মনিরুল ইসলাম শামিম, বাহুবল (হবিগঞ্জ)
মহান মুক্তিযুদ্ধে বাহুবলবাসীর অবদানের সাক্ষী ‘ফয়জাবাদ বধ্যভূমি’। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নিহতদের যেখানে দেওয়া হয়েছিল গণকবর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পাহাড়ের বুকে এ স্থানটি কেবল অযত্নে পড়ে থাকা একখণ্ড ইতিহাস।
প্রতিবছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এই স্মৃতিস্তম্ভে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তবে বছরের অন্য দিনগুলোতে বধ্যভূমি থাকে অযত্ন আর অবহেলায়। এতে বর্তমান প্রজন্ম এ স্থানটির গুরুত্ব ও ইতিহাস নিয়ে রয়েছে অন্ধকারে।
মুক্তিযুদ্ধের তথ্যে জানা যায়, ১৯৭১ সালে উপজেলার ফয়েজাবাদ হিলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে গণকবর দেয়। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, মাধবপুর ও পাশের জেলা মৌলভীবাজার থেকে মুক্তিবাহিনী ও স্থানীয়দের ধরে এনে এ বধ্যভূমিতে হত্যা করত।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মতে, এখানে ১৫০-এর অধিক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল। এ ছাড়া এই ফয়েজাবাদ হিলে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীর কয়েকবার সম্মুখযুদ্ধ হয়।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে এ বধ্যভূমির অবস্থান। এ বধ্যভূমিকে স্মরণীয় করে রাখতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গণপূর্ত অধিদপ্তর স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
২০০৫ সালে ১ একর ভূমির ওপর বধ্যভূমির নির্মাণকাজ শুরু করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। ২০০৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এদিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনুরোধে ২০১৯ সালে প্রশাসন বয়স্ক দর্শনার্থীদের বধ্যভূমির উঁচু টিলায় ওঠার জন্য সিঁড়ির একপাশে রেলিং নির্মাণ করে। সেই রেলিংটির অধিকাংশ জায়গা ভেঙে মাটিতে পড়ে আছে।
বিশেষ করে শহীদদের স্মরণে এ স্মৃতিস্তম্ভের আধুনিকায়নের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। হবিগঞ্জ থেকে মৌলভীবাজার সড়কপথে যেতে এ বধ্যভূমির ফলকটি সবার নজর কাড়ে। ফয়েজাবাদের গা ছমছম করা পাহাড়ের নির্জনতা কারণেই হয়তো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ স্থানকে হত্যাযজ্ঞের নিরাপদ হিসেবে বেছে নিয়েছিল।
বাহুবল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মো. নূর মিয়া বলেন, একসময় ফয়েজাবাদ পাহাড় ছিল গহিন অরণ্যে ঘেরা নীরব এলাকা। এ পাহাড়ের বেশির ভাগ স্থানে বাঘের ভয়ে মানুষ প্রবেশ করত না।
ফলে জনশূন্য এ পাহাড়ি স্থানটিকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হত্যাকাণ্ডের পর গণকবর দেওয়ার স্থান হিসেবে বেছে নেয়।
কমান্ডার মো. নূর মিয়া আরও বলেন, এ বধ্যভূমিটি উপজেলার ঐতিহাসিক স্থান। অথচ বধ্যভূমিটি বছরব্যাপী অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকে। এ স্থানটিকে ঘিরে পার্ক নির্মাণ করা হলে দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়বে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহুয়া শারমিন ফাতেমা বলেন, ‘বধ্যভূমিতে ইতিমধ্যে রেলিং ও সোলার স্থাপনসহ একাধিক উন্নয়নকাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া এই মুহূর্তে নতুন কোনো পরিকল্পনা আমাদের হাতে নেই। পরবর্তীকালে মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পেলে আমরা দ্রুত সেই কাজগুলোও শেষ করব।’
মহান মুক্তিযুদ্ধে বাহুবলবাসীর অবদানের সাক্ষী ‘ফয়জাবাদ বধ্যভূমি’। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নিহতদের যেখানে দেওয়া হয়েছিল গণকবর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পাহাড়ের বুকে এ স্থানটি কেবল অযত্নে পড়ে থাকা একখণ্ড ইতিহাস।
প্রতিবছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এই স্মৃতিস্তম্ভে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তবে বছরের অন্য দিনগুলোতে বধ্যভূমি থাকে অযত্ন আর অবহেলায়। এতে বর্তমান প্রজন্ম এ স্থানটির গুরুত্ব ও ইতিহাস নিয়ে রয়েছে অন্ধকারে।
মুক্তিযুদ্ধের তথ্যে জানা যায়, ১৯৭১ সালে উপজেলার ফয়েজাবাদ হিলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে গণকবর দেয়। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, মাধবপুর ও পাশের জেলা মৌলভীবাজার থেকে মুক্তিবাহিনী ও স্থানীয়দের ধরে এনে এ বধ্যভূমিতে হত্যা করত।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মতে, এখানে ১৫০-এর অধিক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল। এ ছাড়া এই ফয়েজাবাদ হিলে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীর কয়েকবার সম্মুখযুদ্ধ হয়।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে এ বধ্যভূমির অবস্থান। এ বধ্যভূমিকে স্মরণীয় করে রাখতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গণপূর্ত অধিদপ্তর স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
২০০৫ সালে ১ একর ভূমির ওপর বধ্যভূমির নির্মাণকাজ শুরু করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। ২০০৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এদিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনুরোধে ২০১৯ সালে প্রশাসন বয়স্ক দর্শনার্থীদের বধ্যভূমির উঁচু টিলায় ওঠার জন্য সিঁড়ির একপাশে রেলিং নির্মাণ করে। সেই রেলিংটির অধিকাংশ জায়গা ভেঙে মাটিতে পড়ে আছে।
বিশেষ করে শহীদদের স্মরণে এ স্মৃতিস্তম্ভের আধুনিকায়নের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। হবিগঞ্জ থেকে মৌলভীবাজার সড়কপথে যেতে এ বধ্যভূমির ফলকটি সবার নজর কাড়ে। ফয়েজাবাদের গা ছমছম করা পাহাড়ের নির্জনতা কারণেই হয়তো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ স্থানকে হত্যাযজ্ঞের নিরাপদ হিসেবে বেছে নিয়েছিল।
বাহুবল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মো. নূর মিয়া বলেন, একসময় ফয়েজাবাদ পাহাড় ছিল গহিন অরণ্যে ঘেরা নীরব এলাকা। এ পাহাড়ের বেশির ভাগ স্থানে বাঘের ভয়ে মানুষ প্রবেশ করত না।
ফলে জনশূন্য এ পাহাড়ি স্থানটিকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হত্যাকাণ্ডের পর গণকবর দেওয়ার স্থান হিসেবে বেছে নেয়।
কমান্ডার মো. নূর মিয়া আরও বলেন, এ বধ্যভূমিটি উপজেলার ঐতিহাসিক স্থান। অথচ বধ্যভূমিটি বছরব্যাপী অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকে। এ স্থানটিকে ঘিরে পার্ক নির্মাণ করা হলে দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়বে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহুয়া শারমিন ফাতেমা বলেন, ‘বধ্যভূমিতে ইতিমধ্যে রেলিং ও সোলার স্থাপনসহ একাধিক উন্নয়নকাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া এই মুহূর্তে নতুন কোনো পরিকল্পনা আমাদের হাতে নেই। পরবর্তীকালে মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পেলে আমরা দ্রুত সেই কাজগুলোও শেষ করব।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫