জয়নাল আবেদীন খান
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে বিমা কোম্পানির শুরুটা কেমন ছিল?
মনিরুল আলম: স্বাধীনতার পরেই বিমার যাত্রা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই বিমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি বিমার প্রসার এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে প্রাইভেটাইজেশন আইন পাস হলে বিমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। দিনদিন বিমা কোম্পানির সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে দেশে ৩৫টি জীবন বিমা এবং ৪৬টি নন-লাইভ মিলে ৮১টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। আর জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান এখনো এক শতাংশের বেশ কম বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। তবে এসব বিমা কোম্পানিতে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: বিমা খাতে মানুষের আস্থার সংকটকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
মনিরুল আলম: বিমা ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যতম সংকট হলো গণমানুষের আস্থার ঘাটতি। সাধারণ মানুষ বিমার কোনো কর্মী বা এজেন্ট দেখলে একটা অনীহ দেখান। অনেকে আতঙ্ক বোধ করেন। আর একটা বাধা হলো দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব। তারা জ্ঞান এবং কৌশলের ঘাটতির কারণে মানুষকে জোরপূর্বক গ্রাহক বানাতে চায়, যা সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না। এজন্য অনেকে বিমাকর্মী দেখলে তার আড়াল হতে চেষ্টা করেন। আরেকটি বাধা হলো যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের অভাব। আইন হবে মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ, যাতে মানুষ আইন মানার প্রয়াস পায়।
আজকের পত্রিকা: বিমা খাতে মানুষের আস্থা অর্জনের উপায় কী?
মনিরুল আলম: বিমা সম্পর্কে মানুষের দীর্ঘদিনের লালন করা ভুল ধারণা রয়েছে। বিমা কোম্পানির প্রতি আস্থা বাড়াতে ভুল ধারণা দূর করতে হবে। এজন্য পাঠ্যপুস্তকে বিমা সম্পর্কে অধ্যায় সংযোজন করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে প্রচারণা চালাতে হবে। এর পাশাপাশি দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিয়ে গ্রাহকের কাছে কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছাতে হবে, যাতে কোনো গ্রাহক বিরক্ত না হন। আর কোম্পানিগুলো যদি গ্রাহকের দাবি পূরণে শতভাগ আন্তরিক হয় এবং তা যদি জনগণ বুঝতে পারে, তাহলে আস্থা ফিরে আসতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
আজকের পত্রিকা: দেশে বিমা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন?
মনিরুল আলম: দেশের বিমা ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য বিমায় সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বিমার উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। এজন্য জনসচেতনতা বাড়াতে গণমুখী প্রচারণা চালাতে হবে। গ্রাহকের টাকা যাতে কোনো কোম্পানি আত্মসাৎ করতে না পারে তা আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। বহুতল ভবন ও সব যানবাহনের জন্য বিমা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যেমন—বঙ্গবন্ধু বিমা সরকারি-বেসরকারি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এনজিও, ব্যাংক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যাতে বিমার নামে টাকা কেটে না রাখে সেটি যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: বিমার গ্রাহক ম্যাচুরিটির আগে আমানতের টাকা ফেরত পেতে পারেন কীভাবে?
মনিরুল আলম: দেশের বিমা ব্যবসার আইনে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী যেকোনো গ্রাহক মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অথবা মৃত্যুর আগে ৩০ শতাংশ টাকা ফেরত পেতে পারেন।
আজকের পত্রিকা: বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসায়িক অবস্থা কেমন চলছে?
মনিরুল আলম: বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসায়িক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভালো। এটি এনআরবি গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি নামে ব্যবসা পরিচালনা করার সনদ পায়। সম্প্রতি এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা নতুন নামে ব্যবসার অনুমোদন দেয়। এখন নতুন নামে সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে কোম্পানিটি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সব কাজ করার জন্য প্রস্তুতিও চলমান রয়েছে। দিনদিন ব্যবসা প্রসারিত হচ্ছে। আর করোনাকালে গ্রাহকদের প্রায় সব দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ—২০২০ সালে আমাদের ব্যবসা ছিল ১৩ কোটি টাকা। গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকায়। চলতি বছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। আর বর্তমানে ২৫ জেলায় ৭২টি অফিস রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: আপনারা ডিজিটাল সেবা দিতে কতটা সক্ষম?
মনিরুল আলম: বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এখন নতুন আঙ্গিকে কাজ করছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। গ্রাহক তাঁর প্রিমিয়াম জমা দিয়ে অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে সব তথ্য জানতে পারেন। আমাদের নিজস্ব অ্যাপসের মাধ্যমে প্রিমিয়াম সেবা নিতে পারছেন গ্রাহকেরা।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে বিমা কোম্পানির শুরুটা কেমন ছিল?
মনিরুল আলম: স্বাধীনতার পরেই বিমার যাত্রা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই বিমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি বিমার প্রসার এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে প্রাইভেটাইজেশন আইন পাস হলে বিমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। দিনদিন বিমা কোম্পানির সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে দেশে ৩৫টি জীবন বিমা এবং ৪৬টি নন-লাইভ মিলে ৮১টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। আর জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান এখনো এক শতাংশের বেশ কম বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। তবে এসব বিমা কোম্পানিতে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: বিমা খাতে মানুষের আস্থার সংকটকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
মনিরুল আলম: বিমা ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যতম সংকট হলো গণমানুষের আস্থার ঘাটতি। সাধারণ মানুষ বিমার কোনো কর্মী বা এজেন্ট দেখলে একটা অনীহ দেখান। অনেকে আতঙ্ক বোধ করেন। আর একটা বাধা হলো দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব। তারা জ্ঞান এবং কৌশলের ঘাটতির কারণে মানুষকে জোরপূর্বক গ্রাহক বানাতে চায়, যা সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না। এজন্য অনেকে বিমাকর্মী দেখলে তার আড়াল হতে চেষ্টা করেন। আরেকটি বাধা হলো যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের অভাব। আইন হবে মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ, যাতে মানুষ আইন মানার প্রয়াস পায়।
আজকের পত্রিকা: বিমা খাতে মানুষের আস্থা অর্জনের উপায় কী?
মনিরুল আলম: বিমা সম্পর্কে মানুষের দীর্ঘদিনের লালন করা ভুল ধারণা রয়েছে। বিমা কোম্পানির প্রতি আস্থা বাড়াতে ভুল ধারণা দূর করতে হবে। এজন্য পাঠ্যপুস্তকে বিমা সম্পর্কে অধ্যায় সংযোজন করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে প্রচারণা চালাতে হবে। এর পাশাপাশি দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিয়ে গ্রাহকের কাছে কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছাতে হবে, যাতে কোনো গ্রাহক বিরক্ত না হন। আর কোম্পানিগুলো যদি গ্রাহকের দাবি পূরণে শতভাগ আন্তরিক হয় এবং তা যদি জনগণ বুঝতে পারে, তাহলে আস্থা ফিরে আসতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
আজকের পত্রিকা: দেশে বিমা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন?
মনিরুল আলম: দেশের বিমা ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য বিমায় সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বিমার উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। এজন্য জনসচেতনতা বাড়াতে গণমুখী প্রচারণা চালাতে হবে। গ্রাহকের টাকা যাতে কোনো কোম্পানি আত্মসাৎ করতে না পারে তা আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। বহুতল ভবন ও সব যানবাহনের জন্য বিমা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যেমন—বঙ্গবন্ধু বিমা সরকারি-বেসরকারি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এনজিও, ব্যাংক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যাতে বিমার নামে টাকা কেটে না রাখে সেটি যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: বিমার গ্রাহক ম্যাচুরিটির আগে আমানতের টাকা ফেরত পেতে পারেন কীভাবে?
মনিরুল আলম: দেশের বিমা ব্যবসার আইনে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী যেকোনো গ্রাহক মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অথবা মৃত্যুর আগে ৩০ শতাংশ টাকা ফেরত পেতে পারেন।
আজকের পত্রিকা: বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসায়িক অবস্থা কেমন চলছে?
মনিরুল আলম: বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসায়িক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভালো। এটি এনআরবি গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি নামে ব্যবসা পরিচালনা করার সনদ পায়। সম্প্রতি এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা নতুন নামে ব্যবসার অনুমোদন দেয়। এখন নতুন নামে সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে কোম্পানিটি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সব কাজ করার জন্য প্রস্তুতিও চলমান রয়েছে। দিনদিন ব্যবসা প্রসারিত হচ্ছে। আর করোনাকালে গ্রাহকদের প্রায় সব দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ—২০২০ সালে আমাদের ব্যবসা ছিল ১৩ কোটি টাকা। গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকায়। চলতি বছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। আর বর্তমানে ২৫ জেলায় ৭২টি অফিস রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: আপনারা ডিজিটাল সেবা দিতে কতটা সক্ষম?
মনিরুল আলম: বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এখন নতুন আঙ্গিকে কাজ করছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। গ্রাহক তাঁর প্রিমিয়াম জমা দিয়ে অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে সব তথ্য জানতে পারেন। আমাদের নিজস্ব অ্যাপসের মাধ্যমে প্রিমিয়াম সেবা নিতে পারছেন গ্রাহকেরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪