Ajker Patrika

কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা, টিকা না নিয়ে ফিরে গেছে অনেকে

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৬
কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা, টিকা না নিয়ে ফিরে গেছে অনেকে

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিক্ষার্থীদের চাপে বিশৃঙ্খল পরিবেশ হওয়ায় টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী টিকা না নিয়ে ফিরে গেছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় গতকাল শনিবার ২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের টিকার চাহিদা দেয়। ওই মোতাবেক তারা জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ফাইজারের টিকা নিয়ে আসে। সকাল ১০টায় হাসপাতালের আউটডোরে ছাত্রদের এবং ওপর তলায় ছাত্রীদের জন্য ক্যাম্প স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন এবং টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তিন থেকে চার গুণ হয়ে যায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা। প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত চারটি লাইন দেখা যায়, এতে লাইনের চাপ বেড়ে যায়। শিক্ষার্থীরা লাইন ভেঙে কে কার আগে টিকা নেবে এ নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করে। একপর্যায়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগের দরজা ভেঙে হুড়োহুড়ি করে ভেতরে ঢুকে পড়লে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়। ভিড়ের চাপে টিকাদান কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে। পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বাধ্য হন।

পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাডেমিক সুপারভাইজারসহ কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর অনুরোধ করলেও সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে আবারও টিকাদান কার্যক্রম চলে।

এদিকে অনেক শিক্ষার্থী ভিড়ের চাপে নাজেহাল হয়ে টিকা না নিয়ে চলে গেছে।

উপজেলার কাশিপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘অনেক সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য দুটি বুথে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করে নিজেরাই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’

ফুলবাড়ী জছিমিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভিড়ের কারণে আমি টিকা নিতে পারিনি। পরে কয়েকজন বন্ধুসহ আমরা বাড়িতে ফিরে আসি।’

হাসপাতালের ইপিআই টেকনিশিয়ান আয়নাল হক জানান, টিকা নেওয়ার সময় বিশৃঙ্খলার পরেও ২ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থীর টিকা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, টিকা দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের লাইনে দাঁড়ানোসহ সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় শিক্ষকদের সহযোগিতার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষকেরা নিজেদের শিক্ষার্থীদের আগে টিকা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুমন কান্তি সাহা বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রদানে আমাদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল রয়েছে। একটি ভ্যাকসিন প্রয়োগে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। আসলে সবার সহযোগিতা ছাড়া এত বিপুল জনগোষ্ঠীর কাজ হাসপাতালের সীমিত জনবল দিয়ে করা সম্ভব নয়। তবে সাময়িক অসুবিধা কেটে গেছে। আর সমস্যা হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত