Ajker Patrika

ব্র্যাক কর্মকর্তাকে ‘মারধর’ ছাত্রলীগ নেতার, মামলা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
ব্র্যাক কর্মকর্তাকে ‘মারধর’ ছাত্রলীগ নেতার, মামলা

চাঁদা না দেওয়ায় ব্র্যাক কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামকে (৩৩) পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক রেজার (৩২) বিরুদ্ধে। গত সোমবার বিকেল পৌনে চারটায় ঘটনাটি ঘটে জয়পুরহাট জেলা শহরের বাটার মোড় এলাকায়। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ আসামি আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এ ঘটনায় গত সোমবার রাতেই সদর থানায় একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে এজাহার করেন ব্র্যাকের আঞ্চলিক বিপণন কর্মকর্তা মো. সেলিম উর রহমান।

আহত ব্র্যাক কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ সুখদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা। আর অভিযুক্ত ছাত্রনেতা আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার দামগর গ্রামের বাসিন্দা।

জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম সারোয়ার মামলা হওয়ার কথা নিশ্চিত করে গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় করা মামলার আসামি পলাতক রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে গ্রেপ্তারের জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, তাঁর সহকর্মী জহুরুল ইসলাম ব্র্যাক সিড অ্যান্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজ বিভাগে জয়পুরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা দোকানে আলুর বীজ সরবরাহের দায়িত্বে আছেন।

এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, মারধরের ঘটনার প্রায় ১০ দিন আগে আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা তাঁর নিজের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্র্যাক কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামকে ফোন দিয়ে ১০ বস্তা আলুর বীজসহ এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই সঙ্গে ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন তিনি এবং সোমবার সন্ধ্যার পর জেলার বাটার মোড়ে ওই কর্মকর্তাকে দেখা করতে বলেন। দেখা করতে গেলে তাঁর কাছে দাবি করা এক লাখ টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু জহুরুল ইসলাম টাকা দিতে অসম্মতি জানান। তখন ব্র্যাক কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামের কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং আরও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় জহুরুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হলে তিনি গুরুতর জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মামলার বাদী সেলিম উর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বিষয়টি আমাকেসহ ব্র্যাক সিড অ্যান্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পেয়ে রাতেই আবু বক্কর সিদ্দিকসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আমি সদর থানায় মামলা করেছি।’

আসামি আবু বক্কর সিদ্দিকের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রাজা বলেন, ‘জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়েরের বিষয়টি জেনে বিব্রত হয়েছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত