Ajker Patrika

শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ২৩
শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

দিনাজপুরে কয়েক দিন আগে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে দিনের বেশির ভাগ সময়। ফলে কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। বিপাকে পড়েছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, সোমবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে; যা দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছিতে, ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ এবং এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৪ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

এদিকে কুয়াশায় সকালের অনেকটা সময় ঢেকে থাকায় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতে একটু গরমের আশায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন মানুষ। ফুটপাত ও স্টেশনে বসবাসরত ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।

শহরের রামনগরে কাজের সন্ধানে আসা দিনমজুর জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডা বেশি হওয়ায় কাজ-কাম কম হচ্ছে। বেশি শীতের কারণে মানুষ কাজ করাতে চায় না। এক দিন কাজ পাই তো দুই দিনই বসি থাকিবা হছে। কেমন করি যে দিন চলিবে আল্লায় জানে।’

সদরের খানপুর গ্রামের অটোচালক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণে আগের মতো যাত্রী পাই না। ঠান্ডার কারণে সকাল ও সন্ধ্যার পর রাস্তায় মানুষ কম আসে। তাই যাত্রী না পেয়ে বেশির ভাগ সময় বেকার হয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। এতে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’

দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, জেলার নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল অসহায় মানুষের জন্য শীতবস্ত্র ও ত্রাণসহায়তা অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত