Ajker Patrika

তৃণমূল আ.লীগে ক্ষোভ

বরগুনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১১: ০৩
তৃণমূল আ.লীগে ক্ষোভ

‘শেখ হাসিনাকে রিমান্ডে নেওয়া হলে দশ ট্রাক অস্ত্রের ঘটনা বের হয়ে আসবে’ এমন মন্তব্য করার পরও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরগুনার পাথরঘাটার রায়হানপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন মিজানুর রহমান রুপক। নির্বাচিতও হয়েছিলেন তিনি।

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর মিজানুর রহমান রুপককে নিয়ে ফের বিতর্ক উঠেছে আওয়ামী লীগে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের কাছে রুপকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রায়হানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাথরঘাটার রায়হানপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রুপক। ২০০১ সালে বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। সেসময় লেমুয়ার সৈয়দ ফজলুল হক কলেজ মাঠের জনসভায় এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে পুলিশ রিমান্ড দিলে ১০ ট্রাক অস্ত্রের ঘটনা বের হয়ে আসবে।’ মিজানুর রহমান রুপক তৎকালীন বরগুনা–২ আসনের বিএনপির সাংসদ নুরুল ইসলাম মনির ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

তৃণমূলের ভোটের ফলাফল অনুসারে উপজেলায় সাতজন প্রার্থীর নামের তালিকা পাঠায় জেলা আওয়ামী লীগ। ওই তালিকার ১ নম্বর ক্রমিকে রায়হানপুর ইউনিয়নে মো. মইনুল ইসলামের নাম ছিল। কিন্তু কেন্দ্র থেকে রায়হানপুর ইউনিয়নে মইনুল ইসলামকে পরিবর্তন করে মিজানুর রহমান রুপককে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

কেন্দ্র থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীরকে আহ্বায়ক করে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই বছর (২০১৬ সাল) ১২ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ।

এতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রের নির্দেশনা মতে তৃণমূলের ভোটে রায়হানপুর ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়নের জন্য মইনুল ইসলামকে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। কিন্তু বরগুনা–২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন এ মত গ্রহণ করেননি। তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মিজানুর রহমান রুপককে মনোনয়ন এনে দেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল ইসলাম বলেন, ‘তৃণমূলের মতামতে আমি মনোনয়নের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পরও বিএনপির লোককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। গত পাঁচ বছর আমাদের এটা মেনে নিতে হয়েছে।’

মিজানুর রহমান রুপক ফোনে বলেন, ‘আমি কখনো বিএনপি করিনি।’ বিএনপির সাংসদ নুরুল ইসলাম মনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও শেখ হাসিনাকে ১০ ট্রাক অস্ত্রের ঘটনায় রিমান্ড চাওয়ার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে সাংসদ রিমন মইনুলের পরিবর্তে মিজানুর রহমান রুপককে মনোনয়ন এনে দিয়েছিলেন। এটি আমাদের প্রার্থী বাছাইয়ের নীতিমালা পরিপন্থী।’

সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, ‘মনোনয়নের বিষয়ে আমার কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। এখানে আমার কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত