সম্পাদকীয়
প্রতিদিন মানুষের কত অসহনশীল আচরণের খবরই না আমাদের খবরের কাগজে পড়তে হয়। শুক্রবার আজকের পত্রিকায় ‘অপহরণের ১০ দিন পর পুকুরে কলেজছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ’ শিরোনামের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, সাভারের আশুলিয়ার কলেজছাত্র ফারাবি আহমেদ হৃদয়কে অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তার বন্ধুরাই জড়িত।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে বন্ধুরা একসঙ্গে চলাফেরা করত, তাদের কয়েকজনই কেন বন্ধুর হত্যাকারী হলো? ফারাবির পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় লোভে পড়েই বন্ধুরা তাকে হত্যা করতে দ্বিধা করেনি।
তাই এটা বলা যায় যে স্বার্থচিন্তা, অসংযত লোভ এবং নানা ভেদজ্ঞানই হয়তো মানষকে ক্রমাগত সংকীর্ণ ও অসংযত হওয়ার পথে ঠেলতে ঠেলতে চরম অসহনশীল করে তুলেছে। সহনশীলতা একটি সামাজিক মূল্যবোধ এবং এটা মানুষের একটি গুণ। অবশ্য সব মানুষের মধ্যে এই গুণ দেখা যায় না। কেউ হয়তো জন্মগতভাবে বা পারিবারিক অনুশাসনের মাধ্যমে এই গুণের অধিকারী হয়, আবার কেউবা শিক্ষার মাধ্যমেও এটা আয়ত্ত করতে পারেন বা করেন। এই গুণের চর্চাও বিভিন্ন পর্যায়ে হতে পারে। পরিবারে, প্রতিষ্ঠানে, সমাজে, কর্মক্ষেত্রে এবং রাষ্ট্রের বৃহত্তর পরিসরে সহনশীলতার চর্চা কিন্তু অপকারের চেয়ে উপকারই বেশি করে।
সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে সহনশীলতারও অভাব দেখা যায়। মানুষ ক্রমাগত জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন আবিষ্কারের নেশা মানুষকে পেয়ে বসেছে। মানুষ যতই অজানাকে জানছে, ততই তার মধ্যে অস্থিরতাও বাড়ছে। সারাক্ষণ তার মধ্যে চাওয়া-পাওয়ার তীব্রতা বাড়ছে। মনের মধ্যে চাপ বাড়ছে। আর এই ক্রমবর্ধমান চাপ মানুষের জীবনকে ধৈর্যহীন করে তুলছে। ধৈর্যের অভাব একদিকে মানুষের আত্মবিশ্বাস টলিয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে তার সাহসও কমিয়ে দিচ্ছে। ও বুঝি আমাকে ছাড়িয়ে গেল, আমি বুঝি তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়লাম, ওর হলো, আমার হলো না–এমনতর সব ঘটনার তাড়া মানুষকে সহনশীল থাকতে দিচ্ছে না।
মানুষ যেভাবে ক্রমেই বিদ্বেষপরায়ণ ও হিংসুটে স্বভাবের হয়ে উঠছে, তাতে সহনশীল হওয়ার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। মানুষের নানা কারণেই সহনশীল হওয়া উচিত। পারস্পরিক সম্পর্কগুলো অমলিন রাখার জন্য, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধের জন্য, আস্থা ও ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় করার জন্য সহনশীলতার বিকল্প নেই। সবচেয়ে বড় কথা, সহনশীল হলে ক্ষতির চেয়ে লাভই হয় বেশি। সহনশীলতার অভাব মানুষে মানুষে তিক্ততা বাড়ায়, মানুষের ওপর মানুষের আস্থা চলে যায়। অসহনশীল মানুষকে এড়িয়ে চলা হয়।
সহনশীলতা রপ্ত করা খুব কঠিন কিছু নয়। এর জন্য পাওয়ার লোভ সংবরণ করলেই হয়। ছাড় দেওয়ার মানসিকতাই সহনশীলতার মূলমন্ত্র। মনটা একটু উদার করলে, অন্যের কথা বা মতটা ধৈর্য নিয়ে শুনলে, অন্যের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ার মনোভাব না থাকলেই সহনশীল হওয়া যায়। সহনশীলতা সম্প্রীতি বাড়ায়, মানুষে মানুষে ভুল-বোঝাবুঝি কমায়। একটি রাষ্ট্রে সহনশীল নাগরিকেরা বিদ্বেষমুক্ত থাকতে পারে, রাষ্ট্রটি গণতান্ত্রিক হয়ে উঠতে পারে।
প্রতিদিন মানুষের কত অসহনশীল আচরণের খবরই না আমাদের খবরের কাগজে পড়তে হয়। শুক্রবার আজকের পত্রিকায় ‘অপহরণের ১০ দিন পর পুকুরে কলেজছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ’ শিরোনামের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, সাভারের আশুলিয়ার কলেজছাত্র ফারাবি আহমেদ হৃদয়কে অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তার বন্ধুরাই জড়িত।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে বন্ধুরা একসঙ্গে চলাফেরা করত, তাদের কয়েকজনই কেন বন্ধুর হত্যাকারী হলো? ফারাবির পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় লোভে পড়েই বন্ধুরা তাকে হত্যা করতে দ্বিধা করেনি।
তাই এটা বলা যায় যে স্বার্থচিন্তা, অসংযত লোভ এবং নানা ভেদজ্ঞানই হয়তো মানষকে ক্রমাগত সংকীর্ণ ও অসংযত হওয়ার পথে ঠেলতে ঠেলতে চরম অসহনশীল করে তুলেছে। সহনশীলতা একটি সামাজিক মূল্যবোধ এবং এটা মানুষের একটি গুণ। অবশ্য সব মানুষের মধ্যে এই গুণ দেখা যায় না। কেউ হয়তো জন্মগতভাবে বা পারিবারিক অনুশাসনের মাধ্যমে এই গুণের অধিকারী হয়, আবার কেউবা শিক্ষার মাধ্যমেও এটা আয়ত্ত করতে পারেন বা করেন। এই গুণের চর্চাও বিভিন্ন পর্যায়ে হতে পারে। পরিবারে, প্রতিষ্ঠানে, সমাজে, কর্মক্ষেত্রে এবং রাষ্ট্রের বৃহত্তর পরিসরে সহনশীলতার চর্চা কিন্তু অপকারের চেয়ে উপকারই বেশি করে।
সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে সহনশীলতারও অভাব দেখা যায়। মানুষ ক্রমাগত জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন আবিষ্কারের নেশা মানুষকে পেয়ে বসেছে। মানুষ যতই অজানাকে জানছে, ততই তার মধ্যে অস্থিরতাও বাড়ছে। সারাক্ষণ তার মধ্যে চাওয়া-পাওয়ার তীব্রতা বাড়ছে। মনের মধ্যে চাপ বাড়ছে। আর এই ক্রমবর্ধমান চাপ মানুষের জীবনকে ধৈর্যহীন করে তুলছে। ধৈর্যের অভাব একদিকে মানুষের আত্মবিশ্বাস টলিয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে তার সাহসও কমিয়ে দিচ্ছে। ও বুঝি আমাকে ছাড়িয়ে গেল, আমি বুঝি তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়লাম, ওর হলো, আমার হলো না–এমনতর সব ঘটনার তাড়া মানুষকে সহনশীল থাকতে দিচ্ছে না।
মানুষ যেভাবে ক্রমেই বিদ্বেষপরায়ণ ও হিংসুটে স্বভাবের হয়ে উঠছে, তাতে সহনশীল হওয়ার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। মানুষের নানা কারণেই সহনশীল হওয়া উচিত। পারস্পরিক সম্পর্কগুলো অমলিন রাখার জন্য, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধের জন্য, আস্থা ও ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় করার জন্য সহনশীলতার বিকল্প নেই। সবচেয়ে বড় কথা, সহনশীল হলে ক্ষতির চেয়ে লাভই হয় বেশি। সহনশীলতার অভাব মানুষে মানুষে তিক্ততা বাড়ায়, মানুষের ওপর মানুষের আস্থা চলে যায়। অসহনশীল মানুষকে এড়িয়ে চলা হয়।
সহনশীলতা রপ্ত করা খুব কঠিন কিছু নয়। এর জন্য পাওয়ার লোভ সংবরণ করলেই হয়। ছাড় দেওয়ার মানসিকতাই সহনশীলতার মূলমন্ত্র। মনটা একটু উদার করলে, অন্যের কথা বা মতটা ধৈর্য নিয়ে শুনলে, অন্যের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ার মনোভাব না থাকলেই সহনশীল হওয়া যায়। সহনশীলতা সম্প্রীতি বাড়ায়, মানুষে মানুষে ভুল-বোঝাবুঝি কমায়। একটি রাষ্ট্রে সহনশীল নাগরিকেরা বিদ্বেষমুক্ত থাকতে পারে, রাষ্ট্রটি গণতান্ত্রিক হয়ে উঠতে পারে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪