনি রায় বলেন, ‘যেখানে আমাদের দুটা ফসল জমি থেকে উঠতে না উঠতেই জল এসে জমি ডুবে যেত, সেখানে এখন জল আসার আগেই আমরা তিন জাতের ফসল ঘরে তুলতে পারছি। ভুট্টাটা আমরা ফাউ ফসল হিসেবে পাচ্ছি। তবে আমাদের যদি সরকারিভাবে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হতো, তাহলে আমরা আরও ভালো কিছু চাষাবাদ করতে পারতাম।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কীভাবে জমিতে কম খরচে ভালো ফলন পাওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪