অরূপ রায়, সাভার থেকে
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলার আঞ্চলিক সড়কে ভুয়া নিবন্ধন নম্বরে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করছে। পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়ে এসব যানবাহন নিরাপদে চলাচল করে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন মোটরযান মেরামত কারখানায় (ওয়ার্কশপ) এসব যানবাহনের বডি তৈরি করা হয়।
সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো মোটরযানের আকার ও রং পরিবর্তন করা যাবে না। এ ছাড়া মোটরযান মেরামত, কারখানা স্থাপন বা পরিচালনার ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। কিন্তু সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের মোটরযান মেরামত কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে এই আইন (সড়ক পরিবহন আইন) মানা হয় না।
স্থানীয় মোটরযান মেরামত কারখানাগুলোতে অনুমতি ছাড়াই পুরোনো যানবাহনের যন্ত্রাংশ বা ইঞ্জিন দিয়ে ট্রাক, লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার বডি তৈরি করা হয়। এরপর এতে ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া অকেজো যানবাহনের নিবন্ধন নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা ও ঢাকার সাভারের আমিনবাজারসহ এই দুই জেলায় সাত হাজারের বেশি ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও লেগুনা আছে। যেগুলোর অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে পরিচালিত মোটরযান মেরামত কারখানায় তৈরির পর ভুয়া নিবন্ধন নম্বরে চলাচল করছে।
দীর্ঘদিন ধরে ট্রাকে গবাদিপশু ও পণ্য পরিবহনের ব্যবসা করছেন মানিকগঞ্জের শিবালয়ের শহর আলী। ব্যবসার জন্য তাঁর একটি ট্রাক রয়েছে, যা নিবন্ধন করা হয়নি। কিন্তু তিনি ট্রাকে পিরোজপুর-ট-১১-০৩৫৬-এই নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করছেন।
জানতে চাইলে শহর আলী বলেন, ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া একাধিক পুরোনো যানবাহনের যন্ত্রাংশ দিয়ে কয়েক বছর আগে স্থানীয় একটি কারখানায় তিনি ট্রাকটির বডি তৈরি করেন। তাঁর ট্রাকে ব্যবহার করা নিবন্ধন নম্বরটি পুরোনো একটি ট্রাকের।
শহর আলী বলেন, ভুয়া নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে মানিকগঞ্জসহ ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ে পাঁচ হাজারেও বেশি ট্রাক চলাচল করে। যার অধিকাংশেরই মালিকের বাড়িও মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচা ও ঢাকার সাভারের আমিনবাজারে। নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য মানিকগঞ্জ ও সাভারের হাইওয়ে পুলিশকে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা মাসোয়ারা দিতে হয়। তিনি নিজেও তাঁর ট্রাকের জন্য দেড় হাজার টাকা করে মাসোয়ারা দেন বলে জানান।
ভুয়া নিবন্ধন নম্বর থাকার পরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন ব্যবস্থা নেয় না কেন, জানতে চাইলে শহর আলীর ট্রাকের চালক রমজান আলী বলেন, ‘পুলিশ ধরার পর মান্থলির (মাসোয়ারা) কথা বললে ছেড়ে দেয়।’
সাভারের হেমায়েতপুর থেকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর হয়ে সদর উপজেলার বেউথা এবং কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহারের মধ্যে স্থানীয় মোটরযান কারখানায় তৈরি করা সিএনজিচালিত শতাধিক অটোরিকশা চলাচল করে। এসব অটোরিকশার কোনো কাগজপত্র নেই। তবে নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ভুয়া।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের বিন্নাডাঙ্গী গ্রামের অটোরিকশাচালক রাসেদুল ইসলাম বলেন, আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারের শাহজালাল-শাহপরান ওয়ার্কশপে তৈরি করা সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা কেনেন তিনি। ওই ওয়ার্কশপ থেকে তাঁর অটোরিকশায় ঢাকা-মেট্রো-থ-১২-৩৪৪৪-এই নিবন্ধন নম্বর দেওয়া হয়েছে, যা ভুয়া।
শাহজালাল-শাহপরান ওয়ার্কশপের মালিক এম কুদ্দুস বলেন, তাঁরা বেবিট্যাক্সির (স্কুটার) নিবন্ধনের কাগজপত্রসহ ভাঙা বডি ও ইঞ্জিন কিনে আনেন। এরপর ওই ইঞ্জিন দিয়ে বডি পাল্টে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো করে গাড়ি তৈরি করেন। পরে ওয়ার্কশপে তৈরি করা অটোরিকশায় বেবিট্যাক্সির নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া তিনি পুরোনো ইঞ্জিন দিয়ে লেগুনা ও ট্রাক তৈরি করে থাকেন।
সিঙ্গাইরের বিন্নাডাঙ্গীর সুরাইয়া মোটর ওয়ার্কশপের মালিক আবুল কাশেম বলেন, নামমাত্র টাকায় বেবিট্যাক্সির নিবন্ধনের কাগজপত্রসহ ভাঙা বডি ও ইঞ্জিন কেনা হয়। এরপর পুলিশি হয়রানি এড়াতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো করে তৈরি করা গাড়িতে ওই নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করা হয়।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে ভুয়া নিবন্ধন নম্বরের মোটরযানের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মাঝেমধ্যে এসব যানবাহন আটক করে ডাম্পিংয়ে দেওয়া হয়।’
মাসোয়ারা নেওয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকেরা কত কথাই তো বলেন। তাঁদের এ অভিযোগ সত্য নয়।’
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলার আঞ্চলিক সড়কে ভুয়া নিবন্ধন নম্বরে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করছে। পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়ে এসব যানবাহন নিরাপদে চলাচল করে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন মোটরযান মেরামত কারখানায় (ওয়ার্কশপ) এসব যানবাহনের বডি তৈরি করা হয়।
সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো মোটরযানের আকার ও রং পরিবর্তন করা যাবে না। এ ছাড়া মোটরযান মেরামত, কারখানা স্থাপন বা পরিচালনার ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। কিন্তু সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের মোটরযান মেরামত কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে এই আইন (সড়ক পরিবহন আইন) মানা হয় না।
স্থানীয় মোটরযান মেরামত কারখানাগুলোতে অনুমতি ছাড়াই পুরোনো যানবাহনের যন্ত্রাংশ বা ইঞ্জিন দিয়ে ট্রাক, লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার বডি তৈরি করা হয়। এরপর এতে ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া অকেজো যানবাহনের নিবন্ধন নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা ও ঢাকার সাভারের আমিনবাজারসহ এই দুই জেলায় সাত হাজারের বেশি ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও লেগুনা আছে। যেগুলোর অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে পরিচালিত মোটরযান মেরামত কারখানায় তৈরির পর ভুয়া নিবন্ধন নম্বরে চলাচল করছে।
দীর্ঘদিন ধরে ট্রাকে গবাদিপশু ও পণ্য পরিবহনের ব্যবসা করছেন মানিকগঞ্জের শিবালয়ের শহর আলী। ব্যবসার জন্য তাঁর একটি ট্রাক রয়েছে, যা নিবন্ধন করা হয়নি। কিন্তু তিনি ট্রাকে পিরোজপুর-ট-১১-০৩৫৬-এই নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করছেন।
জানতে চাইলে শহর আলী বলেন, ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া একাধিক পুরোনো যানবাহনের যন্ত্রাংশ দিয়ে কয়েক বছর আগে স্থানীয় একটি কারখানায় তিনি ট্রাকটির বডি তৈরি করেন। তাঁর ট্রাকে ব্যবহার করা নিবন্ধন নম্বরটি পুরোনো একটি ট্রাকের।
শহর আলী বলেন, ভুয়া নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে মানিকগঞ্জসহ ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ে পাঁচ হাজারেও বেশি ট্রাক চলাচল করে। যার অধিকাংশেরই মালিকের বাড়িও মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচা ও ঢাকার সাভারের আমিনবাজারে। নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য মানিকগঞ্জ ও সাভারের হাইওয়ে পুলিশকে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা মাসোয়ারা দিতে হয়। তিনি নিজেও তাঁর ট্রাকের জন্য দেড় হাজার টাকা করে মাসোয়ারা দেন বলে জানান।
ভুয়া নিবন্ধন নম্বর থাকার পরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন ব্যবস্থা নেয় না কেন, জানতে চাইলে শহর আলীর ট্রাকের চালক রমজান আলী বলেন, ‘পুলিশ ধরার পর মান্থলির (মাসোয়ারা) কথা বললে ছেড়ে দেয়।’
সাভারের হেমায়েতপুর থেকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর হয়ে সদর উপজেলার বেউথা এবং কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহারের মধ্যে স্থানীয় মোটরযান কারখানায় তৈরি করা সিএনজিচালিত শতাধিক অটোরিকশা চলাচল করে। এসব অটোরিকশার কোনো কাগজপত্র নেই। তবে নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ভুয়া।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের বিন্নাডাঙ্গী গ্রামের অটোরিকশাচালক রাসেদুল ইসলাম বলেন, আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারের শাহজালাল-শাহপরান ওয়ার্কশপে তৈরি করা সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা কেনেন তিনি। ওই ওয়ার্কশপ থেকে তাঁর অটোরিকশায় ঢাকা-মেট্রো-থ-১২-৩৪৪৪-এই নিবন্ধন নম্বর দেওয়া হয়েছে, যা ভুয়া।
শাহজালাল-শাহপরান ওয়ার্কশপের মালিক এম কুদ্দুস বলেন, তাঁরা বেবিট্যাক্সির (স্কুটার) নিবন্ধনের কাগজপত্রসহ ভাঙা বডি ও ইঞ্জিন কিনে আনেন। এরপর ওই ইঞ্জিন দিয়ে বডি পাল্টে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো করে গাড়ি তৈরি করেন। পরে ওয়ার্কশপে তৈরি করা অটোরিকশায় বেবিট্যাক্সির নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া তিনি পুরোনো ইঞ্জিন দিয়ে লেগুনা ও ট্রাক তৈরি করে থাকেন।
সিঙ্গাইরের বিন্নাডাঙ্গীর সুরাইয়া মোটর ওয়ার্কশপের মালিক আবুল কাশেম বলেন, নামমাত্র টাকায় বেবিট্যাক্সির নিবন্ধনের কাগজপত্রসহ ভাঙা বডি ও ইঞ্জিন কেনা হয়। এরপর পুলিশি হয়রানি এড়াতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো করে তৈরি করা গাড়িতে ওই নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করা হয়।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে ভুয়া নিবন্ধন নম্বরের মোটরযানের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মাঝেমধ্যে এসব যানবাহন আটক করে ডাম্পিংয়ে দেওয়া হয়।’
মাসোয়ারা নেওয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকেরা কত কথাই তো বলেন। তাঁদের এ অভিযোগ সত্য নয়।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫