রাজীব কুমার সাহা
কোথাও আগুন লাগলে প্রথমেই যাদের কথা মনে পড়ে, তারা হলো অগ্নিনির্বাপক বাহিনী। এর পাশাপাশি আমরা বলি দমকল বাহিনী। আর ইংরেজিতে বলা হয় ফায়ার সার্ভিস বা ফায়ার ব্রিগেড দল। কিন্তু এই আগুন নেভানোর সঙ্গে ‘দমকল’ শব্দটির সম্পর্ক কোথায়? কেন এই অগ্নিনির্বাপক বাহিনীকে আমরা ‘দমকল বাহিনী’ শব্দবন্ধ দিয়ে চিহ্নিত করি? তবে চলুন এ বিষয়ে কৌতূহলের আগুন ‘দমকল’ বাহিনী দিয়ে নিভিয়ে আসি!
ফারসি ‘দম’ এবং সংস্কৃত ‘কলা>কল’ শব্দসহযোগে তৈরি হয়েছে ‘দমকল’ শব্দটি। এর অর্থ আগুন নেভানোর যন্ত্রচালিত পাম্পবিশেষ যা দিয়ে পানি নিক্ষেপ করা হয়। একই সঙ্গে অগ্নিনির্বাপক গাড়িও এর অর্থপরিধির অন্তর্ভুক্ত। দমকল শব্দটি আমরা বাংলা ভাষায় প্রথম পাই ১৭৮২ সালে অগুস্তাঁ ওসাঁর শব্দকোষ থেকে। এবার আসি কেন এই নামকরণ।
এর ইতিহাস বলতে প্রায় দেড় শ বছর পিছিয়ে যেতে হবে। তখনকার কলকাতা শহরে আগুন লাগলে দমকল বিভাগে খবর যেতে যেতে আর ঘোড়ায় টানা গাড়িতে জল আসতে আসতে ৯৫ শতাংশ পুড়ে যেত। এর জন্য ব্রিটিশ সরকার শহরের মোড়ে মোড়ে ফায়ার ব্রিগেডকে সতর্ক করার জন্য যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করল। যন্ত্রটি তৈরির কারিগর ছিলেন ব্রিটিশ অফিসার ক্যাপ্টেন বার্নাড অ্যানসন ওয়েস্টব্রুক। তাঁর তৈরি এই যন্ত্রে দেখা যায়, একটি লাল রঙের লোহার বাক্সের ভেতর কাচ দিয়ে ঘিরে রাখা একটা দম দেওয়া মেশিন।
এই মেশিনের তার সরাসরি সংযুক্ত করা হলো অগ্নিনির্বাপক অফিসের সঙ্গে এবং নির্দেশ জারি করা হলো কোথাও আগুন লাগলে নিকটবর্তী মেশিনের কাচ ভেঙে দম মেশিনের হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে তিন-চারবার দম দিতে হবে। দম দেওয়ার ফলে মেশিন এক সংকেত পাঠাত ওই অগ্নিনির্বাপক বিভাগে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বিভাগ সহজেই সংকেত পর্যবেক্ষণ করে অতিদ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হতো।
ওই দম দেওয়া যন্ত্র, যার হাতল ঘোরালেই মাটির নিচে পাতা তারের মাধ্যমে ফায়ার ব্রিগেডের কাছে খবর চলে যেত, সেই থেকেই এই বাহিনীর নাম দমকল বাহিনী। প্রকৃতপক্ষে দম দেওয়া কল দিয়ে ডাকা হয় যে বাহিনীকে, তা-ই দমকল বাহিনী।
এ ছাড়া আরেকটা কারণ আছে এই নামকরণের। সেটি হলো ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িতে যে জলের পাম্পগুলো থাকত, সেগুলোও চালাতে হতো হাতল ঘুরিয়ে, অর্থাৎ দম দিয়ে। প্রকৃতপক্ষে এই দুটো দম দেওয়া যন্ত্রের ফলেই ফায়ার ব্রিগেডের বাংলা নাম হয়ে গেল ‘দমকল’। আর এটি শুধু কলকাতায় নয়, ব্রিটিশরা ঢাকায়ও আগুন নেভানোর যথাযথ সংকেত পাওয়ার জন্য একই রকম যন্ত্র বসিয়েছিল।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
কোথাও আগুন লাগলে প্রথমেই যাদের কথা মনে পড়ে, তারা হলো অগ্নিনির্বাপক বাহিনী। এর পাশাপাশি আমরা বলি দমকল বাহিনী। আর ইংরেজিতে বলা হয় ফায়ার সার্ভিস বা ফায়ার ব্রিগেড দল। কিন্তু এই আগুন নেভানোর সঙ্গে ‘দমকল’ শব্দটির সম্পর্ক কোথায়? কেন এই অগ্নিনির্বাপক বাহিনীকে আমরা ‘দমকল বাহিনী’ শব্দবন্ধ দিয়ে চিহ্নিত করি? তবে চলুন এ বিষয়ে কৌতূহলের আগুন ‘দমকল’ বাহিনী দিয়ে নিভিয়ে আসি!
ফারসি ‘দম’ এবং সংস্কৃত ‘কলা>কল’ শব্দসহযোগে তৈরি হয়েছে ‘দমকল’ শব্দটি। এর অর্থ আগুন নেভানোর যন্ত্রচালিত পাম্পবিশেষ যা দিয়ে পানি নিক্ষেপ করা হয়। একই সঙ্গে অগ্নিনির্বাপক গাড়িও এর অর্থপরিধির অন্তর্ভুক্ত। দমকল শব্দটি আমরা বাংলা ভাষায় প্রথম পাই ১৭৮২ সালে অগুস্তাঁ ওসাঁর শব্দকোষ থেকে। এবার আসি কেন এই নামকরণ।
এর ইতিহাস বলতে প্রায় দেড় শ বছর পিছিয়ে যেতে হবে। তখনকার কলকাতা শহরে আগুন লাগলে দমকল বিভাগে খবর যেতে যেতে আর ঘোড়ায় টানা গাড়িতে জল আসতে আসতে ৯৫ শতাংশ পুড়ে যেত। এর জন্য ব্রিটিশ সরকার শহরের মোড়ে মোড়ে ফায়ার ব্রিগেডকে সতর্ক করার জন্য যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করল। যন্ত্রটি তৈরির কারিগর ছিলেন ব্রিটিশ অফিসার ক্যাপ্টেন বার্নাড অ্যানসন ওয়েস্টব্রুক। তাঁর তৈরি এই যন্ত্রে দেখা যায়, একটি লাল রঙের লোহার বাক্সের ভেতর কাচ দিয়ে ঘিরে রাখা একটা দম দেওয়া মেশিন।
এই মেশিনের তার সরাসরি সংযুক্ত করা হলো অগ্নিনির্বাপক অফিসের সঙ্গে এবং নির্দেশ জারি করা হলো কোথাও আগুন লাগলে নিকটবর্তী মেশিনের কাচ ভেঙে দম মেশিনের হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে তিন-চারবার দম দিতে হবে। দম দেওয়ার ফলে মেশিন এক সংকেত পাঠাত ওই অগ্নিনির্বাপক বিভাগে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বিভাগ সহজেই সংকেত পর্যবেক্ষণ করে অতিদ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হতো।
ওই দম দেওয়া যন্ত্র, যার হাতল ঘোরালেই মাটির নিচে পাতা তারের মাধ্যমে ফায়ার ব্রিগেডের কাছে খবর চলে যেত, সেই থেকেই এই বাহিনীর নাম দমকল বাহিনী। প্রকৃতপক্ষে দম দেওয়া কল দিয়ে ডাকা হয় যে বাহিনীকে, তা-ই দমকল বাহিনী।
এ ছাড়া আরেকটা কারণ আছে এই নামকরণের। সেটি হলো ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িতে যে জলের পাম্পগুলো থাকত, সেগুলোও চালাতে হতো হাতল ঘুরিয়ে, অর্থাৎ দম দিয়ে। প্রকৃতপক্ষে এই দুটো দম দেওয়া যন্ত্রের ফলেই ফায়ার ব্রিগেডের বাংলা নাম হয়ে গেল ‘দমকল’। আর এটি শুধু কলকাতায় নয়, ব্রিটিশরা ঢাকায়ও আগুন নেভানোর যথাযথ সংকেত পাওয়ার জন্য একই রকম যন্ত্র বসিয়েছিল।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫