পটুয়াখালীর বাউফলে তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীরা সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, সংশ্লিষ্ট ডিলার ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা মিলে তাঁদের নামে বরাদ্দকৃত চাল বছরের পর বছর আত্মসাৎ করে আসছেন। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার ১০ জন ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৫২৩ জন সুবিধাভোগী রয়েছেন। বছরে পাঁচ মাস (মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং নভেম্বর) ওই সব সুবিধাভোগীকে কার্ডপ্রতি ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাল বিতরণ ডিলার হিসেবে আছেন মো. জুয়েল রানা নামে এক ব্যক্তি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তালিকায় ১৪৪ নম্বরে আছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভরিপাশা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম, ১৪৬ নম্বরে অসিম খানের স্ত্রী ইসরাত জাহান শরমি, ১৪৩ নম্বরে ফজলে করিমের ছেলে শহিদুল ইসলাম, ১২২ নম্বরে আবদুল লতিফ সরদারের স্ত্রী নিলুফা বেগম এবং ২২৪ নম্বরে খলিল সরদারের স্ত্রী লাভলি বেগম। তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁরা চাল পান না।
ভুক্তভোগী হোসনেয়ারা বেগম জানান, গত ৫ বছরে একবারও তিনি চাল পাননি। তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ডিলার তাঁকে চাল দেন না। শুধু হোসনেয়ারাই না, তাঁর মতো অনেক অসহায় ব্যক্তি সরকারের এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। হাওয়া বেগম নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘তালিকায় (১৪৭) ৩ বছর ধরে নাম ছিল। তবে কখনো চাল দেওয়া হয়নি। গত বছর নাম কেটে দেওয়া হয়।’ হাওয়া বেগমের প্রশ্ন, ওই তিন বছর তাঁর নামের চাল কে নিয়েছে? তাঁকে কেন দেওয়া হয়নি?
তালিকায় ১৩ নম্বরে আসমত আলী ভূঁইয়ার ছেলে মো. রাজ্জাক ভূঁইয়ার নাম রয়েছে। তিনিও চাল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। ভরিপাশা গ্রামের নান্নু খান সুবিধাভোগী হিসেবে চাল পেলেও তাঁর স্ত্রী শাহনাজ বেগমের নাম রয়েছে সংশোধিত তালিকায়। মো. শাহ আলম ফকির ও তাঁর স্ত্রী মোসা. রুনু বেগমের নাম রয়েছে সুবিধাভোগীর তালিকায়। তাঁদের কেউই চাল পাচ্ছেন না।
এদিকে সংশোধিত তালিকার ১০ নম্বরে ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা সদস্যা এলিনা আক্তারের শাশুড়ি রাশেদা বেগমের নাম রয়েছে। এ বিষয়ে এলিনা বলেন, ‘শুধু আমার শাশুড়ির নামটাই দেখলেন, অন্য কারও নামটা দেখলেন না। এ রকম প্রায় মেম্বরদের আত্মীয়-স্বজনদের নাম রয়েছে।’
এ বিষয়ে ডিলার মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালের শেষে দিকে ডিলার নিয়োগ পাই। এর আগে ছিল মিলন রহমান রুবেল নামে একজন। জোড়া খুনের মামলার আসামি হওয়ায় তিনি পলাতক থাকেন। যা অনিয়ম হয়েছে, তাঁর সময়ে। আমার দ্বারা কোনো অনিয়ম হয়নি। যাঁদের কার্ড আছে, তাঁদেরই আমরা চাল দিচ্ছি।’
সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী প্রোগ্রামার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি ডিলাররা ভালো জানেন। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’
ইউএনও মো. আল আমিন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
পটুয়াখালীর বাউফলে তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীরা সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, সংশ্লিষ্ট ডিলার ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা মিলে তাঁদের নামে বরাদ্দকৃত চাল বছরের পর বছর আত্মসাৎ করে আসছেন। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার ১০ জন ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৫২৩ জন সুবিধাভোগী রয়েছেন। বছরে পাঁচ মাস (মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং নভেম্বর) ওই সব সুবিধাভোগীকে কার্ডপ্রতি ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাল বিতরণ ডিলার হিসেবে আছেন মো. জুয়েল রানা নামে এক ব্যক্তি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তালিকায় ১৪৪ নম্বরে আছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভরিপাশা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম, ১৪৬ নম্বরে অসিম খানের স্ত্রী ইসরাত জাহান শরমি, ১৪৩ নম্বরে ফজলে করিমের ছেলে শহিদুল ইসলাম, ১২২ নম্বরে আবদুল লতিফ সরদারের স্ত্রী নিলুফা বেগম এবং ২২৪ নম্বরে খলিল সরদারের স্ত্রী লাভলি বেগম। তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁরা চাল পান না।
ভুক্তভোগী হোসনেয়ারা বেগম জানান, গত ৫ বছরে একবারও তিনি চাল পাননি। তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ডিলার তাঁকে চাল দেন না। শুধু হোসনেয়ারাই না, তাঁর মতো অনেক অসহায় ব্যক্তি সরকারের এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। হাওয়া বেগম নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘তালিকায় (১৪৭) ৩ বছর ধরে নাম ছিল। তবে কখনো চাল দেওয়া হয়নি। গত বছর নাম কেটে দেওয়া হয়।’ হাওয়া বেগমের প্রশ্ন, ওই তিন বছর তাঁর নামের চাল কে নিয়েছে? তাঁকে কেন দেওয়া হয়নি?
তালিকায় ১৩ নম্বরে আসমত আলী ভূঁইয়ার ছেলে মো. রাজ্জাক ভূঁইয়ার নাম রয়েছে। তিনিও চাল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। ভরিপাশা গ্রামের নান্নু খান সুবিধাভোগী হিসেবে চাল পেলেও তাঁর স্ত্রী শাহনাজ বেগমের নাম রয়েছে সংশোধিত তালিকায়। মো. শাহ আলম ফকির ও তাঁর স্ত্রী মোসা. রুনু বেগমের নাম রয়েছে সুবিধাভোগীর তালিকায়। তাঁদের কেউই চাল পাচ্ছেন না।
এদিকে সংশোধিত তালিকার ১০ নম্বরে ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা সদস্যা এলিনা আক্তারের শাশুড়ি রাশেদা বেগমের নাম রয়েছে। এ বিষয়ে এলিনা বলেন, ‘শুধু আমার শাশুড়ির নামটাই দেখলেন, অন্য কারও নামটা দেখলেন না। এ রকম প্রায় মেম্বরদের আত্মীয়-স্বজনদের নাম রয়েছে।’
এ বিষয়ে ডিলার মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালের শেষে দিকে ডিলার নিয়োগ পাই। এর আগে ছিল মিলন রহমান রুবেল নামে একজন। জোড়া খুনের মামলার আসামি হওয়ায় তিনি পলাতক থাকেন। যা অনিয়ম হয়েছে, তাঁর সময়ে। আমার দ্বারা কোনো অনিয়ম হয়নি। যাঁদের কার্ড আছে, তাঁদেরই আমরা চাল দিচ্ছি।’
সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী প্রোগ্রামার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি ডিলাররা ভালো জানেন। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’
ইউএনও মো. আল আমিন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪