শাহজাহান সাজু, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ঐতিহাসিক রথখোলা মাঠটি দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে। মাঠের আশপাশে গড়ে উঠেছে দোকানপাট। প্রাইভেট কার পার্কিং করে মাঠের একাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে অস্থায়ী গ্যারেজ হিসেবে; ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা।
মাঠে গড়ে উঠেছে কমিউনিটি পুলিশের কার্যালয়। সব মিলিয়ে মাঠের চারপাশের প্রায় এক একর জমি এরই মধ্যে দখল হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা-সংগ্রাম এবং পরবর্তীতে সব অধিকার আদায়ে সংগ্রামে সভা-সমাবেশ হয়েছে এই মাঠে। এই মাঠ জাতীয় ইতিহাসের অংশ। তাই মাঠ দখলমুক্ত করে স্থায়ী মঞ্চ স্থাপন ও সবার জন্য তা উন্মুক্ত করা হোক।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, দ্রুত মাঠ দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িয়ে আছে এ মাঠ। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কমরেড মণি সিংহ, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কমরেড অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রয়াত জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও অন্যান্য জাতীয় নেতা বিভিন্ন সময় এখানে দাঁড়িয়ে বজ্রকণ্ঠে ভাষণ দিয়েছেন। এই মাঠ কিশোরগঞ্জের পৌনে চার আনি এস্টেটের অধীনে ছিল। সরকার জলমহাল, গোচারণ ভূমি, রাস্তা, পুকুর, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির ও সর্বসাধারণের ভোগ্য জমি ছাড়া এস্টেটের জমিদারদের ১০০ বিঘা জমির ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। তার পরও এই মাঠের জমি দাবি করেন এস্টেটের উত্তরাধিকার বিরাজ মোহন রায়। ১৯৭২ সালে বিরাজ মোহন রায় এই জমি একতরফা ডিক্রি করে নেন। পরে ১৯৮৪ সালে এই বিষয়টি তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এই মাঠের জমি রক্ষায় আইনগত পদক্ষেপ নেন। সেই মাঠই এখন দখল হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মাঠটির পূর্ব পাশে মানসী সিনেমা হল এলাকার প্রায় ২০ শতক জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছে দোকান। উত্তর ও পশ্চিমে প্রায় ১০ শতাংশ ভূমিও বেহাত। দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে কমিউনিটি পুলিশের কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মাঠের চারপাশের প্রায় এক একর জমি এরই মধ্যে দখল হয়ে গেছে। মাঠের এক পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ভেতরে প্রাইভেট কার রেখে মাঠকে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্থায়ী গ্যারেজ হিসেবে।
পরিবেশ রক্ষা মঞ্চের (পরম) সভাপতি অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী বলেন, ‘রথখোলা মাঠ আমাদের জাতীয় ইতিহাসের অংশ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরে সব ধরনের অধিকার আদায়ে সভা-সমাবেশ হয়েছে এই মাঠে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে এ বছরই ঐতিহাসিক এই মাঠে স্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হোক এবং মাঠটি সবাইকে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
জেলা প্রশাসক মহাজন স্বামীর আলো আজকের পত্রিকাকে বলেন, খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে ঐতিহাসিক রথখোলা মাঠটি উদ্ধার করা হবে। প্রস্তাব এলে মাঠটিতে সভা-সমাবেশ করার জন্য স্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করা যেতে পারে।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ঐতিহাসিক রথখোলা মাঠটি দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে। মাঠের আশপাশে গড়ে উঠেছে দোকানপাট। প্রাইভেট কার পার্কিং করে মাঠের একাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে অস্থায়ী গ্যারেজ হিসেবে; ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা।
মাঠে গড়ে উঠেছে কমিউনিটি পুলিশের কার্যালয়। সব মিলিয়ে মাঠের চারপাশের প্রায় এক একর জমি এরই মধ্যে দখল হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা-সংগ্রাম এবং পরবর্তীতে সব অধিকার আদায়ে সংগ্রামে সভা-সমাবেশ হয়েছে এই মাঠে। এই মাঠ জাতীয় ইতিহাসের অংশ। তাই মাঠ দখলমুক্ত করে স্থায়ী মঞ্চ স্থাপন ও সবার জন্য তা উন্মুক্ত করা হোক।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, দ্রুত মাঠ দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িয়ে আছে এ মাঠ। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কমরেড মণি সিংহ, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কমরেড অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রয়াত জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও অন্যান্য জাতীয় নেতা বিভিন্ন সময় এখানে দাঁড়িয়ে বজ্রকণ্ঠে ভাষণ দিয়েছেন। এই মাঠ কিশোরগঞ্জের পৌনে চার আনি এস্টেটের অধীনে ছিল। সরকার জলমহাল, গোচারণ ভূমি, রাস্তা, পুকুর, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির ও সর্বসাধারণের ভোগ্য জমি ছাড়া এস্টেটের জমিদারদের ১০০ বিঘা জমির ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। তার পরও এই মাঠের জমি দাবি করেন এস্টেটের উত্তরাধিকার বিরাজ মোহন রায়। ১৯৭২ সালে বিরাজ মোহন রায় এই জমি একতরফা ডিক্রি করে নেন। পরে ১৯৮৪ সালে এই বিষয়টি তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এই মাঠের জমি রক্ষায় আইনগত পদক্ষেপ নেন। সেই মাঠই এখন দখল হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মাঠটির পূর্ব পাশে মানসী সিনেমা হল এলাকার প্রায় ২০ শতক জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছে দোকান। উত্তর ও পশ্চিমে প্রায় ১০ শতাংশ ভূমিও বেহাত। দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে কমিউনিটি পুলিশের কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মাঠের চারপাশের প্রায় এক একর জমি এরই মধ্যে দখল হয়ে গেছে। মাঠের এক পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ভেতরে প্রাইভেট কার রেখে মাঠকে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্থায়ী গ্যারেজ হিসেবে।
পরিবেশ রক্ষা মঞ্চের (পরম) সভাপতি অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী বলেন, ‘রথখোলা মাঠ আমাদের জাতীয় ইতিহাসের অংশ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরে সব ধরনের অধিকার আদায়ে সভা-সমাবেশ হয়েছে এই মাঠে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে এ বছরই ঐতিহাসিক এই মাঠে স্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হোক এবং মাঠটি সবাইকে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
জেলা প্রশাসক মহাজন স্বামীর আলো আজকের পত্রিকাকে বলেন, খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে ঐতিহাসিক রথখোলা মাঠটি উদ্ধার করা হবে। প্রস্তাব এলে মাঠটিতে সভা-সমাবেশ করার জন্য স্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করা যেতে পারে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৬ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৬ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫