Ajker Patrika

ফলাফলে এগিয়ে মেয়েরা

বরিশাল প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ১৪
ফলাফলে এগিয়ে মেয়েরা

উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে বরিশালে এবার পাসের হার এবং জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে। বিগত বছরগুলোর সব রেকর্ড ভেঙে এবার পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭৬। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন রেকর্ডসংখ্যক ৯ হাজার ৯৭১ জন শিক্ষার্থী। শুধু অংশগ্রহণেই নয়, ফলের দিক দিয়ে মেয়েরা এগিয়ে।

গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন ২০২১ সালের এইচএসসির ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিতেই বরিশাল শিক্ষা বোর্ড অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে।’

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ৬৬ হাজার ৭৯৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে পাস করেছেন ৬৩ হাজার ৯৬৪ জন। পরীক্ষায় ৩৪ হাজার ৭৩৯ জন ছাত্রী অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৩৩ হাজার ৬৭৫ জন। ছাত্রীদের পাসের হার ৯৬ দশমিক ৯৪। পরীক্ষায় ৩২ হাজার ৫৭ জন ছাত্র অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে পাস করেন ৩০ হাজার ২৮৯ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ৪৮। পাসের হার বিবেচনায় বরিশাল বোর্ডে ছাত্রীরা এগিয়ে।

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের তথ্যমতে, করোনাকালীন অটোপাসের কারণে ২০২০ সালে শতভাগই ছিল পাস। কিন্তু ২০১৯ সালে পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৬৫। ওই সময়ে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ হাজার ২০১ জন। অথচ এবার এ বোর্ডে পাসের হার যেমন অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়েছে, তেমনি ২০১৯ সালের তুলনায় জিপিএ-৫ বেড়েছে প্রায় ৮ গুণ।

বরিশাল বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এস এম কাইউম উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার কারণে এবার ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সহায়ক মনোভাব দেখানো হয়েছে। ফলাফল দিতে পারাটাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি মনে করেন, বেশিসংখ্যক পাস করলেও, দেশে স্নাতক (সম্মান) পাঠদানের বহু কলেজ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

জানা গেছে, বিএম কলেজে এবার উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলে ৯৬ ভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক গতকাল তাঁর মেয়েকে নিয়ে কলেজে এসে বলেন, ‘এবার জিপিএ-৫-এর হিড়িক পড়েছে। কীভাবে আমার মেয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবে বুঝতে পারছি না।’

বরিশালের উচ্চশিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। ববির শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার যাচাই হোক এটাই কাম্য। প্রকৃত মেধাবীরাই তাঁদের যোগ্যতায় সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন।

তবে বরিশাল ইসলামিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমিনুর রহমান ঝান্ডা বলেন, এবার মেধার কী যাচাই হয়েছে! মূল বিষয় বাংলা ও ইংরেজির পরীক্ষাই তো হয়নি। কেবল গ্রুপ সাবজেক্টে পরীক্ষা হয়েছে। প্রশ্নপত্রও হয়েছে সহজ। এ থেকে মেধার মূল্যায়ন করা কঠিন। প্রকৃতপক্ষে এমন বিশাল ফলাফলের নামে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের ফলাফলে প্রকৃত মেধাবীরা বিপাকে পড়বেন। কারণ জিপিএ যাঁদের বেশি, তাঁরাই ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন।

সরকারি বরিশাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘ফলাফলে নয়, মেধার মূল্যায়ন ও বিকাশ অন্যভাবে করতে হবে। শ্রেণিকক্ষে সশরীরে পাঠদান বাড়িয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী গড়ে তোলার ওপরই জোর দিতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে অবতরণ করল প্রথম ফ্লাইট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত