সম্পাদকীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই যাঁরা গণরুমের অভিজ্ঞতা লাভ করেন, তাঁরা জানেন কত ধানে কত চাল। শেখ হাসিনার সরকার এসে গণরুমের ব্যবস্থা করেছে, এমন নয়। দিনের পর দিন, সরকারের পর সরকার এসেছে, গেছে, কিন্তু গণরুমের বিভীষিকা থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচানোর কোনো চেষ্টাই করা হয়নি। গণরুম ছাত্রসংগঠনের জন্য একটা বড় হাতিয়ারও বটে। নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মিছিলে যেতে বাধ্য করা খুবই সহজ। তাঁরা জানেন মিছিলে না গেলে এই গণরুম থেকেও বহিষ্কৃত হতে হবে!
আজকের পত্রিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গণরুমের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, সেটি দেখে প্রথমেই ‘উদ্বাস্তু’ শব্দটি মাথায় এল। ‘শরণার্থী’ হিসেবে তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলেও বোধ হয় ভুল হবে না। এই পরিবেশে বসবাস করে কারও পক্ষে কি যথার্থভাবে লেখাপড়া করা সম্ভব?
শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই গণরুম বা গেস্টরুমবিষয়ক জটিলতা রয়েছে, সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। মহা হাস্যকর একটা ঘটনা ঘটেছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে তো বলাই হয় আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। গণরুমের ঝক্কি এই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিল। সেই ঝক্কি এড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি নতুন হল নির্মাণ করা হয়েছে। তার দু-একটি খুলেও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই হলগুলোতেও ছাত্রলীগের তত্ত্বাবধানে চালু হয়েছে গণরুম। গণরুম মানেই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন! গণরুম মানেই মিছিলে বেগার
খাটার লোক পাওয়া।
হলগুলোয় আরও একটি ব্যাপার ঘটে। হলে সিট নেই, অথচ তাঁরা ছাত্রসংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায় হলের বৈধ রুমে দিব্যি অবৈধভাবে বসবাস করছেন। এই অবৈধরা থাকছেন বৈধ সিটে! আর যাঁদের নামে সিট বরাদ্দ, তাঁদের থাকতে হচ্ছে গণরুমে—এ যেন চিরাচরিত যাপিত জীবনের অংশ!
নিয়তির মতোই তা মেনে নেন শিক্ষার্থীরা। গ্রিক ট্র্যাজেডিগুলো যে রকম নিয়তিকে সঙ্গী করে এগিয়ে যেতে থাকে, গণরুমের জীবনও সে রকম নিয়তিনির্ভর। কবে কোন কারণে এই শাপমোচন হবে, তা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারে না। অদৃষ্টে কী লেখা আছে, তা পড়া হয়ে ওঠে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আনন্দে ধীরে ধীরে শিক্ষার উজ্জ্বল আলো নিয়ে যে রোমাঞ্চ জন্ম নিয়েছিল মনে, তা গণরুমের বিষাক্ত পরিবেশে এসে ধূলিসাৎ হতে সময় নেয় না। শিক্ষার্থীদের এই দুর্বিষহ জীবনযাপনের কথা উঠে এসেছে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদনে।
এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের। বছরের পর বছর একই সমস্যায় পড়েন, অথচ কেন কর্তৃপক্ষ তা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করে না, তা বোধগম্য নয়। যত সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিকের ব্যবস্থা থাকবে, এর বাইরে কেউ কেন হলের সিটে উঠবে? কিংবা রুম না থাকলে কেন শিক্ষার্থীর জন্য হল বরাদ্দ দেওয়া হবে? কেন অবৈধদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয় না? এ কথা সবাই জানে, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনই এই অরাজকতা লালন করায় এক নম্বর। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তো তাদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে, নইলে কিসের শিক্ষক, কিসের কর্তৃপক্ষ তারা?
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই যাঁরা গণরুমের অভিজ্ঞতা লাভ করেন, তাঁরা জানেন কত ধানে কত চাল। শেখ হাসিনার সরকার এসে গণরুমের ব্যবস্থা করেছে, এমন নয়। দিনের পর দিন, সরকারের পর সরকার এসেছে, গেছে, কিন্তু গণরুমের বিভীষিকা থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচানোর কোনো চেষ্টাই করা হয়নি। গণরুম ছাত্রসংগঠনের জন্য একটা বড় হাতিয়ারও বটে। নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মিছিলে যেতে বাধ্য করা খুবই সহজ। তাঁরা জানেন মিছিলে না গেলে এই গণরুম থেকেও বহিষ্কৃত হতে হবে!
আজকের পত্রিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গণরুমের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, সেটি দেখে প্রথমেই ‘উদ্বাস্তু’ শব্দটি মাথায় এল। ‘শরণার্থী’ হিসেবে তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলেও বোধ হয় ভুল হবে না। এই পরিবেশে বসবাস করে কারও পক্ষে কি যথার্থভাবে লেখাপড়া করা সম্ভব?
শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই গণরুম বা গেস্টরুমবিষয়ক জটিলতা রয়েছে, সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। মহা হাস্যকর একটা ঘটনা ঘটেছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে তো বলাই হয় আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। গণরুমের ঝক্কি এই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিল। সেই ঝক্কি এড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি নতুন হল নির্মাণ করা হয়েছে। তার দু-একটি খুলেও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই হলগুলোতেও ছাত্রলীগের তত্ত্বাবধানে চালু হয়েছে গণরুম। গণরুম মানেই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন! গণরুম মানেই মিছিলে বেগার
খাটার লোক পাওয়া।
হলগুলোয় আরও একটি ব্যাপার ঘটে। হলে সিট নেই, অথচ তাঁরা ছাত্রসংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায় হলের বৈধ রুমে দিব্যি অবৈধভাবে বসবাস করছেন। এই অবৈধরা থাকছেন বৈধ সিটে! আর যাঁদের নামে সিট বরাদ্দ, তাঁদের থাকতে হচ্ছে গণরুমে—এ যেন চিরাচরিত যাপিত জীবনের অংশ!
নিয়তির মতোই তা মেনে নেন শিক্ষার্থীরা। গ্রিক ট্র্যাজেডিগুলো যে রকম নিয়তিকে সঙ্গী করে এগিয়ে যেতে থাকে, গণরুমের জীবনও সে রকম নিয়তিনির্ভর। কবে কোন কারণে এই শাপমোচন হবে, তা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারে না। অদৃষ্টে কী লেখা আছে, তা পড়া হয়ে ওঠে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আনন্দে ধীরে ধীরে শিক্ষার উজ্জ্বল আলো নিয়ে যে রোমাঞ্চ জন্ম নিয়েছিল মনে, তা গণরুমের বিষাক্ত পরিবেশে এসে ধূলিসাৎ হতে সময় নেয় না। শিক্ষার্থীদের এই দুর্বিষহ জীবনযাপনের কথা উঠে এসেছে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদনে।
এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের। বছরের পর বছর একই সমস্যায় পড়েন, অথচ কেন কর্তৃপক্ষ তা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করে না, তা বোধগম্য নয়। যত সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিকের ব্যবস্থা থাকবে, এর বাইরে কেউ কেন হলের সিটে উঠবে? কিংবা রুম না থাকলে কেন শিক্ষার্থীর জন্য হল বরাদ্দ দেওয়া হবে? কেন অবৈধদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয় না? এ কথা সবাই জানে, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনই এই অরাজকতা লালন করায় এক নম্বর। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তো তাদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে, নইলে কিসের শিক্ষক, কিসের কর্তৃপক্ষ তারা?
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫