Ajker Patrika

কৌশলী আ.লীগ ও বিএনপি

খান রফিক, বরিশাল
কৌশলী আ.লীগ ও বিএনপি

বরিশালের রাজনীতির মাঠে এখন আলোচনার প্রধান বিষয় বিএনপির আগামী ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ। এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলের রাজনীতিতে ক্রমেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে। বিএনপি বরাবরই দাবি করেছে, গণসমাবেশে যাতে লোক কম আসে এ জন্য কৌশলে আওয়ামী লীগ লঞ্চ-বাস বন্ধের চক্রান্ত করছে। তবে আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।

তবে গত বৃহস্পতিবার নগর আওয়ামী লীগের সভায় আলোচনার অন্যতম ইস্যু ছিল ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ। দুই পক্ষই গণসমাবেশকে ঘিরে ভেতরে-ভেতরে নানা ছক আঁকছে বলে জানা গেছে। আগামী ৫ নভেম্বর নগরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যান এ গণসমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ভিপি আনোয়ার হোসাইন আজকের পত্রিকাকে জানান, দলের বিষয় নিয়ে তাঁরা বৃহস্পতিবার সভা করেছেন। তবে ৫ নভেম্বর নিয়ে আওয়ামী লীগে মাথাব্যথাই নেই।

প্রস্তুতি সভায় সিটি মেয়র সাদিকও বলেছেন, বিএনপি যেখানে সমাবেশ করতে চাইবে, সেখানেই অনুমতি দেওয়া হবে।

তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, কৌশলগতভাবে লঞ্চ-বাস বন্ধ রেখে এগোতে চায় দলটি। তাদের প্রধান কৌশল খুলনার মতো বরিশালেও লঞ্চ-বাস বন্ধ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা। এ জন্য বাসের পর লঞ্চেও আসছে নিষেধাজ্ঞা।

জানতে চাইলে নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক আজকের পত্রিকাকে জানান, গণসমাবেশ সফল করার জন্য তাঁরা ৩০টি ওয়ার্ডে সভা করে যাচ্ছেন। চলছে ব্যাপক গণসংযোগ; কিন্তু গণসমাবেশে বাধা তো আসছে। তারা (আওয়ামী লীগ) বাস বন্ধ করেছে, লঞ্চ বন্ধ করবে। তাদের এই কৌশল একটি শিশুও বোঝে। ক্ষমতাসীনরা কৌশলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। কিন্তু তারা মানুষকে থামাতে পারবে না। জোয়ারের মতো আসবে, কোনো কৌশলেই কাজ হবে না।

তবে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান সরদার বাবু আজকেরে পত্রিকাকে জানান, ১১ নভেম্বর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে নগর আওয়ামী লীগ প্রস্তুতিসভা করেছে। সেখানে কথা প্রসঙ্গে ৫ নভেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আলোচনা উঠেছে। সভায় বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আওয়ামী লীগকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিসিসির প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু জানান, বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নেই। তাঁরা কেবল নগর ভবনের সামনে রাস্তার ওপর সমাবেশ করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবারে রাতে নগর আওয়ামী লীগের বৈঠকে মেয়র সাদিক তাঁদের বলেছেন, বিএনপি যেখানে চায় সেখানে সমাবেশ করার সুযোগ দিতে। মেয়রের সঙ্গে এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের আলোচনাও হয়েছে। তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সজাগ থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, ৫ নভেম্বরের আগেই তাঁরা গণসমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যান দখল করতে চান। এতে প্রধান ভূমিকা পালন করবেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা।

এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন আজকের পত্রিকাকে জানান, ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ সফল করতে এখন জেলায় জেলায় প্রচার চালাচ্ছেন।

গতকাল শুক্রবার এ লক্ষ্যে পটুয়াখালী, বরগুনায় প্রস্তুতিসভা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সমাবেশে লোক সমাগম কম করার জন্য ক্ষমতাসীনদের কৌশল হচ্ছে যোগাযোগে বাধা সৃষ্টি করা। তা না হলে হঠাৎ কেন বাসমালিকেরা ধর্মঘট ডাকলেন। এটা আওয়ামী লীগের অপকৌশল। আমরা কৌশলের বিরুদ্ধে পাল্টা কৌশল অবলম্বন করব। বিএনপির অবশ্যই সমাবেশ সফলের কৌশল আছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লাহোরে পাল্টা আঘাত হেনে পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত

পাকিস্তানের চীনা জে-১০ দিয়ে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস, যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরে এই টক্বর

আবদুল হামিদের দেশত্যাগে এবার কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার

একটি দলের ওপর ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব: মাহফুজ আলম

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ, খুলনায় পত্রিকা অফিসে আগুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত