রিপন দে, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে কিংবা সাংগঠনিক গুণে ভোটার ও কর্মীদের কাছে পরিচিত মুখ প্রয়াত তিন নেতা। তাঁরা হলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী বিএনপির এম সাইফুর রহমান, সমাজকল্যাণমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সৈয়দ মহসীন আলী এবং সংগঠনটির কেন্দ্রের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন তাঁদের পরিবারের সদস্য ও অনুসারীরা। প্রচারে কাজে লাগাচ্ছেন প্রয়াত ওই নেতাদের ‘ইমেজ’কে।
এই আসনের ভোটাররা সদর ও রাজনগর উপজেলার বাসিন্দা। প্রয়াত ওই তিন নেতার জনপ্রিয়তা আছে এসব উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। দলীয় মনোনয়ন পেলে সেই ‘ভোটব্যাংক’কে কাজে লাগাতে চান সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রয়াত নেতাদের একজন আজিজুর রহমানের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ বর্তমানে এই আসনের এমপি।
আগামী নির্বাচনেও নেছার আহমদ দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে আরও আছেন সৈয়দ মহসীন আলীর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী ও সাবেক এমপি সৈয়দা সায়রা মহসীন, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও রাজনগরের চেয়ারম্যান শাহজাহান খান। রাজনগরবাসী তাঁদের সংসদীয় আসন পুনর্বহালের (কমলগঞ্জের ৪ ইউনিয়ন ও রাজনগর নিয়ে আসন) জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। রাজনীতিসচেতন নেতাদের ধারণা, এই উপজেলাবাসীর ঐক্য ও শক্তি প্রমাণ করতে শেষ মুহূর্তে নৌকায় মনোনয়ন না পেলেও শাহজাহান খান স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন, যা আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকে ভাগ বসাবে।
অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ছেলে ও বিএনপির মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি এম নাসের রহমান। মূলত বাবার ইমেজ সামনে রেখে তিনি রাজনীতিতে আসেন। দলের মনোনয়ন পেয়ে তিনিও এমপি হয়েছিলেন। দলটির কয়েকজন নেতার ভাষ্য, এম সাইফুর রহমান দুই দফায় মন্ত্রী থাকাকালে মৌলভীবাজার জেলাসহ সিলেট অঞ্চলে বেশ উন্নয়নমূলক কাজ করেন।
এ কারণে এলাকায় বিএনপির বড় একটি ভোটব্যাংক গড়ে ওঠে, যা এখনো আছে। তবে স্থানীয় বিএনপিতে নাসেরের বিরোধীপক্ষ হিসেবে পরিচিত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। এ কারণে মিজানুরও মনোনয়ন চাইবেন বলে ধারণা তৃণমূলের কর্মীদের।
এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে রাজনীতিসচেতন ভোটারদের মাঝেও আছে নানা আলোচনা। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দুর্বল। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগে ‘গ্রুপিং’ থাকায় মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যাও বেশি।
দলীয় সূত্রের ভাষ্য, দলীয় কাজ স্থবির হয়ে আছে। জেলার প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজের অফিস ঘিরে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। যারা সরকারের উন্নয়ন থেকে নিজেদের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত।
সাবেক এমপি সায়রা মহসীনের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরা অভিমানে দূরে সরে গেছেন। সৈয়দ মহসীন আলীর অনুসারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করা হয়েছে।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান বলেন, গত ১৪ বছরে স্বচ্ছতার সঙ্গে উন্নয়নকাজ হয়েছে। এ ছাড়া দলে কোনো কোন্দল নেই। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ আছে।
এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিএনপির প্রার্থীরা। তাঁরা মনে করেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ভোট পাবেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, উন্নয়নের নামে জেলাব্যাপী লুটপাট হয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। তবে মানুষ একটা সুযোগের অপেক্ষায় আছে। সুযোগ পেলেই তারা বিএনপিকে ভোট দেবে।
এদিকে এই দুই দলের বাইরে নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জাতীয় পার্টিও (জাপা)। জেলা জাপার সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। তবে সারা দেশের মানুষের মতো আমরাও চাই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেটি হলে আমাদের প্রস্তুতিও শতভাগ। আগামী ২৪ জুলাই সম্মেলনের পর সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে কাজ করব।’
মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে কিংবা সাংগঠনিক গুণে ভোটার ও কর্মীদের কাছে পরিচিত মুখ প্রয়াত তিন নেতা। তাঁরা হলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী বিএনপির এম সাইফুর রহমান, সমাজকল্যাণমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সৈয়দ মহসীন আলী এবং সংগঠনটির কেন্দ্রের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন তাঁদের পরিবারের সদস্য ও অনুসারীরা। প্রচারে কাজে লাগাচ্ছেন প্রয়াত ওই নেতাদের ‘ইমেজ’কে।
এই আসনের ভোটাররা সদর ও রাজনগর উপজেলার বাসিন্দা। প্রয়াত ওই তিন নেতার জনপ্রিয়তা আছে এসব উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। দলীয় মনোনয়ন পেলে সেই ‘ভোটব্যাংক’কে কাজে লাগাতে চান সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রয়াত নেতাদের একজন আজিজুর রহমানের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ বর্তমানে এই আসনের এমপি।
আগামী নির্বাচনেও নেছার আহমদ দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে আরও আছেন সৈয়দ মহসীন আলীর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী ও সাবেক এমপি সৈয়দা সায়রা মহসীন, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও রাজনগরের চেয়ারম্যান শাহজাহান খান। রাজনগরবাসী তাঁদের সংসদীয় আসন পুনর্বহালের (কমলগঞ্জের ৪ ইউনিয়ন ও রাজনগর নিয়ে আসন) জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। রাজনীতিসচেতন নেতাদের ধারণা, এই উপজেলাবাসীর ঐক্য ও শক্তি প্রমাণ করতে শেষ মুহূর্তে নৌকায় মনোনয়ন না পেলেও শাহজাহান খান স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন, যা আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকে ভাগ বসাবে।
অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ছেলে ও বিএনপির মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি এম নাসের রহমান। মূলত বাবার ইমেজ সামনে রেখে তিনি রাজনীতিতে আসেন। দলের মনোনয়ন পেয়ে তিনিও এমপি হয়েছিলেন। দলটির কয়েকজন নেতার ভাষ্য, এম সাইফুর রহমান দুই দফায় মন্ত্রী থাকাকালে মৌলভীবাজার জেলাসহ সিলেট অঞ্চলে বেশ উন্নয়নমূলক কাজ করেন।
এ কারণে এলাকায় বিএনপির বড় একটি ভোটব্যাংক গড়ে ওঠে, যা এখনো আছে। তবে স্থানীয় বিএনপিতে নাসেরের বিরোধীপক্ষ হিসেবে পরিচিত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। এ কারণে মিজানুরও মনোনয়ন চাইবেন বলে ধারণা তৃণমূলের কর্মীদের।
এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে রাজনীতিসচেতন ভোটারদের মাঝেও আছে নানা আলোচনা। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দুর্বল। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগে ‘গ্রুপিং’ থাকায় মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যাও বেশি।
দলীয় সূত্রের ভাষ্য, দলীয় কাজ স্থবির হয়ে আছে। জেলার প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজের অফিস ঘিরে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। যারা সরকারের উন্নয়ন থেকে নিজেদের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত।
সাবেক এমপি সায়রা মহসীনের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরা অভিমানে দূরে সরে গেছেন। সৈয়দ মহসীন আলীর অনুসারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করা হয়েছে।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান বলেন, গত ১৪ বছরে স্বচ্ছতার সঙ্গে উন্নয়নকাজ হয়েছে। এ ছাড়া দলে কোনো কোন্দল নেই। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ আছে।
এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিএনপির প্রার্থীরা। তাঁরা মনে করেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ভোট পাবেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, উন্নয়নের নামে জেলাব্যাপী লুটপাট হয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। তবে মানুষ একটা সুযোগের অপেক্ষায় আছে। সুযোগ পেলেই তারা বিএনপিকে ভোট দেবে।
এদিকে এই দুই দলের বাইরে নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জাতীয় পার্টিও (জাপা)। জেলা জাপার সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। তবে সারা দেশের মানুষের মতো আমরাও চাই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেটি হলে আমাদের প্রস্তুতিও শতভাগ। আগামী ২৪ জুলাই সম্মেলনের পর সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে কাজ করব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪