হোসেন রায়হান, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেড় শ কৃষক বিষমুক্ত সবজি চাষ করেছেন। স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় এসব চাষির সবজির চাহিদা বাড়ছে। এ জন্য উপজেলা বাজারে গড়ে তোলা হয়েছে বিষমুক্ত সবজির দোকান।
রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে উৎপাদিত সবজিতে কৃষক সাময়িক লাভবান হলেও মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন রাসায়নিক সার ব্যবহার করে উৎপাদিত সবজি না খেতে। এ জন্য বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে সহযোগিতা করছে তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন জানান, ২০১৮ সাল থেকে তেঁতুলিয়ায় বিষমুক্ত সবজি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রান্তিক কৃষকদের সংগঠিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কৃষক মাঠ স্কুল নামের এই প্রতিষ্ঠান কৃষকদের বাড়িতেই পরিচালনা করা হয়। নির্দিষ্ট গ্রামের চাষিরা পরিবেশবান্ধব সবজি উৎপাদনের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেরাই একটি ক্লাব গঠন করেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে থাকেন।
তেঁতুলিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলার পাঁচ শতাধিক সবজিচাষিকে কৃষক মাঠ-স্কুলের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ বছর রবি মৌসুমে দেড় শ কৃষক প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে বিষমুক্ত পরিবেশবান্ধব সবজি চাষ করেছেন। সবজিখেত থেকে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন পরিবেশবান্ধব সবজি উৎপাদন হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় তেঁতুলিয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর চাষিরা লালশাক, ডাঁটাশাক, শিম, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, মিষ্টি কুমড়োসহ নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করছেন। এসব সবজি উৎপাদন করে তাঁরা নির্ধারিত দোকানে পৌঁছে দেন। বিষমুক্ত সবজি চাষে শুধু পুরুষেরা নয় নারী কৃষকেরাও এগিয়ে এসেছে। তাঁরা সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বাড়ির আশপাশে এবং আঙিনাজুড়ে নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করছেন।
চাষিরা জানান, এসব সবজি উৎপাদনে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করছেন, এটি উৎপাদনে তাঁরা গোবর, গাছের লতা-পাতা ব্যবহার করে কম্পোস্ট সার তৈরি করেন। এ ছাড়া কীটনাশকের পরিবর্তে তাঁরা জৈব কীটনাশক ব্যবহার করছেন, পেঁয়াজ রসুনের নির্যাস, ভাট ফুলের নির্যাস, নিম পাতার নির্যাসসহ অনেক ধরনের উদ্ভিদ থেকে তাঁরা নির্যাস তৈরি করে সবজিখেতে স্প্রে করেন। পোকামাকড়ের সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য তাঁরা হাত জাল ব্যবহার করেন। ফেরোমন ফাঁদে স্ত্রী পোকার গন্ধ যুক্ত করেন। এই গন্ধ পেয়ে অন্য পোকারা এই ফাঁদে আটকে যায়। চাষিরা বলছেন পরিবেশবান্ধব সবজি উৎপাদনে খরচ কম। ফলনও ভালো হয়।
মাগুড়া গ্রামের চাষি মুন্নি বেগম বলেন, ‘কৃষক মাঠ-স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়ে এবার বাড়ির পাশের ১০ শতক জমিতে লাউ এবং মিষ্টি কুমড়া চাষ করি। আমার ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আমি কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করিনি। আমার নিজের পোষা ছাগল-গরুর গোবর ব্যবহার করেছি। আর ভাটগাছের পাতা থেকে রস বানিয়ে গাছে ছিটিয়েছি। দরজিপাড়া গ্রামের হালিম উদ্দিন জানান, পরিবেশবান্ধব বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে খরচ অনেক কম। তাই লাভ বেশি।’
তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করার জন্য সবজিচাষিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তাঁদের সংগঠিত করে গ্রামে গ্রামে কৃষক ক্লাব গঠন করা হচ্ছে।’
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেড় শ কৃষক বিষমুক্ত সবজি চাষ করেছেন। স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় এসব চাষির সবজির চাহিদা বাড়ছে। এ জন্য উপজেলা বাজারে গড়ে তোলা হয়েছে বিষমুক্ত সবজির দোকান।
রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে উৎপাদিত সবজিতে কৃষক সাময়িক লাভবান হলেও মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন রাসায়নিক সার ব্যবহার করে উৎপাদিত সবজি না খেতে। এ জন্য বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে সহযোগিতা করছে তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন জানান, ২০১৮ সাল থেকে তেঁতুলিয়ায় বিষমুক্ত সবজি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রান্তিক কৃষকদের সংগঠিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কৃষক মাঠ স্কুল নামের এই প্রতিষ্ঠান কৃষকদের বাড়িতেই পরিচালনা করা হয়। নির্দিষ্ট গ্রামের চাষিরা পরিবেশবান্ধব সবজি উৎপাদনের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেরাই একটি ক্লাব গঠন করেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে থাকেন।
তেঁতুলিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলার পাঁচ শতাধিক সবজিচাষিকে কৃষক মাঠ-স্কুলের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ বছর রবি মৌসুমে দেড় শ কৃষক প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে বিষমুক্ত পরিবেশবান্ধব সবজি চাষ করেছেন। সবজিখেত থেকে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন পরিবেশবান্ধব সবজি উৎপাদন হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় তেঁতুলিয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর চাষিরা লালশাক, ডাঁটাশাক, শিম, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, মিষ্টি কুমড়োসহ নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করছেন। এসব সবজি উৎপাদন করে তাঁরা নির্ধারিত দোকানে পৌঁছে দেন। বিষমুক্ত সবজি চাষে শুধু পুরুষেরা নয় নারী কৃষকেরাও এগিয়ে এসেছে। তাঁরা সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বাড়ির আশপাশে এবং আঙিনাজুড়ে নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করছেন।
চাষিরা জানান, এসব সবজি উৎপাদনে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করছেন, এটি উৎপাদনে তাঁরা গোবর, গাছের লতা-পাতা ব্যবহার করে কম্পোস্ট সার তৈরি করেন। এ ছাড়া কীটনাশকের পরিবর্তে তাঁরা জৈব কীটনাশক ব্যবহার করছেন, পেঁয়াজ রসুনের নির্যাস, ভাট ফুলের নির্যাস, নিম পাতার নির্যাসসহ অনেক ধরনের উদ্ভিদ থেকে তাঁরা নির্যাস তৈরি করে সবজিখেতে স্প্রে করেন। পোকামাকড়ের সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য তাঁরা হাত জাল ব্যবহার করেন। ফেরোমন ফাঁদে স্ত্রী পোকার গন্ধ যুক্ত করেন। এই গন্ধ পেয়ে অন্য পোকারা এই ফাঁদে আটকে যায়। চাষিরা বলছেন পরিবেশবান্ধব সবজি উৎপাদনে খরচ কম। ফলনও ভালো হয়।
মাগুড়া গ্রামের চাষি মুন্নি বেগম বলেন, ‘কৃষক মাঠ-স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়ে এবার বাড়ির পাশের ১০ শতক জমিতে লাউ এবং মিষ্টি কুমড়া চাষ করি। আমার ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আমি কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করিনি। আমার নিজের পোষা ছাগল-গরুর গোবর ব্যবহার করেছি। আর ভাটগাছের পাতা থেকে রস বানিয়ে গাছে ছিটিয়েছি। দরজিপাড়া গ্রামের হালিম উদ্দিন জানান, পরিবেশবান্ধব বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে খরচ অনেক কম। তাই লাভ বেশি।’
তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করার জন্য সবজিচাষিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তাঁদের সংগঠিত করে গ্রামে গ্রামে কৃষক ক্লাব গঠন করা হচ্ছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪