Ajker Patrika

গোমাই নদের বুকে ড্রেজার বালু তোলায় তীরে গর্ত

বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ মে ২০২২, ১৪: ৪১
গোমাই নদের বুকে ড্রেজার  বালু তোলায় তীরে গর্ত

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার গোমাই নদ থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত ১১ দিন ধরে চলছে এই বালু তোলার কাজ। ইতিমধ্যে প্রায় ২৪ হাজার ফুট বালু তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে স্থানীয় সিম্পনী বাজারের পাশে গোমাই নদের তীরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামনের বর্ষা মৌসুমে সেখানে ভাঙন দেখা দিতে পারে। উপজেলা প্রশাসন বলছে, নদ থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা নিষিদ্ধ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজু লোকজন দিয়ে ড্রেজার বসিয়ে গোমাই নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু তুলে নিজের ঠিকাদারি কাজে রাস্তায় ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ১১ দিন ধরে গোমাই নদ থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার ঠিকাদারির কাজ করার জন্য সম্পূর্ণ বালু ড্রেজার দিয়ে তোলা হচ্ছে গোমাই নদ থেকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন ড্রেজার দিয়ে গোমাই নদী থেকে বালু তুলছেন। তখন কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা কাজ করতে আইসি। চেয়ারম্যান আমরারে রোজে আনছে। আমরার নাম পত্রিকায় দিয়া আমারার পেডও লাত্তি মারইন না’। কত দিন ধরে মাটি তোলা হচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে তাঁরা বলেন, ‘১১ দিন ধরে ওই রাস্তার জন্য ড্রেজার দিয়ে তারা বালু তুলছেন।’

রায়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি শেখ বিপ্লব বলেন, ‘রায়পুর ইউনিয়নে নদী থেকে বালু তোলা একটা সাধারণ বিষয়। প্রশাসনের নজরদারি কম থাকায় যে যার মতো গোমাই নদ থেকে বালু তুলছে। আমাদের ইউপি চেয়ারম্যানও নিজের ঠিকাদারির কাজে নদী থেকে বালু তুলছেন। যে রক্ষা করার কথা, সে-ই যদি ভক্ষক হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কী করবে? রায়পুর ইউনিয়নের বালুখেকোদের বিরুদ্ধে প্রশাসনে আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানান তিনি। আবির আহমেদ নামের একজন বলেন, ‘সিম্পনী বাজরের এই রাস্তাটি হওয়ায় আমাদের এলাকাবাসীর খুব উপকার হচ্ছে। তবে নদ থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলায় সিম্পনী বাজারের পাশে গোমাই নদে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সামনের বর্ষা মৌসুমে বড় ধরনের ভাঙন দেখা দিতে পারে।’

এ বিষয়ে রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজু বলেন, ‘আমি খাসজমি থেকে প্রতি ফুট বালু এক টাকা করে কিনে রাস্তা করছি।’। আপনি যে বালু কিনে রাস্তা করছেন এর কোনো সততা পাওয়া যায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার রাস্তাটা এক মাস আগে হয়ে যেত, আপনার জন্য হয়তবা একমাস পরে হবে। আর কোনো সমস্যা হবে না আমার।’

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস. এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নদ থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। রায়পুর ইউনিয়নের সিম্পনী বাজারে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুলিশের তিন পদে অতিরিক্ত: তিনজনে একজন বাড়তি

ট্রেনের কেবিনের বালিশ, চাদর, কম্বলের ভাড়া দ্বিগুণ করার চিন্তা

ভারতে পোশাকের অর্ডার স্থগিত করছে মার্কিন ক্রেতারা, বাংলাদেশ-ভিয়েতনামে কারখানা স্থানান্তরের পরামর্শ

মোবাইল-টাকা ছিনতাইয়ের পর দুই তরুণীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

ডোপ টেস্টে পজিটিভ, চবিতে শিক্ষকতা থেকে বাদ দুই প্রার্থী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত