Ajker Patrika

হাসপাতাল চত্বরেই অটোস্ট্যান্ড

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৪৮
হাসপাতাল চত্বরেই অটোস্ট্যান্ড

হাসপাতালের মূল ফটকের দুই পাশেই আছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুটি স্ট্যান্ড। এদিকে মূল সড়কটি দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু। আর দুই পাশের স্ট্যান্ডের কারণে মূল সড়ক থেকে আসা কোনো যানবাহন কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে দেখতে পারেন না চালক এবং রোগীরা। এতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা।

ফলে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন না এখানে আসা রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। এই দৃশ্য জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরের অর্ধেক জায়গা দখল করে থাকে প্রায় এক শ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুর পৌর সদরের কলেজ বাজার এলাকায় ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি মেইন রোডের পাশে হওয়ায় গেটের সামনে জটলা লেগেই থাকে। এখানে থাকা অটোরিকশা থেকে গোপীনাথপুর, রোয়াইর, তিলকপুর, কুরানু বাজার এলাকায় চলাচল করে। তাঁর ওপর গেটের দুই পাশে অটোস্ট্যান্ড তো আছেই। ওই গেটের সামনে আবার আক্কেলপুর-বগুড়া-জয়পুরহাট রুটের বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করে। ওই সময় জটলা আরও বেড়ে যায়।

তবে অটোচালকদের দাবি, পৌরসভা তাঁদের কাছ থেকে লাইসেন্সের টাকা নেয় ঠিকই, কিন্তু স্ট্যান্ডের কোনো জায়গা তারা দেয়নি। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে অবৈধভাবে অটোরিকশা রাখেন তাঁরা।

অটোচালক দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে হাসপাতালের ভেতরে অটোরিকশা রাখি, সবাই জায়গা দিতে চায়। কিন্তু দিনের পর দিন চলে যায়, কেউ জায়গার ব্যবস্থা করে দেয় না।’

আরেক চালক নিশি মণ্ডল বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের ভেতরে দয়ার ওপরে রয়েছি। তারা যেকোনো মুহূর্তে আমাদের এখান থেকে সরিয়ে দিতে পারে।’

মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘কলেজ বাজারের মধ্যে ফাঁকা জায়গাতে গাড়ি রাখলে চাকা ভোঁড় দিয়ে ফুটো করে দেয়। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মধ্যে গাড়ি রাখি।’

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে হাসপাতালে আসলে মনে হবে এখানে হাট বসেছে। হাসপাতালের চত্বরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেখানে সেখানে রাখা হয় অটোরিকশা। এতে আমাদের চলাচলের অসুবিধা হয়।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রুহুল আমিনের দাবি হাসপাতাল চত্বরে রাখা অটো স্ট্যান্ড নিয়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। সেখানে পৌরসভা ও থানা লাভবান হচ্ছে।

রুহুল আমিন আরও বলেন, ‘আমি এর আগে কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, তখন বন্ধও হয়েছিল অটোস্ট্যান্ড। কিন্তু এক শ্রেণির স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় কয়েক দিন পর আবার যে সেই হয়ে যায়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অটোস্ট্যান্ডের জন্য আক্কেলপুরে কোনো জায়গা নেই। আমরা বারবার চেষ্টা করেও হাসপাতালের ভেতর থেকে অটোস্ট্যান্ড অপসারণ করতে পারছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ যেখান থেকে উপার্জন করে খায়, সেখানে তো আমরা আঘাত আনতে পারি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত