নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কম-বেশি আড়াই মাসের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী ভোট আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনারদের একজন ভোট নিয়ে সংশয়ের কথা জানালেন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘নির্বাচন আদৌ হবে কি হবে না, এখনই বলতে পারব না।’ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সংসদের মেয়াদের শেষ ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হলে আগামী ১ নভেম্বর থেকে দিন গণনা শুরু করার কথা কমিশনের। কিন্তু ভোটের সময় সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা থাকবেন কি না—এমন প্রশ্নে দুই প্রধান দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী বিএনপি ঘোষণা দিয়ে উল্টো অবস্থানে আছে। সরকার পতন ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের দাবিতে এক দফার আন্দোলন করে যাচ্ছে বিএনপি। ২৮ অক্টোবর থেকে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরুরও ঘোষণা দিয়েছে তারা। আর ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রধান এই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মাঠে দাঁড়াতে না দেওয়ার হাঁকডাক দিচ্ছে ক্ষমতাসীনেরা। এমন অবস্থায় ভোট হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয়ের কথা জানালেন সাংবিধানিকভাবে ভোট আয়োজনে থাকা নির্বাচন কমিশনারদের একজন।
কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হবে, না হবে কেউ বলতে পারছি না। কাজেই আমরা আশা করি যে একটা ভালো পরিবেশ হবে। পরিস্থিতি ভালো হোক এবং মন্দ হোক, যেটাই হোক তখন কিন্তু আমাদের একার কিছু করার থাকবে না।’
আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। বিএনপি চায় তফসিলের আগেই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি চূড়ান্ত হোক।
বিরোধী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল ঢাকায় দলের সমাবেশে বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সুযোগ তৈরির জন্য ২৮ অক্টোবরের আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণা আসতে হবে।
অন্যদিকে, পাল্টা সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। ভোট আগামী জানুয়ারির শুরুতেই করে নেওয়ার ইঙ্গিত আছে তাঁর কথায়। দুই দলই নিজ নিজ অবস্থান মেনে না নিলে প্রতিপক্ষকে করুণ পরিণতির হুমকি দিয়ে রাখায় নির্বাচনের সময় কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতিসহ নাগরিকদের নিরাপত্তা কেমন থাকবে, সে বিষয়েও সংশয় আছে ইসিতে।
আনিছুর রহমান বলেছেন, ভোটারের উপস্থিতি ও ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর এগিয়ে আসতে হবে। তিনি মনে করেন, দলগুলোর মধ্যে যদি সমঝোতা হয়, তাহলে পরিস্থিতি এক রকম হবে। আর সমঝোতা না হলে পরিস্থিতি অন্য রকম হবে। সেটি নির্ভর করবে তখনকার পরিস্থিতির ওপর।
জনগণকে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নিবন্ধিত সব দলের প্রতি আহ্বান জানান আনিছুর রহমান।
এই মুহূর্তে পরিবেশ নির্বাচনের অনুকূলে আছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচনের এখনো বেশ সময় আছে। নির্বাচনের তফসিল দেওয়ার আরও সময় আছে।
ভোটারদের নিরাপত্তার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানতে চাইলে আনিছুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে তাহলে এক রকমের, আর পরিস্থিতি ভালো না থাকে তখন সার্বিকভাবে নিরাপত্তার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটার, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনী সামগ্রীসহ সব মিলিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
আনিছুর রহমান বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন শেষ পর্যন্ত বিবদমান পক্ষগুলো একটি সমঝোতার দিকে যেতে পারে। ‘যদি না যায়, তখন পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে আমরা (ইসি) ব্যবস্থা নেব’, এমনটাই বললেন তিনি।
নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো থেকে শুরু করে ভোটের কাজ ইসি এগিয়ে রাখছে, এমনটি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করা ছাড়া ইসির গত্যন্তর নাই।’ আরপিওতেই বলা আছে, ভোটের ১৫ পর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আপনারা রাখতে পারেন। আপনাদের পরিকল্পনা কী? কত দিন পর্যন্ত নির্বাচন-উত্তর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে রাখবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, প্রয়োজনে ১৫ দিন পর্যন্ত মাঠে রাখা যেতে পারে। নির্বাচনের দিনই শেষ হয়ে গেল না, নির্বাচনের পরেও কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সহিংসতা হয়, সেটি যাতে এড়ানো যায়, তেমন প্রস্তুতি থাকবে বলে তিনি জানান।
কম-বেশি আড়াই মাসের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী ভোট আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনারদের একজন ভোট নিয়ে সংশয়ের কথা জানালেন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘নির্বাচন আদৌ হবে কি হবে না, এখনই বলতে পারব না।’ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সংসদের মেয়াদের শেষ ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হলে আগামী ১ নভেম্বর থেকে দিন গণনা শুরু করার কথা কমিশনের। কিন্তু ভোটের সময় সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা থাকবেন কি না—এমন প্রশ্নে দুই প্রধান দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী বিএনপি ঘোষণা দিয়ে উল্টো অবস্থানে আছে। সরকার পতন ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের দাবিতে এক দফার আন্দোলন করে যাচ্ছে বিএনপি। ২৮ অক্টোবর থেকে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরুরও ঘোষণা দিয়েছে তারা। আর ক্ষমতার লড়াইয়ের প্রধান এই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মাঠে দাঁড়াতে না দেওয়ার হাঁকডাক দিচ্ছে ক্ষমতাসীনেরা। এমন অবস্থায় ভোট হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয়ের কথা জানালেন সাংবিধানিকভাবে ভোট আয়োজনে থাকা নির্বাচন কমিশনারদের একজন।
কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হবে, না হবে কেউ বলতে পারছি না। কাজেই আমরা আশা করি যে একটা ভালো পরিবেশ হবে। পরিস্থিতি ভালো হোক এবং মন্দ হোক, যেটাই হোক তখন কিন্তু আমাদের একার কিছু করার থাকবে না।’
আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। বিএনপি চায় তফসিলের আগেই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি চূড়ান্ত হোক।
বিরোধী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল ঢাকায় দলের সমাবেশে বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সুযোগ তৈরির জন্য ২৮ অক্টোবরের আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণা আসতে হবে।
অন্যদিকে, পাল্টা সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। ভোট আগামী জানুয়ারির শুরুতেই করে নেওয়ার ইঙ্গিত আছে তাঁর কথায়। দুই দলই নিজ নিজ অবস্থান মেনে না নিলে প্রতিপক্ষকে করুণ পরিণতির হুমকি দিয়ে রাখায় নির্বাচনের সময় কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতিসহ নাগরিকদের নিরাপত্তা কেমন থাকবে, সে বিষয়েও সংশয় আছে ইসিতে।
আনিছুর রহমান বলেছেন, ভোটারের উপস্থিতি ও ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর এগিয়ে আসতে হবে। তিনি মনে করেন, দলগুলোর মধ্যে যদি সমঝোতা হয়, তাহলে পরিস্থিতি এক রকম হবে। আর সমঝোতা না হলে পরিস্থিতি অন্য রকম হবে। সেটি নির্ভর করবে তখনকার পরিস্থিতির ওপর।
জনগণকে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নিবন্ধিত সব দলের প্রতি আহ্বান জানান আনিছুর রহমান।
এই মুহূর্তে পরিবেশ নির্বাচনের অনুকূলে আছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচনের এখনো বেশ সময় আছে। নির্বাচনের তফসিল দেওয়ার আরও সময় আছে।
ভোটারদের নিরাপত্তার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানতে চাইলে আনিছুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে তাহলে এক রকমের, আর পরিস্থিতি ভালো না থাকে তখন সার্বিকভাবে নিরাপত্তার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটার, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনী সামগ্রীসহ সব মিলিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
আনিছুর রহমান বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন শেষ পর্যন্ত বিবদমান পক্ষগুলো একটি সমঝোতার দিকে যেতে পারে। ‘যদি না যায়, তখন পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে আমরা (ইসি) ব্যবস্থা নেব’, এমনটাই বললেন তিনি।
নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো থেকে শুরু করে ভোটের কাজ ইসি এগিয়ে রাখছে, এমনটি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করা ছাড়া ইসির গত্যন্তর নাই।’ আরপিওতেই বলা আছে, ভোটের ১৫ পর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আপনারা রাখতে পারেন। আপনাদের পরিকল্পনা কী? কত দিন পর্যন্ত নির্বাচন-উত্তর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে রাখবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, প্রয়োজনে ১৫ দিন পর্যন্ত মাঠে রাখা যেতে পারে। নির্বাচনের দিনই শেষ হয়ে গেল না, নির্বাচনের পরেও কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সহিংসতা হয়, সেটি যাতে এড়ানো যায়, তেমন প্রস্তুতি থাকবে বলে তিনি জানান।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪