সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বিভিন্ন গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বেশির ভাগ নলকূপ দিয়ে পানি উঠছে না। কোথাও কোথাও গভীর নলকূপেও চাহিদামতো পানি উঠছে না। এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় টানা খরায়, পানির স্তর অনেক নিচে নেমে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, গ্রামে নলকূপ থাকলেও সেখানে পানি নেই। নলকূপের হাতল চেপেও পানি বের করা দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গভীর নলকূপ থেকে মোটেও পানি উঠছে না। অবস্থা প্রকট হয়ে ওঠায় পানির সংকটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন পানির সংকট গত তিন যুগেও দেখা যায়নি বলে জানান তাঁরা। নলকূপে পানি না ওঠায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার বাসিন্দারা।
গত এক মাস ধরে উপজেলার চরক্লার্ক, পূর্ব চরবাটা, চরবাটা, চরজুবলি এবং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে গভীর নলকূপে পানি শূন্যতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
অভিযোগ রয়েছে, সুবর্ণচরে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই চাষাবাদে ব্যবহারের জন্য ২৪৫টি গভীর সেচ পাম্প এবং হাজারখানেক টিউবওয়েল বসায় বিএডিসি। এ পাম্পগুলোর গভীরতা ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ ফুট। চলতি মৌসুমে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে এসব সুপেয় পানি। যত্রতত্রভাবে এসব গভীর সেচ পাম্প স্থাপন করে পানি তুলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর শুকিয়ে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন জানান, পানির জন্য মানুষ এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি ছুটছেন। কোথাও গভীর নলকূপে পানি উঠছে সামান্য, আবার কোথাও পানিই উঠছে না।
সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, ‘উপজেলায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ মৌসুমে অন্যান্য ফসল ছাড়া, শুধু ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে খরচ হয়েছে ৪৮ কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার কিউসেক পানি। এর মধ্যে মাত্র ৩০ ভাগ পানি ব্যবহার করা হয়েছে উপরিভাগের উৎস থেকে। এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এ অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি দিয়েই চাষাবাদ করা হয়েছে।’
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান বলেন, ‘এ মাসে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর রেকর্ড পরিমাণ নিচে নেমে গেছে। বৃষ্টি না হলে পানির এই সংকট তীব্রতর হবে। ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি তোলার ফলে পানি কমে গেছে। বৃষ্টি না হলে এই শূন্যতা আরও বাড়বে। এটি দীর্ঘায়িত হলে ভূগর্ভে সমুদ্রের নোনা পানি ঢুকে যেতে পারে। ফলে সুপেয় পানির দীর্ঘমেয়াদি অভাব হতে পারে।’
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৈতী বিদ্যা এ বিষয়ে বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি রক্ষায় অপরিকল্পিত গভীর নলকূপের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান চালানো হবে। কৃষকদের উপরিভাগের পানি কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করা হবে।’
অপরিকল্পিত ওই পাম্পগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিএডিসি এবং স্থানীয় প্রশাসন। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন) কার্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি ক্ষুদ্র সেচ জেলা প্রকৌশলীকে। মোবাইলে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাঁকে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সবার সঙ্গে আলোচনা করে, সুপেয় পানি সংকটের সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বিভিন্ন গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বেশির ভাগ নলকূপ দিয়ে পানি উঠছে না। কোথাও কোথাও গভীর নলকূপেও চাহিদামতো পানি উঠছে না। এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় টানা খরায়, পানির স্তর অনেক নিচে নেমে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, গ্রামে নলকূপ থাকলেও সেখানে পানি নেই। নলকূপের হাতল চেপেও পানি বের করা দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গভীর নলকূপ থেকে মোটেও পানি উঠছে না। অবস্থা প্রকট হয়ে ওঠায় পানির সংকটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন পানির সংকট গত তিন যুগেও দেখা যায়নি বলে জানান তাঁরা। নলকূপে পানি না ওঠায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার বাসিন্দারা।
গত এক মাস ধরে উপজেলার চরক্লার্ক, পূর্ব চরবাটা, চরবাটা, চরজুবলি এবং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে গভীর নলকূপে পানি শূন্যতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
অভিযোগ রয়েছে, সুবর্ণচরে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই চাষাবাদে ব্যবহারের জন্য ২৪৫টি গভীর সেচ পাম্প এবং হাজারখানেক টিউবওয়েল বসায় বিএডিসি। এ পাম্পগুলোর গভীরতা ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ ফুট। চলতি মৌসুমে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে এসব সুপেয় পানি। যত্রতত্রভাবে এসব গভীর সেচ পাম্প স্থাপন করে পানি তুলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর শুকিয়ে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন জানান, পানির জন্য মানুষ এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি ছুটছেন। কোথাও গভীর নলকূপে পানি উঠছে সামান্য, আবার কোথাও পানিই উঠছে না।
সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, ‘উপজেলায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ মৌসুমে অন্যান্য ফসল ছাড়া, শুধু ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে খরচ হয়েছে ৪৮ কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার কিউসেক পানি। এর মধ্যে মাত্র ৩০ ভাগ পানি ব্যবহার করা হয়েছে উপরিভাগের উৎস থেকে। এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এ অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি দিয়েই চাষাবাদ করা হয়েছে।’
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামান বলেন, ‘এ মাসে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর রেকর্ড পরিমাণ নিচে নেমে গেছে। বৃষ্টি না হলে পানির এই সংকট তীব্রতর হবে। ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি তোলার ফলে পানি কমে গেছে। বৃষ্টি না হলে এই শূন্যতা আরও বাড়বে। এটি দীর্ঘায়িত হলে ভূগর্ভে সমুদ্রের নোনা পানি ঢুকে যেতে পারে। ফলে সুপেয় পানির দীর্ঘমেয়াদি অভাব হতে পারে।’
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৈতী বিদ্যা এ বিষয়ে বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি রক্ষায় অপরিকল্পিত গভীর নলকূপের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান চালানো হবে। কৃষকদের উপরিভাগের পানি কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করা হবে।’
অপরিকল্পিত ওই পাম্পগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিএডিসি এবং স্থানীয় প্রশাসন। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন) কার্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি ক্ষুদ্র সেচ জেলা প্রকৌশলীকে। মোবাইলে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাঁকে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সবার সঙ্গে আলোচনা করে, সুপেয় পানি সংকটের সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫