Ajker Patrika

৪৯০ স্থানে সিসি ক্যামেরা

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
৪৯০ স্থানে সিসি ক্যামেরা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাইসহ অপরাধ কর্মকাণ্ড এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ৪৯০টি স্থানে  ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই মহাসড়কের ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ২৬৫ কিলোমিটার এলাকায় ৪৯০টি স্থানে উন্নত প্রযুক্তির ১ হাজার ৪৬০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) অনুমোদন নিয়ে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করেছে পলিশের এই বিভাগ।

তারা এসব সিসি ক্যামেরা ২৪ ঘণ্টা সচল রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগ ও ডেটাপ্রবাহের জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সঙ্গে চুক্তি করেছেন।

জানা গেছে, সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের অধীনে গত বছরের ২৩ জুন মহাসড়কের ২৬৫ কিলোমিটার এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর ব্যয় ধরা হয় ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা লাগানো কার্যাদেশটি পায় স্মার্ট গ্রুপ। কার্যাদেশে চলতি বছরের জুনে কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডেটাবেইস ও বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ায় তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। ফলে কাজটি শেষ করতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পুনরায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের কুমিরা, শুকলালহাট, উপজেলা গেট ও সোনাইছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের খুঁটি তৈরির কাজ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা। মহাসড়কের পাশে গভীর গর্তের মাধ্যমে খুঁটি নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি খুঁটি নির্মাণে চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন।

কুমিরা এলাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পিকআপ ভ্যানচালক মো. রুবেলের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘মহাসড়কের আধা কিলোমিটার পরপর সিসি ক্যামেরা স্থাপনে খুঁটি বসানো হচ্ছে। খুব দ্রুতগতিতে এসব খুঁটি নির্মাণের কাজ চলছে। এগুলো নির্মাণ শেষে তাতে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্মার্ট গ্রুপের প্রকল্প পরিচালক শরীফ সারোয়ার বলেন, ‘প্রকল্পের কাজটি পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে শেষ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মহাসড়কের ২৬৫ কিলোমিটারজুড়ে বিটিসিএলের ডেটা লাইন ছিল না। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের সঠিক সময়ে বিদ্যুৎ সংযোজনের কাজও শেষ হয়নি। এসবের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে বিটিসিএলের ডেটা লাইন স্থাপনের কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।’

শরীফ সারোয়ার আরও বলেন, ‘ঢাকার সাইনবোর্ড থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত মহাসড়ক দুটি হাইওয়ে পুলিশের দুটি রেঞ্জে বিভক্ত। দাউদকান্দি থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত গাজীপুর রেঞ্জ ও বাকি অংশ কুমিল্লা রেঞ্জের অধীনে। মহাসড়কের ৪৯০ স্থানের সিসি ক্যামেরা পাঁচটি তদারকি কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আর ডেটা রেকর্ড হবে একটি ডেটা সেন্টার থেকে। ৪৭৪টি খুঁটি থেকে যানবাহন ও চালক শনাক্ত করা হবে, ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানবাহনের গতি নিরূপণ করবে। তদারকি কেন্দ্র হাইওয়ে পুলিশের একটি করে টিম কাজ করবে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্মার্ট গ্রুপের প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ‘মহাসড়কে চলাচলকারী কোনো যানবাহন অতিরিক্ত গতিতে চললে, দুর্ঘটনা ঘটালে কিংবা বিশৃঙ্খলা ঘটলে তদারকি কেন্দ্রে সংকেত তৈরি হবে। এরপর হাইওয়ে পুলিশকে জানালে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে।’

হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ও প্রকল্পটির পরিচালক বরকত উল্ল্যাহ খান বলেন, ‘মহাসড়কে অপরাধপ্রবণতা রোধ ও দুর্ঘটনা কমাতে ঢাকার সাইনবোর্ড থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত ২৬৫ কিলোমিটার পথে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে লং ভিশন ক্যামেরা, পিটিজেড ডোম ক্যামেরা, চেক পয়েন্ট ক্যামেরা ও বুলেট ক্যামেরা রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত