Ajker Patrika

শেষ সময়ে বিক্রি বাড়ার আশা

নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২২, ১০: ২৫
শেষ সময়ে বিক্রি বাড়ার আশা

কয়েক দিন ধরে অমর একুশে বইমেলায় লোক সমাগম কমেছে। কমেছে বইয়ের বিক্রিও। এমন পরিস্থিতিতে এবারের মেলার শেষ দুটি ছুটির দিনে বিক্রি বাড়ার প্রত্যাশায় রয়েছেন প্রকাশকেরা। আজ মেলার শেষ শুক্রবার মেলায় আবারও পাঠক-দর্শনার্থীদের ঢল নামবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

গতকাল ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানালেন, ভিড় না থাকলে কাজের চাপ কমে যায়। ভিড় বেশি হলে বিক্রি বেশি হয়। বিক্রি বেশি হলে প্রশান্তি পাওয়া যায়। আশা করি, শুক্র-শনিবারে আবারও ব্যস্ততা বাড়বে।

তবে মাওলা ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী আহমেদ মাহমুদুল হক মনে করেন, মেলায় সময় বৃদ্ধির বিষয়টি ঠিকভাবে প্রচার না হওয়ায় পাঠক-দর্শনার্থীদের সমাগম কমেছে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, এ বছর মেলার শুরুটাই ভালো হয়নি। তারপরও ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ পর্যন্ত পাঠক সমাগম ও বিক্রি সন্তোষজনক ছিল। মার্চে এসে মেলাটা একটু ঢিলেঢালা হয়ে গেছে। এর কারণ হতে পারে মেলা বর্ধিতের খবরটি অনেকে কাছে পৌঁছাতে পারেনি।

বড় প্রকাশকদের বিক্রি আশানুরূপ হলেও ছোট ছোট প্রকাশনীতে প্রত্যাশিত বিক্রি হয়নি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। এ ছাড়া মেলার স্টল বিন্যাসেও বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটসংলগ্ন এলাকার বর্ধিতাংশে স্টল পাওয়া প্রকাশকেরা এ নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সুলেখা প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, মেলার অন্য অংশের থেকে এই অংশে পাঠক বা দর্শক সমাগম খুব কম। অপরিচিত ও ছোট প্রকাশনী বলে এমনিতেই ক্রেতা কম। এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ভাবতে হবে।

মেলার নকশা ও স্টল বিন্যাস নিয়ে পরিকল্পনার অভাবে মেলার একাংশে জনসমাগম কম হচ্ছে বলে দাবি শব্দশৈলীর প্রকাশক ইফতেখার আমিনের। এ জন্য বিক্রিতেও প্রভাব পড়ছে বলে জানান তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, নকশাগত কারণে মেলার একটি পাশে ভিড় হলেও অন্য পাশ পাঠকদের চোখের আড়ালে থেকে যাচ্ছে। তাই ওই অংশের স্টলগুলোতে পাঠকদের আনাগোনাও কম। তাই বিক্রিও হয় কম। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। উদ্যানে মেলা বর্ধিত সময়ের পর থেকে প্রতিবছর এ সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।

ভিড় কমায় প্রকাশকদের কপালে ভাঁজ পড়লেও এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন পাঠক ও দর্শনার্থী। ঝর্ণা আক্তার নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী গতকাল মেলায় এসেছিলেন বই কিনতে। তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত ভিড় নেই বলে দেখেশুনে বই কেনার সুযোগ পাচ্ছি। যে বইয়ের তালিকা করে এনেছি, সময় নিয়ে সেসব বইও উল্টেপাল্টে দেখা যাচ্ছে।’

গতকাল দিনভর মেলায় খুব বেশি দর্শনার্থী কিংবা পাঠকের দেখা মেলেনি। বেশির ভাগ প্রকাশক ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের স্টলের ভেতরে-বাইরে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।

উল্লেখযোগ্য বই: এবারের মেলার পাঠকপ্রিয় বইগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রথমা থেকে প্রকাশিত মহিউদ্দিন আহমেদের ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম: শান্তিবাহিনী জিয়া হত্যা, মনজুর খুন’, পার্ল থেকে প্রকাশিত মোস্তফা মামুনের তনু কারা সিরিজের ‘অপারেশন কুয়ালালামপুর’, অরুণ কুমার বিশ্বাসের লেখা পাঞ্জেরি থেকে প্রকাশিত ‘সাইকোপ্যাথ’, ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত হাসান রোবায়েতের ‘মুসলমানের ছেলে’ ইত্যাদি।

গতকাল মেলার ২৪তম দিনে নতুন বই এসেছে ৫৯টি। ছুটির দিনে আজ মেলা শুরু হবে বেলা ১১টা থেকে। বেলা ১টা পর্যন্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিশুপ্রহরের জন্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

লাইভ-২ (২৩ জুন, ২০২৫) ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপল ইসরায়েল, তেহরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি থেকে বিদায় নিচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত