মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন বন ধ্বংসে মেতে উঠেছে একটি চক্র। গত কয়েক বছরে উপজেলা ও এর পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চল থেকে কয়েক কোটি টাকার গাছ তাঁরা কেটে নিয়ে গেছে। তবে চক্রটি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তিনটহরী দক্ষিণ, পশ্চিম থেকে শুরু করে গাড়িটানা, গরমছড়ি, সাপমারা, যোগ্যাছোলা, কালাপানি এলাকায় সক্রিয় কাঠ চোরাকারবারিরা। রাতের আধারে সংঘবদ্ধ হয়ে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই তাঁরা কেটে নেয় বড় বড় গাছ।
ফলে এখন কারও বাড়ি বা বাগানের গাছের কোনো নিরাপত্তা নেই।
গত শুক্রবার ভোরে ৩টি বড় আকাশমণি গাছ এক দেড় ঘণ্টায় কেটে ট্রাক তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গাড়ীটানা-যোগ্যাছোলা সড়কের রোয়াজা পাড়া মন্দির ও মূল সড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
গাছ কাটার শব্দে রোয়াজা পাড়ার দুইটি পরিবারের লোকজনের ঘুম ভেঙে যায়। তবে তাঁদের টু-শব্দ না করতে ভয় দেখায় ওই চক্র।
সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইদ্রিস ইসলাম রাজু। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে জানান তিনি। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ দেন তিনি। এরপর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। তবে সরকারি সম্পদ বেহাত বা রক্ষায় দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ইউপি সদস্য মো. ইদ্রিস ইসলাম রাজু এ প্রসঙ্গে বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই জনপদে সক্রিয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারি বন থেকে অবাধে গাছ কেটে নিচ্ছে চক্রের সদস্যরা।
এতে কোটি কোটি টাকার বন সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে।
ইদ্রিস ইসলাম রাজু জানান, কিছুদিন আগেও সাপমারা এলাকায় একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাগানের সেগুন, গামারি গাছ কেটে নিয়েছে ওই চক্রটি। তবে এখন পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন বা বন বিভাগ ওই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
গাড়ীটানা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার কোথাও বন বিভাগের নিজস্ব বন সম্পদ বা রিজার্ভ ফরেস্ট নেই। তবে পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা প্রাকৃতিক ব্যক্তি মালিকানার গাছ-গাছালিতে ভরপুর। এ সব গাছের মধ্যে রয়েছে সেগুন, আকাশমণি, কড়ই ও কাঁঠাল ইত্যাদি। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা সেখানকার গাছ কেটে চোরাই পথে পাচার করা হয় সমতলে।
গাড়ীটানা বন বিভাগের কর্মকর্তা উহ্লামং চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই উপজেলায় কোনো রিজার্ভ বন নেই। এ ছাড়া জনবল সংকটে উপজেলার ফাঁড়ি সড়কে আমরা নজরদারি বাড়াতে পারি না। ফলে দুর্বৃত্তরা সময়ে, অসময়ে বন সম্পদের বিনাশ করছে।’ শুক্রবার রাতে সড়ক ও মন্দিরের কয়েকটি আকাশমণি গাছে কেটে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরেজমিনে লোক পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। কিন্তু জায়গাটি সড়ক কর্তৃপক্ষের। তাঁরা চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারে। এখানে বন বিভাগের কিছু করার সুযোগ নেই।’
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহনূর আলম বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে সরেজমিনে পুলিশ পাঠিয়ে সত্যতা পেয়েছি। কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।’
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন বন ধ্বংসে মেতে উঠেছে একটি চক্র। গত কয়েক বছরে উপজেলা ও এর পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চল থেকে কয়েক কোটি টাকার গাছ তাঁরা কেটে নিয়ে গেছে। তবে চক্রটি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তিনটহরী দক্ষিণ, পশ্চিম থেকে শুরু করে গাড়িটানা, গরমছড়ি, সাপমারা, যোগ্যাছোলা, কালাপানি এলাকায় সক্রিয় কাঠ চোরাকারবারিরা। রাতের আধারে সংঘবদ্ধ হয়ে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই তাঁরা কেটে নেয় বড় বড় গাছ।
ফলে এখন কারও বাড়ি বা বাগানের গাছের কোনো নিরাপত্তা নেই।
গত শুক্রবার ভোরে ৩টি বড় আকাশমণি গাছ এক দেড় ঘণ্টায় কেটে ট্রাক তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গাড়ীটানা-যোগ্যাছোলা সড়কের রোয়াজা পাড়া মন্দির ও মূল সড়কের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
গাছ কাটার শব্দে রোয়াজা পাড়ার দুইটি পরিবারের লোকজনের ঘুম ভেঙে যায়। তবে তাঁদের টু-শব্দ না করতে ভয় দেখায় ওই চক্র।
সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইদ্রিস ইসলাম রাজু। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে জানান তিনি। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ দেন তিনি। এরপর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। তবে সরকারি সম্পদ বেহাত বা রক্ষায় দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ইউপি সদস্য মো. ইদ্রিস ইসলাম রাজু এ প্রসঙ্গে বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই জনপদে সক্রিয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারি বন থেকে অবাধে গাছ কেটে নিচ্ছে চক্রের সদস্যরা।
এতে কোটি কোটি টাকার বন সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে।
ইদ্রিস ইসলাম রাজু জানান, কিছুদিন আগেও সাপমারা এলাকায় একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাগানের সেগুন, গামারি গাছ কেটে নিয়েছে ওই চক্রটি। তবে এখন পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন বা বন বিভাগ ওই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
গাড়ীটানা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার কোথাও বন বিভাগের নিজস্ব বন সম্পদ বা রিজার্ভ ফরেস্ট নেই। তবে পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা প্রাকৃতিক ব্যক্তি মালিকানার গাছ-গাছালিতে ভরপুর। এ সব গাছের মধ্যে রয়েছে সেগুন, আকাশমণি, কড়ই ও কাঁঠাল ইত্যাদি। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা সেখানকার গাছ কেটে চোরাই পথে পাচার করা হয় সমতলে।
গাড়ীটানা বন বিভাগের কর্মকর্তা উহ্লামং চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই উপজেলায় কোনো রিজার্ভ বন নেই। এ ছাড়া জনবল সংকটে উপজেলার ফাঁড়ি সড়কে আমরা নজরদারি বাড়াতে পারি না। ফলে দুর্বৃত্তরা সময়ে, অসময়ে বন সম্পদের বিনাশ করছে।’ শুক্রবার রাতে সড়ক ও মন্দিরের কয়েকটি আকাশমণি গাছে কেটে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরেজমিনে লোক পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। কিন্তু জায়গাটি সড়ক কর্তৃপক্ষের। তাঁরা চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারে। এখানে বন বিভাগের কিছু করার সুযোগ নেই।’
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহনূর আলম বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে সরেজমিনে পুলিশ পাঠিয়ে সত্যতা পেয়েছি। কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫