Ajker Patrika

মূল্যায়ন না পাওয়া কর্মীদের ক্ষোভে আ.লীগের পরাজয়

কাউনিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৩৪
মূল্যায়ন না পাওয়া কর্মীদের ক্ষোভে আ.লীগের পরাজয়

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নির্বাচনী এলাকা কাউনিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পায়নি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। গতবারের নির্বাচনে ছয় ইউপির মধ্যে পাঁচটিতে সফলতা পাওয়া নৌকা প্রতীকের জয় এবার তিনটিতে নেমে এসেছে।

স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উপজেলার সারাই, হারাগাছ, কুর্শা, শহীদবাগ, বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নে রাস্তাঘাট ও সেতু-কালভার্টসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু ইউনিয়ন পর্যায়ে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে মূল্যায়ন না করা, যাঁদের সমর্থন বেশি তাঁদের মনোনয়ন না দেওয়া এবং অনেক নেতার অন্য প্রার্থীর পক্ষ নেওয়ায় এবার ইউপি নির্বাচনে তিনটিতে নৌকার পরাজয় হয়েছে।

টেপামধুপুর ও কুর্শায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং হারাগাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। টেপামধুপুরে বিপুল ভোটে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম ও কুর্শায় অল্প ভোটে আরেক বিদ্রোহী আব্দুল মজিদ এবং হারাগাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজু আহাম্মেদ জয় পেয়েছেন।

হারাগাছের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, একাধিক দলীয় নেতা-কর্মী নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন। এ কারণে নৌকার পরাজয় হয়েছে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘নৌকার মনোনয়ন না পাওয়ায় একজন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের কেউ কেউ বিদ্রোহী আবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও সমর্থন করেছেন। এ ছাড়া ভোটের আগে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোট কিনতে টাকার ছড়াছড়ি করেছেন। এসব কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন।’

টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষের ভোট সংগ্রহ করে গত নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আর ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এ কারণে অনেকের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া এই ইউনিয়নে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সমর্থন যাঁর বেশি তাঁকে নৌকা প্রতীক না দেওয়ায় এ পরাজয় হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে হারাগাছ ইউপিতে নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেনি। এবারের নির্বাচনে জয়ের আশা ছিল। কিন্তু নেতাদের ভাই ও আত্মীয়স্বজন প্রার্থী হওয়ায় দলীয় অনেকেই তাঁদের পক্ষে কাজ করায় হারাগাছে নৌকার প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে। আর টেপামধুপুর ইউপিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করা নৌকার প্রার্থীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ কারণে ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দেয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর জয় হয়েছে।’

কুর্শায় পরাজয়ের বিষয়ে আব্দুল হান্নান বলেন, ‘নির্বাচনে ১৫ দিন প্রচার চালিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাইলাম আর জয় নিশ্চিত মনে করে নির্বাচনের আগের রাতে ঘুমিয়ে পরলাম। তাহলে তো নির্বাচনে জয় পাওয়া যায় না। এমনটা হয়েছে কুর্শা ইউপিতে। এ কারণে ওই ইউনিয়ন বিদ্রোহী প্রার্থী অল্প ভোটে জয় পেয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুদ্ধের পর এ যেন এক নতুন ইরান, জনগণের মতো বদলে গেছে সরকারও

তেহরান ওপর থেকে সুন্দর, একদিন যেতে চাই: ইরানে বোমা ফেলা ইসরায়েলি পাইলট

ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছেন ট্রাম্প

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল বিমান বাংলাদেশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত