কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
বসন্ত বাতাসে আজ উড়ছে বইমেলা!
গোলাপ, রজনীগন্ধা, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা যেন একটু বেশি সুবাস ছড়াচ্ছে। আজ ভালোবাসার দিন, আজ বসন্তের দিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি খুব সকাল থেকে সরব নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে। বেশির ভাগ নারীর পরনে শাড়ি। সব সময় ক্যাজুয়াল লুকে স্বচ্ছন্দবোধ করা ছেলেটির পরনে পাঞ্জাবি। শাহবাগ মোড় থেকে টিএসসি এলাকায় নানান আয়োজনে বসন্তবরণের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিল বিভিন্ন সংগঠন।
নানার হাত ধরে এই আয়োজন দেখতে এসেছিল ছয় বছরের তাসনিম তারহানুম তুষি। পরনের শাড়ি ঠিক করে মঞ্চ থেকে ভেসে আসা গানের তালে হাতও নড়ছে তার। তুষির নানা আব্দুল বাকি জানান, সে সাজতে ও নাচতে খুব ভালোবাসে। সকালবেলা খালাকে সেজেগুজে বাইরে যেতে দেখে সে-ও নানার সঙ্গে চলে এসেছে।
পড়ন্ত বিকেলে বইমেলা প্রাঙ্গণেও বসন্ত আবহ ছিল প্রবলভাবে। কেউ কিনছেন বই, কেউ তুলছেন ছবি, কেউবা শিল্পীর পেনসিলের আঁচড়ে এঁকে নিচ্ছেন নিজের ছবি। কারও মাথায় ফুল দিয়ে বানানো মুকুট, কারও হাতে ফুলের বালা, কারও খোঁপায় শোভা পাচ্ছে রঙিন ফুলের গুচ্ছ। একদিকে চোখে পড়ল লাল কালো চেক থামি। কাছে গিয়ে জানা গেল, পাহাড়ি তিন কন্যা গত মাসেই খাগড়াছড়ি থেকে রাজধানীতে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য। সমতলের বসন্ত উদ্যাপন কেমন লাগছে জানতে চাইলে থামি পরা কোহি চাকমা জানালেন, বইমেলার এত বড় আয়োজন তিনি আগে দেখেননি! ঢাকায় আসার পর সবার মুখে শুনেছেন মাসব্যাপী বইমেলার কথা। এই দিনে সবাই বইমেলায় আসে, শাহবাগে আসে। তাই তাঁরা তিন বান্ধবীও চলে এসেছেন। কোহি চাকমা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরলেও বাকি দুজন পরেছেন হলুদ শাড়ি। তিনজনের মাথাতেই শোভা পাচ্ছে ফুলের মুকুট।
বিশেষ দিনে বেশি বই বিক্রির আশা করেন বিক্রেতারা। পাঠকদের চোখ তাঁদের প্রিয় মুখ আর প্রিয় লেখকের বইয়ের দিকেই ঘুরেফিরে যায়। বসন্তের প্রথম দিনটি ছিল বইমেলার ১৪তম দিন।
ঘুরতে ঘুরতে চলে আসি অনুপম প্রকাশনীর স্টলের সামনে। বিক্রেতারা জানান, নতুন বইয়ের পাশাপাশি তাঁদের স্টল থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে ‘জহির রায়হানের রচনাসমগ্র’। এ সংকলনে রয়েছে লেখকের আটটি উপন্যাস, গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ। নতুন বইয়ের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে কিশোরদের বিজ্ঞান ও গবেষণাধর্মী বই ‘গল্পে জল্পে জীববিজ্ঞান’। নালন্দা প্রকাশনী জানিয়েছে, সেখানে বেশি বিক্রি হচ্ছে লতিফুল ইসলাম শিবলীর লেখা ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘নূর’। পলাশীর যুদ্ধের পরের তিন দশকে সংঘটিত হওয়া ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহের নায়ক ফকির মজনু শাহ। তাঁকে কেন্দ্র করেই লেখা হয়েছে ‘নূর’ নামের এই উপন্যাস। এদিকে সময় প্রকাশনে জুড়ে বসেছে আনিসুল হকের ‘ভয়ঙ্কর ভূত’ আর মুহম্মদ জাফর ইকবালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি ‘প্রলয়’। চারুলিপি প্রকাশনীর বিক্রেতারা জানান, নতুন আসা বইগুলোর মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে নকশাল আন্দোলনের সময়কাল নিয়ে অন্বেষা তিথির লেখা চতুর্ভুজ প্রেমের উপন্যাস ‘তবু রয়ে গেলে’ এবং মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজিধর্মী বই ‘মন ভাঙা পরী’।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার রক্তিম আভা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছিল বইমেলার আনাচকানাচে। কোনো একটি স্টল থেকে তখন ভেসে আসছে অনুপমের গান, ‘...মাথা নত করে রব/ বসন্ত এসে গেছে...’।
বসন্ত বাতাসে আজ উড়ছে বইমেলা!
গোলাপ, রজনীগন্ধা, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা যেন একটু বেশি সুবাস ছড়াচ্ছে। আজ ভালোবাসার দিন, আজ বসন্তের দিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি খুব সকাল থেকে সরব নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে। বেশির ভাগ নারীর পরনে শাড়ি। সব সময় ক্যাজুয়াল লুকে স্বচ্ছন্দবোধ করা ছেলেটির পরনে পাঞ্জাবি। শাহবাগ মোড় থেকে টিএসসি এলাকায় নানান আয়োজনে বসন্তবরণের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিল বিভিন্ন সংগঠন।
নানার হাত ধরে এই আয়োজন দেখতে এসেছিল ছয় বছরের তাসনিম তারহানুম তুষি। পরনের শাড়ি ঠিক করে মঞ্চ থেকে ভেসে আসা গানের তালে হাতও নড়ছে তার। তুষির নানা আব্দুল বাকি জানান, সে সাজতে ও নাচতে খুব ভালোবাসে। সকালবেলা খালাকে সেজেগুজে বাইরে যেতে দেখে সে-ও নানার সঙ্গে চলে এসেছে।
পড়ন্ত বিকেলে বইমেলা প্রাঙ্গণেও বসন্ত আবহ ছিল প্রবলভাবে। কেউ কিনছেন বই, কেউ তুলছেন ছবি, কেউবা শিল্পীর পেনসিলের আঁচড়ে এঁকে নিচ্ছেন নিজের ছবি। কারও মাথায় ফুল দিয়ে বানানো মুকুট, কারও হাতে ফুলের বালা, কারও খোঁপায় শোভা পাচ্ছে রঙিন ফুলের গুচ্ছ। একদিকে চোখে পড়ল লাল কালো চেক থামি। কাছে গিয়ে জানা গেল, পাহাড়ি তিন কন্যা গত মাসেই খাগড়াছড়ি থেকে রাজধানীতে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য। সমতলের বসন্ত উদ্যাপন কেমন লাগছে জানতে চাইলে থামি পরা কোহি চাকমা জানালেন, বইমেলার এত বড় আয়োজন তিনি আগে দেখেননি! ঢাকায় আসার পর সবার মুখে শুনেছেন মাসব্যাপী বইমেলার কথা। এই দিনে সবাই বইমেলায় আসে, শাহবাগে আসে। তাই তাঁরা তিন বান্ধবীও চলে এসেছেন। কোহি চাকমা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরলেও বাকি দুজন পরেছেন হলুদ শাড়ি। তিনজনের মাথাতেই শোভা পাচ্ছে ফুলের মুকুট।
বিশেষ দিনে বেশি বই বিক্রির আশা করেন বিক্রেতারা। পাঠকদের চোখ তাঁদের প্রিয় মুখ আর প্রিয় লেখকের বইয়ের দিকেই ঘুরেফিরে যায়। বসন্তের প্রথম দিনটি ছিল বইমেলার ১৪তম দিন।
ঘুরতে ঘুরতে চলে আসি অনুপম প্রকাশনীর স্টলের সামনে। বিক্রেতারা জানান, নতুন বইয়ের পাশাপাশি তাঁদের স্টল থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে ‘জহির রায়হানের রচনাসমগ্র’। এ সংকলনে রয়েছে লেখকের আটটি উপন্যাস, গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ। নতুন বইয়ের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে কিশোরদের বিজ্ঞান ও গবেষণাধর্মী বই ‘গল্পে জল্পে জীববিজ্ঞান’। নালন্দা প্রকাশনী জানিয়েছে, সেখানে বেশি বিক্রি হচ্ছে লতিফুল ইসলাম শিবলীর লেখা ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘নূর’। পলাশীর যুদ্ধের পরের তিন দশকে সংঘটিত হওয়া ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহের নায়ক ফকির মজনু শাহ। তাঁকে কেন্দ্র করেই লেখা হয়েছে ‘নূর’ নামের এই উপন্যাস। এদিকে সময় প্রকাশনে জুড়ে বসেছে আনিসুল হকের ‘ভয়ঙ্কর ভূত’ আর মুহম্মদ জাফর ইকবালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি ‘প্রলয়’। চারুলিপি প্রকাশনীর বিক্রেতারা জানান, নতুন আসা বইগুলোর মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে নকশাল আন্দোলনের সময়কাল নিয়ে অন্বেষা তিথির লেখা চতুর্ভুজ প্রেমের উপন্যাস ‘তবু রয়ে গেলে’ এবং মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজিধর্মী বই ‘মন ভাঙা পরী’।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার রক্তিম আভা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছিল বইমেলার আনাচকানাচে। কোনো একটি স্টল থেকে তখন ভেসে আসছে অনুপমের গান, ‘...মাথা নত করে রব/ বসন্ত এসে গেছে...’।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫