Ajker Patrika

বোরো ধানের ভালো ফলনেও দামে হাসি নেই কৃষকের মুখে

হিজলা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ মে ২০২২, ১১: ৩৯
বোরো ধানের ভালো ফলনেও দামে হাসি নেই কৃষকের মুখে

বরিশালের হিজলা উপজেলায় এ বছর ছয় ইউনিয়নে বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তাতেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। ধান চাষে খরচ বেশি ও আশানুরূপ মূল্য না পেয়ে হতাশ কৃষকেরা। তবে কৃষি বিভাগ থেকে খরচ কমাতে আধুনিক মেশিন ব্যবহারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চাষি ডিপটি হাওলাদার বলেন, আর ধান চাষ করব না। বর্তমানে চাষ করে আর্থিক ক্ষতি সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রতি ২ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করতে প্রায় হাজার টাকার ওপরে খরচ হয়। বীজ-সার পানি খরচ ও শ্রমিকের টাকা দিয়ে লোকসান গুনতে হয়।

ধান বিক্রি করতে আসা মোশারফ ব্যাপারী বলেন, এনজিও থেকে লোন করে ধান চাষ করেছি। ধানের ন্যায্যমূল্য না থাকায় লোকসানের পড়তে হলো।

ক্রেতা সাইফুল ইসলাম ও জাকির সরদার বলেন, প্রতি মণ ধানের মূল্য ৫৫০-৬৫০ টাকা। আমাদের ক্রয় করা ধান চাদপুর-ফরিদপুর ও মাদারীপুর বিক্রি করা হবে। প্রতি মণ ধান মোকামে বিক্রি করে ১০-২০ টাকা লাভ হয়।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে কর্মকর্তা তৈহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি ১ হাজার ৮০ টাকা মূল্যে ধান আগামী মাসে লটারির মাধ্যমে ক্রয় করা হবে। এ বছর প্রায় ৪ হাজার ২ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে। কৃষক যাতে তাঁদের উৎপাদিত ধান সরকারি মূল্যে বিক্রি করতে পারে, সে জন্য প্রচারণার ব্যবস্থা করা হবে।

হিজলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হাবীব আল আজাদ জনি বলেন, উপজেলায় ৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি দপ্তর থেকে চাষিদের বীজ-সারসহ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা যেন ধান চাষে উৎসাহিত হন। বর্তমানে শ্রমিকের সংকট এবং বেশি খরচ হওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হতে পারছেন না। তাই কম খরচে আধুনিক মেশিন ব্যবহারে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত