পাথরঘাটা ও কলাপাড়া প্রতিনিধি
ইলিশ প্রজননে ২২ দিন ইলিশ শিকার বন্ধ থাকার পর নীরব–নিস্তব্ধ উপকূলীয় মৎস্য বন্দর আবার সরব হয়ে উঠেছে। ইলিশ আহরণের নিষেধাজ্ঞার নির্ধারিত সময় ছিল গত রাত ১২টা পর্যন্ত। এরপরই জেলেরা ছুটছেন সমুদ্রে।
দীর্ঘ অবসর সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে মাঝি–মাল্লারা ফিরে এসেছেন মহাজনের আড়তে। ট্রলারে জ্বালানি তেল, বরফ, রসদ তুলে সবাই প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন গত রাতে।
মাছ রক্ষায় গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর এই ২২ দিন মা ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাত, ক্রয়–বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে সরকার।
পাথরঘাটার জেলে আলমগীর মাঝি, সেলিম নাজির, আলম ফিটার, জাকির মাঝি, কালাম খান জানান, অবরোধের আগের দিন ৩ অক্টোবর সাগর থেকে ফিরে আসেন তাঁরা। এই দীর্ঘ অবসরে ট্রলার ও জাল মেরামতের পাশাপাশি পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটিয়েছেন তাঁরা। তাদের প্রত্যেকের ট্রলারে মোট ১৭ জন করে জেলে। সবাই সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে মহাজনের আড়তে ফিরেছেন।
মাছ ধরা বন্ধ থাকায় পরিবার–পরিজন নিয়ে চলতে কষ্ট হলেও আবারও নিজ পেশায় ফিরতে পেরে খুশি পাথরঘাটার জেলেরা। এবার সাগর ও নদীতে ইলিশের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা তাঁদের। স্থানীয় জেলেরা জানান, শুধু মাছ ধরাই একমাত্র পেশা হওয়ায় এ দিনগুলো অলসভাবে পার করতে হয়েছে তাদের।
এ দিকে কলাপাড়ার মহিপুরের জেলে আবদুল মান্নান বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় আমরা সাগরে মাছ শিকার করিনি। এ বছর ভরা মৌসুমেও তেমন মাছ ধরা পড়েনি। আশা করি নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ ধরা পড়বে।’
কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘এখন জেলেদের কষ্টের দিন শেষ হতে যাচ্ছে। মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। জাল, নৌকা ও ইঞ্জিন মেরামত করার কাজ হয়ে গেছে।’ এসব জেলেরা ইলিশ শিকার করে আবার ঘুরে দাঁড়াবে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার (অপু) বলেন, ‘মা ইলিশ যাতে নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে সে জন্যই নদী ও সাগরে ইলিশ ধরা, মজুত, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ ছিল। এ আইন বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদপ্তর, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্থানীয় মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১১ হাজার ৪১১ নিবন্ধিত জেলের মাঝে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলেদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা বিষয়ক সভা–সমাবেশ করা হয়েছে। এতে করে স্থানীয় জেলেদের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। যে কারণে আগের বছরগুলোর চেয়ে এবারের মা ইলিশ সংরক্ষণ অনেক বেশি সফল আমরা।’
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, অবরোধের সময়ে জাল, ট্রলার মেরামত করে সাগরে যাওয়ার উপযুক্ত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। মধ্যরাতেই সাগরের উদ্দেশে রওনা দেয় উপকূলের ট্রলারগুলো।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ আল-মুজাহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইলিশ প্রজননের সময়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছি যাতে ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করা যায়।’
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. এমদাদুল্লাহ বলেন, ‘এবার ইলিশ রক্ষা অভিযান শতভাগ সফল হয়েছে। এতে আমাদের ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। ২২ দিনের ইলিশ নিষেধাজ্ঞা চলার সময় বরাদ্দ করা চাল জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।’ সোমবার রাত ১২টার পর থেকে জেলেরা সাগর ও নদীতে মাছ শিকারে যাওয়া শুরু করে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইলিশ প্রজননে ২২ দিন ইলিশ শিকার বন্ধ থাকার পর নীরব–নিস্তব্ধ উপকূলীয় মৎস্য বন্দর আবার সরব হয়ে উঠেছে। ইলিশ আহরণের নিষেধাজ্ঞার নির্ধারিত সময় ছিল গত রাত ১২টা পর্যন্ত। এরপরই জেলেরা ছুটছেন সমুদ্রে।
দীর্ঘ অবসর সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে মাঝি–মাল্লারা ফিরে এসেছেন মহাজনের আড়তে। ট্রলারে জ্বালানি তেল, বরফ, রসদ তুলে সবাই প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন গত রাতে।
মাছ রক্ষায় গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর এই ২২ দিন মা ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাত, ক্রয়–বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে সরকার।
পাথরঘাটার জেলে আলমগীর মাঝি, সেলিম নাজির, আলম ফিটার, জাকির মাঝি, কালাম খান জানান, অবরোধের আগের দিন ৩ অক্টোবর সাগর থেকে ফিরে আসেন তাঁরা। এই দীর্ঘ অবসরে ট্রলার ও জাল মেরামতের পাশাপাশি পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটিয়েছেন তাঁরা। তাদের প্রত্যেকের ট্রলারে মোট ১৭ জন করে জেলে। সবাই সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে মহাজনের আড়তে ফিরেছেন।
মাছ ধরা বন্ধ থাকায় পরিবার–পরিজন নিয়ে চলতে কষ্ট হলেও আবারও নিজ পেশায় ফিরতে পেরে খুশি পাথরঘাটার জেলেরা। এবার সাগর ও নদীতে ইলিশের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা তাঁদের। স্থানীয় জেলেরা জানান, শুধু মাছ ধরাই একমাত্র পেশা হওয়ায় এ দিনগুলো অলসভাবে পার করতে হয়েছে তাদের।
এ দিকে কলাপাড়ার মহিপুরের জেলে আবদুল মান্নান বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় আমরা সাগরে মাছ শিকার করিনি। এ বছর ভরা মৌসুমেও তেমন মাছ ধরা পড়েনি। আশা করি নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ ধরা পড়বে।’
কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘এখন জেলেদের কষ্টের দিন শেষ হতে যাচ্ছে। মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। জাল, নৌকা ও ইঞ্জিন মেরামত করার কাজ হয়ে গেছে।’ এসব জেলেরা ইলিশ শিকার করে আবার ঘুরে দাঁড়াবে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার (অপু) বলেন, ‘মা ইলিশ যাতে নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে সে জন্যই নদী ও সাগরে ইলিশ ধরা, মজুত, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ ছিল। এ আইন বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদপ্তর, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্থানীয় মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১১ হাজার ৪১১ নিবন্ধিত জেলের মাঝে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলেদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা বিষয়ক সভা–সমাবেশ করা হয়েছে। এতে করে স্থানীয় জেলেদের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। যে কারণে আগের বছরগুলোর চেয়ে এবারের মা ইলিশ সংরক্ষণ অনেক বেশি সফল আমরা।’
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, অবরোধের সময়ে জাল, ট্রলার মেরামত করে সাগরে যাওয়ার উপযুক্ত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। মধ্যরাতেই সাগরের উদ্দেশে রওনা দেয় উপকূলের ট্রলারগুলো।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ আল-মুজাহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইলিশ প্রজননের সময়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছি যাতে ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করা যায়।’
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. এমদাদুল্লাহ বলেন, ‘এবার ইলিশ রক্ষা অভিযান শতভাগ সফল হয়েছে। এতে আমাদের ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। ২২ দিনের ইলিশ নিষেধাজ্ঞা চলার সময় বরাদ্দ করা চাল জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।’ সোমবার রাত ১২টার পর থেকে জেলেরা সাগর ও নদীতে মাছ শিকারে যাওয়া শুরু করে বলে জানিয়েছেন তিনি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫