Ajker Patrika

টানা বৃষ্টিতে কৃষকের কপালে ভাঁজ

রায়পুরা ও বেলাব প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৩৪
টানা বৃষ্টিতে কৃষকের কপালে ভাঁজ

নরসিংদীর বেলাব ও রায়পুরায় টানা বৃষ্টিতে ধানের পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে শিম, বেগুন, ফুলকপি, আলুসহ নানান সবজির। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ সরাসরি আক্রমণ না করলেও অসময়ের এই বৃষ্টিতে কপালে ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের। বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে, আধপাকা আমন ধান, জমিতে কেটে রাখা ধান, বোরো বীজতলা, সরিষা, ভুট্টা, আলুসহ শীতকালীন অন্যান্য সবজির খেত। এতে ফসল নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষক ও কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সরেজমিন রায়পুরার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, পানিতে ডুবে আছে কেটে রাখা ধান, ধানের বীজতলা, সরিষা, শীতকালীন সবজি শিম, ফুলকপির খেত। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, কোনোরকমের কেটে রাখা ধান রক্ষা করা গেলেও আলু, শিম, ফুলকপির অনেক ক্ষতি হবে। ইতিমধ্যে পচতে শুরু করেছে শিমের গাছ।

রায়পুরা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে, ১৬ হেক্টর বোরো বীজতলা, ৯৭ হেক্টর আলু খেত, ১৪৭ হেক্টর সরিষা খেত, ৯০ হেক্টর সবজি খেতের ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বনি আমিন খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ সরাসরি আঘাত না করলেও, এর প্রভাবে অসময়ের বৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষি ও কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে শুকনো মাটি ভিজে সতেজ সজীব হয়েছে। কেটে গেছে রুক্ষ আবহাওয়া। কিন্তু ফসল নষ্টের আশঙ্কা বেড়েছে। প্রতি বছরই এ উপজেলায় আলুর চাষ হয়। টানা দুই দিনের বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু আলু খেত পানি জমেছে। পানি জমেছে সদ্য রোপণ করা ধানের বীজতলায়। অনেকের জমিতে কেটে রাখা আমন ধানও পানিতে ডুবে গেছে।

এদিকে বেলাব উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে শীতকালীন সবজি শিম, ফুলকপি, ধনে পাতাসহ অন্যান্য ফসলের খেত।

বেলাবর আমলাব ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, ‘অসময়ে বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে আমার ধানের বীজতলা। নষ্ট হয়ে গেছে শিম খেত। শিম গাছে পচন ধরে গেছে।’

বেলাবর উজিলাব গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, ‘আমি ২ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। টানা বৃষ্টিতে ধান গাছ পানিতে তলিয়ে গেছে। মনে হয় সব নষ্ট হয়ে যাবে।’

বেলাব উপজেলার হোসেন নগর গ্রামের শিম চাষি মো. খলিল মিয়া বলেন, ‘চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। গেল কয়েক দিন ধরে ৭০ টাকা দরে প্রতি কেজি শিম বিক্রি করেছেন। তবে টানা বৃষ্টিতে তার পুরো শিম খেত পানিতে ডুবে গেছে। এতে গাছ মরে যাচ্ছে ও ফুল ঝড়ে যাচ্ছে।’

বেলাব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিম উর রউফ খাঁন বলেন, ‘আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছেন তথ্য সংগ্রহ করছেন। তথ্য পেলে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। তবে অসময়ে বৃষ্টিতে আমন ধানের চেয়ে বীজতলা ও শিম খেতের কিছুটা বেশি ক্ষতি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত