Ajker Patrika

এক বছরেও হয়নি সেতু

শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ২১
এক বছরেও হয়নি সেতু

মাগুরার শালিখা উপজেলার উজগ্রাম-টিয়রখালি সড়কের মধ্যবর্তী বারেঙ্গায় রেগুলেটর সমৃদ্ধ (স্লুইসগেট) সেতু নির্মাণকাজ গত এক বছর আগে শুরু হয়। পুরোনো সেতু ভেঙে রাখা ছাড়া একটি পিলারও বসেনি এখনো।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে কাজটি শুরু হয়। সেতুটি নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায় মাগুরা অরিন এন্টারপ্রাইজ নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পুরোনো সেতুটি ভাঙার পর জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য একটি পার্শ্ব রাস্তা করে দেওয়া হয়, যা চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন এ সড়কে টিয়রখালি, সেওজগাতি, দীগলগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, সাংদা, খিলগাতি, দরি লক্ষ্মীপুরসহ ১০ গ্রামের মানুষ নিত্য প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্দির ও উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারে যাতায়াত করেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিন মিনি ট্রাক, ভ্যান, ইজিবাইক, লাটা, করিমন, গ্রামবাংলা সহ স্থানীয় নানাবিধ যাত্রীবাহী যান চলাচল করে। তবে সেতু নির্মাণে ধীর গতি হওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে হাজার হাজার মানুষ। অনেকে আবার তিন কিলোমিটার পথ বেশি পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, গত বছর বর্ষাকালে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এক বছর পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি। চলাচলের জন্য পার্শ্ববর্তী যে রাস্তাটি করে দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে শুধু একজন মানুষই যেতে পারে, কোনো গাড়ি যেতে পারে না। এ ব্যাপারে তালখড়ি ইউনিয়নের 8 নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রিয়াজ মোল্লা জানান, ঠিকাদারের অবহেলার কারণে আশপাশের গ্রামের মানুষ জীবিকার তাগিদে আড়পাড়া বাজারে যেতে পারছেন না এ ছাড়া যাতায়াতের জন্য পার্শ্ববর্তী যে রাস্তা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ চলাচলের অযোগ্য।

মাগুরা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মুন্নি বিশ্বাস বলেন, আমি এলাকার সন্তান। প্রতিনিয়ত কলেজের কাজে এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। এই সেতুর কাজ শুরু হয়েছে এক-দেড় বছর আগে। কিন্তু এখনো দৃশ্যমান কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। শুধু খুঁড়ে রেখে দিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। চলাচল করতে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। এই খোঁড়াখুঁড়ির কারণে এলাকাবাসী দুর্ভোগে আছে। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।

এলাকাবাসী আরও বলেন, আমাদের এলাকার কেউ অসুস্থ হলেও আমরা জরুরিভাবে হাসপাতালে নিতে পারি না। এই সেতুর কাজের ধীর গতির জন্য রাস্তার এ পাশের পানি অপর পাশে যেতে পারছে না। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে পানি জমে থাকার কারণে সেতুর দুই পাশের মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

অরিন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইব্রাহীম বলেন, ‘আবহাওয়া ও পরিবেশগত কারণে কাজে দীর্ঘ সময় লাগছে। পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় কাজটি আপাতত বন্ধ রেখেছি পানি কমে গেলে কাজ আবার শুরু করা হবে।’

মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে জানানো হবে এবং কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত